বিশ্ব দুগ্ধ দিবস আজ

জাতীয়, 1 June 2024, 282 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
১ জুন বিশ্ব দুগ্ধ দিবস। দুগ্ধখাতের কার্যক্রম বাড়াতে ২০০১ সাল থেকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) উদ্যোগে পালিত হচ্ছে দিবসটি।

banner

আজ ১ জুন শনিবার বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের সহায়তায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বেশকিছু পরিকল্পনা ও কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এছাড়া এ খাতের বেসরকারি কোম্পানিগুলোও বেশকিছু কর্মসূচি পালন করছে। পাশাপাশি এদিন প্রতিটি জেলা সদরে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের আয়োজনে দিবসটি পালিত হবে।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে সকাল ৯টায় রাজধানীর ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে দুধপান করানো হবে। এ আয়োজনের সহযোগিতা করবে মিল্কভিটা, প্রাণ ডেইরী, ব্র্যাক ডেইরি, আকিজ ডেইরি ও রংপুর ডেইরি।

সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকায় র‍্যালি অনুষ্ঠিত হবে। খামারবাড়ি কেআইবি থেকে শুরু হয়ে র‍্যালিটি সংসদ ভবনের দক্ষিণ পাশে গিয়ে পুনরায় ফিরে আসবে।

বেলা ১১টায় কেআইবি অডিটোরিয়ামে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন ও ডেইরি আইকন সেলিব্রেশন উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

অনুষ্ঠানে নির্বাচিত ৫১ জন উদ্যোক্তাকে ডেইরি আইকন-২০২৩ হিসেবে পুরস্কার প্রদান করা হবে। তারা পাবেন নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান।

এছাড়া কেআইবি কনভেনশন হলে দিনব্যাপী দুগ্ধজাত পণ্য প্রদর্শনী ও চিজ ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়েছে। চিজ পেঁয়াজু, চিজ বার্গার, চিজ লুচি, চিজ পাকোড়া, চিজ সমুচা, চিজ কারি, হানি চিজসহ নানান দুগ্ধজাত পণ্যের সমাহার থাকবে এ প্রদর্শনীতে।

Leave a Reply

কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি,…

অনলাইন ডেস্ক : বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় Read more

সরাইলে জাতীয় সমাজসেবা দিবস পালিত

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা Read more

৬৫৪ ফ্যামিলি কাডধারীর মাঝে টিসিবির পণ্য…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন বিআরডিবি Read more

ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী…

চলারপথে রিপোর্ট : ‘শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ-সুন্দর প্রজন্ম গঠনই জাতীয়তাবাদী Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাহিত্য একাডেমির আয়োজনে ‘অদ্বৈত উৎসব’

চলারপথে রিপোর্ট : অমর কথাশিল্পী তিতাসপাড়ের শ্রেষ্ঠতম সন্তান অদ্বৈত মল্লবর্মণের Read more

বাঞ্ছারামপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, টেঁটাবিদ্ধ…

চলারপথে রিপোর্ট : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় দু’পক্ষের Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদলের বর্ণাঢ্য র‌্যালি

চলারপথে রিপোর্ট : ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের Read more

আশুগঞ্জে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

চলারপথে রিপোর্ট : নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা Read more
ফাইল ছবি

পবিত্র শবে মেরাজ ২৭ জানুয়ারি

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রজব Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের এক বছরের…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ ব্যাটালিয়ন) অভিযানে Read more

আজ ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

অনলাইন ডেস্ক : ১ জানুয়ারি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৭৯ Read more

থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করতে গিয়ে…

অনলাইন ডেস্ক : বন্ধুদের নিয়ে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করতে Read more

আখাউড়া স্থলবন্দরে জাইকার প্রতিনিধি দল

আন্তর্জাতিক, জাতীয়, 5 February 2024, 866 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সির (জাইকা) একটি প্রতিনিধি দল।

banner

আজ ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলটি বন্দরের স্থাপনাগুলো ঘুরে দেখেন। প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন তাকেশী শিমোমোরা।

প্রতিনিধি দলটি আখাউড়া স্থলবন্দরের বিভিন্ন অবকাঠামো, বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ও যাত্রী পারাপার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। মূলত বন্দরের কী কী অবাকাঠামোগত উন্নয়নে অর্থায়ন করা যায়- সেটি যাচাইয়ের জন্যই জাইকার প্রতিনিধি দলের এ পরিদর্শন।

এ সময় আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান, আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের ইনচার্জ হাসান আহমেদ ভূঁইয়া এবং আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।

কম্পিউটার ও ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের উদ্বোধন

জাতীয়, 31 October 2023, 598 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
চুয়াডাঙ্গায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বিনামূল্যে কম্পিউটার ও ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়েছে।

banner

আজ ৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার বেলা ১২টায় শহরের একাডেমি মোড়ের বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার কার্যালয়ে ২ মাসব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও মাগুরা জেলায় একযোগে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান।

বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী চেয়ারম্যান আহমেদ পিপুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইফুল হক, সংস্থার কোষাধ্যক্ষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. সাইফুল্লাহ রাসেল, চুয়াডাঙ্গা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সিদ্দীকা সোহেলী রশীদ ও নির্বাহী সদস্য জেসমিন জাহান মুন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বিপুল আশরাফ। সমাজসেবা অধিদপ্তর ও বহুমুখী মানবকল্যাণ সংস্থার আয়োজনে চুয়াডাঙ্গায় কম্পিউটার ২ ব্যাচে ৬০ জন, ড্রাইভিং ১ ব্যাচে ৩০ জন, কুষ্টিয়ায় কম্পিউটার ১ ব্যাচে ৩০ জন ও মাগুরায় কম্পিউটার ১ ব্যাচে ৩০ জন, ড্রাইভিং ২ ব্যাচে ৬০ জন বিনামূল্যে ৪৫ কার্যদিবসে এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন।

অনুষ্ঠানে বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার জেলা কমিটির সদস্য রফিক রহমান, পারভীন লায়লা মালিক, বহুলুল কবির, তানভীর নোবেলসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

সংলাপ নিয়ে আপাতত আমরা ভাবছি না : সেতুমন্ত্রী

জাতীয়, 8 June 2023, 853 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
সংলাপের কথা শুনে বিএনপির নেতাদের আবারও জিহ্বায় পানি এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সংলাপ নিয়ে আপাতত আমরা ভাবছি না, ভাবব কি না সেটা পরের বিষয়। গতবারের কথা আমাদের মনে আছে; এক বার নয়, দুই বার তাদের সঙ্গে সংলাপে বসেছি। রেজাল্ট কী?

banner

ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে ৮ জুন বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

কাদের বলেন, নিষেধাজ্ঞার জন্য নালিশ করতে করতে বিএনপি এখন নিজেরাই ফাঁদে পড়েছে। তারা নিজেরাই ‘ফাঁদে পড়ে কান্দে’। এখন তারা নালিশ করে নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে পেয়েছে ভিসানীতি। এই ভিসানীতি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কাকে ভিসা দেবে, কাকে দেবে না, একটা সেই দেশের ব্যাপার। আমরাও আমাদের দেশে কাকে ভিসা দেব, কাকে দেব না, সেটাও আমাদের ব্যাপার। এ নিয়ে ভয় পাওয়ার কী আছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফখরুল সাহেবের জিহ্বায় পানি আসছে। মনে করছে আওয়ামী লীগ তাদেরকে সংলাপে ডাকবে। এই সংলাপের কথা আমরা ভাবছি না। নিরপেক্ষ কে? আপনার নেত্রী বলেছে শিশু এবং পাগল। শিশু এবং পাগল ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। কাজেই আপনি শিশু এবং পাগলের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিরপেক্ষ ব্যক্তি খুঁজে বের করুন। তারপর বোঝা যাবে কী হবে। আর এটা নিয়ে মাথা খারাপ করে কাজ নেই, এই তত্ত্বাবধায়ক আর আসবে না, তত্ত্বাবধায়ক মরে গেছে। এই মরা জিনিসকে আর জীবিত করার চেষ্টা করবেন না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করেনি, এটা নিষিদ্ধ করেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

তিনি বলেন, বিএনপি নমিনেশন লন্ডন থেকে দেয়, ঢাকা থেকে দেয়, নয়াপল্টন থেকে দেয়, গুলশান থেকে দেয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে নমিনেশন বিক্রি করে। এটাই হচ্ছে বিএনপি। মনে আছে ওই নমিনেশন বাণিজ্য, অনেকের পকেট খালি করেছে। একেক জায়গায় তিনজন চারজন করে নমিনেশন পেয়েছে, এটা হচ্ছে বিএনপি।

কাদের বলেন, আমাদের স্বাধীন নির্বাচন কমিশন ছিল না। খালেদা জিয়ার ইচ্ছায় নির্বাচন কমিশন ছিল আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন। সেটা আর হবে না। সেই দিন চলে গেছে। আমাদের নেত্রী পার্লামেন্ট আইন করে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। নির্বাচন কমিশন নিয়ে আপনাদের চিৎকার করার কোনো কারণ নেই।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আজকে বিদেশি বন্ধুরা তারা চায় নিরপেক্ষ নির্বাচন। তারা চায় ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন। আমাদের নেত্রী দেশি বিদেশিদের আশ্বস্ত করে বলেছেন যে, নিরপেক্ষ অবাধ নির্বাচন করব। বিএনপি চায় তত্ত্বাবধায়ক। বিএনপি চায় শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। এটা মামা বাড়ির আবদার।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিয়মের মধ্যে থাকুন। আপনারা আমাদের শপথে থাকুন। আমাদের আবারও ৬ জুন, ৭ মার্চের শপথ নিতে হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র গিলে খেয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা গিলে খেয়েছে। এরা মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ গিলে খেয়েছে। এদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। এরা যদি ক্ষমতা ফিরে পায়, বিএনপি নামের বিষধর সাপ গোটা দেশ গিলে খাবে।

বিদ্যুৎ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা জনগণকে বলেছি, আপনারা সময় দিন। ১০-১৫টা দিন সময় দিন। সব ঠিক হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যার ওপর ভরসা রাখুন।

নতুন ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণ সমাজ, এবার তোমরা যারা প্রথমবার ভোট দেবে তোমরা স্মার্ট বাংলাদেশের পক্ষে ভোটটা দেবে।

আম পাড়াকে কেন্দ্র করে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

জাতীয়, 15 June 2023, 1028 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
পাবনা সদরে আম পাড়াকে কেন্দ্র করে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে আব্দুল আলিম (৪০) নামের একজনকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তানজিল হোসেন নামের ওই ভাতিজাকে আটক করেছে পুলিশ।

banner

আজ ১৫ জুন বৃহস্পতিবার সকালে সদরের মালঞ্চি ইউনিয়নের কামারগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আলিম মালঞ্চি ইউনিয়নের কামারগ্রামের মৃত জনাব আলীর ছেলে। তিনি একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে কাজ করতেন। আটক তানজিল একই এলাকার আব্দুল হালিম মোল্লার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একটি আম গাছকে কেন্দ্র করে করে দীর্ঘদিন ধরে তাদের পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এদিন সকালে চাচা আব্দুল আলিম আম পাড়তে যায়। আম পাড়তে চাচাকে নিষেধ করলে দুই পরিবারের দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এসময় ভাতিজা তানজিল চাচাকে এলোপাতারিভাবে ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে হত্যাকারি ভাতিজাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আজ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস

জাতীয়, 25 March 2023, 1274 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
‘পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত/ ঘোষণার ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তুলে/ নতুন নিশান উড়িয়ে/ দামামা বাজিয়ে দিগ্বিদিক/ এই বাংলায় তোমাকে আসতেই হবে হে স্বাধীনতা।’ সত্যিই বাংলায় এসেছে সেই মহার্ঘ্য স্বাধীনতা। আর আজ বাঙালির সেই গৌরবদীপ্ত দিন। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্বের বুকে স্বাধীন অস্তিত্ব ঘোষণা করেছিল বীর বাঙালি।

banner

বাঙালি জাতির জীবনে ২৬ মার্চ দিনটি একই সঙ্গে গৌরব ও শোকের। বাঙালির ওপর পাকিস্তানি শাসকেরা শোষণ এবং ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর যে আগ্রাসন চালিয়েছিল, এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধিকারের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন বাঙালিরা। তারা ২৫ মার্চ মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে উঠে দাঁড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ স্বাধীন করার শপথ গ্রহণ করে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে প্রতিটি বাঙালির মনে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের বীজ রোপিত হয়। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। মৃত্যুপণ লড়াই ও রক্তসমুদ্র পাড়ি দিয়ে বীর বাঙালি জাতি ছিনিয়ে আনে জাতীয় ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মহান স্বাধীনতা।

প্রতিবছর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হৃদয়ে ধারণ করে দিবসটি উদযাপন করে গোটা জাতি। বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করে স্বাধীনতার জন্য আত্মদানকারী দেশের বীর সন্তানদের। শ্রদ্ধা জানায় মহান স্বাধীনতার রূপকার বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জাতীয় নেতা, নৃশংস গণহত্যার শিকার লাখো সাধারণ মানুষ এবং সম্ভ্রম হারানো মা-বোনের প্রতি।

এই মহার্ঘ্য স্বাধীনতা অর্জন করতে বাঙালি জাতিকে করতে হয়েছে দীর্ঘ সংগ্রাম, দিতে হয়েছে এক সাগর রক্ত। বঙ্গবন্ধু ধাপে ধাপে পুরো বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ করেন। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের অব্যবহিত পরেই ভাষার প্রশ্নে একাত্ম হয় বাঙালি। ১৯৪৮, বায়ান্ন পেরিয়ে চুয়ান্ন, বাষট্টি, ছেষট্টির পথ বেয়ে আসে ১৯৬৯।

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে কেঁপে উঠেছিল জেনারেল আইয়ুবের গদি। জনতার সাগরে সৃষ্টি হয়েছিল তাল স্রোতধারা। ‘জাগো জাগো বাঙালি জাগো’, ‘তোমার আমার ঠিকানা- পদ্মা মেঘনা যমুনা’, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ শ্লোগানে শ্লোগানে প্রকম্পিত ছিল গ্রাম-শহর, জনপদ। শত ষড়যন্ত্র ও সামরিক জান্তার রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সত্তরের জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।

কিন্তু বাঙালির হাতে শাসনভার দেয়ার বদলে শুরু হয় ষড়যন্ত্র। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির জুলফিকার আলী ভুট্টো বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলোচনার নামে করতে থাকেন কালক্ষেপণ। পর্দার আড়ালে প্রস্তুত হয় হিংস্র কায়দায় বাঙালি হত্যাযজ্ঞের ‘নীলনকশা’।

কিন্তু ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণেই পাওয়া যায় মুক্তির দিকনির্দেশনা। আক্ষরিক অর্থেই তখন পূর্ব পাকিস্তানের প্রশাসন চলছিল বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে। সেই প্রবল প্রদীপ্ত আন্দোলনের জোয়ারে ধীরে ধীরে বাঙালির হৃদয়ে আঁকা হয় একটি লাল-সবুজ পতাকা, একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের ছবি।

কিন্তু বাঙালির আবেগ, সংগ্রাম ও মুক্তির আকাক্সক্ষাকে নির্মূল করতে অস্ত্র হাতে নামে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী। শোষিত ও নির্যাতিত মানুষের স্বাধীনতার আকাক্সক্ষাকে রক্তের বন্যায় ডুবিয়ে দিতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে শুরু করে নিষ্ঠুর গণহত্যা।

সেই কালরাত্রি থেকেই শুরু হয় মৃত্যু, ধ্বংস, আগুন আর আর্তনাদ, পৈশাচিক বর্বরতা। কিন্তু ওই ঘোরতর অমানিশা ভেদ করেই দেশের আকাশে উদিত হয় স্বাধীনতার চিরভাস্বর সূর্য। ২৬ মার্চের সূচনালগ্নে গ্রেফতার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওয়্যারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে শত্রুসেনাদের বিতাড়িত করতে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে জীবনপণ সশস্ত্র লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে বীর বাঙালি। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠতম অর্জন- মহান স্বাধীনতা।