চলারপথে রিপোর্ট :
নারী পুরুষের জর্দা গুল সিগারেট প্রভৃতি তামাকের ব্যবহার সার্বিক জনস্বাস্থ্য ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই বিশ্বব্যাপি তামাক নিয়ন্ত্রণের দাবী দিনকে দিন জোরালো হচ্ছে। তামাক নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে কার্যকর এবং সাশ্রয়ী উপায় হলো এগুলোর মূল্য ও সব ধরণের কর বাড়িয়ে মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে নিয়ে যাওয়া।
এহেন অবস্থায় বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের আয়োজনে সারাদেশের মতো আজ ১ মে শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। তামাক বিরোধী জোটের সদস্য এবং এনজিও ভিডিসি’র নির্বাহী পরিচালক এস.এম. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব চত্বরে অবস্থান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক মোঃ আবুল হাসনাত অপু’র উপস্থাপনায় এতে বক্তব্য রাখেন কমরেড নজরুল ইসলাম, মোঃ মুকুল ইসলাম, মোঃ শফিকুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুর রাহিম, মোঃ নুরুল্লাহ, সরোয়ার্দী মৃধা, এস.এম. জুনায়েদুল ইসলাম, এস.এম. মুজাহিদুল ইসলাম, দেওয়ান সাব্বির আহমেদ, মোঃ মাসুম মোল্লা প্রমুখ।
বক্তারা দেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং অর্থনৈতিক বিশ্লেষকগণ কর্তৃক আসন্ন ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাজেটে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য, কর-সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির জন্য দায়িত্বশীল মন্ত্রণালয়ে যে প্রস্তাব পেশ করেছেন তা বাস্তবায়নের দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের ১৫ সদস্যকে সুসজ্জিত গাড়িতে করে বিদায় জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে তাদের বিদায় জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন। এসময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বিদায়ী পুলিশ সদস্যরা।
বিদায়ী পুলিশ সদস্যরা হলেন, পুলিশ পরিদর্শক মো. আলমগীর হোসেন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ মো. সাজিদুল হক, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. সোহেল সুলতান, পুলিশ কনস্টেবল মো. আনোয়ার হোসেন, মো. ইব্রাহীম, আব্দুর রশিদ, আবু সাদেক, মো. শাহ আলম, মো. সুলতান আহাম্মদ, মো. আবু ইউসুফ, মো. গোলজার হোসেন, বোরহান উদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, মো. আজিজুর রহমান ও খোরশেদ মিয়া।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ লাইন্স সূত্রে জানানো হয়, জন্ম তারিখ অনুযায়ী সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের ১৫ সদস্য। তাই গত ৮ জুলাই মাসিক কল্যাণ সভায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের আনুষ্ঠানিক বিদায় জানানো হয়।
পরে জেলার পুলিশ সুপার তার সরকারি বাংলোতে তাদের সঙ্গে নিয়ে নৈশভোজ করেন। তাদের বিদায় স্মরণীয় করে রাখতে অনাড়ম্বর আয়োজনের নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
গতকাল মঙ্গলবার তাদের প্রত্যককে নিজ বাড়িতে পৌঁছে দিতে পুলিশ লাইন্সের ভেতরে কয়েকটি পুলিশ ভ্যান ও মাইক্রোবাস ফুল-বেলুন দিয়ে সাজানো হয়। তাদের বিদায় জানাতে উপস্থিত হন পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা। এসময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বিদায়ী পুলিশ সদস্যরা। পরে বাড়িতে পৌঁছে দিতে সুসজ্জিত গাড়িগুলোতে তাদের বিদায় জানানো হয়।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, কেউ একবার পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করলে তিনি সারাজীবনই পুলিশ হিসেবে পরিচিত হয়। তার মধ্যে যেন সেই অনুভূতি না হয় তিনি ডিপার্টমেন্ট ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তাদের আপন মনে করে তাদের সঙ্গে নৈশভোজ করেছি এবং সুসজ্জিত গাড়িতে নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
হামলা ও অগ্নিসংযোগে ধ্বংস স্তূপে পরিণত হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
আজ ৭ আগস্ট বুধবার সকাল থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রেড ক্রিসন্টে ও মাদ্রাসার ছাত্ররা এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন।
এসময় তারা থানার বিভিন্ন ভবনের পুড়ে যাওয়া ও ভাংচুর করা ধ্বংসাবশেষ পরিস্কার করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, শতাধিক শিক্ষার্থী শহর পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্ব সবার। শিক্ষার্থীরা কোন প্রতিষ্ঠানে হামলা করেনি। তবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান জানায় শিক্ষার্থীরা।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বিভিন্ন সড়কে আনসারের পাশাপাশি ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীরা। শহরের কাউতলীর মোড়, টি.এ রোড, সদর হাসপাতাল রোড, কুমারশীল মোড়, জেল রোড, কে দাস সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে তারা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন। এতে সড়কে অনেকটা সুশৃঙ্খলতা ফিরে এসেছে। সাধারণ মানুষ ও চালকরা তাদের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ’র উদ্যোগে একই দিনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা ও বায়োমেট্টিক গ্রহন উদ্বোধন করা হয়েছে।
১৪ মার্চ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) হেলেনা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড এপস) এ.এইচ.এম. কামরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী নিজাম উদ্দিন আহমেদ, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডাঃ মাহমুদুল হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) অধ্যক্ষ ওয়ালিওল্লাহ মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান তানিম, জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পিযুষ কান্তি আচার্য, সাংবাদিক শাহাদাৎ হোসেন, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর দেবব্রত কর।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআরটি’র ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কেলের সহকারি পরিচালক আবু আশরাফ সিদ্দিকী।
অনুষ্ঠানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আসা পরীক্ষার্থী সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের আবদুল কাইয়ূম বলেন, আগে ফরম পূরণ করে ব্যাংকে গিয়ে সারিতে দাঁড়িয়ে টাকা জমা দিতে হতো। পরে বিআরটিএ’র কার্যালয়ে নথিপত্র জমা দিয়ে অপেক্ষা করতাম।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ওই কার্যালয়ে ১০/১২বার যেতে হতো। কিন্তু এবারই প্রথম একদিনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা ও বায়োমেট্রিক গ্রহন করা হয়েছে। এতে ভোগান্তি কমেছে।
পরীক্ষার্থী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র সুজন ভূইয়া বলেন, তিনি জাপানি ভাষা শিখেছেন। আগে দালালের মাধ্যমে ছোট ভাইয়ের ড্রাইভিং লাইসেন্স করেছি। এবার দালালের কাছে যেতে হয়নি। গত সোমবার মুঠোফোনে পরীক্ষার বার্তা পেয়েছি। মঙ্গলবার সকালে এসে পরীক্ষা ও বায়োমেট্রিক দিয়েছি।
পরীক্ষার্থী কসবার উপজেলার বাসিন্দা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের ইসলামী ইতিহাস ও সংস্কৃতির ¯স্নাতকোত্তরের ছাত্র বাকি বিল্লাহ বলেন, নিজে নিজে অনলাইনে আবেদন করেছি। মুঠোফোনে বার্তা পেয়ে একদিনেই সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পেরেছি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে একই দিনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা ও বায়োমেট্টিক গ্রহন সরকারের একটি ভালো উদ্যোগ। সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, সড়ক, মহাসড়কে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে ও দুর্ঘটনারোধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। তিনি দুর্ঘটনারোধে স্কুল-কলেজে প্রচারিভিযান করতে বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম আরো বলেন, সরকার দুর্ভোগ কমাতে এই উদ্যোগ গ্রহন করেছে। সবাইকে বিষয়টি জানতে হবে যে, হয়রানি ও দুর্ভোগ ছাড়াই একদিনে লাইসেন্সের পরীক্ষা ও বায়োমেট্রিক গ্রহন করা হয়। কেউ লাইসেন্সের জন্য কোনো বাড়তি টাকা দাবি করলে বিষয়টি তাঁকে জানানোর জন্য তিনি পরীক্ষার্থীদের বলেন। অনুষ্ঠানে ৬০ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
২ ব্যবসায়ীকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ৬ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা শহরের মেড্ডা বাজারে অভিযান পরিচালনা করে এই জরিমানা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুক্তা গোস্বামী।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুক্তা গোস্বামী জানান, পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মেড্ডা বাজারে বাজার মনিটরিং করা হয়। বাজার মনিটরিংয়ে রমজানকে সামনে রেখে কিছু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি ও ক্রয় রসিদ প্রদর্শন করতে পারেনি।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কৃষি বিপণন আইন-২০১৮ এর ধারায় ২ মামলায় ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় সদর মডেল থানা পুলিশ উপস্থিত ছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০ মামলার আসামিসহ ৩ ছিনতাইকারিকে গ্রেফতার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ।
১০ মার্চ রবিবার ভোরে জেলা শহরের পুনিয়াউট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত পিয়াস (২৩) জেলা শহরের দক্ষিণ পৈরতলা এলাকার পাণ্ডু মিয়ার ছেলে, কাজীপাড়া এলাকার আবেদ মিয়ার ছেলে মো. রাব্বি (২৪) ও দক্ষিন পৈরতলা এলাকার ছায়েদ মিয়ার ছেলে মো. আল আমিন (২৬)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, রবিবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা শহরের পুনিয়াউট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩ চিহ্নিত ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের তল্লাসী করে রাম দা, ছুরি ও ব্যানার চাকু উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা এলাকার চিহ্নিত ডাকাত, ছিনতাইকারী ও চোর। গ্রেফতার পিয়াসের বিরুদ্ধে ১০টি ও আল আমিনের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা রয়েছে। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।