চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, নবীনগর ও বিজয়নগর এই তিন উপজেলার নির্বাচনের প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। জয়ের আশায় প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাইছেন, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। প্রার্থী নিজে এবং তাদের কর্মী সমর্থকদের মাধ্যমে নিজ নিজ প্রতীকের প্রচার করছেন তারা। এদিকে ভোটারদের মতে, সৎ যোগ্য ও এলাকার উন্নয়নে যিনি ভূমিকা রাখবেন, যাকে সুখে দুখে পাশে পাওয়া যাবে, তাকেই তারা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করবেন। তবে ভোটার এবং প্রার্থী সকলেই আশাবাদী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণ ভোটাররা সৎ, যোগ্য ও নিষ্ঠাবান প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে চান। তবে জয়ের ব্যাপারে সকল প্রার্থীরাই আশাবাদী। আর তাই সেই আশায় প্রার্থীরা বিরামহীন চালিয়ে যাচ্ছেন নিজ নিজ প্রচার প্রচারণা। দিন যতই যাচ্ছে প্রার্থী, কর্মী ও ভোটারদের মধ্যে বাড়ছে আুৎসবের আমেজ। প্রার্থীর পক্ষে কর্মীরা সালাম জানাচ্ছেন ভোটারদেরকে। আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, বিজয়নগর ও নবীনগর উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৫ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দাঙ্গা-হাঙ্গামার নিরসন ও শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক কাজ করছেন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি গভীর রাতে নিজ হাতে ত্রাণের খাদ্যসামগ্রী নিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামের অসহায় মায়ের দ্বারে দ্বারে যান তিনি।
নবীনগরের দাঙ্গা-হাঙ্গামা নিরসনে কাজ করেন ইউএনও মো. একরামুল সিদ্দিক। যোগদানের পর থেকে তিনি এসব সমস্যার সমাধানে নানামুখী তৎপরতা চালান। কিভাবে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনা যায় সে লক্ষ্যে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেন সরকারি এই কর্মকর্তা। এ বিষয়ে কথা বলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুলের সঙ্গে, নেন তার পরামর্শ। স্থানীয় রাজনীতিবিদ, গণ্যমান্য ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের সহযোগিতায় গত দুই বছরে অন্তত ১৫টি দাঙ্গা-হাঙ্গামার ঘটনা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করেছেন ইউএনও।
ইউএনও একরামুল সিদ্দিক শুধু যে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ঠেকানোতেই মনোযোগ দিয়েছেন তা নয়। উপজেলার শিক্ষার মান বাড়াতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে গিয়ে নিজে ক্লাস নেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেন। তাদের পড়াশোনার মান সম্পর্কে ধারণা নেন এবং তিনি তাদের পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান করেন। সামাজিক রীতিনীতি, নৈতিকতাবোধ নিয়েও ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দেন।
নবীনগর উপজেলা বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, ইউএনও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান; তাই তার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রয়েছে। করোনা মহামারি মতো ভয়াল রাতেও নিজের জীবন বাজী রেখে অসহায় গরিব-দুঃখী মানুষের চিন্তায় প্রত্যন্ত গ্রামে ছুটে গেছেন। তিনি দরিদ্র মানুষের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।
নাটঘর ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন জানান, তিনি যোগদানের পর থেকে সমস্ত সেক্টরে স্বচ্ছতা ফিরে এসেছে।
ইউএনও একরামুল সিদ্দিক বলেন, আমি সরকারের একজন প্রতিনিধি হিসেবে এই উপজেলায় দায়িত্ব পালন করতে এসেছিমাত্র। সবার সহযোগিতা পেলে নবীনগর উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কল্যাণে যা যা করার প্রয়োজন সেটি করার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলায় লিচুর বাম্পার ফলন হওয়ায় হাসি ফুটেছে বাগান মালিকদের মুখে। এই উপজেলার লিচু সুস্বাদু হওয়ায় সারা দেশেই কদর রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাগানের পাশাপাশি বাসা-বাড়ির ফাঁকা জায়গাতেও লিচুর আবাদ করেছেন স্থানীয়রা।
বিজয়নগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিষ্ণুপুর, কাঞ্চনপুর, কাশিমপুর, সিঙ্গারবিল, আদমপুর, কালাছড়া, মেরাশানী, সেজামুড়া, কামালমুড়া, হরষপুর, মুকুন্দপুর, নোয়াগাঁও, অলিপুর, কাশিনগর, ছতুরপুর, বক্তারমুড়া, রূপা, শান্তামুড়া, কামালপুর, কচুয়ামুড়া, গোয়ালনগর, ভিটিদাউপুর ও পত্তন এলাকায় লিচুর ব্যাপক চাষ হয়েছে।
বিশেষ করে পাটনাই, বম্বে, চায়না থ্রি, চায়না-২ ও এলাচি জাতের লিচুর আবাদ হয় এই উপজেলায়। লিচুর জন্য সেখানকার সবচেয়ে বড় বাজার হিসেবে পরিচিত আউলিয়া বাজার। পাশাপাশি সিংগারবিল, হরষপুর ও চম্পকনগর বাজারে বিক্রি হয় অধিকাংশ লিচু। এসব বাজার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নরসিংদী, ভৈরব, নোয়াখালী, চাঁদপুর, মৌলভীবাজার, সিলেট, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ফেনী ও রাজধানী ঢাকার ব্যবসায়ীরা পাইকারি দরে লিচু কিনে নিয়ে যান।
বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটিদাউদপুর, সেজামুড়া ও কামালমুড়ার বিভিন্ন বাগানে ঘুরে দেখা যায়, শেষ সময়ে বাগান মালিকরা বাগানের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। স্থানীয় বাগান মালিকরা জানান, চলতি মৌসুমে বাগানে প্রচুর লিচু এসেছে। বিক্রি গত বারের তুলনায় অনেক বেশি হবে।
হরষপুর গ্রামের লিচু চাষি আবুল হাসেম বলেন, আমার ৫০ টি লিচু গাছ রয়েছে। লিচু গাছে এবার অনেক ভালো ফলন হয়েছে। এই বছর ৪ লাখ টাকার লিচু বিক্রি করার আশা করছি।
কামালপুর গ্রামের বাগান মালিক কাউছার ভূঁইয়া বলেন, আমার ৪টি বাগানে ১৭০টি লিচু গাছ আছে। এ বছর ১২ লাখ টাকার লিচু বিক্রি করার আশা করছি।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাব্বির আহমেদ জানান, উপজেলায় চলতি বছর ৪৩০ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। লিচু বাগান আছে ৯০০টি। তিনি আরো জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ১৮ কোটি ৯০ লাখ টাকার লিচু বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৯ মার্চ শনিবার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চকবাজার এলাকায় আয়োজিত ইফতার পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি।
কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ হোসেন আহামেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এ বি এম মমিনুল হক, সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোঃ জসিম উদ্দিন রিপন, বিজয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি জমির হোসেন দস্তগীর, সদস্য মামুনুর রশীদ, আব্দুল জলিল সরকার, সিরাজুল ইসলাম, রেহান উদ্দিন, মোঃ বাচ্চু মিয়া,কামাল উদ্দিন,বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সামসুল আলম সরদার, ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, ইউনিয়ন বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক তালাত মাহমুদ পলাশ ভুঁইয়া, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহামেদ।
আলোচনা সভা শেষে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনায় এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনাসহ কেন্দ্রীয় বিএনপি’র অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল এর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়া পরিচালনা করেন কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মৌলানা বিল্লাল হোসেন।
সভা পরিচালনা করেন বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস ভূঁইয়া ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মাতলুব সরকার।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর (বড়গোষ্ঠী ও মহাজোট) লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ৫ পুলিশসহ উভয়পক্ষের ৩৫জন আহত হয়েছে।
এ সময় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৪০টি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে দাঙ্গাবাজরা। এ সময় ৪/৫টি ঘরে অগ্নি সংযোগ করা হয়।
আজ ৫ মার্চ মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিরাসার গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হলে পুলিশ লাইন্স থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যাপক লাঠিপেটা, ৩ রাউন্ড কাঁদানো গ্যাস এবং ১৪ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষে ৫জন পুলিশসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩৫জন আহত হন।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩ টি ককটেল, ১ টি বিদেশী পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন এবং ৫ রাউন্ড গুলিসহ মোঃ জসিম উদ্দিন (৩৫) সহ ৮ দাঙ্গাবাজকে গ্রেফতার করে। অস্ত্রধারী মোঃ জসিম উদ্দিন বিরাসার বড় গোষ্ঠীর মোঃ নূরুল ইসলামের ছেলে। সংঘর্ষ চলাকালে গুলি করার সময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, গত রোববার রাতে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে বিরাসার গ্রামের পশ্চিমপাড়ার বড়গোষ্ঠীর কাসেম মাস্টার ও চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক বাবুল মিয়ার গোষ্ঠীর আল-আমিনের সাথে একই এলাকার মহাজোট হিসেবে পরিচিত পৌরসভার প্যানেল মেয়র মিজান আনসারীর গোষ্ঠী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন ও সৈয়দ আলী মিয়ার গোষ্ঠীর নূরুল্লাহ ও সুজনের প্রথমে কথা কাটাকাটি ও পরে হাতাহাতি হয়।
এ ঘটনার জেরে সোমবার বিকালে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র রিভলবার এবং ককটেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
আড়াই ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে ৫ পুলিশসহ উভয়পক্ষের ৩৫জন আহত হয়। এ সময় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৪০টি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট এবং ৪/৫টি ঘরে অগ্নি সংযোগ করে দাঙ্গাবাজরা। এ সময় ককটেলের বিষ্ফোরনে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠে। নারী ও শিশুরা ভয়ে এদিক-সেদিক ছুটাছুটি শুরু করে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেনের নেতৃত্বে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ লাইন্স থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যাপক লাঠিপেটা, ৩ রাউন্ড কাঁদানো গ্যাস এবং ১৪ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ সময় পুলিশ গুলি করার সময় একটি বিদেশী পিস্তল, একটি ম্যাগজিন এবং ৫ রাউন্ড গুলিসহ বড়গোষ্ঠীর মোঃ জসিম উদ্দিন-(৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে আরো ৭ দাঙ্গাবাজকে গ্রেফতার করা হয়।
সংঘর্ষের সময় ইটপাটকেলের আঘাতে সময় টিভির ব্রাহ্মণবাড়িয়া অফিসের ব্যুরোচীফ উজ্জ্বল চক্রবর্তী, সদর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মোঃ সোহেল সহ ৫ পুলিশ সদস্য এবং উভয় পক্ষের আরো ৩০ জন আহত হয়।
আহতরা পুলিশের গ্রেপ্তার আতঙ্কে জেলার বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা নেয়।
এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু সাঈদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবু সাঈদ সাংবাদিকদের জানান, জুয়া খেলার ঘটনা নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত। সোমবার সংঘর্ষের বিষয়টি আমরা স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। তিনি বলেন, বিরাসার গ্রামের কয়েকটি গোষ্ঠী এই সংঘর্ষে জড়িত হয়েছে। তিনি ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য বড়গোষ্ঠীর নেতা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মোঃ বাবুল মিয়ার সাথে কথা বলার জন্য তার মোবাইল নাম্বারে-০১৭১১-৪৬৪৪৮৫ চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও আনসারী গোষ্ঠীর নেতা মোঃ মিজানুর রহমান আনসারী বলেন, মঙ্গলবার সকালে বড়গোষ্ঠীর আহত একজন মারা গেছেন এমন গুজব তুলে বড়গোষ্ঠীর দাঙ্গাবাজরা মহাজোটের লোকদের বাড়ি-ঘরে হামলা করলে সারা গ্রামে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, সংঘর্ষ এখন নিয়ন্ত্রনে আছে। এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে ৩ রাউন্ড কাঁদানো গ্যাস এবং ১৪ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়।
ঘটনাস্থল থেকে ৩ টি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয় এবং ৮জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে গুলি করার সময় একটি বিদেশী পিস্তলসহ ৫ রাউন্ডগুলিসহ মোঃ জসিম উদ্দিন নামে এক অস্ত্রবাজকে গ্রেফতার করা হয়। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে গিয়ে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে আজ ৪ ডিসেম্বর সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এডাবের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুরে শহর বাইপাস সড়কের সার্কিট হাউজের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম।
এডাব, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি এস.এম শাহীনের সভাপতিত্বে নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বিনিয়োগ করি প্রতিপাদ্য বিষয়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু।
এ সময় বক্তারা, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান। মানববন্ধনে বিভিন্ন এনজিও নারী সংগঠনের প্রতিনিধি অংশ গ্রহণ করেন।