চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভনের আনারস প্রতিকের পক্ষে জনতার ঢল নেমেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
আজ ২ জুন রবিবার দুপুরের পর থেকে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে হাজার হাজার আনারস প্রতিকের সমর্থক শ্লোগান দিতে দিতে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে এসে জমায়েত হয়। বিকাল ৪ টার পর থেকে পুরো চত্বর কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠে। একপর্যায়ে পার্শ্ববর্তী সড়কগুলোও জনতার উপস্থিতিতে ভরে যায়। এসময় জনতাকে উদ্দেশ্য করে শাহাদাত হোসেন শোভন বলেন,আজকের বিপুল জনতার স্বত;স্ফূর্ত উপস্থিতি আমাকে অভিভূত করেছে-আবেগে আপ্লুত করেছে। আমি আপনাদের ভালোবাসার ঋণে আবদ্ধ হয়ে গেলাম। আমি প্রার্থী হয়ে মাঠে নামার পর থেকেই গ্রামে-গঞ্জে,শহরের পাড়ায় পাড়ায় সাধারণ মানুষ আমাকে যেভাবে অকুন্ঠ সমর্থন জানিয়েছে তার ঋণ আমি কোনোভাবেই শোধ করতে পারবোনা। আমি আজীবন সদর উপজেলার মানুষের সেবা করে যেতে চাই। আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে সহযোগিতা করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করুন,আমি সদর উপজেলাকে পাল্টে দিতে চাই। সন্ত্রাস-মাদক-ভূমি দস্যুতার বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার থাকবো। কোনো প্রকার অনিয়মরে সাথে আমি আপোষ করবোনা।
নির্বাচনী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুসলিম মিয়া।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সিনিয়র সহ-সভাপতি সুজন দত্তের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মো.মহসিন,সৈয়দ মিজানুর রেজা,সোমেশ রঞ্জন রায়,এড.তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত,বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ,মাও.হাফেজ জাকির হোসেন,স্বপন কুমার রায়,মো.মনির হোসেন,খোকন কান্তি আচার্য,জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক নাসির আহমেদ খান,জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যাপক রুমানুল ফেরদৌস,সদর উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ ভূঞা,জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি কাউসার আহমেদ,সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা,জেলা কৃষকলীগ আহবায়ক সাদেকুর রহমান শরীফ,ওলামা সমন্বয় পরিষদ সভাপতি মাও.আবদুল্লা,জেলা যুব মহিলা লীগ সভাপতি রাবেয়া খাতুন রাখী,জেলা তাঁতী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল,সদর উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আলী আজম,সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন রানা,পৌর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন লিটন।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, পৃথিবীকে বসবাসের উপযোগী করতে বৃক্ষ রোপন অন্যতম হাতিয়ার। দেশে এক সময় গাছ কাটার শাসনতন্ত্র ছিল কিন্তু গাছ লাগানো হতো না। আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের প্রাণ রক্ষায় গাছ লাগায়।
আজ ৯ জুলাই মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০দিন ব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ অয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরো বলেন, এই পৃথিবীতে অক্সিজেনের সোর্স কমে গেলে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে যাবে। পৃথিবীকে বসবাসের উপযোগী করতে বৃক্ষ রোপন অন্যতম হাতিয়ার। বৃক্ষায়নের জায়গা রেখে নতুন বাড়ি বা ভবন করতে হবে অন্যথায় বাড়ি করার অনুমতি দেয়া হবেনা। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৃক্ষায়ন কর্মসূচি সফলে সবাইকে গাছ লাগানোর জন্য আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, কুমিল্লা সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জিএম মোহাম্মদ কবির, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান।
মেলায় দেশী বিদেশী বিভিন্ন ফলজ, বনজ ও ভেষজ প্রকৃতির বিভিন্ন গাছের ২৬টি স্টল প্রদর্শিত হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাইশা আফরিন সুবর্ণা (১৪) নামের এক কিশোরী বিয়ের তিনমাসের মাথায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে কিশোরীর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মাইশা আফরিন সুবর্ণা উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের বীরপাশা গ্রামের নাসির উদ্দিনের মেয়ে। নাসির উদ্দিন বলেন, তার কিশোরী মেয়ে সুবর্ণা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পার্শ্ববর্তী বিন্নিঘাট এলাকার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (২২) তার মেয়েকে পছন্দ করতেন। পরে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য তার মেয়ে সুবর্ণাকে অত্যাচার করতো মনির। বিয়ের সময় মনিরকে ১ লাখ টাকা যৌতুক দেওয়ার পর সে আরও যৌতুককের টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তার মেয়েকে তালাক দিবে একথা বলেন মনির। সে কথা শুনে সুবর্ণা শনিবার বিকেলে শোবার ঘরের বাশের তীরের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তিনি আরও বলেন, মনিরের চাপের কারণে তার মেয়ে সুবর্ণাকে বিয়ে দিতে হয়। মনিরের কারনে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক কিশোরী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ উদ্ধারের পর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
দুলাল মিয়া :
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টি, আওয়ামী দোসর ও ১৪ দলের শরীক দলগুলোকে নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
আজ ১৫ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পৌর মুক্তমঞ্চে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত গণসমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি আশরাফুল হাসান তপুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এসময় ভিপি নুর বলেন, ফ্যাসিবাদ পতনের পরও তার দোসরদের রাজপথে দেখা যাচ্ছে। গত ১৬ বছর আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে টিকিয়ে রেখেছিল ১৪ দলের শরীকরা। তাদের একটি ছিল জাতীয় পার্টি। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলেও জাতীয় পার্টির আস্ফালন এখনও আমরা দেখতে পাচ্ছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই এই জাতীয়পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গনে আবার দলবাজি, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি মাথা তুলছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে ফ্যাসিবাদ সুযোগ নেবে, আমাদের সর্বনাশ হবে এবং নির্বাচনও যথাসময়ে হবে না।
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির উচ্চতর পরিষদের আবু হানিফ, গণধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র ফারুক হাসান, যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মঞ্জুর মোরশেদ মামুন প্রমুখ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি হাসানুর রহমান ওবায়দুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিউর রহমান তানভীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফখরুদ্দিন মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম আহমেদ, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি শিবির আহমেদ, ছাত্র-অধিকার পরিষদ পরিষদের সভাপতি সোহেল রানা রাফি, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি জসিম আহমেদ প্রমুখ।