অনলাইন ডেস্ক :
আমেরিকায় কখোনো যা ঘটেনি, সেটাই ঘটতে যাচ্ছে মেক্সিকোতে। নারী নেতৃত্ব পেতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নিকট-প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো। কারণ দেশটির নির্বাচনে প্রধান তিন প্রতিদ্বন্দ্বীর শীর্ষস্থানীয় দু’জনই নারী।
আজ ২ জুন রবিবার (বাংলাদেশ সময় রবিবার দিবাগত রাত) মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন।
এতে ক্ষমতাসীন মরেনা পার্টির প্রার্থী ক্লাউডিয়া শেইনবাম এবং ‘ফোয়েরজা ওয়াই কোরাজন ফর মেক্সিকো’র যোসিটি গ্যালভেজ হচ্ছেন সম্মিলিত বিরোধী দলের প্রার্থী। এ দুজনই জুইশ বংশোদ্ভূত মেক্সিকান এবং সাম্প্রতিক সব কটি জরিপে তাদের একজনের বিজয়ের সম্ভাবনা দেখা গেছে।
বর্তমান প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ অনুসারী ক্লাউডিয়া হচ্ছেন একজন বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী এবং মেক্সিকো সিটির মেয়র হিসেবেও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। সবচেয়ে বড় পরিচয় হচ্ছে তিনি মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তকে নিরাপদ করতে কয়েক বছর থেকেই কাজ করছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ম্যানুয়েল লোপেজ অবরাডোরের সহযোগী হিসেবে।
বিশেষ করে সীমান্তরক্ষীদের দৃষ্টি ফাঁকি দিয়ে মেক্সিকানদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে পড়া এবং নেশাজাতীয় দ্রব্য পাচার রোধে ক্লাউডিয়ার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার কথা হোয়াইট হাউসের বিবেচনায় রয়েছে।
অপর নারী প্রার্থী যোসিটি গ্যালভেজ হচ্ছেন সাবেক সিনেটর এবং ব্যবসায়ী। সব জরিপে দ্বিতীয় শীর্ষে অবস্থান করছেন তিনি। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন পুরুষ প্রার্থী জর্জ অ্যালভারেজ ম্যাইনেজ।
হিলারি ক্লিনটন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে অন্যতম বৃহত্তম ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন পেয়েও ২০১৬ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হেরে যান। অর্থাৎ উন্নয়নের শীর্ষে এবং মানবাধিকার নিয়ে সদা মুরব্বিয়ানায় ব্যস্ত আমেরিকা তার নেতৃত্ব নারীর কাছে সঁপে দিতে চায়নি। এমন পরিস্থিতিতে অর্থনীতিসহ নানা ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা মেক্সিকোতে নারী ক্ষমতায়নে বিপ্লব ঘটতে যাচ্ছে এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে-এমন অভিমত পোষণ করেছেন ওয়াশিংটন ডিসির থিংকট্যাংক ‘কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্স’র সিনিয়র ফেলো শ্যানন ও’নীল।
শ্যানন মনে করছেন, মেক্সিকোতে এমন কিছু বাজে কাণ্ড ঘটে-যার ফলে সুধীজনের পক্ষে দেশটিতে নিরাপদে অবস্থান করা কঠিন। তবে নারী ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে এবং প্রকারান্তরে প্রভাবিত করতেও যাচ্ছে।
মেক্সিকোর পরবর্তী প্রেসিডেন্ট সত্যি অন্যতম একটি ইস্যুতে পরিণত হতে যাচ্ছেন। নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মেক্সিকোর ইতিহাসের গতি-প্রকৃতি পাল্টে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সূত্র : এনডিটিভি
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করেছে। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল তৈরির জন্য জাতিসংঘ স্বীকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে তাকে এই বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।
ব্রাউন ইউনিভার্সিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ওয়ারেন অ্যালপার্ট মেডিক্যাল স্কুলের মেডিসিন অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের ডিন ডা. মুকেশ কে জৈন এখানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার অবস্থানস্থল দি লোটে নিউইয়র্ক হোটেলে প্রশংসাপত্রটি হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মো. নূরে এলাহি মিনা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ব্রাউনের ওয়ারেন অ্যালপার্ট মেডিক্যাল স্কুল কমিউনিটি ক্লিনিক মডেলের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীকে তার স্বীকৃতির জন্য বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া প্রশংসাপত্রে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ কর্তৃক ‘শেখ হাসিনা উদ্যোগ’-এর সাম্প্রতিক স্বীকৃতির জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন।’
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘কমিউনিটি-ভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার একটি সফল মডেল: প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং কমিউনিটি সম্পৃক্ততা উন্নয়নের মাধ্যমে সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিধির জন্য একটি অংশগ্রহণমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি।’
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ড. জৈন জনস্বাস্থ্য ও গবেষণার ক্ষেত্রে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের একটি সম্ভাব্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বাংলাদেশ-ব্রাউন বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন ইনিশিয়েটিভ সম্পর্কে আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং এর প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করে বাংলাদেশে চিকিৎসা ও ক্লিনিক্যাল গবেষণার উন্নয়নের ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, আমরা সব সময় গবেষণাকে গুরুত্ব দিচ্ছি। এটি চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় দারুণ ভূমিকা রাখতে পারে।
ব্রাউন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সার্ভিক্যাল ক্যানসারের পরীক্ষা করছে।
ড. জৈন আরো বলেন, তারা ক্লিনিক থেকে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকারী রোগীদের রেকর্ড রাখার জন্য বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিককে ইলেকট্রনিক ডেটা ম্যানেজমেন্ট চালু করতে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে পারে। ব্রাউন ইউনিভার্সিটি গবেষণা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি অংশীদারত্ব গড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
এ লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের ইচ্ছাও প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সূত্র: বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ভারতীয় নাগরিকসহ দু’জনকে আটক করেছে বিজিবি। ১৪ অক্টোবর সোমবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃত ভারতীয় নাগরিক সাগর রাজারাম কলি (২৩) ভারতের সাংলী বোম্বে জেলার তাঁজগাও এলাকার মৃত রাজারাম কলির ছেলে ও বাংলাদেশি নাগরিক লিটন দেবনাথ (৩৬) হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নোয়াহাটি গ্রামের অবনী দেবনাথের ছেলে।
বিজিবি ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, একজন ভারতে যাচ্ছিলেন, আরেকজন ভারত থেকে এসেছিলেন। বিজিবি ফকিরমোড়া বিওপির টহলদল সীমান্ত পিলার ২০২২/৫-এস এর নিকটবর্তী হীরাপুর নামক স্থান থেকে তাদেরকে আটক করে। আটককৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভারতীয় নাগরিক সাগর রাজারাম কলি এক বছর দুই মাস আগে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে এসে নারায়ণগঞ্জে স্বর্ণকারের কাজে নিয়োজিত ছিল।
স্থানীয় মানব পাচারকারী দালাল ও হীরাপুর গ্রামের হেফজু মিয়ার ছেলে বিজয় মিয়া (২৮) এবং আরমান আলীর ছেলে পারভেজ (২৮) এর সহযোগিতায় তিনি ভারতে ফেরত যাচ্ছিল। এছাড়া বাংলাদেশী নাগরিক লিটন দেবনাথ গত ১০ দিন আগে চুনারুঘাট সীমান্ত দিয়ে দূর্গাপুজা উপলক্ষে ভারতের আগরতলায় এক ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। আটক হওয়া ভারতীয় নাগরিকের কাছ থেকে ভারতের আধার কার্ড তৈরীর আবেদন ফরম পাওয়া যায়। তাদেরকে আখাউড়া থানায় হন্তান্তর এবং মানব পাচারে সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে আড়াই বছর পর ভারতে ফিরে গেছে এক কিশোরী। আজ ৪ ডিসেম্বর বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতিতে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
স্থলবন্দরের একাধিক সূত্র জানায়, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে সিপাহিজলা জেলার সোনামুড়া থানার দমদমা গ্রামের আব্দুল হাসেমের মেয়ে শাহীনা আক্তার (১৫) ২০২২ সালের ২৪ জুন অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বাংলাদেশের পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর তাকে জেলে যেতে হয়।
প্রায় আড়াই বছর গাজীপুরের পুনর্বাসন কেন্দ্রে থাকার পর বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে তাকে ভারতে পাঠানো হয়।
নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, সীমান্তে ঘুরতে ঘুরতে বাংলাদেশে প্রবেশ করে শাহীনা। তাকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এলাকায় পাওয়া যায়। পুলিশ তাকে আটক করে আদালতে পাঠায়।
নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আমলি আদালত-৭ এক আদেশে ওই ভারতীয় শিশুকে গাজীপুরের শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অনলাইন ডেস্ক
চীনের উত্তরাঞ্চলীয় হেবেই প্রদেশের চেংদেতে একটি নার্সিং হোমে অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে চেংদে-এর লংহুয়া পল্লীর একটি বয়স্কদের পরিচর্যা কেন্দ্রের আবাসিক কমপ্লেক্সে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আজ ৯ এপ্রিল বুধবার ভোর ৩টা পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া। ধারণা করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানায়, ‘নার্সিংহোমে থাকা অন্যান্য বয়স্ক ব্যক্তিদের আরো পর্যবেক্ষণ এবং চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।’ আগুন লাগার কারণ তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্ত করতে বিশেষজ্ঞরা নার্সিংহোমে গেছেন বলে চীনা এই সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে।
সূত্র : দ্যা গার্ডিয়ান
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিকৃতি সংবলিত সেলফি বুথ (সেলফি তোলার জায়গা) বানানোর নির্দেশ দিয়েছে সেদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।
শুক্রবার কমিশনের পক্ষ থেকে উপাচার্য-অধ্যক্ষদের এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাসে সেলফি তোলার জায়গা (সেলফি বুথ) বানাতে হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিভিন্ন ছবি থাকবে। বুথে দাঁড়িয়ে মোদির সেসব ছবির সামনে সেলফি তুলতে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা পোস্ট করতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের উৎসাহিত করতে হবে।’
এতে উল্লেখ করা হয়, ‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের অগ্রগতি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে তরুণদের মনন গঠন করে তাদের শক্তি ও উদ্দীপনা কাজে লাগানোর একটি অনন্য সুযোগ রয়েছে। আসুন আমরা আপনাদের প্রতিষ্ঠানে একটি সেলফি পয়েন্ট স্থাপন করে দেশের অবিশ্বাস্য অগ্রগতি উদযাপন ও প্রচার করি। সেলফি পয়েন্টের লক্ষ্য হলো, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের অর্জন, বিশেষ করে জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০ অধীনে নতুন উদ্যোগ সম্পর্কে যুবকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা।’
এসব সেলফি পয়েন্ট স্থাপনের জন্য ইউজিসি বেশ কয়েকটি নির্দিষ্ট ডিজাইন বা নকশাও প্রস্তাব করেছে। তবে সবগুলো নকশাতেই বেশ কিছু সাধারণ বিষয় রয়েছে। যেমন : শিক্ষার আন্তর্জাতিকীকরণ, বৈচিত্র্যের ঐক্য, স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন, ভারতীয় জ্ঞানব্যবস্থা, বহুভাষাবাদ ও উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনে ভারতের উত্থান ইত্যাদি।
সূত্র : দ্য টেলিগ্রাফ, দ্য স্ট্রিট টাইমস