চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের নতুন এ্যাডহক কার্যনির্বাহী কমিটি হয়েছে। সোসাইটির মহাসচিব কাজী শফিকুল আযম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে আজ ৩ জুন সোমবার।
পদাধিকার বলে এই কমিটির চেয়ারম্যান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ বিল্লাল মিয়া।
এ্যাডহক ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে বিশিষ্ট নারী নেত্রী এডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাতকে এবং সেক্রেটারী হয়েছেন মোহনা টেলিভিশন ও দৈনিক মুক্ত খবর পত্রিকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি মোঃ শাহাজাদা।
১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন প্রফেসর ড. মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, এম. এ. এইচ মাহাবুব আলম, এম সাইদুজ্জামান আরিফ, রবিউল হোসেন রুবেল, এডভোকেট ইফতেখার বারী তানভীর, মোঃ নাজির হোসেন ভূঁইয়া ও খন্দকার রায়হান। উল্লেখ্য, ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান পদে এই প্রথম একজন নারীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
কমিটির বিষয়ে দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের কার্যনিবাহী কমিটির কার্যক্রম সচল ও গতিশীল রাখার লক্ষ্যে সোসাইটির চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের এ্যাডহক কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৩ জুন থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ মাস মেয়াদী এই কমিটি নির্বাচনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ নির্বাহী কমিটি গঠনে কাজ করবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনন্দঘন পরিবেশে জাতীয় দৈনিক আমার সংবাদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ ০২ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলানায়তনে কেক কাটা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খ. আ. ম রশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাবেক সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাতের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: সাদেকুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: জসিম উদ্দিন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আল আমিন শাহীন, সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, সাবেক সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান লিমন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রিয়াজ আহমেদ অপু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল, সাবেক আইটি সম্পাদক মজিবুর রহমান খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের আইটি সম্পাদক জালাল উদ্দিন রুমি, দৈনিক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্পাদক ফয়জুন নাহার প্রম্খু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক আজিজুর রহমান পায়েল, মেহেদী নূর পরশ, প্রকাশ দাস, ইফতেহার রিফাত, মোঃ সাইফুল, মোঃ রাসেলসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
এ সময় বক্তারা, দৈনিক আমার সংবাদের উত্তরোত্তর সফলতা ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। পরে কেক কেটে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রেসক্লাবের সাবেক সহ- সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় শিশু অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষে ন্যাশনাল চিল্ড্রেন স টাস্ক ফোর্স এর উদ্যোগে আজ ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু বান্ধব প্লাটফর্ম এর সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযুদ্ধ আল মামুন সরকার এর সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড হাই স্কুলের অধ্যক্ষ সালমা বারী, ডিস্ট্রিক্ট পলিসি ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ আরজু মিযা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নিয়াজ মুহাম্মদ খান বিটু।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি মোহাম্মদ সায়মন মাহমুদ।
সভার সভাপতি আল মামুন সরকার আগামী শীতে জেলায় শিশু সমাবেশ করার ঘোষণা দেন।
শিশুদের অধিকার বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়তে হলে আগামী দিনে শিশুদেরকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের বর্বর হামলা, নির্যাতন ও গণহত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে হেফাজতে ইসলাম।
প্রতিবাদ সমাবেশে হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, ইহুদিরা মুসলমানদের প্রধান শত্রু এবং ইসলামের ইতিহাসে তাদের অবস্থান বরাবরই বিরোধপূর্ণ। চলমান গণহত্যার ঘটনায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানাতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব শায়েখ সাজিদুর রহমান। এ সময় তিনি বলেন, নেতানিয়াহু বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী।
আজ ৭ এপ্রিল সোমবার দুপুরে ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ কর্মসূচির সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব চত্বরে সমাবেশে তিনি আহ্বান জানান।
এসময় তিনি বলেন, দ্রুত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানাতে হবে। ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হবে। ইসরায়েলের গণহত্যাকে মানবতাবিরোধী কাজ উল্লেখ করে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব বলেন, নেতানিয়াহু বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী। সব মানুষের জন্য এই হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ জানানো জরুরি। প্রয়োজনে জিহাদের ডাক দিয়ে ফিলিস্তিন গিয়ে যুদ্ধে অংশ নেয়া আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
একদিকে লোডশেডিং, পাশাপশি বিদ্যুৎ নিয়ে অভিযোগ করলেও সংশ্লিষ্ট মহলের সাড়া মিলে না যথাসময়ে। বিপদজনক হলেও অবহেলার কারণে দুর্ঘটনার শঙ্কায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এলাকাবাসীর মাঝে।
আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার এমনই এক ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ (ঘাটুরা)র আওতাধীন হালদার পাড়া এলাকায় গভঃ মডেল গার্লস স্কুলের সামনে। এখানে বেলা বারোটার দিকে বিদ্যুৎ এর মূল সার্ভিস তারের একটি তার পথের মাঝে ঝুলে পড়ে। সেখানে ট্রান্সফর্মারে সংযোগ সহ তারটির প্লাস্টিকের কালো আবরণ অনেক জায়গায় নেই।
ঝুলে পড়ে তারের পাশ দিয়ে পথ চলেছে স্কুলের কোমলমতি শিশু কিশোর শিক্ষার্থী সহ পথচারীরা।
বিপদজনক অবস্থায় দুর্ঘটনা রোধে স্থানীয় লোকজন বড় ড্রাম, বালতি ফুটের টব রেখে বিপদ এড়ানোর প্রাথমিক চেষ্টা করে এবং বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগে অভিযোগ জানান।
অভিযোগকারী নাইটিংগেল হাসপাতালে কর্মরত রতন রায় গণমাধ্যমকে জানান, তার ঝুলে পড়ার সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট বিভাগের অভিযোগ কের্ন্দের ইঞ্জিনিয়ার নূর আলমকে জানানো হয়েছে। কিন্তু দুপুরের পরও কেউ আসেনি। এছাড়া তারটি কিছুদিন পরপরই ছিঁড়ে পড়ে থাকে, কোনোমতে জোড়াতালি দিয়ে যায় কতৃপক্ষ, এতে করে প্রাণহানীর আশঙ্কা করেন তিনি।
এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদের কাছে বিকেল সাড়ে তিনটায় বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন, অভিযোগ কেন্দ্রে খবর নিচ্ছি। বেলা সাড়ে চারটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত খবর নিয়ে জানা গেছে পথে পথচারীদের নাগালের মধ্যে ঝুলে থাকা বিদ্যুৎ তারটি সরানোর জন্য কেউ আসেনি। এ অবস্থায় স্থানীয় এবং পথচারীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় এক যাত্রী আহত হয়েছে। আজ ২২ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টার দিকে জেলা শহরের পৈরতলা-পুনিয়াউট রেলক্রসিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনা সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শী ঢাকা থেকে শায়েস্তাগঞ্জ গামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী সালাহউদ্দিন ফরহাদ জানান, বিকেলে ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করার আগ মূহুর্তে পৈরতলা-পুনিয়াউট রেলক্রসিং এলাকায় রেল লাইনের দুই পাশ থেকে কে বা কারা পাথর ছোড়তে থাকে।
ট্রেনের ‘জ’ বগিতে থাকা সিলেটগামী অজ্ঞাত পরিচয়ধারী এক যাত্রী আহত হয়। পরে ট্রেনের যাত্রীরা ভয়ে ট্রেনের জানালা বন্ধ করতে থাকে। এসময় ট্রেনের গ্লাস ছিটকে পরে আরও কয়েক জন যাত্রী সামান্য আহত হয়। তবে নির্ধারিত যাত্রা বিরতি না থাকায় ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতি করেননি বলে জানান তিনি।
এ দিকে ট্রেনে হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. জসিম উদ্দিন জানান, ট্রেনে পাথর ছোড়া হয়েছে জানতে পেরেছি। তবে কে বা কারা আহত হয়েছে তাদের নাম পরিচয় জানতে পারিনি। কারা হামলা করেছে এ বিষয়টিও নিশ্চিত নই। ট্রেনটি বিরতিহীন হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতি করেনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ হাতেম আলী ভূইয়া জানান, আমরা জানতে পেরেছি পৈরতলা রেলক্রংসি এলাকায় কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কারা হামলা করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা এই হামলা করেছে। যারাই হামলা করেছে, তাদেরকে খুঁজে বের করার চেষ্ট করা হচ্ছে।