অনলাইন ডেস্ক :
মেক্সিকোতে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ক্লাউডিয়া শেইনবাম। দেশটির শাসক দল মরেনা পার্টি ২ জুন রবিবার তাকে নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করেছে।
টেলিভিশন চ্যানেল এনএমএএস এবং সংবাদপত্র এল ফিনান্সিরো বলেছে, ভোটে শেইনবাউম বিজয়ী হয়েছে, যদিও তারা পরিসংখ্যান দেয়নি।
ক্ষমতাসীন মোরেনা পার্টির প্রধান মারিও ডেলগাডো মেক্সিকো সিটিতে সমর্থকদের বলেন, শেইনবাম ‘খুব বড়’ ব্যবধানে জিতেছেন।
পোলস্টার প্যারামেট্রিয়া পূর্বাভাস দিয়েছে শেইনবাম ৫৬ শতাংশ ভোটে জয়ী হয়েছেন। যেখানে তার বিরোধী প্রার্থী যোসিটি গ্যালভেজ ৩০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর আগামী ১ অক্টোবর তিনি ছয় বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
২ জুন রবিবার সকালে ভোট দিতে যাওয়ার পথে শেইনবাম সাংবাদিকদের বলেন, এটি একটি ‘ঐতিহাসিক দিন’ এবং তিনি স্বাচ্ছন্দ্য করছেন। তার বিজয় মেক্সিকোর জন্য একটি বড় পদক্ষেপের প্রতিনিধিত্ব করে। সূত্র: সিবিসি, রয়টার্স
অনলাইন ডেস্ক :
কনে হাঁটছেন সাদা গাউন পরে। এ সময় সেই পোশাক ছুরি দিয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে খাচ্ছেন কেউ কেউ। তারা আসলে পোশাক খাচ্ছেন না, খাচ্ছেন কেক। এমনই এক বিশাল ‘পরিধানযোগ্য কেক’ বানিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন সুইজারল্যান্ডের নারী নাতাশা কোলিন কিম ফাহ লি ফোকাস।
গত ১৫ জানুয়ারি রাজধানী বার্নে এক প্রদর্শনীতে কেক দিয়ে তৈরি পোশাকটি পরে দেখান তিনি। সম্প্রতি গিনেস ওয়ার্ল্ডস রেকর্ডের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে এর একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘সবচেয়ে বড় পরিধানযোগ্য কেক ড্রেস। এর ওজন ১৩১.১৫ কেজি, বানিয়েছেন সুইটিকেকসের কর্ণধার নাতাশা কোলিন কিম ফাহ লি ফোকাস।’ খবর এনডিটিভির
গিনেস ওয়ার্ল্ডস রেকর্ড জানায়, নাতাশা ২০১৪ সাল থেকে সুইটিকেকস বেকারিটি পরিচালনা করছেন। এ পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের কেক বানিয়ে বিক্রি করেছেন। এবার ‘পরিধানযোগ্য কেক’ বানিয়ে গিনেস বুকে নাম লেখালেন তিনি। সুইস ওয়ার্ল্ড ওয়েডিং ফেয়ার নামে ফ্যাশন শোর শেষ দিনে ঐতিহ্যবাহী বিয়ের পোশাকের আদলে কেক দিয়ে তৈরি এই পোশাকটি দেখানো হয়। এটি কীভাবে পরতে হবে, তাও ভিডিওতে দেখিয়েছিন তিনি।
ইনস্টাগ্রামে প্রকাশের পর ইতোমধ্যে প্রায় ১৪ লাখ মানুষ ভিডিওটি দেখেছেন। অনেকে মন্তব্য করছেন, ‘এখানে কেক কোথায়? তিনি তো বিয়ের পোশাক পরেছেন!’ আরেকজন লিখেছেন, ‘আমি তো অবাক! কিন্তু এত ভারী পোশাক পরে তিনি হাঁটছেন কী করে!’
অনলাইন ডেস্ক :
ভয়াবহ গতিতে এগিয়ে আসছে আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। এ নিয়ে নিয়মিত আপডেট দিচ্ছে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর। আজ ১০ জুন শনিবার ভারতের সরকারি সংস্থাটি জানিয়েছে, আরও শক্তিশালী হবে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়। বাড়বে ঝোড়ো হাওয়ার বেগ।ভারতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঝড়ের বেগ ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার ছুঁয়ে ফেলতে পারে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের
সংস্থাটি জানিয়েছে, শেষ ছয় ঘণ্টায় ১১ কিলোমিটার বেগে উত্তরদিকে অগ্রসর হয়েছে অতি প্রবল ঘূ্র্ণিঝড় বিপর্যয়। শনিবার রাত আড়াইটার দিকে সেটি পূর্ব-মধ্য আরব সাগরের উপরে অবস্থান করছে। এটি গোয়া থেকে ৬৯০ কিমি পশ্চিম, মুম্বাই থেকে ৬৪০ কিমি পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পোরবন্দরের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে ৬৪০ কিলোমিটার দূরে।
আগাম বার্তায় ভারতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আরও শক্তিশালী হবে এবং উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। পরবর্তী তিন দিনে আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে বিপর্যয়।’
আগাম বার্তায় বলা হয়েছে, শনিবার সকাল থেকে পূর্ব-মধ্য আরব সাগর এবং সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য আরব সাগরে ঘণ্টায় ১৩০-১৪০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে। দমকা হাওয়ার বেগ কখনও কখনও ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে। সন্ধ্যায় ঝড়ের দাপট আরও বাড়বে। সেইসময় ঝড়ের বেগ কখনও কখনও ঘণ্টায় ১৬৫ কিলোমিটার ছুঁয়ে ফেলবে। অধিকাংশ সময় ঘণ্টায় ১৪০-১৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইবে। উত্তর-পূর্ব আরব সাগরের সংলগ্ন এলাকায় ঘণ্টায় ৭০-৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় চলবে। দমকা হাওয়ার বেগ ৮০ কিলোমিটার হতে পারে।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, তবে সন্ধ্যা থেকে কিছুটা বেগ কমবে। সেই সময় ঘণ্টায় ১৩৫-১৪৫ কিমিতে হাওয়া বইবে (সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ১৬০ কিমি)। রবিবার থেকে ক্রমশ কমতে থাকবে ঝোড়ো হাওয়ার বেগ।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের জেরে উত্তাল থাকবে সমুদ্র। সেজন্য আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত পূর্ব-মধ্য আরব সাগর এবং সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য আরব সাগরে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের দিল্লিতে মেট্রোয় আসন নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা হতে দেখা যায়। হাতাহাতি, কখনো আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য ভিডিও বানানোর মতো ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। শুধু তাই-ই নয়, ভরা মেট্রোর মধ্যেই কখনো আবার ‘দুষ্কর্মের’ ছবিও ধরা পড়েছে। এবার এসব ঘটনা কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে শুক্রবার এ তথ্য জানা গেছে।
দিল্লি মেট্রো রেল করপোরেশন (ডিএমআরসি) সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ধরনের বেশ কিছু ঘটনার জন্য এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে এক হাজার ৬০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, যা গত বছরে একই সময়ের তুলনায় ৩ শতাংশ বেশি। মেট্রো রেলের তথ্য বলছে, এই তিন মাসে এক হাজার ৬৪৭ জনকে জরিমানা করা হয়েছে।
ডিএমআরসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ কুমার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, মেট্রো ও মেট্রো চত্বরে ঝামেলা, অশান্তির জন্য এই জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তবে কর্মীর অভাবে সব ঘটনায় নজরদারি চালানো সম্ভব হচ্ছে না। সিসিটিভি ফুটেজে যদি এই ধরনের ঘটনা ধরা পড়ে, তা হলে পদক্ষেপ নেওয়া হয়।’
এ ছাড়া বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনে এই ধরনের ঘটনা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
চলারপথে ডেস্ক :
তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৪৪ হাজার ছুঁয়েছে। তুরস্কে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৮ হাজার ৪৪ দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে সিরিয়ায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার আটশ জন।
ভূমিকম্পের দ্বিতীয় সপ্তাহেও তুরস্কে উদ্ধারকাজ চলছে। তবে প্রতিদিন উদ্ধার হওয়া মানুষের সংখ্যা কমছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার কাহরামানমারাস প্রদেশের ধ্বংসস্তূপ থেকে এক কিশোরীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে জাতিসংঘ সিরিয়ায় ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকার মানুষের জন্য ৪০ কোটি ডলার সহায়তা জরুরি বলে জানায়। সংস্থাটি আরো জানায়, তুরস্কের দুর্গত এলাকার মানুষদের জন্য ১০০ কোটি ডলার সহায়তা প্রয়োজন।
জাতিসংঘের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগের প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস বৃহস্পতিবার বলেন, অবর্ণনীয় কষ্ট পাচ্ছেন তারা। আমাদের অবশ্যই তাদের অন্ধকার সময়ে পাশে দাঁড়াতে হবে ও নিশ্চিত করতে হবে তারা প্রয়োজনীয় সহায়তা পাবেন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর কেন্দ্র ছিল সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ শহরের কাছে। পরে আরও কয়েক দফায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
সূত্র : আল জাজিরা
অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের ফোনালাপ হয়েছে। ফোনালাপে তারা ধর্ম নির্বিশেষে সব মানুষের অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।ৎ
সোমবার হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান আজকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেছেন। একটি চ্যালেঞ্জিং সময়ে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুলিভান।’
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘ধর্ম নির্বিশেষে সব মানুষের মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও তা সুরক্ষার ক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন উভয় নেতা। একটি সমৃদ্ধ, স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন জ্যাক সুলিভান। বাংলাদেশ যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে, সেগুলো মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সমর্থনের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।’