অনলাইন ডেস্ক :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সারা দেশে ১৭৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আজ ৪ জুন মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল ৫ জুন বুধবার অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় ৩ জুন থেকে আগামী ৭ জুন পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।
আগামীকাল ৫ জুন বুধবার দেশের ২৭ জেলার ৬০টি উপজেলায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।
এসব উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২৫১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। পাঁচ হাজার ১৪৪টি ভোটকেন্দ্রে এক কোটি ৪৩ লাখ ৫৭ হাজার ৮২০ জন ভোটার ভোট দেবেন। ভোট উপলক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় উপজেলাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
বিদ্যুৎ খাতে দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং সর্বোপরি গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নে এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং (ইআরপি) বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২২’ অর্জন করেছে। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমানের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াচ্ছি। ইআরপি বাস্তবায়নের ফলে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ব্যয় হ্রাস, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, পারফর্মেন্স পর্যালোচনা, তথ্যের অবাধ বিনিময়, তথ্যগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সরকারি পর্যায়ে বিদ্যুৎ বিভাগেই প্রথমবারের মতো সফলভাবে ইআরপি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও উৎসাহের সঞ্চার করবে। তিনি আরও বলেন, আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা চিহ্নিত করতে এই প্রযুক্তিটি কার্যকরি অবদান রাখবে। ইতোপূর্বে আমরা শতভাগ বিদ্যুতায়নের মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এবং মুজিববর্ষে শতভাগ বিদ্যুতায়ন সফলভাবে সম্পন্ন করায় ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২২’ অর্জন করেছি।
দক্ষতা উন্নয়ন, অটোমেশন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিতকরণ, বাজেট ও ব্যয় ব্যবস্থাপনায় গতিসঞ্চার করা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, জনগণের সাধ্যের মধ্যে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করাসহ গ্রাহকের সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং এর আওতাধীন ১৫টি সংস্থায় ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ইআরপি কার্যক্রম বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। প্রথমবারের মতো সরকারি পর্যায়ে এ উদ্যোগ গ্রহণ করায় প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিলেও সংশ্লিষ্ট সবার ঐকান্তিক প্রয়াসের ফলে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৪টি মডিউল বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়। এ ৪টি মডিউলের বিশেষ দিকগুলো হলো- হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড পে রোল, ফিক্সড অ্যাসেট, প্রকিউরমেন্ট এবং ফাইন্যান্স।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব সবসময় পাশে ছিলেন বলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাফল্যলাভ সহজ হয়েছে। শুধু ছাত্রজীবন নয়, রাজনৈতিক জীবনেও বঙ্গমাতা সবসময় বঙ্গবন্ধুর ছায়াসঙ্গী হিসেবে ছিলেন।
তিনি বলেন, আমার বাবার সাফল্য যদি আপনারা দেখেন, সেই ছাত্রজীবন থেকে মা পাশে থাকাতে তার (বঙ্গবন্ধু) জীবন কিন্তু সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে ওঠে।
আজ ৮ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গমাতা শুধু নিজের সংসারই চালাতেন না, হাতে যা টাকা-পয়সা আসতো তাও বাবার রাজনীতির জন্য তাকে দিয়ে দিতেন।
জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ থেকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু লেখেন— ‘আব্বা-আম্মা ছাড়াও সবসময় রেণু (বঙ্গমাতা) আমাকে কিছু টাকা পয়সা দিয়েছে। রেণু যা কিছু জোগাড় করতো বাড়ি গেলে এবং দরকার হলেই আমাকে দিত, কোনোদিন আপত্তি করেনি। নিজে মোটেই খরচ করতো না, গ্রামের বাড়িতে থাকতো। আমার জন্য সব রাখতো।’
এভাবে তিনি আমার বাবার পাশে থেকে তাকে সবরকমের সহযোগিতা দিয়েছেন উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখন বিএ পরীক্ষা দেন, কলকাতায় তখন দাঙ্গা হচ্ছিল। বঙ্গবন্ধু দাঙ্গা দমনে ঝাঁপিয়ে পড়েন, কিন্তু সে সময় বঙ্গমাতা চলে আসেন বঙ্গবন্ধুর লেখাপড়ায় সহযোগিতা করার জন্য।’
অনেক আত্মীয়-স্বজন সে সময়ে কলকাতায় থাকতেন উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আমার মায়ের ধারণা হয়েছিল, তিনি যদি বঙ্গবন্ধুর পাশে থাকেন বাবা লেখাপড়া করবেন এবং পাস করবেন, যা করেছিলেনও তিনি। এটাও জাতির পিতা তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখে গেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমার বাবার সাফল্য যদি আপনারা দেখেন সেই ছাত্রজীবন থেকে মা পাশে থাকাতে তাঁর জীবন কিন্তু সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে ওঠে। শুধু ছাত্র জীবন থেকে নয় রাজনৈতিক জীবনে তিনি সবসময় আমার বাবার পাশে ছিলেন।’
‘বঙ্গমাতা জাতির পিতাকে বলতেন— রাজনীতি করো আমার আপত্তি নেই, কিন্তু পড়াশোনা করতে হবে’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমার দাদাও বলেছিলেন— যে কাজই করো তোমাকে পড়াশোনা করতে হবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বাবা টানা দুই বছর কখনও জেলের বাইরে না থাকলেও মা সবসময় ঘর-সংসার সামাল দিতেন এবং কখনও হতাশ হননি।’
প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৬ দফা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা এবং জাতির পিতার ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদানসহ জাতির বিভিন্ন সন্ধিক্ষণে বঙ্গমাতার ঐতিহাসিক সময়োচিত পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা লাভের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা এদিন অনুষ্ঠানে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ চার বিশিষ্ট নারী ও জাতীয় নারী ফুটবল দলের মধ্যে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক-২০২৩’ প্রদান করেন। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অবদানকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য আটটি ক্ষেত্রে নারীদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতি বছর সর্বোচ্চ পাঁচ জন নারীকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
খেলাধুলার ক্ষেত্রে সাফ ফুটবল-২০২২ এ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন জাতীয় নারী ফুটবল দল ছাড়াও আরও চার নারী এই পদক লাভ করেন। তারা হলেন- রাজনীতিতে অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন (মরণোত্তর), শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় নাসিমা জামান ববি ও অনিমা মুক্তি গোমেজ এবং গবেষণায় ডা. সেঁজুতি সাহা (মলিকুলার বায়োলজিস্ট)।
জায়েদুল কবির ভাঙ্গি, গাজীপুর :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেছেন, বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নারীরা ঢাল হিসেবে কাজ করেছেন। ঘর-সংসার সামলে রাজপথের আন্দোলনে প্রথম সারিতে অবদান রেখেছেন তারা। তাই নারী নেতৃত্বের অবদানকে স্বীকার করে তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে।
আজ ১৯ জুন বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর জেলা মহিলা দলের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়ন শীর্ষক’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বিএনপির এই নেত্রী বলেন, দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া নারীদের মূল্যায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফার ২৪ নাম্বারে নারীদের যথাযোগ্য মর্যাদার কথা বলেছেন। তা বাস্তবায়ন হলে গণতান্ত্রিকভাবেই নারীদের মূল্যায়ন বাড়বে এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেবে।
তিনি আরো বলেন, কাপাসিয়ার কৃতীসন্তান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত নেতা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ্ জাতিকে বারবার দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। হান্নান শাহ্ ছিলেন আমার ভাসুরের মতো। তিনি মির্জা আব্বাসের বড় ভাইয়ের ভূমিকা পালন করেছেন। কাপাসিয়ার সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক পরিকল্পনা করেছিলেন। রেখে যাওয়া তার সুযোগ্য উত্তরসূরি কাপাসিয়ার অভিভাবক উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহ্ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ আমার সন্তানতুল্য। আমি তাকে অনেক স্নেহ করি।
পরিবারের ঐতিহ্যকে ধারণ করে সবার সাথে সৌজন্যতা রক্ষা করে চলছেন। বিগত আন্দোলনে জেল-জুলুম ও হামলা মামলার শিকার হয়েছেন। তাকে আপনারা আগামী দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবেন। তিনি গাজীপুর জেলা মহিলা দল, তথা কাপাসিয়া উপজেলা মহিলা দলসহ সব ইউনিটের নেতাদের একটি সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
কাপাসিয়া সদরে অবস্থিত মডিউল কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত আলোচনা সভায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসির সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল গাজীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদিকা গুলনাহার বেগমের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- গাজীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহ্ রিয়াজুল হান্নান, জেলা বিএনপির সদস্য ও কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা, ঢাকা মহানগর মহিলা দল নেত্রী তাবাসসুম টুম্পা, জেলা বিএনপির সদস্য আজগর হোসেন খান, কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও বিআরডিবি চেয়ারম্যান মো. সেলিম হোসেন আরজু প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও কাপাসিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি এফ এম কামাল হোসেন, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জুনায়েদ হোসেন লিয়ন, সদর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মো. মহিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম সোহেল, বিএনপি নেতা মফিজ উদ্দিন, মেহেদী হাসান বাচ্চু প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বহুল প্রতিক্ষিত আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মান কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। আগামী ২২ আগস্ট থেকেই আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে পরীক্ষামূলকভাবে পরিচালনা করা হবে ট্রেন। তবে চূড়ান্তভাবে ট্রেন চলাচলে আরো কিছুদিন সময় লাগবে। প্রকল্প-সংশিষ্টদের কাছ থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন চলছে শেষ মুহুর্তের রেললাইনে খুটিনাটি চিহ্নিত করার কাজ। তবে চূড়ান্তভাবে ট্রেন চলাচলে আরো কিছুদিন সময় লাগবে।
এ অবস্থায় এই রেলপথকে ঘিরে বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের বাসিন্দাদের মধ্যে আগ্রহের শেষ নেই। সংশ্লিষ্টরা জানান, এই রেলপথটি চালু হলে ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্যের পাশাপাশি সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে নব-দিগন্তের সূচনা হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, বহুল প্রতিক্ষিত আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মান কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যে রেললাইনের স্লিপারের উপর ফেলা হচ্ছে পাথর। প্রাথমিকভাবে মিটারগেজ ইঞ্জিনবগি দিয়ে ৬ কিলোমিটার রেলপথ ট্রায়াল দেয়া হবে। এই লক্ষ্যেই রাত-দিন কাজ করছেন এই রেলপথ নির্মাণ কাজের সাথে যুক্ত প্রকৌশলীরা।
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের টেক্সমেকো রেল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ঊর্ধ্বতন সহকারী প্রকৌশলী মোঃ রিপন শেখ বলেন, আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি চলছে। আগামী ২২ আগষ্ট আমরা মিটার গেজ রেলপথ ট্রায়াল দিব। আশা করি এর মধ্যে আমাদের সব কাজ হয়ে যাবে। প্রাথমিকভাবে মিটারগেজ ইঞ্জিনবগি দিয়ে ৬ কিলোমিটার রেলপথ ট্রায়াল দেয়া হবে। সেটি হবে গঙ্গাসাগার রেলস্টেশন থেকে শিবনগর পর্যন্ত। সেখানে আমাদের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
এ ব্যাপারে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের টেক্সমেকো রেল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এম্বাকমেন্ট (বাঁধ) প্রকৌশলী মোঃ বেনজির আহমেদ বলেন, আমাদের সকল কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এখন আমাদের ট্যাক ট্রেকিংয়ের কাজ চলছে। ট্রায়ালকে কেন্দ্র করে যাবতীয় কার্যক্রম এখন চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বরত “উর্ধ্বতন সহকারী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম বলেন, এখন আমাদের প্রায় ১০ কিলোমিটার ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা হয়ে গেছে। আগামী ২২ আগষ্ট মঙ্গলবার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে পাথরবাহী একটি লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) বগিসহ এই রেলপথের উপর দিয়ে চলানো হবে। সেটি চলে যাবে ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের সীমান্তের শূণ্যরেখায়। এই লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
আখাউড়ার গঙ্গাসাগর থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের শিবনগর পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বাংলাদেশ অংশে এই রেলপথ নির্মানে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪০ কোটি টাকা।
এদিকে দুই দেশের স্বপ্নের এই রেলপথ নির্মানকে কেন্দ্র করে ভারত-বাংলাদেশের বাসিন্দাদের মধ্যে যেন আগ্রহের শেষ নেই।
আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগর এলাকার বাসিন্দা ফখরুল ইসলাম বলেন, এই রেললাইনটি নির্মিত হওয়ায় আমাদের ব্যবসায়ীদের অনেক উন্নয়ন হবে। আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে। বাংলাদেশের সরকারের সাথে ভারতের ভাল সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের ব্যবসায়ীদের উন্নয়নের পাশাপাশি দুই দেশের মানুষের অনেক উন্নয়ন হবে।
এ ব্যাপারে ভারতীয় নাগরিক সুইটি দেব বলেন, এই রেল লাইন চালু হলে দু’দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি সম্পর্কটা আরো বেশি বাড়বে। আমাদের যাত্রী আসা যাওয়া ও ব্যবসা বানিজ্যের ক্ষেত্রেও অনেক ভাল হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা ও কর্তৃপক্ষের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহা হাসপাতালটিতে আর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া হাসপাতালটিতে সব ধরনের অস্ত্রোপচার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মাহবুবা রহমান আঁখির চিকিৎসাজনিত অভিযাগের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত পরিদর্শন টিম আজ ১৬ জুন শুক্রবার বিকালে হাসপাতালটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
পরিদর্শন টিমের নেতৃত্ব দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. মো. দাউদ আদনান ও অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার উপ-পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান।
পরিদর্শন টিমের পরিদর্শন নির্দেশনাগুলো হলো- ডা. সংযুক্তা সাহা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লিখিত অনুমোদন ছাড়া পরবর্তীতে সেন্ট্রাল হাসপাতালে কোনো বিশেষজ্ঞ সেবা দিতে পারবেন না। আইসিইউ ও জরুরি সেবার মান সন্তোষজনক না হওয়ায় অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। মাহবুবা রহমান আঁখির পরিবারের কাছ থেকে নেওয়া চিকিৎসা বাবদ সব খরচ এবং চিকিৎসাজনিত যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহন করবে।
আঁখির চিকিৎসায় জড়িত সব চিকিৎসকের চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র বিএমডিসিতে পাঠানো হবে। বিএমডিসি থেকে চিকিৎসকের নিবন্ধন বিষয়ক সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আদালতে চলমান মামলায় অভিযুক্ত ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনার যাবতীয় খরচ সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহন করবে। ভুক্তভোগী রোগীর পরিবার কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ দাবি করলে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী নিষ্পন্ন করতে হবে।
অভিযোগ সংক্রান্ত সব কাগজপত্র স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসব নির্দেশনা ১৬ জুন শুক্রবার থেকেই কার্যকর হবে। এর কোনো ব্যত্যয় ঘটলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।