চলারপথে রিপোর্ট :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের শেষ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। উপজেলাগুলো হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ ও নবীনগর উপজেলা পরিষদ।
তিন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন ও মহিলা-ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিন উপজেলায় ৩৬৬ টি কেন্দ্রে ১০ লাখ ৬৪ হাজার ১১৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রদান করবেন।
একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা। এই উপজেলায় মোট ৪ লাখ ১৯ হাজার ৫৪১ জন ভোটার ১৩২টি ভোট কেন্দ্রে তাদের ভোটধিকার প্রদান করবেন। সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৭ জন ও মহিলা ভাইস- চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত বিজয়নগর উপজেলা। এই উপজেলায় মোট ২ লাখ ১০ হাজার ৫৩৮ জন ভোটার ৭৮টি কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রদান করবেন। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
১টি পৌরসভা ও ২১টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত নবীনগর উপজেলা। এই উপজেলায় মোট ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৩৫ জন ভোটার ১৫৬ টি ভোট কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রদান করবেন। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ইতিমধ্যেই ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তিন উপজেলার ৩৬৬ টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। স্ব-স্ব উপজেলার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন থেকে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ সময় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে তিন উপজেলার ৩৬৬ টি ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছে ব্যালট বাক্স, সীলসহ নির্বাচনী সরাঞ্জাম বুঝিয়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সদর উপজেলার ১৩২ টি কেন্দ্রের মালামাল দুপুর ১২ টার পর থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌছে দেয়া হয়েছে। ১৩২টি কেন্দ্রের ব্যালট পেপার বুধবার ভোরে পৌঁছে দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় ১৭৬৫ জন পুলিশ, ৫৫জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবং তিনজন জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট ও র্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মুক্তির পথ যুব সংগঠনের উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় প্রীতি ফুটবল ম্যাচ-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকাল ৪ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাজীপাড়া জেলা ঈদগা মাঠে দুই দলের অংশগ্রহণে এই প্রীতি সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ মোঃ মোস্তাক মিয়া এর সঞ্চালনায় সংগঠনের সভাপতি এড. মোঃ মাসুদ পারভেজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ক্রীড়া সংগঠক ও যুক্তরাজ্য জাতীয়তাবাদি কৃষকদলের সদস্য সচিব, যুক্তরাজ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয়তাবাদি ফোরামের আহবায়ক শাহ মো ইব্রাহীম মিয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তি পথ যুব সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা উপদেষ্টা আলহাজ্ব মোঃ মানিক মিয়া, আলহাজ্ব মোঃ ফরহাদ সিদ্দিকী, মোঃ সাদেকুল ইসলাম, মোঃ জামাল মিয়া(কবিরাজ), মোঃ হানিফ মিয়া, মোঃ ফরহাদ হোসেন আহমেদ, মোঃ অলিউর রহমান(প্র.শি.), মোঃ আজমল ছিদ্দিকী, মুক্তির পথ যুব সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সভাপতি ও উপদেষ্টা মোঃ নাদিম মিয়া,মুক্তির পথ যুব সংগঠনের এক্সিকিউটিভ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুবেল মিয়া(দলিল লেখক), উপদেষ্টা এনামুল হক(এনাম), মুক্তির পথ যুব সংগঠনের স্থায়ী কমিটির সদস্য মোঃ দিদার, সাবেক সভাপতি ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আরাফকত খন্দকার, সাবেক সভাপতি ও স্থায়ী কমিটির সদস্য এড. শাহ মোঃ কাউছার, মোঃ হানিফ, আসির হোসেন মিলন, মোঃ খোকা মিয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক ও ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ট্রাইবেকার সাদা দলকে৩-৪গোলে পরাজিত করে নীল দল জয় লাভ করেন।
পরে খেলায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
হেফাজতে ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নেতৃবৃন্দ আজ ১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার নবনিযুক্ত পুলিশ সুপারের সাথে আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান এর নেতৃত্বে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাৎকালে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২০২১ সালে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের সন্তানরা শহীদ হয়েছে। আবার আমাদের নেতাকর্মীরা জেল খেটেছে। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭৫ টি মামলায় নেতাকর্মীদের নামে কারো ৪১ মামলা, কারো ২৬ মামলা আবার কারো ২৮ মামলার আসামী হয়েছে।
হেফাজত ইসলামের নেতৃবৃন্দ এসব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান মামলা প্রত্যাহারের পরিপূর্ণ আশ্বাস প্রদান করেন। এ সময় আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান বলেন, ২০২১ সালে হত্যাকান্ডের মূলহোতা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী সহ হত্যাকান্ডে জড়িত সকলকে গ্রেফতারের দাবি জানান। তিনি আরো বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মাদক মুক্ত করতে আমাদের সকল প্রকার সহযোগিতা থাকবে।
এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আল্লামা মুফতি মোবারক উল্লাহ, হযরত মাওলানা আব্দুল হাফিজ নাটাই, হযরত মাওলানা তানভিরুল হক সিরাজী, হযরত মাওলানা বোরহান উদ্দিন আল মতিন, মুফতি জাকারিয়া খান, মুফতি জুনায়েদ কাসেমী, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ মাদানী মাওলানা বেলাল হোসেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, গণতান্ত্রিকতার বিকাশের স্বার্থে এবং সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সকলেরই অংশ নেয়া উচিত। সরকার ও ক্ষমতার পরিবর্তনের এই গণতান্ত্রিক চর্চায় কাউকে আমন্ত্রণ করে আনার বিষয় নয়, নির্বাচনে আসা ও অংশগ্রহণ প্রত্যেকের নাগরিক কর্তব্য।
তিনি আরো বলেন, দেশে নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা বিরাজ করছে। সাংবাদিকরা সমাজের আয়না হিসাবে আপনাদের আয়নায় দেখুন সাধারণ মানুষ নির্বাচন নিয়ে কতোটা উৎসাহী। তিনি আরো বলেন, জনগণ নির্বাচন চায়, তাই নির্বাচন যথাসময়ে হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করবার জন্য তিনি সাংবাদিকদের ভূমিকা পালন করবার জন্য তিনি আহবান জানান। তিনি এসময় আরো বলেন, দেশে প্রচুর রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। বিএনপি-জামাতের নাশকতার আন্দোলনে জনগণের কোনো প্রকার সাড়া নেই। তিনি আরো বলেন, আমার নির্বাচনমুখী কাজের শুরু থেকেই সাংবাদিকরা আমাকে সহায়তা করছেন, আগামী নির্বাচনেও আমাকে তারা সহায়তা করবেন। নির্বাচনে কেউ জবরদস্তি করলে সাংবাদিকদের সোচ্চার হতে হবে। তিনি ৪র্থ বারের মতো মনোনয়ন পাওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগণ ও সাংবাদিকদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। আমি সাংবাদিকদের ভালোবাসা, দোয়া ও সহায়তা চাই।
আজ ১ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।
এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মো: হেলাল উদ্দিন।
এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান বাবুল, অ্যাড. মাহাবুল আলম খোকন, শেখ মো. মহসিন, শেখ মো. আনার, সৈয়দ মিজানুর রেজা, এহতেশামুল বারী চৌধুরী তানজিল, মাহমুদুর রহমান জগলু, শাহআলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথ রিপোর্ট :
“করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা, অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নদী প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন “তরী বাংলাদেশ” এর আয়োজনে পালিত হলো বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৪।
আজ ৬ জুন বৃহস্পতিবার দিবসটি উপলক্ষে জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কায়ার থেকে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ পর্যন্ত একটি বর্ণাঢ্য সচেতনতা র্যালি শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ মিলনায়তনে নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষায় করণীয় শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের পরিচালক মো. মনির হোসেন, জেলা খেলাঘর সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, জেলা পরিষদ সদস্য রোমানুল ফেরদৌসী, হাকিম রেজা। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন তরী বাংলাদেশ আহবায়ক শামীম আহমেদ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা পরিবেশ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা, গুরুত্ব ও করণীয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল মিয়া ‘তরী বাংলাদেশ’ এর সকল কাজে পাশে থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নদী, খাল, জলাশয় রক্ষা তথা পরিবেশ রক্ষায় সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন। ‘তরী বাংলাদেশ’ আহবায়ক শামীম আহমেদ বলেন পরিবেশ রক্ষায় নদী-প্রকৃতি সুরক্ষার বিকল্প নেই। পরিবেশ তথা আমাদের জীবনের স্বার্থে সারাদেশের নদী-খাল দখল দূষণ মুক্ত রাখা জরুরি। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নদী-খাল-জলাশয় রক্ষায় অন্যান্য সংস্থার পাশাপাশি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্য গণ আরো কার্যকর ভূমিকা রাখবেন।
আব্দুল মতিন শিপন এর সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘তরী বাংলাদেশ’ আহবায়ক কমিটির সদস্য খালেদা মুন্নী।
বক্তব্য রাখেন তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক কমিটির সদস্য হৃদয় কামাল, সরাইল উপজেলা আহবায়ক মো. মাহবুব খান, বিজয়নগর উপজেলা তরী সদস্য মো. সাদেকুল ইসলাম ভূইয়া, শাহ আবুল মনসুর আল-আমীন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন তরী বাংলাদেশ সদস্য খাইরুজ্জামান ইমরান, নাফিস আহমেদ সেলিম, সুশান্ত পাল, নাজমুল খান, শিপন কর্মকার, শিরিন আক্তার, নাজমা আক্তার, আব্দুল হেকিম সহ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯- এর সদস্যরা। আজ ৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের শেখ অবুজ (২৫) একই এলাকার শেখ সবুজ (২৮), হৃদয় মিয়া (২৩), আওয়াল মিয়া (৪০), শহরের কান্দিপাড়ার শিপন মিয়া (২৮) ও পিয়াস (৩০)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব-৯- এর সিলেট ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত শনিবার দুপুর ১ টার দিকে সুলতানপুর চৌধুরী মার্কেটের সামনে থেকে ২০ বস্তা চিনি পিকআপ ভ্যানে ভরে তা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর ভিআইপি বেকারীর উদ্দেশ্যে রওনা হন পিকআপ চালক দোলোয়ার হোসেন (২২)। পথিমধ্যে সুলতানপুর বড় মসজিদের রাস্তার উপর ৬ ব্যক্তি ৩টি মোটর সাইকেলযোগে এসে পিকআপভ্যান গতিরোধ করে নিজেদের ডিবি পুলিশ বলে দোলোয়ার হোসেনের কাছে পরিচয় দেয়।
পরে কৌশলে পিকআপসহ দোলোয়ার হোসেনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে অপহরণকারীরা দোলোয়ারকে মারধোর ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তার কাছে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা ও স্বজনদের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে আরো ৩৯ হাজার ২২০ টাকা হাতিয়ে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এ ঘটনায় চালকের ভগ্নিপতি বোরহান উদ্দিন (৫৫) বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি মিডিয়ার মাধ্যমে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হয়।
পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার বৃহস্পতিবার ভোরে সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।