চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তিন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ৩৩জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং ১০৭ মামলায় ৩লাখ ৮২হাজার ৯শত টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ ৫ জুন বুধবার জেলার সদর, বিজয়নগর ও নবীনগর উপজেলায় এই জরিমানা আদায় ও সাজা দেয়া হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জেসমিন সুলতানা জানান, বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলা পরিষদ, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ ও নবীনগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নির্বাচনে বিভিন্ন অপরাধের কারণে তিন উপজেলায় ৩৩জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং ১০৭ টি মামলায় ৩লাখ ৮২হাজার ৯শত টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৬১টি মামলার মধ্যে ৪২ মামলায় ৪২ জনকে ২লাখ ১৭হাজার ৯শত টাকা জরিমানা ও ১৯ মামলায় ১৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। বিজয়নগর উপজেলায় ২৮টি মামলার মধ্যে ১৮টি মামলায় ১৮ জনকে ৮৩হাজার টাকা জরিমানা ও ১০ মামলায় ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়।
নবীনগর উপজেলায় ১৮ টি মামলার মধ্যে ১৪টি মামলায় ১৪ জনকে ৪২হাজার টাকা জরিমানা এবং ৪ মামলায় ৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়।
অপরদিকে নবীনগরের কাঠালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জহির উদ্দিন সিদ্দিকির সঙ্গে কেন্দ্রে বসে ভাত খাওয়া প্রিজাইডিং অফিসার এ কে এম রমজান আলীকে প্রত্যাহার করা হয়।
এ ছাড়া বিজয়নগরের মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আটক পোলিং এজেন্টকে ছাড়াতে এলে তল্লাশি করে দুই লাখ টাকা পাওয়া চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোশাহেদ আলীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৬৪তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আজ ৪ মার্চ শনিবার সকাল ১০টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দি ব্লুমিং ফ্লাওয়ার স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, আমেরিকা প্রবাসী বিশিষ্ট সমাজসেবক তাজুল ইসলাম বাবু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক মাজেদুল ইসলাম, আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু জামাল, রামকানাই হাই একাডেমির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আশিকুর রহমান পাঠান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম শাহজাদা, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য মোঃ তাজুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রকিব।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সৃজনশীল কর্মকান্ডের মাধ্যমে নিজেদের আগামী দিনের যোগ্য নাগরিক হয়ে ওঠতে হবে। তিনি বলেন, খেলাধুলা করলে মনের পরিতৃপ্তির পাশাপাশি সুস্থ সবল থাকা সম্ভব। আজ যারা বিজয়ী হবে তারা আগামীতে আরো ভালো করার চেষ্টা করবে, আর যারা বিজিত হবে তারা বিজয়ী হরার চেষ্টা করবে।
উল্লেখ্য, ৬৫টি ইভেন্টে এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত নবীনগর উপজেলার ৪ শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে প্রদান করা হয়।
আজ ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর মহিলা ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে শহীদ পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময়সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নবীনগর পৌর জামায়াতে ইসলামীর আমির মু. মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্ব প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও কুমিল্লা জেলা মহানগরীর আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামায়াতের আমির মোহাম্মদ গোলাম ফারুক, জেলা নায়েবে আমির কাজী ইয়াকুব আলী, জেলা সেক্রেটারি মোবারক হোসেন আকন্দ, উপজেলা সেক্রেটারি আবদুল হাফেজ, পৌর সভার সেক্রেটারি সাইফুর রহমান বাসার, জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত প্রমুখ।
মাওলানা আমির হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, শহীদ পরিবারের সদস্য মো: শফিকুল ইসলাম, মো. নানু মিয়া, সুফিয়া বেগম।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে একটা স্বৈরাচার সরকার দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে গুম, খুন, জুলুম, নির্যাতন চালিয়েছে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। রক্ত পিপাসু দল আওয়ামীলীগ, দেশ ও দেশের মানুষকে ভারতের পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে রেখেছিল। ছাত্র-জনতা সহ্যৃ করতে না পেরে এ জালিম সরকারকে বিদায় দেয়ার জন্য রাজপথে নেমে ছিলো। এ আন্দোলন যারা জীবন দিয়ে বাস্তবায়ন করেছেন তাঁরা শহীদ।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নবীনগরের যারা শহীদ হলেন নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের বিটিবিশারা গ্রামের মো: সামুসুজ্জামানের ছেলে জাহেদুজ্জামান তানভীন (২৬) শহীদ হন রাজধানী ঢাকার উত্তরায়। বিটঘর গ্রামের মোঃ শফিকুল ইসলামের ছেলে তানজিল মাহমুদ সুজয় (১৯), শহীদ হওয়ার স্থান ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইল, গৌরনগরের মোঃ নানু মিয়ার ছেলে মো.কামরুল ইসলাম (২১) শহীদ হওয়ার স্থান মিরপুর ১০, থোল্লাকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল মোমিন মিয়ার ছেলে মো: রফিকুল ইসলাম(২৪), শহীদ হওয়ার স্থান চিটাগাং রোড, হিরাঝিল, ঢাকা। তাঁদের ৪ জনের লাশ নবীনগরে নিজ নিজ এলাকায় দাফন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নবীনগর উপজেলায় কয়েক বছর ধরে ওল কচুর আবাদ হচ্ছে। খরচ কম কিন্তু ফলন বেশি হওয়াতে কৃষক বসত বাড়ি কিংবা ফলজ বাগানে সীমিত পরিসরে আবাদ করছে। ইব্রাহীমপুর ব্লকের ওল চাষী মোখলেছ মিয়া বলেন- আগে নবীনগরে বাণ্যিজিক ভাবে ওল কচু চাষাবাদ দেখিনি, আমি এ বছর চাষ করেছি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমাকে বীজ, সার ও প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
ইতিমধ্যে অনেকেই ওল চাষে আগ্রহী। ওল কচুর পাশাপাশি বীজ বিক্রি করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা দেখছি। বড়িকান্দি ব্লকের কৃষক আজিজ মিয়া জানান- ওল কচু আমাদের এলাকায় নতুন। কৃষি বিভাগের পরামর্শে এই নতুন ফসল আবাদ করেছি। ২০ শতক পরিত্যক্ত উচু জমিতে আবাদ করেছি এখন পর্যন্ত গাছের বৃদ্ধি ভালো। নবীনগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে- ওল কচু গাছে তেমন কোন রোগ হয় না, তবে পাতা ও কচু পঁচা রোগ দেখা যেতে পারে, ওল কচুর ক্ষেত্রে কীট পতঙ্গ তেমন কোন সমস্যা হয় না। নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার, গোড়া মাটি উঁচু করে দেয়া ও খড় বা আচ্ছাদন দিয়ে মাটি ঢেকে দিলে ভাল ফলন পাওয়া যায়। জৈব সার ব্যবহার করা ভাল। তবে রাসায়নিক সার যেমন- ইউরিয়া, পটাশ, টিএসপি ও কিছু দেওয়া যায়। গাছ লাগানোর ৭-৯ মাস পর যখন ৮০% গাছের পাতা হলুদ হয়ে যাবে, তখন ওল সংগ্রহ করতে হবে। উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম লিটন জানান- কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্র্রকল্পের আওতায় আমরা নতুন জাতের কন্দাল ফসল জনপ্রিয় করার জন্য প্রদর্শনী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে থাকি। ওল কচু চাষের জন্য ফেব্রুয়ারি – এপ্রিল পর্যন্ত ভাল সময়, এর পর রোপণ করলে ফলন কমে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কে শৃঙ্খলা ফেলাতে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, কোনো মোটর সাইকেল চালকের মাথায় হেলমেট না থাকলে কোনো পাম্প থেকে তাকে জ্বালানি সরবরাহ করা হবে না। আগামী ১০ এপ্রিল থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
এ লক্ষ্যে শ্লোগান ঠিক করা হয়েছে, ‘হেলমেট দেখে জ্বালানী দিব, জীবন বাঁচাতে সহায়ক হবো। হেলমেট পড়ুন, জীবন বাঁচান।’ এই শ্লোগান দিয়ে সব কয়টি পাম্পে ব্যানার টানিয়ে দেওয়া হবে ও সারা জেলায় মাইকিং করা হবে।
আজ ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ’র উদ্যোগে আয়োজিত ‘সড়কে শৃংঙ্খলা আনয়নে যানবাহনের জ্বালানী সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায়’ এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় জানানো হয়, কাগজপত্রবিহীন গাড়ি ও লাইসেন্সবিহীন চালককে ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকতে, সিএনজি পাম্পগুলোতে নির্ধারিত চাপের নিচে গ্যাস দেওয়া হলে প্রয়োজনে জরিমানাসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়াসহ ১০টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আগামী তিন মাস পর এসব বাস্তবায়ন বিষয়ে পুনরায় সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়। এ সময় একাধিক পাম্পের বিরুদ্ধে ভেজাল জ্বালানি সরবরাহ ও ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। এসব বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে সভায় হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মোঃ জয়নাল আবেদীন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হেলেনা পারভীন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ডেইজি রায় টুম্পা, বিআরটিএ’র সহকারি পরিচালক আবু আশরাফ সিদ্দিকি, বিএসটিআইএ’র কুমিল্লার সহকারি পরিচালক আনিসুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ অহিদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফ মিয়া, সিএনজি পাম্প মালিক শাহেদুল ইসলাম, তোফাজ্জল হোসেন, সাংবাদিক আ. ফ. ম কাউছার এমরান, উজ্জল চক্রবর্তী, বিশ্বজিৎ পাল বাবু, শাহাদৎ হোসেন প্রমুখ।
সভায় জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম জানান, সড়কে শৃংখলা ফেরাতে সব ধরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। ঈদের আগে আরো সভা করে শৃংখলা বিষয়ে আলোচনা করা হবে। তবে এজন্য প্রশাসনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে স্ত্রীকে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করায় ভায়রা সাদ্দাম হোসেনকে (২৬) হত্যা করা হয়। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাতে গ্রেফতারের পর ২২ জানুয়ারি সোমবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক সামিউল আলমের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এই তথ্য জানান ভায়রা বাবুল (৪০)। বাবুল নেত্রকোনা জেলার খায়ের বাংলা গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে।
১৯ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের আশরাফপুর বিল থেকে সাদ্দামের মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের বিদ্যাকুট গ্রামের ছাত্তার মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার শচীন চাকমা জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর তদন্তে নামে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকারী হিসেবে নিহত সাদ্দামের ভায়রা বাবুলকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। পরে সোমবার আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন বাবুল।
বাবুল জবানবন্দিতে জানান, গত প্রায় ১০ বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরের কৃষ্ণনগরের শায়েস্তা আরাকে বিয়ে করেন বাবুল। তাদের সংসারে ৭ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। নরসিংদীতে কাজের সুবাদে বসবাস করা কাদির নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তারা পালিয়ে নবীনগর এসে পড়েন। বিয়ে না করেও তারা সংসার করেন। এতে শায়েস্তারা গর্ভবতীও হন। আর এসবে সহায়তা করে আসছিলেন শায়েস্তা আরার বোনের স্বামী সাদ্দাম। সাদ্দাম সব কিছু জেনেও ভায়রা বাবুলকে কোনো প্রকার সহায়তা করেননি। এই ক্ষোভে গত শুক্রবার সাদ্দামকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে বাবুল পালিয়ে যান।
এই ঘটনায় নিহত সাদ্দামের ভাই অজ্ঞাত আসামি করে নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তদন্তে বাবুলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার পর তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।