চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীর আনন্দ মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন।
আজ ৫ জুন বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জেলা শহরের কলেজপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ছাত্রলীগ কর্মীর নাম আয়াশ আহমেদ ইজাজ (২৩)। তিনি শহরের কলেজপাড়া এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের স্নাতক উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ইজাজ ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ও সদ্য সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শাহাদৎ হোসেন শোভন (আনারস প্রতীক) পক্ষে কাজ করেছিলেন।
স্থানীয় সূত্র ও বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে চেয়ারম্যান পদে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন শোভন (আনারস প্রতীক) বিজয়ী হওয়ার খবরে সমর্থকরা বিজয় মিছিল বের করেন। মিছিলটি কলেজপাড়া এলাকার খান টাওয়ারের সামনে এলে আয়াশ আহমেদ ইজাজ গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় তার বন্ধুরা তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন। পরে ঢাকা নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন সাংবাদিকদের জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ছাত্রলীগের কর্মী আয়াশ আহমেদ ইজাজ গুলিবিদ্ধ হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আটকে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদী ও বিসিক শিল্পনগরীর খাল এবং পুকুর পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী।
আজ ৫ এপ্রিল বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তিনি সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের নন্দনপুর বিসিক শিল্পনগরীর বিভিন্ন কারখানা, পুকুর ও খাল এবং দুপুরে দুপুরে তিনি তিতাস নদীর মেড্ডা শ্মশান ঘাট এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে তিনি ছোট নৌযানে করে তিতাস নদীর বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।
বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা নদী রক্ষা কমিশনের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন, জেলা মৎস্য অফিসার তাজমহল বেগম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মনজুর রহমান, বিআইডব্লিউটি’র উপ-পরিচালক মোঃ রেজাউল করিম, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল কুদদুস, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন ফিরোজুর রহমান প্রমুখ।
সভায় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, তিতাস নদী ঐতিহাসিক নদী। এ নদীকে কেন্দ্র করে গল্প-উপন্যাস চলচ্চিত্র রচিত হয়েছে। কিন্তু দখল দুষনের কারণে নদীটির অস্তিত্ব বিলীনের পথে। মানুষ এখানে বর্জ্য ফেলে। প্রশাসন বার বার বলার পরও মানুষ শুনছেনা। এটি খুবই হতাশাজনক।
শুধু প্রশাসন কাজ করলে হবেনা। প্রশাসনের পাশাপাশি সর্বস্তরের মানুষকে সহযোগিতা করতে হবে। কারণ নদী আমাদের প্রাণ। এটিকে রক্ষা করার জন্যই আমরা কাজ করছি। নদী দখল করে মাছ চাষের ব্যাপারে তিনি অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে দখল ও দুষনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কর্মকর্তাদেরকে নির্দেশ দেন।
তিনি বিসিক শিল্পনগরীর বর্জ্য শোধানাগার (ইটিপি) যথাযথ বাস্তবায়ন না করায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এখানে সংগতি করার মতো কিছুই নেই। শিল্প বর্জ্য উৎপাদন হয় এখানে, কিন্তু বর্জ্য শোধানাগারের কোনো ব্যবস্থা নেই। আমরা কমিশন এসে এখানে হতবাক হয়েছি। এখানে শুধু মাত্র কেমিক্যাল নয়, এখানে পয়ঃ বর্জ্য নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। পরিবেশ অধিদপ্তর এখানে কাজ করছে না। এখানে নাকি মাঝে মাঝে জরিমানা করা হয়। কিন্তু জরিমানা করে এখানে কোনো কিছুই করা যাবেনা। আমরা আশা করি জনগণের স্বার্থে শিল্প মালিকদের শুভ বৃদ্ধির উদয় হবে।
সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৭ এপ্রিল বুধবার বিকালে জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় মূল বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
আলোচনা করেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল কালাম ভূঞা, সাধারণ সম্পাদক এমএএইচ মাহবুব আলম, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা কৃষক লীগের আহবায়ক সাদেকুর রহমান শরীফ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, পরিবহন শ্রমিক লীগ সভাপতি বারীন্দ্রনাথ ঘোষ। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাৎ হোসেন শোভনের আনন্দ মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়ে কলেজ ছাত্র আশরাফুল রহমান ইজাজকে হত্যার ঘটনায় হাসান আল ফারাবী জয়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল ৭ জুন শুক্রবার ভোরে নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তি মতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের ভাটপাড়ার গ্রামের একটি ঝোঁপ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়।
আজ ৮ জুন শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, গত ৫ জুন বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহরের মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন (আনারস প্রতীক) বিজয়ী হওয়ার খবরে তার সমর্থকেরা বিজয় মিছিল বের করে। মিছিলটি কলেজপাড়া এলাকার খান টাওয়ারের সামনে আসলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আশরাফুল রহমান ইজাজ গুলিবিদ্ধ হয়। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ফারাবী তাকে গুলি করে কোমড়ে পিস্তল রেখে ঘটনাস্থল থেকে সরে যাচ্ছে। এ সময় তার (ইজাজের) বন্ধুরা তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়।
এ ঘটনায় পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের পিতা হাজী আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১৫জনকে আসামী করে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ হেডকোয়াটার্সের একটি বিশেষ টিম, সদর থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখার দল অভিযান পরিচালনা করে শুক্রবার ভোরে নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে হাসান আল ফারাবী জয়কে গ্রেপ্তার করে।
প্রেসব্রিফিংয়ে আরো বলা হয়, গ্রেফতারের পর হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধারে কিশোরগঞ্জ, ভৈরব, নরসিংদী আশুগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের একটি ব্রীজের পাশের ঝোপের মধ্য থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, গ্রেফতারের পর হাসান আল ফারাবী জয় পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। তার ভাষ্য অনুযায়ী পূর্ব বিরোধের জের ধরে ও এলাকায় তাদের একক আধিপত্য বজায় রাখার জন্য পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইজাজকে মাথায় পিস্তল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে।
পুলিশের কাছে দেয়া জয়ের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জালাল হোসেন খোকা এবং জয় খুবই ঘনিষ্ঠ, ইজাজও তাদের সাথে চলাফেরা করতো, তারা একই পাড়ার বাসিন্দা। কলেজপাড়া এলাকায় এককভাবে প্রভাব বিস্তার করতো খোকা ও জয়। তবে তাদের সব সিদ্ধান্ত ইজাজ ও তার সাথে কয়েকজন মেনে না নিয়ে কিছু কিছু সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতো। আর এ কারনেই ইজাজ ও তার কয়েকজন বন্ধুর প্রতি ক্ষিপ্ত ছিলো খোকা ও জয়। এই বিরোধ আস্তে আস্তে চরম আকার ধারন করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো বলা হয়, মামলার অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) জয়নাল আবেদীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ বিল্লাল হোসেন, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেনসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের সহায়তায় ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে আজ ১৮ মে শনিবার সকালে শহরের আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দুর্নীতি বিরোধী এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি কবি আবদুল মান্নান সরকার।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু জামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউনির্ভাসিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিথি অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরজু, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মোহাম্মদ লতিফুর রহমান আল আমিন, বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, নাসির উদ্দিন ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য কোহিনুর আক্তার।
দুর্নীতিকে না বলে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাঈমা আক্তার, শোভা আক্তার ও লামিয়া মেহজাবিন।
সমাবেশে প্রধান অতিথি কবি আব্দুল মান্নান সরকার দুর্নীতি বিরোধী শপথবাক্য পাঠ করান।
চলারপথ রিপোর্ট :
“করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা, অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নদী প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন “তরী বাংলাদেশ” এর আয়োজনে পালিত হলো বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৪।
আজ ৬ জুন বৃহস্পতিবার দিবসটি উপলক্ষে জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কায়ার থেকে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ পর্যন্ত একটি বর্ণাঢ্য সচেতনতা র্যালি শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ মিলনায়তনে নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষায় করণীয় শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের পরিচালক মো. মনির হোসেন, জেলা খেলাঘর সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, জেলা পরিষদ সদস্য রোমানুল ফেরদৌসী, হাকিম রেজা। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন তরী বাংলাদেশ আহবায়ক শামীম আহমেদ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা পরিবেশ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা, গুরুত্ব ও করণীয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল মিয়া ‘তরী বাংলাদেশ’ এর সকল কাজে পাশে থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নদী, খাল, জলাশয় রক্ষা তথা পরিবেশ রক্ষায় সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন। ‘তরী বাংলাদেশ’ আহবায়ক শামীম আহমেদ বলেন পরিবেশ রক্ষায় নদী-প্রকৃতি সুরক্ষার বিকল্প নেই। পরিবেশ তথা আমাদের জীবনের স্বার্থে সারাদেশের নদী-খাল দখল দূষণ মুক্ত রাখা জরুরি। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নদী-খাল-জলাশয় রক্ষায় অন্যান্য সংস্থার পাশাপাশি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্য গণ আরো কার্যকর ভূমিকা রাখবেন।
আব্দুল মতিন শিপন এর সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘তরী বাংলাদেশ’ আহবায়ক কমিটির সদস্য খালেদা মুন্নী।
বক্তব্য রাখেন তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক কমিটির সদস্য হৃদয় কামাল, সরাইল উপজেলা আহবায়ক মো. মাহবুব খান, বিজয়নগর উপজেলা তরী সদস্য মো. সাদেকুল ইসলাম ভূইয়া, শাহ আবুল মনসুর আল-আমীন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন তরী বাংলাদেশ সদস্য খাইরুজ্জামান ইমরান, নাফিস আহমেদ সেলিম, সুশান্ত পাল, নাজমুল খান, শিপন কর্মকার, শিরিন আক্তার, নাজমা আক্তার, আব্দুল হেকিম সহ প্রমুখ।