অনলাইন ডেস্ক
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা। বিশেষ করে খাদ্যমূল্য, সেখানে উৎপাদন এবং সরবরাহ বৃদ্ধি করতে হবে। বৃষ্টির কারণে যেমন আলুর বীজ নষ্ট হয়ে গেছে, তো এই রকম অনেক কিছুই আছে। আমরা এখনও উৎপাদনমুখী হলে খাদ্যে কোনো দিন অভাব হবে না। বিশ্ব পরিস্থিতি মাথায় রেখে আমাদের পরিকল্পনা নিয়ে চলতে হবে।
ছয় দফা দিবস উপলক্ষে আজ ৭ জুন শুক্রবার বিকালে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বৃহস্পতিবার বাজেট দিয়েছি, বিএনপির আমলে সবশেষ বাজেট মাত্র ৬২ হাজার কোটি টাকার ছিল। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়েছিল ৬৮ হাজার কোটি টাকার, সেখানে আমরা ৭ লাখ ৯৮ হাজার কোটি টাকা বাজেট প্রস্তাব করেছি। এই বাজেটে মানুষের মৌলিক যে অধিকার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য তারপর দেশীয় শিল্প, সেগুলো এবং সামাজিক নিরাপত্তা, এসব বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, যা মানুষের জীবনকে উন্নত করবে, নিশ্চয়তা দেবে। তার কারণ হচ্ছে, আমরা এগিয়ে যাচ্ছিলাম, কোভিড ১৯ এর অতিমারি দেখা দিয়েছিল, এই অতিমারির ফলে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা হয়েছে, আমরাও সেই মন্দায় পড়ে গেলাম। সারা বিশ্বে প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে গেল। এরপর আসল ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ, এরপর স্যাংশন পাল্টা স্যাংশন, ফলে প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের মানুষকে খাওয়াতে হবে আগে। রিজার্ভ কত আছে না আছে, সেটার চেয়ে বেশি দরকার আমার দেশের মানুষের চাহিদাটা পূরণ করা। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা পানির মতো টাকা খরচ করেছি। বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেটা কোনো উন্নত দেশ করেনি, বিনা পয়সায় কোভিড ১৯ এর ভ্যাকসিন দিয়েছি, বিনা পয়সায় টেস্ট করিয়েছি। সেটা করেছি কেন? মানুষকে বাঁচাতে। চিকিৎসা বিনা পয়সায়, যে ডাক্তার চিকিৎসা করেছে তাদের প্রতিদিন আলাদা ভাতা দিতে হতো, এভাবে পানির মতো টাকা খরচ হয়েছে। তারপর যখন দাম বেড়েছে তখন ২০০ ডলারের গম ৬০০ ডলার করেও আমি কিনে নিয়ে এসেছি। ঠিক সেইভাবে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে, উন্নত দেশগুলোও এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে।
কালো টাকা সাদা করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা প্রশ্ন আসছে, কালো টাকা নিয়ে। কালো টাকা নিয়ে আমি শুনি, কালো টাকা সাদা করলে আর কেউ ট্যাক্স দেবে না। ঘটনা কিন্তু এটা না, এটা শুধু কালো টাকা নয়। জিনিসের দাম বেড়েছে, এখন এক কাঠা জমি যার আছে সেই কোটিপতি। কিন্তু সরকারি যে হিসাব, সেই হিসাবে কেউ জমি বিক্রি করে না। বেশি দামে বিক্রি করে, এতে কিছু টাকা উদ্বৃত্ত হয়। এই টাকাটা তারা নিজেদের কাছেই রাখে। এবার আমরা চেয়েছি এমন ব্যবস্থা করতে যাতে করে সামান্য কিছু টাকা দিয়ে তারা যেন সেটা আসল পথে নিয়ে আসে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নরসিংদীতে প্রতিবন্ধী শিশুসহ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আজ ১৫ জুলাই শনিবার দিনব্যাপী সেন্টার ফর ডিজঅ্যাবিলিটি ইন ডেভেলপমেন্টের (সিডিডি) উদ্যোগে সাইটসেভার্স’র সহযোগিতায় নরসিংদী সদর উপজেলার অরবিট রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড পার্টি সেন্টারে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষণে নরসিংদী সদর উপজেলার ১৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৩ জন শিক্ষক অংশ নেয়। প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন নরসিংদী সদর উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা অনিতা পাল, প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফারুক আজিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়শ্রী সাহা।
প্রশিক্ষক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ভেলানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন, সাইটসেভার্স’র জেলা সমন্বয়কারী রিংকু ইম্মানুয়েল কস্তা, সিডিডি’র সিনিয়র সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর আলম ও ইঙ্কলুসিভ এডুকেশন অফিসার আরিফুল ইসলাম।
অনলাইন ডেস্ক :
বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম ও বিষয়বস্তু পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করার নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘পরিবর্তনগুলো এতই বেশি ছিল যে, তখন যদি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (নাম) রাখা হতো, তাহলে ডিজিটাল নিরাপত্তা (সংশোধন) আইন হতো। এটি বিভ্রান্তিকর হতো। এ জন্য এটিকে সম্পূর্ণ পাল্টিয়ে নতুন আইন করা হচ্ছে। ব্যাপ্তি বাড়ানোর জন্য এটির নাম দেওয়া হয়েছে সাইবার নিরাপত্তা আইন।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস আজ ৮ আগস্ট মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর সাংবাদিকদের কাছে প্রস্তাবিত নতুন আইন নিয়ে কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
প্রশ্ন উঠেছে পুরোনো আইনের (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) মামলা এবং সেগুলোর শাস্তি এখন কী হবে- এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী জানান, এগুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আইনের অবস্থান হলো যেসব অপরাধ পুরোনো আইনে করা হয়েছে, সেই পুরোনো আইনে যে শাস্তি, সেই শাস্তি অপরাধীকে দিতে আদালত বাধ্য। কিন্তু সেখানে চিন্তাভাবনা করা হবে, এই (প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন) আইনে যেহেতু শাস্তির পরিমাণ অনেকাংশে কমানো হয়েছে এবং সেই কমানোটিই সরকারের এবং আইনসভার উদ্দেশ্য। তাই সেই কমানোটি যাতে বাস্তবায়িত হয়, সেই চেষ্টা করা হবে।’
তার আগে গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে সাইবার নিরাপত্তা আইন নামে নতুন একটি আইন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। নতুন আইনটি হলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত হয়ে যাবে। প্রস্তাবিত নতুন আইনে সাজা যেমন কমানো হয়েছে, তেমনি অনেকগুলো অজামিনযোগ্য ধারাকে জামিনযোগ্য করা হয়েছে। মানহানি মামলার জন্য কারাদণ্ডের বিধান বাদ দিয়ে শুধু জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। তবে জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।
প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইসের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যে নতুন আইনটি করা হচ্ছে, সেটি এখনো তিনি (গোয়েন লুইস) সম্পূর্ণভাবে দেখেননি। দেখেননি বলেই তিনি সম্পূর্ণভাবে মন্তব্য করতে পারছেন না। এটির যে পরিবর্তন এসেছে এবং তিনি যেটি শুনেছেন, সেটি যদি হয়ে থাকে, তাহলে এটি ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।’
তিনি বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে গতকাল আপনাদের যা বলেছি, ওনার সঙ্গে আলাপ-আলোচনাতেও একই কথা বলেছি। সাইবার নিরাপত্তা আইনের একটি দফায় (ধারা) আছে এটিকে (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) রহিত করা হয়েছে এবং এটিকে রহিত করা হবে। কিন্তু কথা হচ্ছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মধ্যে যেসব কারিগরি ধারা ছিল, সেগুলো সাইবার নিরাপত্তা আইনেও আছে। সে জন্য সব সময় বলে আসছি, এটি পরিবর্তন হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা সংশোধনও হয়নি, আবার কেউ যদি বলে সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করা হয়েছে, সেটিও সম্পূর্ণভাবে ঠিক হবে না। কিন্তু পরিবর্তন হয়েছে।’
চলারপথে ডেস্ক :
সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভুলে যান। তত্ত্বাবধায়ক সরকার স্লোগান এনে লাভ নাই। একেবারেই ভুলে যান। ওই অস্বাভাবিক সরকার, অসাংবিধানিক সরকার বাংলাদেশের আসবে না, ইনশাআল্লাহ।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, লাফালাফি-বাড়াবাড়ি যতই করেন, জনগণের কাছে এখনো ডাক দিয়ে সাড়া ফেলতে পারেন নাই। সংবিধান থেকে এক চুলও নড়ব না আমরা। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী, কোনো নড়ন-চড়ন হবে না।
আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের পদত্যাগের দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, মামা বাড়ির আবদার। কোন দোষে সরকার পদত্যাগ করবে। কি কারণে নির্বাচনের আগে সরকার পদত্যাগ করবে। কারণটা কি? হাওয়া ভবনের যুবরাজ তারেককে ক্ষমতায় বসানোর জন্য? ওই খাম্বা সরদার ক্ষমতায় বসবে? বাংলাদেশের মানুষ এই খাম্বা সরদারকে এ দেশের ক্ষমতার মঞ্চে আর বসতে দেবে না। ভুলে যান ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন। কত দুর্নীতি করেছেন ভুলে গেছেন?
বছরব্যাপি কর্মসূচি পালন করা হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোনো পাল্টাপাল্টি নয়। প্রতিদিনই প্রোগ্রাম হবে। বাংলাদেশের যে কোনো জায়গায় হবে। কখনো সম্মেলন হবে। কখনো গণসংযোগ হবে, কখনো শান্তির সমাবেশ হবে, কখনো সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলবে, আওয়ামী লীগ এ কর্মসূচি নিয়ে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকবে। জনগণের ঘরে ঘরে যাবে।
তিনি আরো বলেন, কাউকে নামতে দেব না- এ কথা বলবেন না। সবাই নামবে। রাজপথ সবার। রাস্তা সবার। কিন্তু রাস্তায় নামবেন ১৩-১৪ সালের মতো ৫০০ মানুষ পুড়িয়ে মারবেন, অগ্নিসন্ত্রাস করতে রাস্তায় নামবেন। সরকারি অফিস পোড়াবেন। রিক্সা ড্রাইভার, বাস ড্রাইভার পুড়িয়ে মারবেন- তা হতে দেয়া হবে না।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপির এক নেতা নাকি বলেছেন- বাংলাদেশে নির্বাচন বা বাংলাদেশের ভাগ্য ও সমস্যা এ দেশের লোকজন মিটাতে পারবে না। দুইদল আওয়ামী লীগ-বিএনপিও মেটাতে পারবে না।
এটা মেটাতে নাকি যুক্তরাষ্ট্র আর যুক্তরাজ্যকে লাগবে।
অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলতে চাই- শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ। বাংলাদেশে কী হবে, না হবে- সেটা বাংলাদেশের জনগণ বুঝবে এবং চাইবে। আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। আমাদের স্বাধীনতার উৎস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আজ ৩০ এপ্রিল রবিবার দুপুরে কসবা উপজেলার টি আলী কলেজ মাঠে এবি ব্যাংক লিমিটেড আয়োজিত কৃষিঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রায় ১৮০০ কৃষককে ১৭ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়।
আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র যে শুধু বিদেশিরাই করে তা নয়। বিদেশিরা যেন ষড়যন্ত্র করতে পারে, তার জন্য আমাদের দেশীয় কিছু সাহেব তাদের কান ভারি করছে। এরা গিয়ে বিদেশিদের বলে বাংলাদেশের মানুষ বড় কষ্টে আছে, বহু অত্যাচারে আছে।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। কথা সঠিক, আমরাও সেটা বুঝি। আমরাও চেষ্টা করি সেটা লাঘব করার। মানুষের কষ্ট হচ্ছে আমরা জানি। কিন্তু এটা কেন হচ্ছে? এই দাম তো পাঁচ বছর আগে বাড়েনি। এখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সবকিছুর ঊর্ধ্বগতি। যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্ব এই জায়গায় পৌঁছেছে।
এবি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আফজালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া, কসবা পৌরসভার মেয়র গোলাম হাক্কানী, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিমুল এহসান খান ও কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ডাকাতিয়া নদীতে নৌকা ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৮ আগস্ট শুক্রবার উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের খাটরা গ্রামে ডাকাতিয়া নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত দুই সহোদর উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের খাটরা গ্রামের আবুল হাসেমের বাড়ির আনিসুর রহমানের ছেলে তানভীর রহমান (১৬) ও তার বোন অরণ্য আক্তার (২০)।
জানা গেছে, তানভীর ও অরণ্যের পরিবার ঢাকায় থাকে। উপজেলার গুণবতীতে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসে তারা। শুক্রবার বেলা ১১টার পর তানভীর রহমান ও অরণ্য আক্তার মামাতো ভাইদেরকে সাথে মোট ৬ জন ডাকাতিয়া নদীতে ঘুরতে যায়। মাঝ নদীতে প্রবল বাতাসে নৌকা উল্টে ডুবে যায়। এ সময় সাথে থাকা সাঁতার জানা মামাতো ভাইসহ চারজন সাঁতরে তীরে আসে। কিন্তু সাঁতার না জানায় উঠতে পারেনি তানভীর ও অরণ্য। গ্রামবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় বিকালে ভাই তানভীর রহমান ও বোন অরণ্যকে মৃত অবস্থায় ডাকাতিয়া নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা সন্ধ্যায় বলেন, ভাই-বোনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।