চলারপথে রিপোর্ট :
স্মার্ট ভূমিসেবা, স্মার্ট নাগরিক এই স্লোগানকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় আজ ৮ জুন শনিবার থেকে ভূমি সেবা সপ্তাহ শুরু হয়েছে। সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন উপলক্ষে সকালে আখাউড়া উপজেলা মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আখাউড়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এস. এম. রাহাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম, আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম, একাডেমি সুপার ভাইজার কফিল উদ্দিন মাহমুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার, আখাউড়া মনিয়ন্দ ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম চৌধুরী, আখাউড়া উওর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলে রাব্বি প্রমুখ।
বক্তারা, ভূমি সেবা নিয়ে বিভিন্ন দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন। নামজারি জমা খারিজসহ বিভিন্ন খাতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ করা হয়। ভূমি সেবা সহজীকারণ ও স্বচ্ছতার আহবান জানান। ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে আইন কানুন সম্পর্কে জানার আহবান জানানো হয়। ভূমির কাগজপত্র সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করার আহবান জানানো হয়। ঘরে বসে সরকারের সেবা গ্রহণের আহবান জানানো হয়। সঠিকভাবে ভূমি সেবা দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সভা সঞ্চালনা করেন উপজেলা ভূমি অফিসের সার্টিফিকেট সহকারি শীপন মিয়া।
আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত উপজেলর সকল ভূমি অফিসে ভূমি উন্নয়ন কর, খাজনা পরিশোধ, নামজারিসহ বিভিন্ন সেবা দেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার বকতারপুর গ্রামের মো. ইদ্রিস ১৯৮০ সাল থেকে ভারতে অবস্থান করছিলেন। সেখানে স্থায়ীভাবে বাসও গেড়েছিলেন। সেখানকার নাগরিকত্ব নিয়ে পাসপোর্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের বাড়িতে যাওয়া আসা করতেন। সম্প্রতি পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হলে অবৈধ পথে বাংলাদেশে আসেন। ফেরার পথে ভারতের আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে সত্যটা স্বীকার করেন।
অবশেষে প্রায় ৪৫ বছর পর ভারত থেকে ফিরতে হলো মো. ইদ্রিসকে। আজ ১৯ জানুয়ারি রবিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে তাকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। একই সময়ে প্রেমের ‘ফাঁদে’ ঘর ছাড়া আরতি দাসকে (ছদ্মনাম) বাংলাদেশে পাঠানো হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইদ্রিস ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে ভারতের ত্রিপুরায় আটক হন। ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার আরতি নামে ওই কিশোরী মাস ছয়েক আগে আটক হন। দুই দেশের মধ্যে আলোচনা শেষে তাদেরকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়।
এ সময় আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারি হাই কমিশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ওমর শরীফ, স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম, বিজিবি’র নায়েব সুবেদার মো. মালেকুল ইসলাম, বিএসএফ কম্পানি কমাণ্ডার অভিষেক শিংসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরতির বাবা জানান, তার স্ত্রী বেঁচে নেই। মেয়েকে লালন পালন করবেন বলে বিয়েও করেননি। কখন যে সে সীমান্ত পাড়ি দেয় তা তিনি বুঝতে পারেননি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ভারতে তার মেয়ের অবস্থানের কথা জানতে পারেন। মেয়েকে কাছে পেয়ে তিনি এখন খুশি।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাতের আঁধারে সুযোগ বুঝে ফল-ফলাদি চুরি করতেন একদল চোর। পরে গাছের মালিকদের গালাগালিতে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে চিঠি দিয়ে মালিকের কাছে ক্ষমা চাইলেন চোর। সেই সঙ্গে ফিরিয়ে দিয়েছেন চুরি করা ফলও।
এমনই এক আলোচিত ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামে। মালিকের বাড়িতে চুরি করা ফল পৌঁছে দিয়ে চিঠির মাধ্যমে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখন গ্রামজুড়ে আলোচনা চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরে বাউতলা গ্রামে পেঁপে, কলা, আমসহ গাছের নানা রকমের ফল চুরির ঘটনা ঘটছে। শখের বশে বাড়ির আশপাশে লাগানো নানা প্রকারের ফল-ফলাদি কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন ফল-ফলাদি চুরি হওয়ায় অনেকের মাঝে এক রকম চাপা ক্ষোভ বিরাজ করে। সর্বশেষ ঐ গ্রামের আবু তাহের মিয়ার মেয়ে আসমা আক্তার এবং সাদ্দাম হোসেনের বাড়ি থেকে কলা ও পেঁপে চুরি হয়। এ নিয়ে আসমা আক্তার কষ্টে চোরদের উদ্দেশ্যে গালাগালি করেন। এ ঘটনার দুই দিন পর রাতের কোনো এক সময় তাদের বাড়ির বারান্দায় চুরি করা একটি পাকা কলার বড় কাঁদি রেখে যান চোরেরা। সঙ্গে একটি চিঠিও দিয়ে যান।
ওই চিঠিতে চোরের দল লিখেছে, ‘আমরা আপনার কলা গাছ থেকে কলা চুরি করেছি। তাই আপনারা আমাদেরকে গালাগালি করেছেন। আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পেরেছি। তাই আমাদের পরিমাণ মতো কলা খেয়ে বাকিটা আপনার জন্য নিয়ে এসেছি। আপনারা আমাদেরকে মাফ করে দেন। আর যদি গালাগালি করেন তাহলে বাকি কলা নিয়ে যাব।’
এ সময় সাদ্দাম হোসেন বলেন, বাড়িতে কোনো গাছের ফল-ফলাদি রাখা যাচ্ছে না। শখ করে বিভিন্ন জায়গা থেকে এনে কলা, পেঁপেসহ নানা প্রকারের ফলের গাছ লাগানো হয়। অনেক গাছে ফল এসেছে। কিন্তু কে বা কারা রাতের আঁধারে নিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, একটি চিঠি পাওয়া গেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে সন্দেহমূলক ছেলেদের হাতের লেখা পরীক্ষা করে বোঝা যাবে এ কাজগুলো কারা করছে। সবার মাঝে কৌতূহল জেগেছে গ্রামে এসব কারা করছে সে বিষয়ে জানার জন্য।
স্থানীয় বাসিন্দা আবু কালাম বলেন, মৌসুমী ফল মানুষ শখ করে বাড়ির আশপাশে লাগিয়ে থাকে। এসব চুরি করে নিয়ে যাওয়া দুঃখজনক।
চলারপথে রিপোর্ট :
নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই কারণ দর্শানোর নোটিশে আগামী ৫ মে বিকেল চারটায় স্বাক্ষরকারির কার্যালয়ে গিয়ে কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবেনা সেই মর্মে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়।
শাহাব উদ্দিন বেগ আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করে তিনি ধর্মীয় উপসানালয়ে গিয়ে প্রচারণা ও প্রচার কাজে যানবাহন ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ উঠে। এরই প্রেক্ষিতে তাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়।
রিটার্নিং অফিসার স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সোশ্যাল মিডিয়া ও মিডিয়া সেল ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে শাহাব উদ্দিন বেগ নির্বাচনী বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করেছেন। এটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০১৬ বিধিমালা এর ১৩ ও ২০ পরিপন্থী। ১ মে স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে আগামী ৫ মে শাহাব উদ্দিনকে স্বশরীরে হাজির হয়ে বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে বিষয়ে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া সীমান্ত এলাকা থেকে এক হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মো. রাব্বি মিয়া (২০) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আজ ৪ নভেম্বর শনিবার সকালে ওই যুববকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার রাতে উপজেলার মনিয়ন্দ এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে আটক করে। আটক রাব্বি মিয়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ মিনারকোট গ্রামের মৃত কবির মিঞার ছেলে।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, উপজেলার মনিয়ন্দ সীমান্তবর্তী গ্রাম দক্ষিণ মিনারকোট এলাকায় ইয়াবা কেনবেচার সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোঃ রাব্বি নামক এক যুবককে আটক করে। তার প্যান্টের পকেট থেকে বিশেষ ভাবে রক্ষিত এক হাজর ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দরে এক ভারতীয় যাত্রীর কাছ থেকে দাঁতের রুট ক্যানেল চিকিৎসায় ব্যবহৃত ১৭ বক্স ওষুধ জব্দ করেছে শুল্ক কর্তৃপক্ষ।
১৫ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ব্যাগেজ স্ক্যানিংয়ের সময় ওষুধগুলো জব্দ করা হয়।
তবে আনোয়ারা বেগম (৪৬) নামের ওই যাত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তার বাড়ি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা শহরের দক্ষিণ রামনগর এলাকায়।
স্থলবন্দরের শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে ভারতীয় যাত্রী আনোয়ারা বেগম আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসেন। ইমিগ্রেশন সম্পন্নের পর ব্যাগেজ স্ক্যানিংয়ের সময় তার ব্যাগ থেকে ১৭ বক্স ওষুধ পাওয়া যায়। এসব ওষুধের দাম কয়েক লাখ টাকা। পরবর্তীতে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় শুল্ক কর্তৃপক্ষ ওষুধগুলো জব্দ করে ওই যাত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সাদরুল হাসান চৌধুরী জানান, ওষুধগুলো জব্দ করে ওই যাত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।