অনলাইন ডেস্ক : তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদী। আজ ৯জুন রবিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭ টায় শপথগ্রহণ করেন তিনি। শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় রাষ্ট্রপতি ভবন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। এর মধ্য দিয়ে কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহেরুর পর ভারতে টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হলেন মোদী।
রাষ্ট্রপতি মোদী ও ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) অন্যান্য নেতাদেরকে নতুন সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। মোদীর পরই শপথ নিয়েছেন রাজনাথ সিং। পাশাপাশি তার মন্ত্রিপরিষদের আরও কয়েকজন সদস্যও শপথ গ্রহণ করছেন।
অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, ভুটানসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা। কেবল বিদেশিই নয়, ভারতের রাজনৈতিক নেতাদেরকেও আমন্ত্রণ জানানো হয় মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে।
এর মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়গে। তবে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি অনুষ্ঠানে যাননি। ওদিকে, চলচ্চিত্র তারকারা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন।
শপথের আগে সকাল সকাল মোদীকে গিয়েছিলেন রাজঘাটে। মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধের সামনে গিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তিনি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর সৌধ ‘সদৈব অটল’-এর কাছেও গিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন তিনি।
মোদীর শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান উপলক্ষে সাজ সাজ রব ছিল দিল্লিতে। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় রাজধানী। তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়ের ব্যবস্থা নেয় দিল্লি পুলিশ। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের কারণে দিল্লির আকাশসীমাতেও রোববার কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে ২৯২টি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ পেয়েছে ২৩৩টি আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে এনডিএ সরকার গড়লেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। ফলে তারা চাপে রয়েছে।
সরকার গঠনের ক্ষেত্রে বিজেপি’কে শরিক দলগুলোর ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এনডিএ শরিকরা মোদীকেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বেছে নিয়েছেন। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তিনি শপথ নিলেন। রোববারই সরকার গড়ার কথা রয়েছে এনডিএ’র।
শপথ নেওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকের পর মোদী বলেছিলেন, “সকালে এনডিএ জোটের সব শরিক আমাকে নেতা হিসাবে বেছে নিয়েছে এবং রাষ্ট্রপতিকে তা জানিয়েছে। রাষ্ট্রপতি এরপর আমাকে ডেকেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন। তারপরই আমি সন্ধ্যায় শপথগ্রহণের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছি।”
এনডিএ-কে জয়যুক্ত করার জন্য জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে মোদী বলেন, “এনডিএ-কে তৃতীয়বারের মতো দেশের সেবা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আমাদেরকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি দেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে চাইৃ আমি এও বলতে চাই, গত দুই মেয়াদে দেশ যে গতিতে উন্নতি করেছে এবারও আমরা একই গতিতে একই দিশায় কাজ করে যাব।”
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ পাঁচ বছরের প্রতীক্ষার অবসান হলো। পুটয়াখালীর বাউফলের মো. ইমরান হোসেনের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার নিকি উল ফিয়ার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
আজ ০১ মার্চ বুধবার রাতে সাড়ে ৭টার দিকে ১০১ টাকা দেনমোহরে নিকিকে বিয়ে করেন ইমরান। স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা শহিদুল ইসলাম এই যুগলের বিয়ে পড়ান। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এর আগে দুপুরে সশরীরে উপস্থিত হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আশিকুর রহমানের সামনে উপস্থিত হয়ে এভিডেভিডের মাধ্যমে বিয়ের সম্মতি দেন নিকি। এরপর আইনজীবীর সহযোগিতায় বিয়ের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করে বাউফলের উদ্দেশ্য রওনা হন।
দুই দেশের ভিন্ন ভাষাভাষীর দুজন মানুষের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর বিয়ের জন্য ২০১৭ সালে পটুয়াখালীর বাউফলে এসেছিলেন নিকি উল ফিয়া। তখন বিয়ের বয়স না হওয়ায় নিজ দেশ ইন্দোনেশিয়ায় চলে যান তিনি।
পরে গত সোমবার ফ্লাইটে করে বাংলাদেশের শাহজালাল বিমানবন্দরে আসেন ওই তরুণী। ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে বুধবার সকালে পটুয়াখালীতে আসেন নিকি।
বাউফলের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ইমরান ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। বর্তমানে তার বয়স ২৫ বছর। আর নিকি উল ফিয়ার বয়স ২৩ বছর। নিকি ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া প্রদেশের জেম্বার এলাকার বাসিন্দা ইউলিয়ানতোর মেয়ে। তার মায়ের নাম শ্রীআনি।
ইমরান হোসেন বলেন, নিকির সঙ্গে আমার সাত বছরের প্রেমের সম্পর্ক। আমরা জজকোর্টে এসে বাংলাদেশি আইনে নিয়ম মেনে বিয়ের সম্মতি দিয়েছে। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
ইন্দোনেশিয়ান তরুণী নিকি উল ফিয়া বলেন, বাংলাদেশ আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আজকের দিনের জন্য আমি খুব খুশি এবং আমি সারা জীবন বাংলাদেশে থেকে যাব।
ইমরানের মা মোসাম্মাদ বিথী আকতার বলেন, যেহেতু সে অন্য একটি দেশের মেয়ে আমাদের বাংলাদেশে এসেছে। আমার কাছে ভালো লাগছে। আমরা ছোট পরিসরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিয়ের আয়োজন করেছি।
অনলাইন ডেস্ক :
অস্ট্রেলিয়ার রেইনবো উপসাগরের গোল্ড কোস্ট সৈকতে পোষা অজগর নিয়ে সার্ফিং করায় এক ব্যক্তিকে ১ হাজার ৪৯৫ মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়েছে। দেশটির বন্য প্রাণী কর্তৃপক্ষ এই জরিমানা করেছে। সূত্র : বিবিসি
ওই ব্যক্তির নাম হিগর ফিউজা। কুইন্সল্যান্ডের পরিবেশ ও বিজ্ঞান বিভাগ তদন্ত শেষে চলতি সপ্তাহে তাকে এই জরিমানা করেছে।
এই মাসের শুরুতে ফিউজা তার পোষা ‘শিবা’ নামের ব্রেডলি কার্পেট পাইথন প্রজাতির সাপের সঙ্গে সার্ফিং করেন। তাদের সেই সার্ফিং করার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
বন্য প্রাণী কর্মকর্তা জোনাথন ম্যাকডোনাল্ড এক বিবৃতিতে বলেন, জনসমক্ষে নিয়ে যাওয়ায় অজগরটি আতঙ্কিত হয়ে মানুষের ক্ষতি করতে পারত। এ ছাড়া এ ধরনের ঘটনা জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করে।
তবে ফিউজা রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনকে বলেন, তিনি এর আগেও তার পোষা অজগরের সঙ্গে অন্তত ১০ বার সার্ফ করেছেন। অজগরটি পানিতে সাঁতার কাটতে ও সার্ফিং করতে পছন্দ করে।
অনলাইন ডেস্ক :
গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিবিনিময় চুক্তি নিয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে। এরই মধ্যে ইসরায়েলি বিমান ও ড্রোন হামলায় গাজায় অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছেন বলে ওয়াফা নিউজ এজেন্সির বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সোমবার দেশটিতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে তিনজন এবং গাজা শহরে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে একদিনে অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছেন।
এদিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে তিনটি বাড়িতে ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। গতকাল হাসপাতালের কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন। গাজা নগরীতে দুটি বাড়িতে হামলায় আরও চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজার সীমান্ত সংলগ্ন ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের যোদ্ধারা নজিরবিহীন হামলা চালায়। ওই হামলায় প্রায় ১২০০ জন নিহত হয়েছে বলে ভাষ্য ইসরায়েলের। ইসরায়েলের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে প্রাণঘাতী একক হামলা। এ হামলা চলাকালে হামাসের যোদ্ধারা প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশিকে ধরে গাজায় নিয়ে বন্দি করে রাখে।
এর জবাবে ইসরায়েল হামাসকে নির্মূল করার ঘোষণা দেয়। ওই দিন থেকেই তারা হামাস শাসিত গাজায় ভয়াবহ আক্রমণ শুরু করে। তারপর থেকে প্রায় সাত মাস ধরে চলা ইসরায়েলে অবিরাম হামলায় গাজায় ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
এদিকে নির্বিচার হামলায় প্রায় পুরো গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং ভূখণ্ডটির ২৩ লাখ বাসিন্দার অধিকাংশ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
আমেরিকায় কখোনো যা ঘটেনি, সেটাই ঘটতে যাচ্ছে মেক্সিকোতে। নারী নেতৃত্ব পেতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নিকট-প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো। কারণ দেশটির নির্বাচনে প্রধান তিন প্রতিদ্বন্দ্বীর শীর্ষস্থানীয় দু’জনই নারী।
আজ ২ জুন রবিবার (বাংলাদেশ সময় রবিবার দিবাগত রাত) মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন।
এতে ক্ষমতাসীন মরেনা পার্টির প্রার্থী ক্লাউডিয়া শেইনবাম এবং ‘ফোয়েরজা ওয়াই কোরাজন ফর মেক্সিকো’র যোসিটি গ্যালভেজ হচ্ছেন সম্মিলিত বিরোধী দলের প্রার্থী। এ দুজনই জুইশ বংশোদ্ভূত মেক্সিকান এবং সাম্প্রতিক সব কটি জরিপে তাদের একজনের বিজয়ের সম্ভাবনা দেখা গেছে।
বর্তমান প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ অনুসারী ক্লাউডিয়া হচ্ছেন একজন বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী এবং মেক্সিকো সিটির মেয়র হিসেবেও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। সবচেয়ে বড় পরিচয় হচ্ছে তিনি মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তকে নিরাপদ করতে কয়েক বছর থেকেই কাজ করছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ম্যানুয়েল লোপেজ অবরাডোরের সহযোগী হিসেবে।
বিশেষ করে সীমান্তরক্ষীদের দৃষ্টি ফাঁকি দিয়ে মেক্সিকানদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে পড়া এবং নেশাজাতীয় দ্রব্য পাচার রোধে ক্লাউডিয়ার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার কথা হোয়াইট হাউসের বিবেচনায় রয়েছে।
অপর নারী প্রার্থী যোসিটি গ্যালভেজ হচ্ছেন সাবেক সিনেটর এবং ব্যবসায়ী। সব জরিপে দ্বিতীয় শীর্ষে অবস্থান করছেন তিনি। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন পুরুষ প্রার্থী জর্জ অ্যালভারেজ ম্যাইনেজ।
হিলারি ক্লিনটন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে অন্যতম বৃহত্তম ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন পেয়েও ২০১৬ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হেরে যান। অর্থাৎ উন্নয়নের শীর্ষে এবং মানবাধিকার নিয়ে সদা মুরব্বিয়ানায় ব্যস্ত আমেরিকা তার নেতৃত্ব নারীর কাছে সঁপে দিতে চায়নি। এমন পরিস্থিতিতে অর্থনীতিসহ নানা ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা মেক্সিকোতে নারী ক্ষমতায়নে বিপ্লব ঘটতে যাচ্ছে এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে-এমন অভিমত পোষণ করেছেন ওয়াশিংটন ডিসির থিংকট্যাংক ‘কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্স’র সিনিয়র ফেলো শ্যানন ও’নীল।
শ্যানন মনে করছেন, মেক্সিকোতে এমন কিছু বাজে কাণ্ড ঘটে-যার ফলে সুধীজনের পক্ষে দেশটিতে নিরাপদে অবস্থান করা কঠিন। তবে নারী ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে এবং প্রকারান্তরে প্রভাবিত করতেও যাচ্ছে।
মেক্সিকোর পরবর্তী প্রেসিডেন্ট সত্যি অন্যতম একটি ইস্যুতে পরিণত হতে যাচ্ছেন। নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মেক্সিকোর ইতিহাসের গতি-প্রকৃতি পাল্টে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সূত্র : এনডিটিভি
অনলাইন ডেস্ক :
মিয়ানমারের জান্তানিয়ন্ত্রিত তেল-গ্যাস কোম্পানি মিয়ানমার অয়েল অ্যান্ড গ্যাস এন্টারপ্রাইজের (মগে) ওপর বিশেষ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন অর্থবিষয়ক ট্রেজারি বিভাগ।
এর আগে দেশটির সামরিক শাসক ও শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার খড়গ আরোপ করলেও এবারই প্রথম দেশটির রাষ্ট্রীয় সংস্থার ওপর সরাসরি আঘাত হানল ওয়াশিংটন।
সেনাশাসিত দেশটির বৈদেশিক রাজস্ব আয়ের প্রধান উৎস হচ্ছে জ্বালানিবিষয়ক এই রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ট্রেজারি বিভাগ থেকে এক বিবৃতিতে এ নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়। আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে এটি কার্যকর হবে। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় তেল ও গ্যাস এন্টারপ্রাইজের বেশ কিছু আর্থিক পরিষেবা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ট্রেজারি বিভাগ। এসব পরিষেবার মধ্যে আছে— ঋণ, অ্যাকাউন্ট, বিমা, বিনিয়োগ ও অন্যান্য পরিষেবা।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির জান্তা সরকারের বৈদেশিক আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস হলো তেল ও গ্যাস রপ্তানি।
জান্তা সরকারের পরিসংখ্যান অনুসারে, শুধু এই খাত থেকে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ থেকে ছয় মাসে ১৭২ কোটি ডলার আয় করেছে সেনা সরকার। দেশটির তেল ও গ্যাস শিল্পের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মগে।
বিশেষ এই নিষেধাজ্ঞার ফলে মিয়ানমারের এই এন্টারপ্রাইজকে মনোনীত প্রতিষ্ঠানের তালিকা থেকে বাদ দেবে ওয়াশিংটন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকেও বের করে দেওয়া হবে মগেকে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এর বাণিজ্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হবে। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে এর সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হবে।
মানবাধিকার সংগঠন জাস্টিস ফর মিয়ানমারের মুখপাত্র ইয়াদানার মাউং যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, মগের বিরুদ্ধে মার্কিন আর্থিক পরিষেবা বন্ধের ঘোষণা তেল ও গ্যাস খাত থেকে জান্তার তহবিলে বিশাল অর্থের প্রবাহকে ব্যাহত করবে।
জান্তা সরকারের বৈদেশিক অর্থ ও অস্ত্রের প্রধান উৎস মগের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ অব্যাহত রাখা উচিত। এ সময় তিনি মগের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানান।