চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি ফেরার পথে তিন মেয়েসহ নিখোঁজ গৃহবধূর (২৮) সন্ধান পাওয়া গেছে।
আজ ৯ জুন রবিবার দুপুরে বগুড়ার এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করে বিজয়নগর থানা পুলিশ। বিজয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, ওই গৃহবধূ ও তার তিন সন্তানকে উদ্ধার করে পুলিশী হেফাজতে রাখা হয়েছে। গৃহবধূর জবানবন্দি নেওয়া হলে নিখোঁজের কারণ জানা যাবে। প্রসঙ্গত, গত ২ জুন রবিবার ওই গৃহবধূ ও তাদের তিন মেয়েকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে বিজয়নগর উপজেলার মিরাশানী (ভূঁইয়া বাড়ি) বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। গত ৭ জুন শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি তিন মেয়েকে নিয়ে আখাউড়া থেকে আবার শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে অটোরিকশায় করে বিজয়নগরের সিঙ্গারবিল বাজারে আসেন। এরপর থেকে আশপাশের আত্মীয়-স্বজন, হাসপাতালসহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ করেও তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় ৮ জুন শনিবার নিখোঁজ গৃহবধূর বাবা আব্দুল আউয়াল ভূঁইয়া বিজয়নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিপুল পরিমাণ চেতনানাশক ওষুধ ও হালুয়াসহ আন্তঃজেলা অজ্ঞান ও মলমপার্টি দলের এক দম্পতিসহ ৪ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আজ ১ জুন বৃহস্পতিবার তাদেরকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহসাড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড়ে ফ্লাইওভার ব্রীজের নীচ থেকে আটক করা হয়। বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আজমীর হোসেন।
আটককৃতরা হলো- জামালপুরের ইসলামপুর থানার চিনারচর নামাপাড়া এলাকার মৃত জাবেদ আলীর ছেলে শহর আলী (৪৩), শহর আলীর স্ত্রী ও নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও থানার বাইটেঙ্গী বরাব বাজার এলাকার মৃত সুরুজ মিয়ার মেয়ে মানছুরা আক্তার জিমি (৩০), নোয়াখালীর সেনবাগ থানার জামালপুর এলাকার মৃত ছায়েদ আলীর ছেলে নূর ইসলাম (৪৫) ও জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি থানার গোপালগঞ্জহাটের সোনামিয়ার ছেলে মুকুল মিয়া (৪২)। তারা সবাই কালিয়াকৈরের বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতো।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, বৃহষ্পতিবার ভোরে আন্ত:জেলা অজ্ঞান পার্টি ও মলমপার্টি দলের কয়েক সদস্য ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় ফ্লাইওভার ব্রীজের নীচে অবস্থান নিয়ে চেতনানাশক বিভিন্ন দ্রব্য ব্যবহারের মাধ্যমে পথচারী ও বিভিন্ন পরিবহনের যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে। এ গোপন সংবাদ পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে এক দম্পতিসহ চারজনকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে কথিত চেতনানাশক হালুয়ার ১৮টি পোটলা এবং রিভোট্রিল, মাইলাম, ইপিক্লোন ও ডাইজোপান সহ চেতনানাশক ঘুমের বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় নানা অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
তিনি আরো জানান, বংশ পরম্পরায় এ পেশাটি চালিয়ে আসছিল গ্রেফতারকৃত শহর আলীও তার পূর্ব পুরুষেরা। তার দাদা, বাবা ও চাচারাসহ পূর্ব পুরুষেরাও এ পেশায় নিয়োজিত ছিল। বংশ পরম্পরার ঐতিহ্য এ পেশাটিকে টিকিয়ে রাখতে পূর্ব পুরুষদের পর উত্তরসূরী হিসেবে শহর আলী তার স্ত্রীকে নিয়ে ধরে রেখেছিল। শহর আলী এ পর্যন্ত অর্ধ সহস্রাধিক লুটের ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে। এ ঘটনায় কালিয়াকৈর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজার ও বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৩ লাখ পিস ইয়াবা ও নগদ ২ লাখ ৮৩ হাজার টাকাসহ পাঁচজনকে আটক করেছে র্যাব। আজ ১৫ এপ্রলি শনিবার কক্সবাজার র্যাব-১৫ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লে. কর্ণেল সাইফুল ইসলাম সুমন এসব তথ্য জানান। আটককৃতরা হলেন– আবু হানিফ, নূর মোহাম্মদ, আক্তার কামাল, গোলাব জান ও নাসিমা আক্তার।
লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার তিনটি পৃথক অভিযানে এ মাদক কারবারিদের ইয়াবা, টাকাসহ আটক করা হয়। বিশ্বস্ত সূত্রে তাঁরা জানতে পারেন, টেকনাফ থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ একটি গাড়ি চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সাতকানিয়ায় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করে কালো রঙের কেবিন পিকআপ থেকে ৩ লাখ পিস ইয়াবা ও ২২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গাড়ির চালক আবু হানিফকে আটক করা হয়।
তিনি জানান, বিকেলে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের আজোনাইয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ নূর মোহাম্মদ ও আক্তার কামাল নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। এ ছাড়া ওই রাতে কক্সবাজার সদরের খরুলিয়া ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ও নগদ ২ লাখ ৬১ হাজার ৬০০ টাকাসহ আরও দুই নারী মাদক ব্যবসায়ীকে (মা ও মেয়ে) আটক করা হয়।
চলারপথে ডেস্ক :
বর্তমান সময়ের আলোচিত ব্যক্তিত্ব গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওইয়ান্না ইলাইহি রাজিউন)। জানা যায় ১১ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত ১১টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রীসহ স্বজন ও দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা। পরে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু একটি গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি স্যারের জীবনের অবসান ঘটেছে।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টা ১৫ মিনিটে ইন্তেকাল করেছেন। আমরা জানাজা-দাফনের বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবো।’
জানা যায়, মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন বীর সেনানী ও সংগঠন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী চট্টগ্রামের রাউজানে এক মুসলিম পরিবারে তার জন্ম । ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর জন্ম নেয়া মানুষটি ব্যক্তিগত যশখ্যাতি ও সমৃদ্ধির জীবনকে পেছনে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের সময় মাটির টানে দেশে ফিরে এসে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন। বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি নিরব লড়াই চালিয়ে যান।
অন্যদিকে দেশে রাজনীতির সুস্থধারা ফিরিয়ে আনতেও নিজের অবস্থান থেকে আওয়াজ তুলেছেন বার বার। আর এসব কারণে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তার বেশ জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তার অবদানের কথা অজানা ছিল তাদের কাছেও তিনি গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত করতে সক্ষম হয়েছেন।
বাংলাদেশের জন্য অন্তপ্রাণ এই মানুষটির বাবা ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। রাজধানী ঢাকার বকশীবাজারের নবকুমার স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেছেন তিনি।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী ১৯৬৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং ১৯৬৭ সালে বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস থেকে ভাস্কুলার সার্জারিতে এফআরসিএস প্রাইমারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
জানা যায়, তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর সেনানী ও সংগঠক জাফরুল্লাহ চৌধুরীর লন্ডনে রয়্যাল কলেজ অব সার্জনসে এফআরসিএস পড়ার সময় শুরু হয় স্বাধীনতা যুদ্ধ।
৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যার প্রতিবাদে জনসম্মুখে পাকিস্তানের পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেলেন। তারপর বৃটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর থেকে ‘রাষ্ট্রবিহীন নাগরিকের’ প্রত্যয়নপত্র নিয়ে সংগ্রহ করেন ভারতীয় ভিসা।
দেশের টানে বিলেতের সুখ-সুবিধা ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে লন্ডন থেকে ভারতে এসে আগরতলার মেলাঘরে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে গেরিলা প্রশিক্ষণ নেন।
ভারত থেকে দেশে এসে যোগ দেন সম্মুখ সমরে। গেরিলা যোদ্ধা থেকে হয়ে উঠেন রণাঙ্গনের চিকিৎসক। যুদ্ধাহতদের জন্য খোলেন ফিল্ড হাসপাতাল।
মহান মুক্তিযুদ্ধ শেষে দেশ গড়তে নিজেকে নিয়োজিত করেন বৃটেনে প্রথম বাংলাদেশি সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিডিএমএ)’র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের বিষয়ে একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেছিলেন, আমার পাশে আমার মা থাকবে না, সে দেশে থেকে লাভ আছে? আমার মা বাংলাদেশে ছিল, আমি বিলেতে ছিলাম। আমার মায়ের নির্দেশ ছিল দেশ রক্ষা করো। সে নির্দেশ মেনে আমরা তিন ভাই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি।
যুদ্ধে আহত মুক্তিকামী মানুষকে সেবা দিতে বন্ধু ডা. এমএ মবিনের সহায়তায় ডা. জাফরুল্লাহর গড়ে তোলা ৪৮০ শয্যাবিশিষ্ট ‘বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পেতেন যুদ্ধে আহতরা।
শুধু তাই নয়, তিনি স্বল্প সময়ের মধ্যে অনেক নারীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য জ্ঞান দান করেন। যা দিয়ে তারা যুদ্ধে আহত রোগীদের সেবা করতেন। ত্রিপুরার ওই ফিল্ড হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করে অগণিত মুক্তিযোদ্ধা ফিরেছিলেন যুদ্ধের ময়দানে। তার এই অভূতপূর্ব সেবা পদ্ধতি পরে বিশ্ববিখ্যাত জার্নাল পেপার ‘ল্যানসেট’-এ প্রকাশিত হয়।
১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনি ওসমানীকে বহনকারী যে হেলিকপ্টারটি হামলার শিকার হয়েছিল তাতে অন্যদের মধ্যে ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভাঙ্গায় যৌথ অভিযান চালিয়ে ব্যাংকের ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড প্রতারণা ও জালিয়াতি চক্রের পাঁচ সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেল ৩টার দিকে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার এন্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) পুলিশ সুপার (এসপি) ফারহানা ইয়াসমিন বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
এরআগে, একইদিন ভোরে ফরিদপুরের ভাঙ্গার আজিমনগর এলাকায় ঢাকার এন্টি টেররিজম ইউনিট ও ফরিদপুর জেলা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন ভাঙ্গা উপজেলার পাতরাইল বাগবাড়ী দিঘীরপাড় এলাকার লিকু মাতুব্বরের ছেলে সাকিল মাতুব্বর ওরফে শাকিব (২৭), একই এলাকার মৃত আ. রশিদ মৃধার ছেলে শরিফুল মৃধা (৩৭), পাশের পাতরাইল দিঘিরপাড় এলাকার মৃত জয়নাল শেখের ছেলে শাওন শেখ (২০), একই উপজেলার মধ্য পাতরাইল কবিরাজ বাড়ি এলাকার বালাম কবিরাজের ছেলে রাকিব কবিরাজ (২৫) ও পাতরাইল উথলী তালুকদার বাড়ি এলাকার এসকেন তালুকদারের ছেলে জাকির হোসেন তালুকদার (৩৮)।
পুলিশ হেডকোয়ার্টারে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) ও ফরিদপুর জেলা পুলিশের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে এটিইউ পুলিশ সুপার (এসপি) ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, প্রতারণাকারী এ চক্রটি শুরুতে বিভিন্ন সরকারি ভাতা, অনুদান ও শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্ত ব্যক্তিদের তালিকা, মোবাইল নম্বরসহ প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন তথ্য অনলাইন থেকে সংগ্রহ করে। এরপর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে তালিকার ব্যক্তিদের মোবাইল নম্বরে ফোন করে। এরপর ওই ব্যক্তিকে তার নাম, জন্ম তারিখ ইত্যাদি বিভিন্ন তথ্য দিয়ে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে। প্রতারকরা তাদের জানায়, ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠালে সময় বেশি লাগবে। এক্ষেত্রে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড যদি থাকে তাহলে দ্রুত টাকা পাঠানো যাবে।
তিনি বলেন, ফলে ভুক্তভোগীরা ফাঁদে পড়ে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড নাম্বার এবং ওটিপিসহ (OTP) সব গোপন তথ্য প্রতারকদের দিয়ে দেয়। পরবর্তীতে প্রতারকরা খুব সহজেই মেটিবাফ্লেডিট কার্ড থেকে টাকা Qpay Bangladesh নামক মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে অন্য কোনো ব্যাংক একাউন্ট, বিকাশ বা নগদে নিয়ে নেয়। এভাবেই বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে আসছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শেখ মো. আব্দুল্লাহ বিন কালাম, এটিইউর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আখিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) তালাত মাহমুদ শাহানশাহ, কোতয়ালী থানার ওসি এম, এ জলিল, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (কোতয়ালী জোন) মো. রাকিবুল ইসলাম, গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ভাঙ্গা জোন) মোহাম্মদ মামুনুর রশীদসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
সীতাকুণ্ডে বাসের ধাক্কায় মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন (৩৫) নামে এক সিএনজি অটোরিক্সা চালকের মৃত্যু হয়েছে।
সাহাব উদ্দিন উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের মধ্যম বাঁশবাড়িয়া এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে।
আজ ২৬ আগস্ট শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাঁশবাড়িয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বার আউলিয়া আহাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) দীপক কুমার সিংহ জানান, অটোরিকশা চালক পেট্রোল পাম্প থেকে গ্যাস নিয়ে সড়কে ওঠার সময় চট্টগ্রামমুখী একটি দ্রুতগামী বাস অটোরিক্সাকে চাপা দেয়।
এসময় চালক সাহাব উদ্দিন গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো জানান, দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিক্সাটি হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে। তবে বাসটি আটক করা যায়নি। নিহতের পরিবারের আবেদনে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।