চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলায় বজ্রপাতে মো. সোহাগ (২৮) নামে এক সৌদি প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১০ জুন সোমবার দুপুরের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের বাইশমৌজা বাজারের পাশে আব্দুল্লাহ্ চরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোহাগ কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের সাতঘর হাটির আব্দুস সালামের ছেলে। তিনি তিনমাস আগে ছুটিতে দেশে এসে বিয়ে করেছিলেন।
পরিবারের লোকজন জানায়, সোহাগ বাইশমৌজা বাজারের পাশে আব্দুল্লাহ্ চরে ১০/১৫টি মহিষকে ঘাস খাওয়াচ্ছিলেন। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসেন।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুব আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে স্থানীয় জেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে মতবিনিময় করেছেন নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, নবীনগর উপজেলার কনিকাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও ৯৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শাহ আলম।
মতবিনিময় সভায় তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নবীনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হবার ঘোষনা দিয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে শাহ আলম বলেন, ছাত্র রাজনীতি শেষ করে আমি আমার প্রিয় জন্মভূমি নবীনগরে এসেছি ভালোবাসা নিতে এবং দিতে।
নবীনগরবাসীর সেবা ও এলাকার উন্নয়নে নিয়োজিত করার লক্ষ নিয়ে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হবার ইচ্ছা পোষণ করছি। আমি নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নে দলমত নির্বিশেষে সকলকে সাথে নিয়ে ফয়জুর রহমান বাদল ভাইয়ের দিক নির্দেশনায় সকল কাজ করে যাবো ইনশাহ্ আল্লাহ্।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে বিটঘর টু শিবপুরগামী রাস্তার উপর থেকে বিদেশি ৪৬ বোতল মদসহ বাইজিদ জমাদ্দার (২৪) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ ৫ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলায় কর্তব্যরত এসআই (নিঃ) আক্কাস আলী সঙ্গীয় অফিসার মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে। বাইজিদ জমাদ্দার কসবা উপজেলার ব্রাহ্মণগ্রাম (সানখোলা)’ র মৃত মোতালেব এর ছেলে।
গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ তে মামলা রুজু করা হয়।
নবীনগর প্রতিনিধি :
নবীনগর উপজেলার শিবপুর রাধিকা সড়কের অধিগ্রহণকৃত ভূমির ১৯ জন মালিকদের মধ্যে ৬ কোটি ২২লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৫৮ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। ১৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের সাহারপুর গ্রামে এই চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম, কুমিল্লা সওজের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুহেনা মোহাম্মদ তারেক। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন চৌধুরী শাহান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১২৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নবীনগর শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অডিটোরিয়ামে গভর্ণিংবডির সভাপতি, সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর নাতনি খিলখিল কাজী।
সহকারী শিক্ষক মো. কামরুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় ও অধ্যক্ষ মো. মোস্তাক আহাম্মদ এর স্বাগত বক্তব্যে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সায়েমূল হুদা, আশুগঞ্জ একেএম ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মো. দুলাল মিয়া প্রমুখ।
এ সময় গভর্ণিং বডি সদস্যবৃন্দ, ছাত্র ও শিক্ষক, অভিভাবক, প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
কবির নাতনি বলেন, তিনি আমাদের জাতীয় কবি, তবে সর্বস্তরের মানুষের কাছে আমরা এখনো তাকে পৌঁছে দিতে পারিনি। বৈচিত্র্যময় জীবনের অধিকারী নজরুল ছেলেবেলায় পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন ‘দুখু মিয়া’ নামে। পিতৃহীন কবি একে একে হারিয়েছেন কাছের স্বজনদের। আর্থিক অসচ্ছলতা তার জীবনকে কঠিন করে তুলেছিল। সব বাধা অতিক্রম করে একসময় তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা হয়ে ওঠেন। সাম্য ও মানবতার চেতনায় সমৃদ্ধ ছিল তার লেখনী। কবিতায় বিদ্রোহী সুরের জন্য হয়ে ওঠেন ‘বিদ্রোহী কবি’।
এছাড়াও উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের ভিটিবিষারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ডা. সায়েমুল হুদার সভাপতিত্বে কাজী নজরুল ইসলাম এর জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনাসভায় অতিথিগণ অংশগ্রহণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৬ সেপ্টেম্বর ‘সুরসম্রাট’ ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনিই প্রথম বাঙালি, যিনি সর্বপ্রথম পাশ্চাত্যে উপমহাদেশের রাগসঙ্গীতকে পরিচিত করান।
ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ১৮৬২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন খ্যাতনামা উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী ও সরোদবিশারদ। বাবা সঙ্গীতজ্ঞ সবদর হোসেন খাঁ ওরফে সদু খাঁ, মা সুন্দরী বেগম। ছোটবেলায় তার বড় ভাই ফকির (তাপস) আফতাব উদ্দিন খাঁর কাছে সঙ্গীতের হাতেখড়ি। সুরের সন্ধানে মাত্র ১০ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে এক যাত্রাদলে যোগ দিয়ে ঘুরে বেড়ান গ্রামে গ্রামে। ওই সময় তিনি জারি-সারি, বাউল, ভাটিয়ালি, কীর্তন, পাঁচালি প্রভৃতি গানের সাথে পরিচিত হন। পরে কলকাতায় গিয়ে প্রখ্যাত সঙ্গীত সাধক গোপাল কৃষ্ণ ভট্টাচার্য ওরফে নুলো গোপালের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। বাঁশি, পিকলু, সেতার, ম্যান্ডোলিন, বেঞ্জো ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্র বাজানো শেখেন সঙ্গীত পরিচালক অমৃত লাল দত্ত ওরফে হাবু দত্তের কাছে। সেই সাথে তিনি লবো সাহেব নামে এক গোয়ানিজ ব্যান্ডমাস্টারের কাছে পাশ্চাত্য রীতিতে এবং বিশিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞ অমর দাসের কাছে দেশীয় পদ্ধতিতে বেহালা শেখেন। এ ছাড়া হাজারী ওস্তাদের কাছে শেখেন মৃদঙ্গ ও তবলা। ১৯১৮ সালের পর তিনি ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘খাঁ সাহেব’ উপাধিতে ভূষিত করে। আলাউদ্দিন খাঁ ১৯৭২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের মাইহারে মদিনা ভবনে মারা যান। রাষ্ট্রীয়ভাবে ভারতে তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়। বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর জন্ম কিংবা মৃত্যু কোনো দিবসই পালন করা হয় না। অপর দিকে তার স্মৃতিচিহ্নগুলো সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে নামে-বেনামে বেদখল হয়ে যাচ্ছে জমিজমা, বাড়িঘর, নিজ হাতে তৈরি করা মসজিদের জায়গা ও পুকুর। সবমিলিয়ে নিজ জন্মভূমিতেই অবহেলিত উপমহাদেশের সঙ্গীতজগতের কিংবদন্তি ‘সুরসম্রাট’ খ্যাত ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ।