চলারপথে রিপোর্ট :
স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ শ্লোগানকে সামনে রেখে আইন সহায়তা প্রদান কার্যক্রম বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আদালতের সহায়ক কর্মচারীদের ভূমিকা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা আজ ১০ জুন সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালত সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ও দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) আয়েশা আক্তার সুমি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা লিগ্যাল এইড অফিস আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্যে রাখেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ রহিমা আলাউদ্দিন মুন্নি, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত স্বাম্য, সিনিয়র সহকারী জজ মোঃ শাহেদুল আলম।
কর্মশালায় জেলা জজশীপ ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ অংশ গ্রহণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি জেলার শাখার উদ্যোগে লাল পতাকা সহকারে একটি মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়। আজ ২৯ নভেম্বর শুক্রবার বিকাল ৪টায় স্থানীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য কমরেড অসিত পালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পার্টির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজিদুল ইসলাম, জেলা কৃষক সমিতির সভাপতি কমরেড এম এ রকিব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি কমরেড অ্যাডভোকেট অসিমত কুমার বর্দ্ধন, জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রহমান ও শ্রমিক নেতা কাজী ফেরদৌস রহমান প্রমুখ।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪টি সদস্য রাষ্ট্রই স্থায়ী এবং নিঃশর্ত যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা দিয়েছে। শুধু সাম্রাজ্যবাদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই ভেটো দিয়ে যুদ্ধ বিরতির বিপক্ষে নির্লজ্জভাবে অবস্থান নিয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের সকল সদস্য রাষ্ট্রের মতামত, আন্তর্জাতিক রীতিনীতি চরমভাবে উপেক্ষা করে মার্কিনীদের এই ভেটো প্রয়োগ তাদের সাম্রাজ্যবাদি এবং জাগরণবাদী অবস্থান লগ্নভাবে বিশ্ববাসির সামনে আবারো প্রকাশিত হয়েছে। এই ভোটার মাধ্যমে মার্কিন প্রশাসন আবারও প্রমাণ করল তারা মধ্যপ্রাচ্যেসহ সারা পৃথিবীতে শান্তি চায়না, যুদ্ধ চায়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মার্কিনীদের এই ভেটো প্রয়োগ ইসরাইলীদের প্যালেস্টাইনে গণহত্যাকে সমর্থন করেছে। আমরা অনতিবিলম্বে প্যালস্টাইন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা এবং প্যালেস্টাইনে নিঃশর্তভাবে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা চায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেয়া সকল রিকসার লাইসেন্স বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা রিকসা শ্রমিক ইউনিয়ন (চট্ট-২৫৩০)। পাশাপাশি প্রকৃত রিকসা শ্রমিকদের মাঝে এই লাইসেন্স প্রদানের আহবান জানানো হয়।
আজ ৩ নভেম্বর রবিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ ঘোষণা দিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। সংগঠনের সভাপতি রফিক ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তারিকুর রউফ, সংগঠনের উপদেষ্টা সাচ্চু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহেদ মিয়া, সহ সম্পাদক রমজান মিয়া অর্থ সম্পাদক জাকির হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক রিকসার লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি। সিন্ডিকেট করে পছন্দের ও দলীয় ব্যক্তিদের নামে-বেনামে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। যার ফলে প্রকৃত রিকসা শ্রমিকরা লাইসেন্স থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সব লাইসেন্স বাতিল করে প্রকৃত রিকসা শ্রমিকদের মাঝে লাইসেন্স প্রদান করতে হবে। অন্যথায় পৌরসভা ঘেরাও সহ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আজ্ঞাবহ হওয়ায় যখন বারবার ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে, তখন একজন শিক্ষকও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ায়নি।
আজ ১৮ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌর কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত জাতীয়তাবাদী যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ কর্মীসভায় এ অভিযোগ করেন তিনি।
এসময় রাকিবুল ইসলাম বলেন, বিগত ১৫ বছর ছাত্রদল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস, জেলা ও উপজেলায় প্রকাশ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে গেছে। এসব সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে ছাত্রদলের সাড়ে পাঁচশ নেতাকর্মীকে খুন, গুম ও পঙ্গু করা হয়েছে। কয়েক হাজার নেতাকর্মীর শিক্ষাজীবন বঞ্চিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলছি, সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস, জেলা ও বিভিন্ন ইউনিটে আমাদের ওপর যত অত্যাচার ও স্টিমরোলার চালানো হয়েছে, কোনো ছাত্রসংগঠনকে এত নির্যাতন করা হয়নি।
এসময় যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল করিম পল, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, সহ-সভাপতি হাসান বিন সোহাগ, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আশিকুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপ, সদস্য সচিব মোল্লা সালাহউদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহীন, সদস্যসচিব সমীর চক্রবর্তী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর আমরা মুক্তিযোদ্ধারা ভুলেই গিয়েছিলাম বাংলাদেশটা মুক্তিযোদ্ধাদের। প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বুঝিয়ে দিলেন বাংলাদেশটা মুক্তিযোদ্ধাদের।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন ও সম্মাণজনক সম্মাণী ভাতার ব্যবস্থা করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদাকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা করেছেন। শেখ হাসিনার সরকারের আমলেই মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বণি জয়বাংলা আবারো প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে বীর মুক্তিযোদ্ধা, তাদের পরিবার ও চেতনার মানুষদের ঐক্যবদ্ধ থেকে লড়াই করতে হবে।
আজ ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুর ১২ টায় সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস উদযাপন পরিষদ আয়োজিত মুক্ত দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস উদযাপন পরিষদ সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহিদ খান লাভলুর সভাপতিত্বে ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমিটির নেতা সাইদুজ্জামান আরিফের সঞ্চালনায় এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঞা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার গাজি রতন মিয়া, সাবেক সদর উপজেলা কমান্ডার আবু হোরায়রাহ।