চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দরে চারদিন আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। আগামী ১৬ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত ব্যবসায়িক ছুটি ঘোষণা করায় এ সময় আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক মো. সফিকুল ইসলাম বুধবার সকালে জানান, ১৬ জুন রবিবার থেকে ১৯ জুন বুধবার নাগাদ বন্দরে ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
বিষয়টি দু’দেশের ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের ইতোমধ্যে অবহিত করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় রক্ত দেওয়ার নাম করে রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে মো. মান্না নামে এক প্রতারক স্থানীয় লোকজনের হাতে আটক হয়। পরে তাকে স্থানীয়রা এক ব্যক্তির জিম্মায় ছেড়ে দেয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মান্না পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে আখাউড়া পৌর এলাকার দেবগ্রামের মো. ইব্রাহিমের দোকানে আসেন বিকাশ থেকে টাকা তুলতে। ওই ব্যক্তি প্রায় সময়ই টাকা তুলেন বলে সন্দেহ হয় ইব্রাহিমের।
কিসের টাকা ও কার কাছ থেকে টাকা আনা হচ্ছে জানতে চাইলে মান্না জানান, তার ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা নেন তিনি।
বিষয়টি সন্দেহ হলে ইব্রাহিম টাকা পাঠানো ব্যক্তিকে ফোন করলে তিনি জানান, রক্তের প্রয়োজন পড়ায় ভাড়া হিসেবে তিনি টাকা পাঠিয়েছেন। টাকা নেওয়া ব্যক্তি তাকে জানিয়েছেন তিনি ঢাকায় আছেন।
দোকানি ইব্রাহিম বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে অবহিত করে মান্নাকে আটক করেন।
পরে মান্না প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেন। লাল বাজার নামে একটি এলাকার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্যাথলজি বিভাগে চাকরি করেন দাবি করা ওই ব্যক্তি নিজেকে আখাউড়া পৌর এলাকার দুর্গাপুরের বাসিন্দা বলে জানান।
মো. ইব্রাহিম বলেন, ‘মান্না নামের ওই ব্যক্তি প্রায় সময়ই আমার দোকান থেকে টাকা তুলতেন। দোকানে এলেই তার ফোনে অনেক কল আসতে দেখতাম।
এসবসহ নানা কারণে তার প্রতি সন্দেহ জাগে। সন্দেহবশত টাকা পাঠানো ব্যক্তিকে ফোন করলে তার প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে। তিনি একটি রক্তদান সংগঠনের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেন।’
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সরকারি খাস জায়গা অবৈধ দখল মুক্ত এবং লাইসেন্সবিহীন তিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। আজ ১৮ মে রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরশহরের বড় বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ফয়সল উদ্দিন। দুটি বরফকল মালিক ও এক মুদি দোকানীকে মোট ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বড় বাজারে সরকারি খাস জায়গা দখল করে অবৈধভাবে ব্যবসা করছে এমন অভিযোগে অভিযান চালিয়ে সরকারি ৫ শতক জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া লাইসেন্স না থাকায় এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে বরফ তৈরির দায়ে লিটন মিয়াকে ১০ হাজার টাকা এবং আনিস মিয়াকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রওনক জাহান, মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম, আখাউড়া পৌরসভার উপ সহকারি প্রকৌশলী মো. ফয়ছেল আহমেদ খান প্রমুখ।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ফয়সল উদ্দিন বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযানে সরকারি খাস খতিয়ানের ৫ শতক জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি লাইসেন্সবিহীন দুটি বরফকল এবং একটি মুদি দোকানীকে জরিমানা করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
এক সময় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে অর্ধশতাধিক পণ্য ভারতে রপ্তানি হলেও এখন রপ্তানি হচ্ছে হাতে গোনা কয়েকটি পণ্য। মূলত এখন হিমায়িত মাছের ওপরই অনেকাংশে নির্ভর করে বন্দরের রপ্তানি বাণিজ্য। তবে মাছ রপ্তানি কমার কারণে ২০২২-২৩ অর্থবছরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি কমেছে ৩৭৬ কোটি ২৩ লাখ টাকার পণ্য। যা এর আগের অর্থবছরের তুলনায় ৩০৪ কোটি টাকা কম। এছাড়া তলানিতে ঠেকে আছে বন্দরের আমদানি বাণিজ্যও। ফলে আশানুরূপ রাজস্ব পাচ্ছে না বন্দর এবং শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে সর্বপ্রথম আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পণ্য রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য চললেও ২০০৮ সালে পূর্ণাঙ্গ বন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় আখাউড়া স্থলবন্দর। মূলত এ বন্দর দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে পণ্য রপ্তানি হয়।
পাঁচ বছর আগেও আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি হওয়া পণ্যের তালিকায় ছিল- হিমায়িত মাছ, পাথর, রড, সিমেন্ট, তুলা, ভোজ্য তেল, এলপি গ্যাস, প্লাস্টিক, শুঁটকি ও বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীসহ অর্ধশতাধিক পণ্য। তবে সময়ের পরিক্রমায় ছোট হয়ে এসেছে সেই তালিকা। বর্তমানে হিমায়িত মাছ, রড, সিমেন্ট ও প্লাস্টিকসহ হাতে গোনা কয়েকটি পণ্য যাচ্ছে ভারতে।
রপ্তানিকৃত পণ্যের অর্ধেকই হিমায়িত মাছ। আর মাছের মধ্যে রয়েছে রুই, পুঁটি, পাঙ্গাস, তেলাপিয়া ও পাবদাসহ সব ধরনের চাষের মাছ। প্রতি কেজি মাছের রপ্তানি মূল্য আড়াই মার্কিন ডলার। প্রতিদিন (ছুটির দিন ব্যতিত) গড়ে এক থেকে দেড় লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয় ভারতে।
তবে, গেল কয়েক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানি কমেছে আশঙ্কাজনক হারে। আগে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ টন মাছ রপ্তানি হলেও এখন তা কমে অর্ধেকে নেমেছে। ফলে সামগ্রিকভাবে বন্দরের রপ্তানি আয় কমেছে। মূলত সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে তাজা মাছ পাচারের কারণে রপ্তানি ক্রমেই কমছে বলে অভিযোগ মাছ রপ্তানিকারকদের।
আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া বলেন, আখাউড়া উপজেলার সীমান্তের কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে প্রতিনিয়ত তাজা মাছ পাচার হচ্ছে। এর ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা হিমায়িত মাছের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। বিষয়টি বিজিবি, বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এটি বন্ধ না করতে পারলে যে কোনো মুহূর্তে হিমায়িত মাছের রপ্তানি বন্ধ হয়ে পড়বে।
এদিকে, ভারত থেকে পণ্য আমদানিও এখন অনিয়মিত। সদ্য বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে গম, ভুট্টা পাথর ও পেঁয়াজ। নিজেদের চাহিদা মতো পণ্য আমদানির সুযোগ পাওয়ায় আমদানি বাণিজ্যে খুব একটা আগ্রহ নেই ব্যবসায়ীদের। এতে করে বন্দরের রাজস্ব আদায়ও তলানিতে ঠেকেছে।
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারতে রপ্তানি হয়েছে ৩৭৬ কোটি ২৩ লাখ ২০ হাজার ৯১১ টাকার পণ্য। আর ভারত থেকে আমদানি হয়েছে মাত্র ৬৫ কোটি ৯৩ লাখ ৬১ হাজার ৫২৮ টাকার পণ্য। আমদানি পণ্য থেকে শুল্ক কর্তৃপক্ষ রাজস্ব পেয়েছে ৫৫ লাখ ৭৮ হাজার ৬৯৮ টাকা। তবে বিগত ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতে রপ্তানি হয়েছিল ৬৮০ কোটি ১১ লাখ ৯৯ হাজার ১৭৪ টাকার পণ্য। ওই অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ২৮৮ কোটি ৪১ লাখ ১৩ হাজার ৪৬৮ টাকার পণ্য।
স্থলবন্দরের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে সড়ক ও রেল যোগযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় অনেক পণ্য এখন নিজ দেশ থেকেই সংগ্রহ করেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা। ফলে রপ্তানি বাণিজ্য বাড়ার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে আমদানি বাণিজ্যের মাধ্যমে এখনও বন্দরটির ঘুড়ে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে। সেজন্য যখন যে পণ্যের চাহিদা, সেটি আমদানির সুযোগ দিতে হবে ব্যবসায়ীদের।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান আহমেদ খলিফা বলেন, কখন কোন পণ্যের চাহিদা তৈরি হবে- সেটি আগে থেকে বলা যায় না। সেজন্যই আমরা সব পণ্য আমদানির জন্য বন্দর খুলে দেওয়ার দাবি করে আসছি। কিন্তু আমাদের সেই দাবি পূরণ হচ্ছে না। সম্প্রতি এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে কিছু পণ্যের তালিকা দিয়ে আমদানির অনুমতি চাওয়া হয়েছে। কিন্তু সেটির এখনও সুরাহা হয়নি।
একমাত্র আমদানি বাণিজ্যের মাধ্যমেই বন্দরে আবার কর্মচাঞ্চল্যতা ফিরে আসতে পারে। যার মাধ্যমে সরকারও বিপুল অংকের রাজস্ব পাবে’- উল্লেখ করেন ফোরকান আহমেদ খলিফা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, বন্দরগুলো থেকে সরকারের রাজস্ব আহরণের বিষয়টি অনেকাংশেই আমদানি বাণিজ্যের ওপর নির্ভর করে। এক্ষেত্রে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি অনিয়মিত হওয়ায় রাজস্ব আদায় হচ্ছে কম। আমদানি বাড়াতে ব্যবসায়ীরা যেসব পণ্য আমদানির জন্য তালিকা দিয়েছেন- সেটি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও চিঠি চালাচালি হচ্ছে। অচিরেই এ বিষয়টি সমাধান হবে বলে আশা করছি।
অনলাইন ডেস্ক :
রাশিয়ার সাথে যুদ্ধরত ইউক্রেনে সব ধরনের সামরিক সহায়তা স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্টের আবাসিক বাসভবন ও কার্যালয় হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখানে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পর আপ্যায়ন ছাড়াই বেরিয়ে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, “আমরা আমাদের সাহায্য বিরতি দিচ্ছি এবং পর্যালোচনা করছি যাতে এই সাহায্য (সংঘাতের) সমাধানে অবদান রাখতে পারে।”
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এরপর থেকে ইউক্রেনের জন্য অস্ত্রের প্রধান সরবরাহকারী দেশ ছিল যুক্তরাষ্ট্র।
পৃথক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডার পর ইউক্রেনে সব ধরনের সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে সোমবার হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) স্পষ্ট করেছেন যে- তিনি শান্তির দিকে মনোনিবেশ করেছেন। আমাদের অংশীদারদেরও সেই লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। আমরা আমাদের সহায়তাকে থামিয়ে দিচ্ছি এবং পর্যালোচনা করছি যাতে এটি (সংঘাতের) সমাধানে অবদান রাখে।”
এদিকে মার্কিন সহায়তা বন্ধের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অফিস তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি, আল-জাজিরা, সিএনএন
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। টানা বর্ষণে বিভিন্ন রাজ্যের সড়ক ও বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। কয়েক লাখ পরিবার বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
কেন্টাকির গভর্ণর অ্যান্ডি বেশিয়ার জানিয়েছেন, তার রাজ্যে আটজন মারা গেছেন এবং এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। বন্যার পানিতে আটকা পড়া শত শত মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। বেশিয়ার জনগণকে সতর্ক করে বলেছেন, এই মুহূর্তে রাস্তায় বের হবেন না, জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।
জর্জিয়ায় বৃষ্টির ফলে উপড়ে পড়া একটি গাছের আঘাতে ঘুমন্ত অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, যা নবম প্রাণহানির ঘটনা হিসেবে রেকর্ড হয়েছে।
কেন্টাকি, জর্জিয়া, আলাবামা, মিসিসিপি, টেনেসি, ভার্জিনিয়া, পশ্চিম ভার্জিনিয়া এবং নর্থ ক্যারোলাইনা—এই আটটি রাজ্যে সপ্তাহান্তে বিভিন্ন মাত্রার ঝড়সংক্রান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। রাজ্যগুলোর বেশিরভাগই সেপ্টেম্বর মাসে হ্যারিকেন হেলেনের আঘাতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
পাওয়ারআউটেজ ইউএস জানিয়েছে, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে আট রাজ্যে রোববার রাত পর্যন্ত পাঁচ লাখের বেশি পরিবার বিদ্যুৎবিহীন ছিল।
সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কেন্টাকিতে। মার্কিন জাতীয় আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের কিছু অংশে ১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
কেন্টাকির গভর্ণর জানান, তার রাজ্যে ৩০০টির বেশি সড়ক বন্ধ রয়েছে। তিনি জরুরি দুর্যোগ ঘোষণা ও ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য হোয়াইট হাউজে আবেদন করেছেন।
রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সহায়তা অনুমোদন করেন এবং ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সিকে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেন।
কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে বলেছে, বন্যার সবচেয়ে ভয়াবহ দিক এখনো শেষ হয়নি। কেন্টাকি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক এরিক গিবসন বলেন, নদীগুলো আরও ফুলেফেঁপে উঠতে পারে।
জাতীয় আবহাওয়া সংস্থার জ্যেষ্ঠ পূর্বাভাসদাতা বব ওরাভেক বলেন, বন্যার প্রভাব কিছুদিন থাকবে, অনেক নদী ও খাল এখনো ফুলেফেঁপে উঠেছে।
আবহাওয়াবিদরা জানায়, আগামী সপ্তাহের শুরুতে একটি পোলার ভোর্টেক্স যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে, যার ফলে উত্তর রকি পর্বতমালা ও নর্দার্ন প্লেইনসে তাপমাত্রা দ্রুত কমে যাবে। কলোরাডোর ডেনভার শহরে তাপমাত্রা মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসতে পারে। সেখানে এরই মধ্যে গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।