চলারপথে রিপোর্ট :
আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে ভাদুঘর বাস টার্মিনালে বসছে কোরবানির পশুর হাট। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার এই কোরবানির পশুর হাট পৌরসভা নিজেই পরিচালনা করবে।
১৩ জুন বৃহস্পতিবার থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত বসবে এই পশুর হাট।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার অধীনস্থ একমাত্র কোরবানির পশুর হাটটি ভাদুঘর বাস টার্মিনালে অবস্থিত। প্রতিবছর ঈদের চারদিন আগে এই পশুর হাট বসে। এই হাটর থেকেই জেলা শহর এবং তার আশেপাশের লোকজন কোরবানির পশু ক্রয় করে থাকেন।
আজ ১২ জুন বুধবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাঠ প্রস্তুত করতে কাজ করছেন পৌরসভার কর্মকর্তারা। পুরো মাঠে বাঁশের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। যাতে করে গরু -মহিষ ইচ্ছেমতো বাঁধা যায়। এদিকে কর্তৃপক্ষ পুরো মাঠের তদারকিতে কাজ করছে পৌরসভার কর্মচারিরা। তারা মাঠ পরিষ্কার করে মশকনিধন ওষুধ ছিটিয়ে দিচ্ছেন। ভেকু দিয়ে নিচু জায়গায় মাটি ফেলে তা ভরাট করে দিচ্ছেন। বাজারের চারপাশে পানীয় জল সরবরাহ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া নিরাপত্তার জন্য যা যা দরবার সবই করা হয়েছে। পুরো কাজই সরাসরি তদারকি করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আ. কুদদূস।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদের আয়োজনে মেধাবৃত্তি ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে বিজেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম,এ, এইচ,মাহবুব আলম।
পরিষদের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মুসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিটি মডেল কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, রামরাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহবায়ক মোঃ শাহাদত খাঁন,বিজশ্বর আবদুল মোনেম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা বেগম, বিশিষ্ট সমাজসেবক কাজী সেলিম রেজা প্রমুখ। পরে অতিথিরা পুরষ্কার বিতরণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩- (সদর-বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৫৫ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৫৫-৬০ জনকে আসামী করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় আরো একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২০১৬ সালের ১১ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসায় হামলার সময় হাফেজ মোঃ মাসুদ আহমেদ নিহতের ঘটনায় তার খালাতো ভাই নবীনগর উপজেলার বগডহর গ্রামের বাসিন্দা ও নবীনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা মেহেদী হাসান বাদী হয়ে ২৪ আগস্ট শনিবার রাতে এই মামলাটি দায়ের করেন।
নিহত হাফেজ মোঃ মাসুদ আহমেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া মাদারাসার ছাত্র ছিলেন। তিনি নবীনগর উপজেলার সেমন্তঘর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ মহসিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ তানজিল বারী, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূইয়া, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন শোভন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হক ভূইয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান লেলিন, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সুজন দত্ত, সাবেক গণপূর্ত মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি আবু মুছা আনছারি, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মালেক চৌধুরী, শহর যুবলীগের সভাপতি আল-আমীন সওদাগর, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোমিন মিয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য খোকন আচার্য, শহর ছাত্রলীগের সভাপতি সামি আহমেদ নাবিল, সদর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন খন্দকার, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরিফুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের উপ-সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও সাবেক ভিপি হাসান সারোয়ার হাসান, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক এম. সাইদুজ্জামান আরিফ, শহর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আবদুল জব্বার মামুন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জুম্মান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, সদর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মোঃ আলী আজম, ঠিকাদার হামদু মিয়া, শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরে মাওলা ফারানিসহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৫৫ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো ৫৫-৬০ জনকে আসামী করা হয়।
মামলায় বাদি মাওলানা মেহেদী হাসান অভিযোগ করে বলেন, ২০১৬ সালের ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় উল্লেখিত আসামীরা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসায় হামলা করে। এসময় হামলাকারীদের ছোড়া গুলি মাসুদের পেটে বিদ্ধ হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মাসুদের পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীনতায় থাকায় এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাবিয়ানদের মিলনমেলা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর, বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাধির চৌধুরী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আহ্বায়ক মো. মাহমুদুন নবী মিলনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রফেসর শওকত আরা হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ.এস.এম. শফিকুল্লাহ।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক সেবন করে সড়কে অশ্লীল আচরণ ও মাতলামি করার অপরাধে সাত যুবককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
২৪ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের দারমা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে তাদের এ সাজা দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসেন।
অভিযানে ছোট বাকাইল গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে রুবেলকে একমাস, মজলিশপুরের সুরুজ আলীর ছেলে নুরুল ইসলামকে তিনমাস, দারমা গ্রামের শনি মিয়ার ছেলে শামসু মিয়াকে একমাস, একই গ্রামের আবুল ফারুকের ছেলে দুলাল মিয়াকে ১৫ দিন, আব্দুল মালেকের ছেলে হেফিল মিয়াকে তিনমাস, রফিকুল ইসলামের ছেলে মনিরকে দুইমাস ও সোহরাব মিয়া নামের একজনকে একমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসেন বলেন, সম্প্রতি মজলিশপুর গ্রামে মাদকসেবীদের উৎপাত বেড়েছে। এর প্রভাবে চুরিসহ অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। মাদক সেবন করে মাতলামি ও অশ্লীল আচরণ করায় সাতজনকে সাজা দেওয়া হয়েছে।