চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় কার্টনে মোড়ানো এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ১২ জুন বুধবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের মেরাতলী এলাকায় ব্রিজের নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
সরাইল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, বুধবার সকালে শাহবাজপুর ইউনিয়নের মেরাতলী এলাকায় ব্রিজের নিচে কার্টনে মোড়ানো এক নবজাতক দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে ঘটনাস্থল থেকে একদিনের মেয়ে বাচ্চার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠায় পুলিশ।
তিনি আরো বলেন, কেউ হয়তো অবৈধ গর্ভপাত করে বাচ্চার মরদেহ কার্টনে করে ফেলে যায়। বাচ্চার পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে হাফিজ উদ্দিন (৪৭) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ ৫ আগস্ট শনিবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত হাফিজ উদ্দিন উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের ছান্দাল আলীর ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সরাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, প্রায় দেড় মাস আগে স্থানীয় একটি দোকানে চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আল আমিন মিয়ার পরিবারের সঙ্গে হাফিজ উদ্দিনের ঝগড়া হয়। এ ঘটনায় সালিশ হয়। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে ৪ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে রায়হান নামের একজন হাফিজ উদ্দিনকে ছুরিকাঘাত করে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় হাফিজ উদ্দিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আজ ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ওসি আরো জানান, নিহতের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বাড়িতে নিয়ে আসা হবে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় সাইদুল ইসলাম নামে ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ৪ অক্টোবর শুক্রবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা সদর ইউনিয়নের পাঠানপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সাইদুল ইসলাম উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাঠানপাড়া এলাকার হানিফ পাঠানের ছেলে।
দুপুরে জেলা পুলিশ মিডিয়া উইংস থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাঠানপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার সাইদুল ইসলাম অস্ত্র আইনে ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে অটোরিকশাচালক হত্যার অভিযোগে সাবেক চার মন্ত্রী-এমপিসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আজ ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার রসুলপুর গ্রামের সুলতান উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি বাদি হয়ে এই মামলা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল হাসান।
মামলার আসামিরা হলেন, সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম-২ আসনের সাবেক এমপি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা, সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলি আজাদ), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ঠাকুর রাব্বি, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ বাপ্পি, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগমসহ কয়েকটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নাম রয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে আগমনকে কেন্দ্র করে ২০২১ সালের ২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষ হয়। ২৮ মার্চ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হোটেল লাল শালুকের পাশে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন লিটন মিয়া নামের অটোরিকশাচালক।
নিহত লিটন সরাইল উপজেলার কাটানিসার গ্রামের মোজাম মিয়ার ছেলে। এই হত্যা মামলাটি তৎকালীন সময়ে থানায় নিয়ে গেলেও তা গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী আত্মগোপনে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে গত একমাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৪টি হত্যা ও একটি গুমেরসহ ৬টি মামলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কাতারে সড়ক দুর্ঘটনায় কবির হোসেন-(৩৬) নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার এক যুবক নিহত হয়েছে। সৌদি আরবে ওমরাহ হজ্ব পালন শেষে কর্মস্থল কাতারে ফেরার পথে গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সৌদি আরব-কাতারের সীমান্তবর্তী এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা তিনি মারা যান।
নিহত কবির হোসেন সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের কালা মিয়ার ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাতার প্রবাসী ছিলেন। নিহতের মরদেহ সৌদি আরব আল হাসান হোপ কিং ফাহাদ হসপিটালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি শনিবার বিকালে নিশ্চিত করেছেন নিহতের ছোট ভাই আতাউল্লাহ।
আতাউল্লাহ জানান, তারা ১০ ভাই-বোন। এর মধ্যে কবির হোসেন তৃতীয়। তিনি গত ৯ বছর ধরে কাতারে চাকুরি করতেন।
দেশে ছুটি কাটিয়ে গত ৩ মাস আগে আবার কাতার যায় কবির। গত সপ্তাহে বন্ধুদের নিয়ে কাতার থেকে সৌদি আরব যান ওমরাহ হজ্ব করতে। ওমরাহ শেষে শনিবার সৌদি আরব থেকে কাতার ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় কবির মারা যায়।
আতাউল্লাহ আরো বলেন, কবিরের স্ত্রী ও ৩ বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে। কিভাবে সৌদি আরব থেকে তার ভাইয়ের লাশ দেশে আনা যায় তারা সে ব্যাপারে যোগাযোগ করছেন।
এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। তার মরদেহ দেশে আসার পর তার পরিবারকে আর্থিক অনুদানের ব্যাপারে আমরা সহযোগীতা করবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাবে গতকাল সোমবার দুপুরে নাতনী জামাই এডঃ রাখেশ চন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দিদি শ্বাশুরীর রাসমনি ভৌমিক ও রসরাজ সরকার । দিদি শ্বাশুড়ি রাসমনি ভৌমিক সরাইল উপজেলার শাহজাদাপুর বড়বাড়ির মৃত পান্ডব ভৌমিকের স্ত্রী। রসরাজ সরকার হলেন রাসমনি ভৌমিকের বড় মেয়ের জামাই।
সংবাদ সম্মেলনে সরাইল উপজেলার শাহজাদাপুর বড়বাড়ির মৃত পান্ডব ভৌমিকের স্ত্রী রাসমনি ভৌমিকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বাড়িছাড়া করার অভিযোগ উত্থাপন করেন তারা।সংবাদ সম্মেলনে দিদি শ্বাশুরীর রাসমনি ভৌমিক দাবি করেন, তার স্বামীকে পৈত্রিক জমি জমা দুই পরিবারের মধ্যে সম বন্টন করে মারা গেছেন।
দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে হরলালের কন্যা মুকুল রানী সরকারকে স্বামী এডঃ রাখেশ চন্দ্র সরকার আমার সমস্ত সম্পত্তি জবর দখল করে আমাকে ও আমার পরিবারের সকলকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। সংবাদ সম্মেলনে রাসমনি ভৌমিক আরো বলেন, আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এখন আমি আমার মেয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে রসরাজ সরকার জানান, এ সম্পত্তি আমার শ্বাশুরী তার পাপ্যমালিকানা সম্পত্তি পাওয়ার অব এটর্নির মাধ্যমে এফিডেভিট করিয়া আমাকে মালিকানা প্রদান করেছেন। আমার শ্বাশুড়ীর উপর জুলুম অত্যাচার চালাইতে থাকে।
এমনকি জজকোর্টে আমাকে সে নিজে মারধর করেছে। রাখেশ চন্দ্র সরকার নাসিরনগর উপজেলার কয়েরপুর গ্রামের মৃত অমৃত লাল সরকারের ছেলে এবং তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবি সমিতির সদস্য। রাসমনি ভৌমিক ও মেয়ের জামাই রসরাজ সরকরের নামে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে বাড়িছাড়া করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সম্পত্তি লোভে নাতনী জামাই অ্যাডঃ রাখেশ চন্দ্র সরকারের অত্যাচার ও মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে রাসমনি ভৌমিক ও রসরাজ অত্যাচার- নির্যাতন থেকে বাঁচার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে রসরাজ সরকার লেখিত বক্তব্য পাঠ করেন। বক্তব্য রাখেন, রাসমনি ভৌমিক ও আষিশ সরকার প্রমুখ।