চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ী মো. রুবেলের ছুরিকাঘাতে হৃদয় খান (২৫) নামে এক যুবক নিহতের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। ১৩ জুন বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের বাবা মো. জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় রুবেলসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও আরও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এই ঘটনায় দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মামলায় আসামিরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের আব্দুর রহিম মিয়ার ছেলে রুবেল, আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে সেলিম, সৈয়দ হোসেন মিয়ার ছেলে শাহাদাত হোসেন বাক্কি, আরিজ মিয়ার ছেলে মো. মনির ও আবু আব্দুল্লাহ মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ আল মতিন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামে মাদক ব্যবসায়ী রুবেল নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে হৃদয় খানকে ছুরিকাঘাতে খুন করে।
নিহতের পিতা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমার ছেলে হৃদয়কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় রুবেল ও সেলিম। পরিকল্পিতভাবে তাকে খুন করা হয়েছে।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদ আহম্মেদ জানান, নিহতের বাবা মো. জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা রুবেল ও মতিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চলমান আছে। এই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলায় দিদার হোসেন (১৪) নামের এক কিশোরের এক পা গাছে ঝুলিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধরের ঘটনার মূল হোতা মো. জামিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
১ মার্চ শুক্রবার দিবাগত রাতে আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জামির গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে গাছের ডালে এক পা বেঁধে ঝুলিয়ে রেখে দিদার হোসেনকে মারধর করে এবং তার পরিবারের কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করেন। অভিযুক্ত জামির উপজেলার চরচালতলা এলাকার বোমা কুদ্দুস মিয়ার ছেলে।
আশুগঞ্জ থানায় তার নামে মোট ৮টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে একই এলাকার চরচারতলা গ্রামের ল্যাংটার ব্রয়লারের সামনে তোফাজ্জলের কাছে নৌকার কাজের পাওনা টাকা চাইতে গেলে দিদারের সঙ্গে তোফাজ্জলের বাকবিতন্ডা হয়। পরে দুপুরে দিদার বাড়ি থেকে রাস্তায় বের হলে একই এলাকার কুদ্দুছ ওরফে বোমা কুদ্দুস মিয়ার ছেলে জামির (৪০), ইসলাম মিয়ার ছেলে তোফাজ্জল (২৮), ইউনুছ মিয়ার ছেলে মাসুদ (৩৮), শাহজাহান মিয়ার ছেলে শাকিল (৩০), হামদু মিয়ার ছেলে আকাশ (৩০) ও হারুন মিয়ার ছেলে নাসির (৪০) দিদারকে ধরে নিয়ে যায়। পরে দিদারকে মিডল্যান্ড পাওয়ার প্লান্টের পাশে নিউ এশিয়া প্রজেক্টের খালি জায়গায় নিয়ে যায়। এরপর সেখানে একটি কড়ই গাছের ডালে দিদারের ডান পায়ে দড়ি বেঁধে ঝুলিয়ে জামিরসহ অন্যরা মোটা রশি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। এরপর দিদারের মাকে মাসুদের মোবাইল দিয়ে কল করে তার ছেলেকে ২ লাখ টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিতে বলা হয়। এসময় দিদারের মা আশপাশের প্রতিবেশী নিয়ে দৌড়ে ছেলেকে উদ্ধার করতে যায়। সেখানে গিয়ে সে তার ছেলেকে গাছ থেকে নামিয়ে আনার জন্য সবার পায়ে ধরে অনুরোধ করে। টাকা না দিলে দিদারকে নামানো হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় তারা। পরে দিদারের মা টাকা দিতে রাজি হলে দিদারকে গাছ থেকে নামিয়ে আনা হয়। দিদারের মা বাসায় এসে আশপাশের লোকের কাছ থেকে ধার দেনা করে ৩০ হাজার টাকা জামির ও তোফাজ্জলের কাছে দেয়। জামির, তোফাজ্জল, মাসুদ, শাকিল, আকাশ ও নাসিরসহ সবাই এই বিষয়ে কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। এই ঘটনায় দিদারের বাবা বাদি হয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি সকালে আশুগঞ্জ থানায় জামিরসহ আরো কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাহিদ আহমেদ বলেন, দিদারের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা পেয়ে আমরা আসামিদের ধরতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাই। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান চালাই। সেখান থেকে মূল হোতা জামিরকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরো জানান, শনিবার সকালে জামিরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। জামিরের বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় মোট ৮টি মামলা রয়েছে। মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় মাথায় আঘাত পেয়ে অজ্ঞাতনামা (৬৫) এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে থানাধীন আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহরে রেললাইন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির (আইসি) এসআই (নি.) সুব্রত বিশ্বাস জানান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে থানাধীন তালশহর এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত এক বৃদ্ধা মারা যায়। লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ওই বৃদ্ধার লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য পিবিআইকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিতে বলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে ইসমাইল মিয়া (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে খুন করে টয়লেটের পরিত্যক্ত ট্যাংকে ফেলে রাখলেন তার পরকীয়া প্রেমিকা। আজ ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর ইউনিয়নের হোসেনপুর টানপাড়া গ্রামের এক পরিত্যক্ত টয়লেটের ট্যাংক থেকে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে পরকীয়া প্রেমিকা হোসেনপুর টানপাড়া গ্রামের শান্তা আক্তার (৩৫) ও তার স্বামী সুমন মিয়াকে (৪০) আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে স্থানীয় লোকজন। নিহত ইসমাইল মিয়া আশুগঞ্জ উপজেলার লামা শরীফপুর গ্রামের মৃত উজির আলীর ছেলে। তিনি ৬ সন্তানের জনক।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, গতকাল ২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ইসমাইল মিয়া নিখোঁজ ছিলেন। তার পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজে না পেয়ে আজ শুক্রবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়। এরই মধ্যে বিকেল আড়াইটার দিকে স্থানীয় লোকজন হোসেনপুর টানপাড়া গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির টয়লেটের ট্যাংকের ভেতরে তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠায়।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক পরকীয়া প্রেমিকা শান্তা বেগম জানান, ইসমাইল মিয়ার সাথে তার দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেম চলছিল। ইসমাইল মিয়া বিভিন্ন ছলে প্রায়ই তার সাথে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় তার রাজমিস্ত্রি স্বামী কাজের সুবাধে বাড়িতে না থাকায় ইসমাইল তার ঘরে প্রবেশ করে তার সাথে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। তিনি যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খেয়ে যাওয়ায় শান্তার খুব কষ্ট হচ্ছিল। তাই শান্তা ইসমাইলকে ঘর থেকে বের করে দিতে চেয়েছিলেন। এ সময় ইসমাইল শান্তার অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া ১৪ বছরের মেয়ে কেয়াকে ঘুমের মধ্যে ঝাপটে ধরে। এতে শান্তা ক্ষিপ্ত হয়ে রাজমিস্ত্রির যন্ত্র ‘কোটাবাড়ি’ দিয়ে ইসমাইলের মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে শান্ত তার পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এরপর মেয়ের সহযোগিতায় লাশটি পাশের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির টয়লেটের ট্যাংকে ফেলে দিয়ে আসেন। রাতে শান্তার স্বামী ঘরে ফেরেন। তবে মা-মেয়ে স্বাভাবিক থাকেন।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক সুমন মিয়া এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানান।
তবে নিহতের ছেলে সাদ্দাম হোসেন বলেন, সুমন ও তার স্ত্রীসহ অজ্ঞাত খুনিরা আর্থিক কোনো কারণে তার বাবাকে খুন করেছে।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে আশুগঞ্জ-সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তপন সরকার ও আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: বিল্লাল মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বিল্লাল মিয়া বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে। খুনের সাথে সরাসরি জড়িত সন্দেহে স্বামী-স্ত্রী দুইজনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ ও তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্টাফ রিপোর্টার:
পোল্ট্রি ফার্মে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা বায়োগ্যাস প্লান্টের বয়লার বিস্ফোরণে মোঃ জুবায়ের (২৮) নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। নিহত জুবায়ের কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার ধলা গ্রামের মোঃ জলিল মিয়ার পুত্র। তিনি গত ৩-৪ বছর ধরে এ ফার্মে কাজ করতো। গত শনিবার রাত সাড়ে ৬টার দিকে আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর গ্রামের ৯নং ওয়ার্ড এলাকায় বিল্লাল ভুইয়ার পোল্ট্রি ফার্মে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের এ ঘটনাটি ঘটে।
বিল্লাল ভুইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য। বিস্ফোরণ ও শ্রমিক জুবায়ের নিহতের ঘটনাটি আশুগঞ্জ থানা এলাকায় ঘটলেও বিষয়টি আশুগঞ্জ থানা পুলিশকে পাশ কাটিয়ে ময়না তদন্ত ছাড়াই নিহতের লাশ তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে নিয়ে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে এ বায়োগ্যাস প্লাণ্টটি পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকলেও এ থেকে উৎপাদিত গ্যাস আশে-পাশের বাড়িঘর ও দোকানপাটে সংযোগ দেয়া আছে। পোল্ট্রি ফার্মটি সরেজমিনে পরিদর্শন করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিস।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ বিল্লাল ভুইয়ার পোল্ট্রি খামারে জুবায়ের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। এ খামারে মুরগির বিষ্টা থেকে দুটি বায়োগ্যাস প্লান্ট চলমান। তবে এসব প্লান্ট পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এ প্লান্টের উৎপাদিত গ্যাস ফার্মের নিজস্ব প্রয়োজন মিটিয়ে প্লাষ্টিকের পাইপের মাধ্যমে বিভিন্ন দোকান ও বাড়িতে সরবরাহ করা হতো। জুবায়ের বৈদ্যুতিক ও বায়োগ্যাসের কাজে দক্ষ থাকায় সে বায়োগ্যাসের কাজ করতো। গত শনিবার বায়োগ্যাসে কাজ করার সময় বিকট শব্দে একটি বয়লার বিস্ফোরন হয়। উদগিরিত গ্যাসে জুবায়ের উপরে উঠে গিয়ে পরে বেশ দুরে ছিটকে পড়ে। সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জেলাসদর হাসপাতাল ও পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সাড়ে রাত ৮টার দিকে সে মারা যায়।
এদিকে বিস্ফোরনের ঘটনা ও শ্রমিক নিহতের ঘটনাটি আশুগঞ্জ থানা এলাকা হলেও নিহতের লাশ তার নিজ বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল রোববার সকালে সরেজমিনে কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে গেলে ফার্মের সামনে কথা হয় মোঃ বিল্লাল মিয়ার ছোট ভাই মোঃ হাবিবুর রহমানের সাথে। তিনি মুরগির সুরক্ষার দোহাই দিয়ে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেয়নি। তবে কিছুক্ষন আগেই ২-৩ জনকে নিয়ে ফার্ম থেকে বের হতে দেখা গেছে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে চাইলেও তিনি এড়িয়ে যান। এদিকে বায়োগ্যাস প্লান্টটি অনুমোদনের আগেই তা থেকে উৎপাদিত গ্যাস প্লাষ্টিকের পাইপ দিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার দুর পর্যন্ত বিভিন্ন দোকান ও বাড়িতে বাণিজ্যিক ভাবে (মাসিক ১ হাজার টাকায়) সংযোগ দেয়া হয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে ফার্মের মালিক মোঃ বিল্লাল ভুইয়া মোবাইল ফোনে জানায়, নিহত জুবায়ের তার ফার্মে ৩-৪ বছর ধরে কাজ করছে। তিনি লাশ নিয়ে নিহতের বাড়িতে রয়েছেন এবং তার পরিবারের সহায়তায় দাফনের প্রস্তুতি চলছে। জুবায়ের নিহতের পর লাশ আশুগঞ্জ থানায় কেন নেয়া হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি সবটুকুই নিহতের পরিবারের ইচ্ছা।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ওসি আজাদ রহমান বলেন, লাশ থানায় নিয়ে আসার জন্য বলা হলেও ময়নাতদন্ত ছাড়াই তারা লাশ নিয়ে নিহতের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে নিয়ে যায়। পরে তিনি বিষয়টি তাড়াইল থানাকে অবগত করে। তাড়াইল থানার ওসির বরাত দিয়ে আরো বলেন, সেখানেও নিহতেদর স্বজনেরা লাশের ময়নাতদন্ত করতে আগ্রহ হয়নি বলে জানায়।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে ফার্মটি সরেজমিনে পরিদর্শন করা হবে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবশে অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ খালেদ হোসাইন বলেন, বায়োগ্যাস প্লান্টটি অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর বিভিন্ন কাগজপত্রসহ যোগাযোগ করতে নির্দেশনা দিয়েচে। এ সময় এ ঘটনা ঘটল। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে দেখা হবে বলে তিনি জানান।