চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার আয়োজনে ভাদুঘর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে চলছে কোরবানির পশুর হাট। গত ১৩ জুন থেকে এই হাট শুরু হয়েছে। চলবে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত।
সরেজমিনে আজ ১৪ জুন শুক্রবার ভাদুঘর কারবানির পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়। পুরো বাজার জুড়েই কোরবানির পশুর বিশাল সমারোহ। কিন্তু সেই তুলনায় ক্রেতা কম। এদিকে পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবীরা মাঠের শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছেন। বিভিন্ন জায়গায় পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাতের বেলা আলোর জন্য জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরো টার্মিনালের বাইরে এবং ভিতরে নিরাপত্তা ও যানজট নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকেই হাটে কোরবানির পশু আসা শুরু হয়েছে। এখনো বেচাকেনা সেভাবে জমে ওঠেনি। কিছুসংখ্যক ক্রেতা হাটে ঘুরে ঘুরে গরু, ছাগল, মহিষসহ বিভিন্ন কোরবানির পশু দেখছেন এবং দাম যাচাই করে করছেন। হাটটিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানির পশু নিয়ে এসেছেন ব্যাপারীরা। এই মুহূর্তে ক্রেতার অপেক্ষায় আছেন তারা। আর মাত্র কদিন বাকি কোরবানির ঈদের। তবে এখনো সেভাবে জমে ওঠেনি শহরের সবচেয়ে বড় এই পশুর হাট। কিছু কিছুসংখ্যক ক্রেতা হাটে এলেও দর যাচাই করে ফিরে যাচ্ছেন। বিক্রেতারা বলছেন, সবশেষে ক্রেতাদের সঙ্গে তাদের দামের ফারাক থাকছে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। আর ক্রেতাদের অভিযোগ, বিক্রেতারা ছোট গরুর দাম হাঁকছেন বেশি।
১৪ জুন শুক্রবার দুপুরে এই পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, ব্যাপারীরা পশু নিয়ে অলস সময় কাটাচ্ছেন। এখনো ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কোরবানির পশু আসছে।
হবিগঞ্জ থেকে আসা এক গরু ব্যবসায়ী বলেন, ৮টি গরু এনেছি। এখনো একটাও বিক্রি হয়নি। সবাই দাম শুনে চলে যায়। তিনি একটি বড় গরুর দাম হাঁকেন সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা।
মাঝারি আকারের একটি দেশীয় গরু দেখিয়ে তিনি বলেন, এটার দাম চেয়েছি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ক্রেতারা ১ লাখ ১০ হাজার টাকা বলছেন। ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় একজন কিনবেন বললো। পরে বলে দাঁত ওঠেনি। না কিনেই চলে গেলো।
গরু ব্যবসায়ী আলমগীর মিয়া বলেন, শহরের মানুষ এত তাড়াতাড়ি গরু কেনেন না। তাদের তো গরু রাখার জায়গা নেই। আশা করছি, আজ রাত থেকে বেচাকেনা শুরু হবে। সরাইল উপজেলা থেকে হাটে আসা এ ব্যবসায়ী ২টি ষাঁড় গরু এনেছেন। আকার ভেদে সেগুলোর দাম তিনি চাইছেন ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
এবারের হাটে মহিষ, ছাগল, ভেড়ার উপস্থিতি বেশি দেখা যাচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচিকে (কচি মোল্লা) আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
৮ নভেম্বর বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে জেলা শহরের বাগানবাড়ি এলাকা থেকে তাকে আটক করেছে র্যাব।
হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি পৌর শহরের মৌড়াইল এলাকার বাসিন্দা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসাইন জানান, হাফিজুর রহমান মোল্লা কচিকে র্যাব আটক করে রাত দেড়টার দিকে থানায় হস্তান্তর করেছে। তার নামে বিস্ফোরক মামলা রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে জেলা শহরের কাউতলী পূর্বপাড়ায় তিতাস নদী থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি ম. মোজাফফর হোসেন বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে জেলা শহরের কাউতলী পূর্বপাড়ায় তিতাস নদীতে ভাসমান অবস্থায় এক ব্যক্তির লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তিতাস নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে। তার বয়স আনুমানিক ৫০ বছর। নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ ১২ জুন সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের বিরাসার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষ চলাকালে অর্ধশত ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কারও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও ছাত্রদল সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এ নিয়ে নতুন ও পুরাতন কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। এ ঘটনায় নতুন কমিটির আহ্বায়ক শাহীনুর রহমানের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। আজ সোমবার নতুন আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ আনন্দ মিছিল করার জন্য বিরাসার এলাকায় জড়ো হয়। এ সময় পুরাতন কমিটির আহ্বায়ক ফুজায়েল চৌধুরী ও অন্য নেতৃবৃন্দ একই স্থানে এলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, কমিটি নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। একপক্ষ আরেক পক্ষকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গণঅভ্যুত্থানের একমাস পূর্ণ হওয়ায় শহীদদের স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় র্যালি ও আলোচনা সভা হয়েছে। আজ ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের টেংকেরপাড় মাঠে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শহীদি মার্চের এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী আল মামুন, দুর্জয় মাহমুদ, রেহেনা বুশরা, মুনিয়া, রিয়াদুল ইসলাম, আবু বাশার সানি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী মোঃ নিয়াজুল করিম প্রমুখ। সভায় বক্তারা ছাত্র আন্দোলনে সকল শহিদ ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারও তার বাহিনী ছাত্রদের উপর নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতন চালিয়েছে। দেশে যেই সরকার গঠন করুক এসব ঘটনার দ্রুত বিচার করতে হবে, অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। এছাড়াও বক্তারা বলেন, যারা দেশে পুণরায় বৈষম্য সৃষ্টি করতে চাইবে তাদেরকে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন থেকে অভিজ্ঞতা নিতে হবে। একটি মহল ছাত্রদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রটাচ্ছে উল্লেখ করে তারা বলেন, ধ্বংস নয় বরং শিক্ষার্থীরা বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়তে মাঠে নেমেছে। তাই সকল অপপ্রচার থেকে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। একটি সুন্দর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে যেতে হবে। পরে একটি র্যালি টেংকের পাড় থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।