চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর বাস টার্মিনালের গরুর বাজারে বিশেষভাবে দৃষ্টি কাড়ছে নেত্রকোণা থেকে আসা ১২০০ কেজি ওজনের ‘লালু মস্তান’ নামের একটি গরু। একদিকে ওজনের দিক দিয়ে যেমন বেশি তেমনি আকৃতির দিক দিয়ে বেশ বড় এই গরুটি। আর একারণেই বাজারে আসা মানুষের মাঝে আগ্রহ বেড়েছে গরুটিকে ঘিরে।
আজ ১৫ জুন শনিবার সকাল থেকে ষাঁড়টিকে দেখতে ক্রেতা সাধারণের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। রোকন মিয়া নামে এক ব্যক্তি এই ষাঁড়টিকে বিক্রির জন্য এনেছেন। তিনি গরুটির দাম হাঁকছেন ১৫ লাখ টাকা।
তবে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাজারে ষাঁড়টির দাম সাড়ে ৯ লাখ টাকা উঠেছে বলে তিনি দাবি করেছেন তিনি। তার আশা ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাজারে তিনি ভালো দাম পাবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভাউচার সংরক্ষণ না করায় ডিমের দুই আড়ৎদারকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ১৬ আগস্ট বুধবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান শহরের আনন্দ বাজারে অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই বাজারে অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযানের অংশ হিসেবে বুধবার দুপুরে শহরের আনন্দ বাজারের ডিমের আড়ৎগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় ডিম ক্রমের ভাউচার সংরক্ষণ না করায় ১টি আড়ৎদারকে ৪ হাজার টাকা ও অপর একটি আড়ৎদারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি তাদেরকে সর্তকও করা হয়। তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাড়ির গেট-দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পরিবারের লোকদের হাত-পা বেঁধে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ ৮ আগস্ট মঙ্গলবার ভোরে সদর উপজেলার রামরাইল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এ সময় ডাকাতরা ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও তিন লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়া হামলায় নারীসহ চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- বাড়ির কর্তা সাইদুল ইসলাম (৭০), তার স্ত্রী জুৎস্না চৌধুরী (৬০), ছেলে মাইনুদ্দিন ইসলাম (২৬) ও মেয়ে আয়েশা আক্তার মুক্তা (২৮)। এর মধ্যে আয়েশা আক্তার মুক্তার দুই হাতের আঙুল ভেঙে যাওয়ায় ও মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়েছে।
সাইদুল ইসলামের আরেক মেয়ে সাদেকা ইসলাম রত্না বলেন, আমার দুই ভাই ও এক বোন দেশের বাইরে থাকে। বোন সম্প্রতি সুইডেন থেকে বেড়াতে দেশে আসে। সোমবার সন্ধ্যায় সে আবার প্রবাসের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে চলে গেছেন। মঙ্গলবার ভোরে আমার বোন আয়েশা আক্তার মুক্তা ঘরের বাইরে টয়লেটে যায়। এই ফাঁকে ২৫/৩০ জনের একটি ডাকাত দল আমাদের বাড়ি ঘিরে ফেলে। এর মধ্যে ১০/১২ জন আমাদের বাড়ির বাউন্ডারির দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে। বাউন্ডারির ভেতরে ঢুকে ভবনের কলাপসিবল গেট ও দরজা ভেঙে সাতজন ঘরে প্রবেশ করে। ঘরে ঢুকে তারা দেশীয় অস্ত্রের মুখে আমার বাবা, মা ও ভাইকে মারধর করে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। এরই মাঝে আমার বোন টয়লেট থেকে ঘরে ঢুকলে তার মাথায়ও আঘাত করে মেঝেতে ফেলে দিয়ে মারধর করে। এতে তার দুই হাতের আঙুল ভেঙে যায়। ডাকাত দল আমাদের ঘরে থাকা প্রায় তিন লাখ টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় আমার মায়ের কান ছিড়ে স্বর্ণের দুল দিয়ে যায়।
আহত আয়েশা আক্তার মুক্তা বলেন, আমি টয়লেট থেকে এসে দেখি সাতজন লোক আমার ভাইকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে। তারা আমার দুই শিশুর গলায় ছুরি ধরে রেখেছিল। তাদের সবার মুখে মাস্ক পরা ছিল। তারা আমার মাথায় আঘাত করে। এরপর আমি লুটিয়ে পড়ি। দুই হাতে কখন আঘাত পেলাম বলতে পারিনি। জ্ঞান ফেরার পর দেখেছি দুই হাতে ব্যান্ডেজ।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এই ঘটনায় ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও প্রায় তিন লাখ টাকা ডাকাতরা নিয়ে গেছে। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমরা ডাকাতদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। তবে, এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ ১৭ এপ্রিল বুধবার পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম. এম. মাহমুদুর রহমান, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আ. কুদদূস, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শামসুর রহমান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঁইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ, ওয়াছেল সিদ্দিকী প্রমুখ।
সভায় জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
খোকন নামের এক মাদকসেবিকে ৩ মাসের কারাদন্ড ও এবং ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাহিদা আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ওই যুবককে এই দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাহিদা আক্তার জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনকে টিকেট কালোবাজারি মুক্ত করতে প্রায়ই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বিকেলে রেলওয়ে স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে টিকেট কালোবাজারিরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এক পর্যায়ে স্টেশনে খোকন নামে এক যুবকের আচরণবিধি সন্দেহ হলে তাকে তল্লাশি করা হলে তার কাছে ট্রেনের একটি টিকেট ও এক পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। পরে ওই যুবককে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩ মাসের কারাদন্ড এবং ৫০০টাকা জরিমানা করা হয়। ট্রেনের টিকেটটি যাচাই করে এর বৈধতা পাওয়া যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রয়াণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৭ মে শনিবার বেলা ১১টায় ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন দেশপ্রেম ও সততার প্রতীক। উনি যে কাজই করেছেন সেটা দেশের জন্য মানুষের জন্য। উনি রাজনীতি করতেন না। তবে উনার বক্তব্য রাজনীতিকে আন্দোলিত করতো। উনি কোনো রক্তচক্ষুকে ভয় করতেন না। ‘
বক্তারা আরো বলেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্থান করে নিয়েছেন মানুষের হৃদয়ে। এ পৃথিবী যতদিন বেঁচে থাকবে তিনিও বেঁচে থাকবেন। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দেশপ্রেমকে অনুসরণ করে আমাদের উদ্বুদ্ধ হতে হবে। ‘
তাঁর সহধর্মিণী শিরিন হক বলেন, ‘জাফরুল্লাহ সাধারণ মানুষের অনেক ভালোবাসা পেয়েছেন। এটাকেই তিনি জীবনের বড় প্রাপ্তি হিসেবে দেখেছন। তিনি সব সময়ই সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করতেন। ‘
সাংবাদিক আবদুন নূরের সভাপতিত্বে ও অ্যাডভোকেট নাসির মিয়ার সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন শামীমা সিকদার। প্রধান অতিথি ছিলেন জাফরুল্লাহ’র সহধর্মিণী নারী নেত্রী শিরিন হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ড. মুস্তফা মজিদ, অধ্যাপক রাহমান চৌধুরী।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামছুজ্জামান চৌধুরী কানন, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, তৈমুর রেজা শাহজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত, সাথী চৌধুরী, ফেরদৌসুর রহমান প্রমুখ।