চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ সাইলোর বিএমআরই (ব্যালেন্সিং, আধুনিকায়ন, বিস্তার এবং প্রতিস্থাপন) উদ্বোধন করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র এমপি। ২০ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুগঞ্জ সাইলোতে প্রধান অতিথি থেকে তিনি এর উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, এখন গরিবেরা পেট ভরে ভাত খায়, আর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে ধনীরা রুটি খায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. মঈন উদ্দিন মঈন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন এনডিসি, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসেন, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জিয়াউল করিম খান সাজু ও আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামল চন্দ্র বসাক। স্বাগত বক্তব্য দেন সাইলো অধিক্ষক সিরাজুস সালেকিন।
খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিদেশ থেকে আমদানি করা সরকারি গমের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আশুগঞ্জ সাইলোতে খালাস করা হয়। ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন সাইলোটি ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে স্থাপন করা হয়েছিল। বর্তমানে সাইলোর যন্ত্রপাতি পুরাতন হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাচ্ছিল না। সাইলোটির ব্যাগিং হাউজ, ডেলিভারি সিস্টেম, ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম, কনভেয়র ব্রিজ, জেটি, সাব-স্টেশন, কন্ট্রোল রুম সিস্টেম, পুরাতন স্কেল, বেল্টের কাউন্টার, ওয়েট বুথ ইত্যাদি পুরাতন হওয়ার অপারেশনাল কার্যক্রমে প্রায়ই বিঘ্ন ঘটত। এতে যথাসময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে গম সরবরাহের জটিলতা দেখা দিত। ফলে সাইলোটির বিএমআরই (ব্যালেন্সিং, আধুনিকায়ন, বিস্তার এবং প্রতিস্থাপন) করার উদ্যোগ নেই খাদ্য মন্ত্রণালয়ের। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বেলজিয়ামের প্রতিষ্ঠান ভিগান ইঞ্জিনিয়ারিং এসএ সাইলোটি বিএমআরই করার কাজটি সম্পন্ন করে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বিএমআরই করার কারণে সাইলোটি আবার পূর্ণ যৌবন ফিরে পেয়েছে। একটি নতুন সাইলো নির্মাণে যেখানে ৭শ থেকে ৮শ কোটি টাকার প্রয়োজন হতো, সেখানে মাত্র ৪৭ থেকে ৪৮ কোটি টাকা খরচ করে এটিকে আগের অবয়বে নিয়ে আসা হয়েছে। আগামী ২০-২৫ বছর এতে আর হাত দিতে হবে না।
তিনি বলেন, আরো অনেক আগেই সাইলোটির বিএমআরই করা দরকার ছিল কিন্তু কোনো সরকার তা করেনি। বর্তমান সরকার তা করেছে।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ। কোভিড ও বিভিন্ন দেশের যুদ্ধাবস্থার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছিল কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা হাইড করেছেন। জনগণকে হতাশ করেননি। বিচক্ষণতার মোকাবিলা করেছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে খাদ্যমন্ত্রী নির্মাণাধীন আশুগঞ্জ রাইস সাইলো পরিদর্শন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহাসড়কের যানবাহনে তল্লাসী করে বিপুল পরিমান মাদক আটক করেছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় ৬জন মাদক পাচারকারী ও বিদেশী অস্ত্রসহ ১জনকে আটক করা হয়।
৯ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা চলে।
আটককৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে গাজাঁ ও ফেনসিডিল। এরমধ্যে সাড়ে ১০ কেজি গাঁজা ও ২২ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি বিদেশী পিস্তল আটক করে শিক্ষার্থীরা। আটককৃতরা হলেন রাজধানী ঢাকার শনি আখড়ার আকবর আলীর ছেলে মালেক, নারায়নগঞ্জের রফিক উদ্দিনের ছেলে পলাশ, নেত্রকোনার শামছু মিয়া ছেলে জুয়েল, গোপালগঞ্জের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে রাসেল মিয়া, নরসিংদীর শাহানাজ মিয়ার ছেলে খলিল মিয়া, সিলেটের মদিনা মার্কেটের মতিলাল তালুকদারের ছেলে সৈকত তালুকদার। পরে আটককৃতদের সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেন শিক্ষার্থীরা।
কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক সুফিয়ান আজাদ জানান, মহাকসড়কের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী না থাকায় সেই সুযোগে মাদক কারবারীরা বিপুল পরিমান মাদক বিভিন্ন পরিবহনে করে মাদক পাচার করছে। তাই মাদক পাচার রোধে শিক্ষার্থীদের এই কার্যক্রম চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীরা জানান, সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা এ সব মাদক ক্রয় করে ঢাকা, নেত্রকোনা, নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দিতে তারা মাদক বহন করে পাচার করছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে মেঘনা নদীর তীর থেকে ডাকাতি প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ৫ ডাকাত গ্রেফতার করেছে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে আজ ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার ভোর রাতে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ভোরে আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের মেঘনা নদীর বাহাদুরপুর গ্রামের মেঘনা নদীতে তীরে ডাকাতি প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ৫ ডাকাততে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো কাউসার, পিতা-আবুল খায়ের, কমলপুর ভৈরব, রতন, পিতা-হেলু মিয়া, যাত্রাপুর, আশুগঞ্জ, রাবিজ, পিতা-দুলাল, কমলপুর, ভৈরব, সুমন, পিতা-নুরু মিয়া, গাছতলাঘাট, ভৈরব, দেলোয়ার হোসেন, মুন্সিপাড়া, হেমায়েতপুর, সাভার ঢাকা প্রমুখ। পুলিশ জানায় দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
৫ ডাকাতকে গ্রেফতার করা সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরো তিন/চার জন ডাকাত পালিয়ে যায়। পাচজনকে গ্রেফতার করে আশুগঞ্জ থানায় এনে প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে তারা মেঘনা নদীতে ডাকাতির কথা স্বীকার করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পরবর্তীতে তাদের জিঞ্জাসাবাদের ভিত্তিতে ৪০০পিস ইয়াবা এবং বেশ কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ নাহিদ আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে পুলিশবাদী হয়ে থানায় মামলা হয়েছে এবং দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত করে তাদেও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খবর বিজ্ঞপ্তির:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, ১৫ আগস্ট জাতির পিতার নির্মম হত্যাকান্ড পরবর্তী সরকারের সমন্বয়ে স্বাধীনতা বিরোধী শীক্তর উত্থানের প্রেক্ষাপটে জাতির দুঃসময়ে আশুগঞ্জ “সমন্বিত সংস্কৃতিক বিকাশ কেন্দ্র” প্রতিষ্ঠিত হয়। বিজয় মেলার মাধ্যমে বিগত প্রায় ত্রিশ বছরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে এই প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা তুলনাহীন।
আশুগঞ্জ মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই মন্তব্য করেন। সমন্বিত সংস্কৃতিক বিকাশ কেন্দ্রের সভাপতি শফিকুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এম. এ লিটনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াছেল সিদ্দিকী এবং আওয়ামীলীগ নেতা হাজী মাহমুদুল হক ভূইয়া। অনুষ্ঠানে জেলা যুবলীগ নেতা সালাউদ্দিন সরকার, ছাত্রনেতা আব্দুল আজিজ অনিকসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে যুবলীগ নেতার পায়ের রগ কেটে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি সাচ্চু মিয়াকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯ সদস্যরা।
গতকাল ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আসামিকে জেলার আশুগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গ্রেফতার সাচ্চু মিয়া আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু সামার ছেলে।
আজ ১ অক্টোবর রবিবার দুপুরে র্যাব-৯ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৪ আগস্ট রাত সোয়া ৯টার দিকে তালশহর নতুন বাজার জিল্লুর রহমান ব্রিজে যুবলীগ নেতা জনি মিয়ার (৩৫) ওপর হামলা চালায় সাচ্চু মিয়া ও তার সহযোগীরা। এসময় তারা জনি মিয়ার দুই পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে কুপিয়ে আহত করে। এসময় জনির চাচাত ভাই আউয়াল মিয়ার ওপর হামলা চালায় তারা। পরবর্তীতে স্থানীয়রা দুজনকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকায় নিতে বলেন। পথে জনি মিয়ার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোকসেন মিয়া বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ছেলে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
মামলার পর র্যাব-৯ চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।
পরবর্তীতে শনিবার বিকেলে প্রধান আসামি সাচ্চু মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরআগে এ মামলায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন তালশহর গ্রামের আজহার শেখের ছেলে আজিম শেখ (৩৫) ও একই গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে আব্দুল্লাহ (৩২)।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাহিদ আহমেদ বলেন, পায়ের রগ কেটে হত্যার মামলার প্রধান আসামিকে র্যাব গ্রেফতার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা তাকে আদালতে পাঠিয়েছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
নৌযান শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নদীবন্দরে অনির্দিষ্টকালের জন্য নৌযান ধর্মঘট পালন করছে শ্রমিকরা।
এদিকে, আজ ১১ জুন রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করায় আশুগঞ্জ নদীবন্দরে আটকা পড়েছে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে আসা অর্ধশতাধিক কার্গো জাহাজ। বন্ধ রয়েছে কার্গো জাহাজ থেকে পণ্য খালাসও। এতে করে স্থবির হয়ে পড়েছে এই বন্দরের ব্যবসা-বাণিজ্য।
এ বিষয়ে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ বাহার মাস্টার বলেন, ১০ জুন শনিবার কার্গো জাহাজ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের নেতৃবৃন্দ আশুগঞ্জ ও ভৈরব নৌবন্দরে আসেন। এ সময় মালিকপক্ষের লোকজন কোনো কারণ ছাড়াই তীরে নোঙরে থাকা এমভি শাহানায়া শেখসহ মোট ১৮টি জাহাজের শ্রমিকদের মারধর করেন। শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদে আজ রোববার থেকে আমরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছি। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে আমরা কাজে যোগ দেব না। আমাদের কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।
তবে বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের কো-কনভেনার নাজমুল হোসাইন হামদু বলেন, নৌযানের পণ্য পরিবহনের নিয়ম না মেনে, এমনকি চট্টগ্রাম থেকে সিরিয়াল না নিয়ে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে জাহাজগুলো আশুগঞ্জ বন্দরে আসে। এ কারণে বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের পক্ষ থেকে আশুগঞ্জ ও ভৈরব নদীবন্দরে জাহাজে তদারকি করা হচ্ছিল। এ সময় জাহাজে থাকা শ্রমিকদের কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়। তখন তারা কাগজপত্র দেখাননি। সিরিয়ালের কাগজপত্র না দেখানো নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। তাদের কাউকে মারধর করা হয়নি। তাদেরকে মারধরের অভিযোগ সত্য নয়।
উল্লেখ্য, আশুগঞ্জ নদীবন্দরে নৌপথে সার, রড, সিমেন্ট, ধান, চাল, পাথর, কয়লাসহ কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন পণ্য নিয়ে প্রতিদিন অর্ধশত জাহাজ নোঙর করে। এসব পণ্য আশুগঞ্জ থেকে সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জের চাহিদা মিটিয়ে থাকে। এই বন্দরে প্রতিদিন অন্তত পাঁচ হাজার শ্রমিক কাজ করে।