অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে নতুন করে কোনো আবেদনও আসেনি।
আজ রবিবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সিনিয়র সহকারী জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য রিফ্রেশার কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, যতটুকু আমি জানি আজকে কিছুক্ষণ আগ থেকে, খালেদা জিয়ার হার্টে পেসমেকার লাগানের প্রক্রিয়া চলছে। তবে কিডনির বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে তাদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো কথা আসেনি, আমি সে বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেব না।
প্রধানমন্ত্রী মানবিকভাবে দেখেছেন বলেই খালেদা জিয়া বাসায় থেকে ওনার ইচ্ছেমতো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সাজা স্থগিত রেখে ওনার মুক্তির নির্বাহী আদেশটি একটা আইনের ভিত্তিতে দেয়া হয়েছে। সেই আইনে তাকে এখন বিদেশে যেতে দেয়া যায় না।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেছেন, আমরা এখনও ক্ষমতায় আসিনি। মাত্র টেস্ট পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়েছি। সামনে আমাদের ফাইনাল পরীক্ষা। তাই সাধারণ মানুষের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। মানুষকে মূল্যায়ন করতে হবে। বিএনপি জনগণের ভোটের নির্বাচিত হতে চায়। আমরা ছাপানো ভোটে নির্বাচিত হতে চাই না।
১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকাল ৪টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর কলেজ মাঠে বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, জনগণের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক ছিল না। তারা রাতের অন্ধকারে ছাপানো ভোটে নির্বাচন করতে করতে জনগণের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। তারা প্রশাসনের মাধ্যমে ১৮ ও ২৪ সালে ভোট ছাপিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। আওয়ামী লীগের নেতারা ও শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি জনগণের ভোটে নির্বাচিত দল। জনগণের ভোটের অধিকারে বিএনপি বিশ্বাসী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সহ-সভাপতি অ্যাড. শফিকুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ জহিরুল হক খোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আনিছুর রহমান মঞ্জু, গোলাম সারোয়ার খোকন, এবিএম মমিনুল হক।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো. জমির হোসেন দস্তগীরের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাড. ইমাম হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- মো. আলী আজম, মো. জসিম উদ্দিন (রিপন), মো. নুরুল হুদা সরকার, মাইনুল হোসেন (চপল), জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, পৌর বিএনপির সভাপতি নজির উদ্দিন আহমেদ, মো. নিয়ামুল হক, জেলা যুবদল সভাপতি শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মাহমুদ, মোল্লা সালাউদ্দিন, মো. হেবজুল বারী, কাজী মুহিবুল ইসলাম ডিকন, ফুজায়েল চৌধুরী, সাজিদুর রহমান সাজিদ, মো. রেজাউনুর হক, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আমিনুল ইসলাম, হৃদয় আহমেদ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত। সে গণতান্ত্রিক দেশে ভিন্ন অনেক রকম মত থাকতে পারে, সেসব মতের লোকেরা কথা বলতে পারে।
আমার মনে হয় না আমাদের সে অধিকার দেওয়ার ব্যাপারে কোনো দ্বিমত আছে। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকারের কাছে জনগণ যে দায়িত্ব দিয়েছে, সেটা জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব এবং দেশের শান্তিরক্ষার দায়িত্ব। সে বিষয়ে আমরা সচেতন থাকব।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ ২৯ নভেম্বর বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় মহিলা ডিগ্রি কলেজের হলরুমে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আনিসুল হক।
নির্বাচন পেছানো প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, সেটা নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলতে পারবে। আমি বলতে পারব না।
তিনি আরো বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা কসবা-আখাউড়ার উন্নয়নে যা যা করা প্রয়োজন তা করা হবে।
এসময় কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, কসবা পৌরসভার মেয়র এমজি হাক্কানীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বর্ধিত সভায় সভাপতি হিসেবে যোগ দেন আনিসুল হক।
বিশেষ প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন বুধবার। ইতিমধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
আজ ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ইভিএম মেশিনসহ নির্বাচনী সরঞ্জামাদি পাঠানো হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা ও আশুগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২- আসন গঠিত। দুই উপজেলায় রয়েছে ১৭টি ইউনিয়ন। এর মধ্যে সরাইল উপজেলায় রয়েছে ৯টি ইউনিয়ন ও আশুগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে ৮টি ইউনিয়ন।
উপ-নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩লাখ ৭৩ হাজার ৩১৩ জন। এর মধ্যে সরাইল উপজেলায় ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯টি এবং আশুগঞ্জ উপজেলার মোট ভোটার ১ লাখ ৩২ হাজার।
উপ-নির্বাচনে মোট কেন্দ্র ১৩২টি। এর মধ্যে সরাইল উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৮৪টি ও আশুগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৪৮টি ভোট কেন্দ্র করা হয়েছে।
উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ জন প্রার্থী। এরা হলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের পদ থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া এই আসনের ৫ বারের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া-(কলারছড়ি প্রতীক), জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবদুল হামিদ ভাসানী-(লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এই আসনের ২ বারের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা (আপেল প্রতীক), জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল-(গোলাপ ফুল), ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমেদ-(মোটর গাড়ী প্রতীক)।
তবে প্রতীক বরাদ্দের পর স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়িয়েছেন।
উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বর্তমানে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমেদ (মোটর গাড়ি প্রতীক) গত শুক্রবার রাত থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তবে পুলিশের দাবি আবু আসিফ নিজেই আত্মগোপন করেছেন।
এদিকে নিখোঁজ স্বামীর (আসিফ) সন্ধান পেতে ও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ করতে জেলা প্রশাসক ও উপ-নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন আবু আসিফের স্ত্রী মেহেরুন্নেছা মেহরিন। মঙ্গলবার দুপুরে লোক মারফত তিনি রিটার্নিং অফিসারের কাছে এই আবেদনপত্র পাঠান। আবেদনের অনুলিপি প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, আশুগঞ্জ থানার ওসির কাছে ও দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও উপ-নির্বাচরে রিটার্নিং অফিসার মোঃ মোঃ শাহগীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া (কলারছড়ি প্রতীক) নির্বাচনে সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন।
“উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া সমর্থক গোষ্ঠির ব্যানারে” বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সদর আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা আজাদ ওরফে শিউলী আজাদ, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকারের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা প্রতিদিন নির্বাচনী এলাকায় কলারছড়ির পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন।
নেতৃবৃন্দ ভোটের দিন প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে স্থানীয় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদেরকে নির্দেশনা দেন। প্রচার-প্রচারণায় সরকারি দলের নেতাদের সহযোগীতা পেয়ে উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন। নির্বাচনে তিনি চমক দেখাতে পারেন বলে মনে করছেন নির্বাচনী এলাকার লোকজন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার আশুগঞ্জ ও সরাইল এলাকার একাধিক ভোটার বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২- আসনে বিএনপির সাবেক এমপি ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা প্রার্থী হতে পারেন। ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা যাতে নির্বাচনী এলাকায় সুবিধা না করতে পারেন সেজন্য আওয়ামীলীগ বিএনপির পদত্যাগী নেতা উকিল আবদুস সাত্তারের পক্ষে মাঠে নেমেছে। উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২- আসন থেকে ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এদিকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে জয়ের প্রত্যাশা করেছেন জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী আবদুল হামিদ ভাসানী ও জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম ভূঞা।
এদিকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। নির্বাচনে ১হাজার ১শত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করার পাশাপাশি থাকবে ৪ প্লাটুন বিজিবির সদস্য, র্যাবের ৯টি টিম, পুলিশের ৯টি মোবাইল টিম এবং ৪টি স্ট্রাইকিং টিম। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে নিরাত্তার দায়িত্ব পালন করবে ৩জন পুলিশ, অস্ত্রধারী ২জন আনসার, লাঠিধারী ১০জন আনসার ও ২জন গ্রাম পুলিশ।
উপ-নির্বাচনে ১৭টি ইউনিয়নে ১৭জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, উপ-নির্বাচন উপলক্ষে আমরা ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। কোন ধরনের বিশৃংখলা সহ্য করা হবেনা। কেউ বিশৃংখলার চেষ্টা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ব্যাপারে উপ-নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম জানান, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কেউ বিশৃংখলার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন চাইলে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে পারে এটি ভুল ধারণা, নির্বাচন পেছানোর এখতিয়ার কমিশনের নেই।’
আজ ১ জানুয়ারি সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের দ্বিতীয় পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছে বিএনপি ও এর সমমনা দলগুলো। বিএনপির দাবি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তা সুষ্ঠু হবে না। অন্যদিকে সংবিধানের বাইরে ছাড়া নির্বাচন হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দুই দলের এমন অবস্থানের মধ্যেই গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ইসির ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা এখনও স্থিতিশীল হয়ে ওঠেনি মন্তব্য করেন হাবিবুল আউয়াল বলেন, যেকোনো কারণেই হোক নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে একটা অনাস্থা তৈরি হয়েছে। আগের নির্বাচনগুলো নিয়ে বিতর্ক আছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হলেই হবে না নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে। নির্বাচনকে দৃশ্যমানভাবে স্বচ্ছ করতে হবে। নির্বাচনকে জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে।
সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশন এককভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে না। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র নির্বাচনে সহযোগিতা করতে বাধ্য। কোনো নির্বাচনই পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ হয়নি। আমাদের এখনও নিরবচ্ছিভাবে নির্বাচন করার মতো পরিবেশ আসেনি। তবে অস্বাভাবিক সহিংসতা কাম্য নয়।
নির্বাচনকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটিকে দেখাতে হবে নির্বাচনটা অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে।
ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশ্যে হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাজনীতি ও নির্বাচনী সংস্কৃতি পরিবর্তন হয়নি। এখনও নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়। আপনাদের সহযোগিতায় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে আশা করি।