অনলাইন ডেস্ক :
আজ ২৩ জুন সেন্ট ভিনসেন্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগে ব্যাট করে আফগানিস্তান তুলেছিল ১৪৮ রান। ১১৮ রানের উদ্বোধনী জুটির পর আকস্মিক ধস না নামলে সেটা হতে পারত আরও বড়। কিন্তু যা হয়েছে বোলিং সহায়ক উইকেটে সেটাই ছিল যথেষ্ট। বল হাতে পাওয়ারপ্লে শেষের আগেই তিন উইকেট তুলে নেন আফগান বোলাররা। মাঝে কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়তে হলেও, শেষদিকে আরেকবার নিজেদের বোলিং কারিশমা দেখান এশিয়ান দেশটির বোলাররা।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ব্যাট আবারও চোখ রাঙাচ্ছিল। আফগান সমর্থকদের কেউ কেউ হয়তো সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ম্যাক্সওয়েলের অমন ইনিংসের কথাই ভাবছিলেন। সেই ম্যাচে ৯১ রানে ৭ উইকেট তুলে নিয়েও ম্যাক্সওয়েলের ডাবল সেঞ্চুরিতে হারতে হয় আফগানিস্তানকে। তবে আজ আর তেমনটা হয়নি। ম্যাক্সওয়েলকে ৫৯ রানে থামিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়েছে আফগানিস্তান।
সেন্ট ভিনসেন্টে আজ অস্ট্রেলিয়াকে ১৪৯ রানের লক্ষ্য দিয়ে ২১ রানে হারিয়েছে আফগানরা। আফগানিস্তানের বোলারদের দাপটে অস্ট্রেলিয়া গুটিয়ে গেছে ১২৭ রানে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটি আফগানিস্তানের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ জয়।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়ে একা হাতে লড়াই করে আফগানদের জেতা ম্যাচ হারিয়ে দিয়েছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। টি-টোয়েন্টিতেও সেই শঙ্কা জাগিয়ে তুলছিলেন ম্যাক্সি। আফগান বোলিংয়ের বিপক্ষে বাকি অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটাররা যেখানে অসহায় আত্মসমর্পণ করছেন; সেখানে দলকে জয়ের পথ দেখাচ্ছিলেন তিনি। তবে এদিন গল্পের শেষটা দেখে আসতে পারেননি ম্যাক্সি। ইনিংসের ১৫ তম ওভারে দলীয় ১০৬ রানে ব্যক্তিগত ৪১ বলে ৫৯ রানের অনবদ্য এক ইনিংসের শেষ হয় ম্যাক্সির। সেই সঙ্গে শেষ হয় অজিদের জয়ের স্বপ্ন। ম্যাক্সিকে ফিরিয়ে ম্যাচে ফেরা আফগানরা শেষমেশ বিশ্বমঞ্চে অজিদের বিপক্ষে পেয়ে যায় প্রথম জয়টা। তাও ২১ রানের ব্যবধানে। আর তাতেই সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা টিকে আছে তাদের। ঝুঁকিতে পড়ে গেছে অজিদের সেমিতে খেলা।
অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে ধসিয়ে দিয়েছেন মূলত গুলবদিন। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার। তিনি আউট করেছেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস, টিম ডেভিড ও প্যাট কামিন্সকে। বোলিংয়ে তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন আফগানিস্তানের অন্য বোলাররা। ট্রাভিস হেডকে শূন্য রানে ফেরানো নাভিন উল হকও ২০ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
প্রথম ওভারে হেডকে ফেরানো নাভিন তৃতীয় ওভারে ফেরান অধিনায়ক মিচেল মার্শকে। এরপর ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ডেভিড ওয়ার্নাকে আউট করেন মোহাম্মদ নবী। ৩২ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ৩৯ রানের জুটি গড়েন ম্যাক্সওয়েল ও স্টয়নিস। এরপরই মুলত গুলবদিন ম্যাচের ভাগ্য বদলে দেন। তাঁর বাউন্সারে ইনিংসের ১১তম ওভারে আউট হন স্টয়নিস। টিম ডেভিডও উইকেটে থিতু হতে পারেননি। তাঁকেও আউট করেছেন গুলবদিন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ টানা ৮ ম্যাচ জেতার পর হার দেখল অস্ট্রেলিয়া।
এর আগে শুরুটা দারুণ করে আফগানিস্তান। রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ওপেনিংয়ে গড়েন ১১৮ রানের জুটি। যদিও তুলনামূলক কঠিন উইকেটে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের সামনে খুব একটা দ্রুত গতিতে রান তুলতে পারেননি তাঁরা। দুজনে ১১৮ রানের জুটি গড়েছেন ৯৫ বলে। ৪৮ বলে ৫১ রান করেছেন ইব্রাহিম। গুরবাজ করেছেন ৪৯ বলে ৬০।
এমন জুটির পর বড় একটা সংগ্রহই হওয়ার কথা ছিল আফগানিস্তানের। তবে শেষ ৫ ওভারে মাত্র ২৯ রান করতে পারে তারা। এর কারণ প্যাট কামিন্সের হ্যাটট্রিক। বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের পর আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে আবারও হ্যাটট্রিক করেছেন এই পেসার। এবারও দুই ওভার মিলিয়ে তাঁর হ্যাটট্রিক। উইকেট নিয়েছেন ১৮তম ওভারের শেষ বল এবং ২০তম ওভারের প্রথম দুই বলে।
আজ কামিন্সের হ্যাটট্রিকের শুরুটা হয় ১৮ ওভারের শেষ বলে রশিদ খানকে আউট করে। এরপর ২০তম ওভারের প্রথম দুই বলে আউট করেন করিম জানাত ও গুলবদিন নাইবকে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে টানা দুই ম্যাচে কোনো বোলারের হ্যাটট্রিকের ঘটনা এই প্রথম। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্বিতীয়। এর আগে ১৯৯৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা দুই টেস্টে হ্যাটট্রিক করেছিলেন পাকিস্তান কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
আফগানিস্তান : ২০ ওভার ১৪৮/৬
অস্ট্রেলিয়া : ১৯.২ ওভার ১২৭/১০
ফল : আফগানিস্তান ২১ রানে জয়ী।
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তান সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশ দলের ব্যস্ত টেস্ট মৌসুম শুরু হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নাজমুল হোসেনরা ৮টি টেস্ট খেলবেন। ব্যস্ত সূচিকে সামনে রেখে গত ২৫ মে থেকেই সিলেট ও চট্টগ্রামে বিশেষ ক্যাম্প করে প্রস্তুতি নিয়েছেন টেস্ট দলের আশপাশে থাকা ক্রিকেটাররা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ফেরা ক্রিকেটারদের কয়েকজনও সে ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন।
সাকিব আল হাসান এ সময়টায় ব্যস্ত ছিলেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে। প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ টি-টোয়েন্টি ও পরে খেলেছেন কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে। কানাডা থেকেই পাকিস্তানে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা সাকিবের। ফিটনেস ও লাল বলে অনুশীলন না থাকার পরও সাকিবকে পাকিস্তান সফরের দলে নেওয়ার পেছনে বেশ কিছু যুক্তি দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘কিছু ব্যতিক্রম খেলোয়াড় তো থাকে। গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমাদের পারফরম্যান্সে উন্নতি করতে হলে বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলোয়াড়দের সুযোগ দিতে হবে। আমরা অনেককে এনওসি দিয়েছি। দুর্ভাগ্যবশত ভিসার কারণে সাইফউদ্দিন ও রিশাদ যেতে পারেনি। আর সব সময় আপনি সবাইকে অনুশীলনে পাবেন, সেটা সম্ভব হবে না। তাদের ব্যস্ততা ক্রিকেট নিয়েই ছিল।’
আরেক প্রশ্নের উত্তরে গাজী আশরাফ হোসেন বলেছেন, ‘সে তার পারফরম্যান্সের আলোকেই যাচ্ছে। পারফরম্যান্স দিয়ে সাকিব নিজেকে যে জায়গায় নিয়ে যেতে পেরেছে, বিভিন্ন সংস্করণের ক্রিকেট, পাকিস্তানের বিপক্ষে তার রেকর্ড…সবকিছু মিলিয়েই যাচ্ছে।’ গত বছর থেকে চোখের সমস্যায় ভোগা সাকিবের ব্যাটিংয়ের ছন্দ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। গাজী আশরাফ হোসেন অবশ্য সাকিবের অলরাউন্ড সামর্থ্যে আস্থা রাখছেন, ‘আমাদের চিকিৎসক দল থেকে এমন কিছু শুনিনি। বিশ্ব যেমন স্বীকার করছে, সে ওয়ান অব দ্য বেস্ট অলরাউন্ডার, গত ২৫ বছরে। আমি সেই মতামতের সঙ্গেই যাচ্ছি। শুধু বোলার হিসেবে ধরব, সেই দুঃসাহস আমার নেই।’
শুধু পাকিস্তান সিরিজ নয়, এ বছর বাংলাদেশ দলের ৮টি টেস্টই সাকিব খেলবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক। তাঁর কথা, ‘জিম্বাবুয়ে সিরিজের সময় তার কাছে আমরা সংক্ষিপ্ত পরিকল্পনা জানতে চেয়েছিলাম। আমাদের অনেকগুলো টেস্ট ম্যাচ আছে, ডিসেম্বর পর্যন্ত আটটা টেস্ট খেলব। সেখানে সে আমাদের আশ্বস্ত করেছে, সবগুলো টেস্ট খেলবে। প্রত্যেকটা সিরিজের আগে সব অনুশীলন সেশনে থাকবে।’
মাঠের ক্রিকেটের বাইরেও সাকিবকে নিয়ে আছে অন্য দুশ্চিন্তা। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও সংসদও ভেঙে দেওয়ার পর আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মীই এখন দেশে প্রকাশ্যে নেই। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া সাকিবের নিরাপত্তা নিয়েও একটা শঙ্কা থাকে।
এ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন গাজী আশরাফ হোসেনও, ‘অনুশীলন সেশনে প্রত্যেকটা খেলোয়াড়, কোচের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। এটা অবশ্যই পরিস্থিতির আলোকে দেশকে নিশ্চিত করতেই হবে। কারণ, সাকিব আল হাসান নিশ্চিতভাবেই দেশের শীর্ষ খেলোয়াড়। এখানে নির্বাচনের (দলে রাখা) ক্ষেত্রে অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেছেন। কারণ, সে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। আমরা সেটা নিয়ে ভেবেছি। কিন্তু তার নির্বাচনটা হয়েছে মেধার ভিত্তিতে। প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রেই এটা হয়। আগামীতেও মেধাটাকেই গুরুত্ব দেব।’
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
আজ ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার বোর্ডে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন তিনি। বিসিবির একজন পরিচালক সুজনের দায়িত্ব ছাড়ার খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
লম্বা সময় ধরে বিসিবিতে একাধিক কমিটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন সুজন। সর্বশেষ তিনি গেম ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। একই সঙ্গে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিসিবি পরিচালকের পদে থাকার সময়ে জাতীয় দলের সাথেও কাজ করেছেন সুজন। বিভিন্ন সময় টিম ডিরেক্টর, অন্তর্বর্তীকালিন কোচ, টিম ম্যানেজারের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের জের ধরে দেশের নানা অঙ্গনে চলছে পরিবর্তনের হাওয়া। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদেও বেশ কয়েকটি পরিবর্তন এসেছে। সুজনের আগে বিসিবি পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন জালাল ইউনুস, আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও নাইমুর রহমান দুর্জয়ের মতো প্রভাবশালী পরিচালকরা।
এদিকে, বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব ছাড়লেও পরিচালক পদে এখনও বহাল আছেন নাজমুল হাসান পাপন। রাজনৈতিকভাবে ব্যাকফুটে চলে যাওয়ায় তিনি এমন সিদ্ধান্ত নেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরপরই আত্মগোপনে চলে যান পাপন। তার পদত্যাগের পর বিসিবির নতুন সভাপতি হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শুরু হয়েছে অনুর্ধ্ব-১৭ বালক ও বালিকা গোল্ডকাপ ফুটবল টুূর্ণামেন্ট-২০২৪। আজ ২২ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে শহরের নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে জেলা পর্যায়ের এই টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: সাইফুল ইসলাম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ইকবাল হোসাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার মাহমুদুল হাসান, জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক শাহআলম খান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মো: ইশতিয়াক ভূইয়া, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হুরায়রা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহমুদা আক্তার।
জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনী খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগর উপজেলার বালক ও বালিকা দল অংশগ্রহন করে।
টুূর্ণামেন্টে জেলার ৯টি উপজেলার ১০টি দল অংশ গ্রহন করবে।
অনলাইন ডেস্ক :
ডাকেটের ইতিহাস গড়া ব্যাটিংয়ে রেকর্ড রান তুলল ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার সামনে ৩৫২ রানের বিশাল লক্ষ্য। শুরুতেই তাদের ব্যাটিং লাইনে আঘাত করে সহজ জয়ের আশাও হয়তো করেছিল ইংলিশরা। কিন্তু সময় গড়াতেই ধীরে ধীরে ম্যাচ হাত ফসকে বেরিয়ে যেতে থাকে। তাদের ওপর চড়াও হন জশ ইংলিস। তাতে প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান করেও হারতে হলো ইংল্যান্ডকে। ১৫ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের রেকর্ড গড়া জয় পেল অস্ট্রেলিয়া। ৩৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ট্র্যাভিস হেড (৬) ও স্টিভ স্মিথের (৫) উইকেট তুলে নেয় ইংল্যান্ড। অজি শিবিরে শুরুতেই আঘাত হানেন জোফরা আর্চার ও মার্ক উড। তবে ম্যাথু শর্ট ও মার্নাস লাবুশেনের জুটি স্বস্তিতে ফেরায় অজিদের। দুইজনে মিলে গড়েন ৯৫ রানের জুটি। লাবুশেন ৪৫ বলে ৪৭ রান করে আদিল রশিদের বলে আউট হন। হাফ সেঞ্চুরি করা শর্টও তাকে অনুসরণ করে মাঠ ছাড়েন। ৬৬ বলে ৯ চার ও ১ ছয়ে ৬৩ রান করে লিভিংস্টোনের শিকার হন এই ওপেনার।
দলীয় ১৩৬ রানে চার উইকেট পড়লে কিছুক্ষণের জন্য ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর ১১৬ বলে ১৪৬ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে দলকে পথে ফেরান অ্যালেক্স ক্যারি ও ইংলিস। ৩৮তম ওভারে রশিদের বলে আর্চারের হাত ফসকে জীবন পেয়ে ক্যারি দুটি রান নিয়ে হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছান।
ব্রাইডন কার্স ১৪৬ রানের এই জুটি ভাঙলে ইংল্যান্ড ভেবেছিল তারা ম্যাচে ফিরেছে। কিন্তু ক্যারি ৬৩ বলে ৬৯ রানে পেসার ব্রাইডন কার্সকে উইকেট দিলেও ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন ইংলিস। ৪৫তম ওভারের তৃতীয় বলে আর্চারকে ছক্কা মেরে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেন ইংলিস। অন্য প্রান্ত থেকে সময় সুযোগ বুঝে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের ব্যবধান কমাতে থাকেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও।
৪৭তম ওভারে লিভিংস্টোন ম্যাক্সওয়েলের ক্যাচ নিলেও আর্চারের বল কোমরের ওপরে থাকায় নো বল হয়। ফ্রি হিট থেকে ছক্কা মারেন এই অজি ব্যাটার। ৪৭.৩ ওভারে ছক্কা মেরে দলকে জয়ের বন্দরে নেন ইংলিস। ৮৬ বলে ৮ চার ও ৬ ছয়ে ১২০ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৩৬ বলে ৭৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৩২ রান করেন ম্যাক্সওয়েল। তার ১৫ বলের ক্যামিওতে ছিল চারটি চার ও দুটি ছয়।
রেকর্ড রান করেন ডাকেট
এর আগে টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। বেন ডারশুইসের আঘাতে সাজঘরে ফেরেন ফিল সল্ট (১০) ও জেমি স্মিথ (১৫)। ৪৩ রানে ২ উইকেট হারানোর ধাক্কা দ্রুত সামলে নেয় ইংলিশরা।
তৃতীয় উইকেটে ১৫৮ রানের জুটি গড়েন জো রুট ও ডাকেট। ৭৮ বলে চার চারে ৬৮ রান করে অ্যাডাম জাম্পার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন রুট। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকলেও ডাকেটের ব্যাটে শক্ত ভিত গড়ে ইংল্যান্ড। ৯৫ বলে ১১ চার ও ১ ছয়ে শতক হাঁকান এই ওপেনার।
ডেথ ওভারে সেভাবে রান তুলতে পারেনি ইংল্যান্ড। শেষ ১০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ৮৩ রান যোগ করে তারা। ১৩৪ বলে ১৫০ রান করেন ডাকেট। তাকে ফেরান মার্নাস লাবুশেন। ১৪৩ বল খেলে ১৭ চার ও ৩ ছয়ে ১৬৫ রান করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অভিষেক রাঙান ডাকেট। তৃতীয় সেঞ্চুরির ইনিংসকে ক্যারিয়ার সেরা বানিয়েছেন ডাকেট, আগের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল ১০৭ রান। প্রতিযোগিতার ইতিহাসে এটা সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসও।
শেষ দিকে ১০ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে দলীয় স্কোর সাড়ে তিনশ পার করেন আর্চার। তার সঙ্গে ১ রানে অপরাজিত ছিলেন আদিল রশিদ। সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন ডারশুইস। দুইটি করে উইকেট নেন জাম্পা ও লাবুশেন।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বিতীয় টেস্টের ফলাফল মূলত তৃতীয় দিনেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। শুধু ছিল শ্রীলঙ্কার জয়ের অপেক্ষা। হলোও তাই। গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে নিউজিল্যান্ড। তৃতীয় দিন শেষে ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতে কিউইদের দরকার ছিল ৩১৫ রান। হাতে ছিল ৫ উইকেট। চতুর্থ দিনে অলআউট হওয়ার আগে তার তুতে পেরেছে ১৬১ রান। হেরেছে ইনিংস ও ১৫৪ রানে।
ফলে দুই টেস্টের সিরিজ নিউজিল্যান্ডকে ধবলধোলাই হতে হলো শ্রীলঙ্কার কাছে। ৬ বছর পর ইনিংস ব্যবধানে হারল নিউজিল্যান্ড।
শ্রীলঙ্কার রানের (৬০২) পাহাড়ে চাপা পড়া কিউইদের প্রথম ইনিংস মূলত গুটিয়ে গিয়েছিল প্রবাত জয়াসুরিয়ার ঘূর্ণিতে। ফলো অনে পড়া নিউজিল্যান্ড ৫১৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিল।
এরপরও টিম সাউদির দল খুব একটা ভালো ব্যাটিং করতে পারেনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ধস নামিয়েছেন আরেক স্পিনার নিশান পেরিস। দুই ইনিংস মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার স্পিনাররা নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ১৯ উইকেট।
প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার হয়ে সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনজন। দিনেশ চান্দিমাল, কামিনদু মেন্ডিস ও কুশল মেন্ডিস।
টেস্ট অভিষেকের পর একের পর এক রেকর্ড করা কামিন্দু মেন্ডিস এই ম্যাচেও খেলেন ১৮২ রানের অপরাজিত ইনিংস।