অনলাইন ডেস্ক :
ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউর রহমান, স্ত্রী লায়লা কানিজ ও পুত্র আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্নবের বিদেশে গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
আজ ২৪ জুন সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।
এদিন দুদকের উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, ড. মো. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ হুন্ডি ও আন্ডারইনভয়েসিং/ ওভারইনভয়েসিং এর মাধ্যমে বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। মতিউর রহমান ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দেশত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে মতিউর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।
চলারপথে রিপোর্ট :
পাবনার চাটমোহর উপজেলার একটি গ্রাম মামাখালী, যে গ্রামে এখনো বর্ষা মৌসুমে চলাচল করতে হয় কাদা আর পানির রাস্তায়। চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা ও নিমাইচড়া দুই ইউনিয়নের সীশান্তবর্তী হলেও ইউনিয়ন দুটির ভেতর গ্রামটির অবস্থান। কাগজে-কলমে বনমালী নগর নামের মৌজার গ্রামটি স্থানীয়ভাবে মামাখালী গ্রাম নামে পরিচিত। গ্রামটিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ ও শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর বসবাস হলেও নেই শুধু ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা।
স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, মামাখালী গ্রামের পূর্বপাড়া থেকে বরদানগর পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এই কাঁচা সড়কটি গ্রামের বাসিন্দাদের চলাচলের একমাত্র ভরসা। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম এলেই বেহাল সড়কটিতে চরম দুর্ভোগের ভেতর দিয়ে চলাচল করতে হয় তাদের। অনেক সময় বর্ষার পানিতে রাস্তাটি তলিয়ে গেলে তিন-চার মাস যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দ্বীপের বাসিন্দাদের মতো দিন পার করতে হয় গ্রামবাসীর। শুধু যানবাহনই নয়, হেঁটে চলাও দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। যাদের সামর্থ আছে তারা নৌকায় যাতায়াত করেন।
বিদ্যালয়গামী শিশুরা প্রতিদিন কাদা-পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করেন। গ্রামবাসীর অভিযোগ মূলত গ্রামটির একাংশ ছাইকোলা ইউনিয়নের ও অপর অংশ নিমাইচড়া ইউনিয়নে হওয়ার কারণেই উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে না। ফলে পুরো এলাকাটি বছরের পর বছর থেকে যায় সুবিধাবঞ্চিত। তারা দাবি করেন মামাখালী পূর্বপাড়া থেকে বরদানগর পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রাস্তাটি প্রথমে মাটির কাজ শেষে পাকাকরণ করা হোক। তাহলে তাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়, অপরদিকে তারা চলাচল করে সাচ্ছন্দবোধ করবেন।
গ্রামের এক বৃদ্ধ সিরাজুল ইসলাম প্রামানিক বলেন, জন্মের পর থেকেই এই গ্রামের এমন অবস্থা দেখে আসছি। আমার যৌবন বয়সে পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গুড়া উপজেলা সদরে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেও পারিনি। গবাদী পশু নিয়ে বর্ষা মৌসুমে আমাদের ঘরবন্দি হয়ে থাকতে হয়।
গ্রামের বাসিন্দা রহিমা খাতুন বলেন, আমার ছোট ছেলে স্কুলে পড়ে। প্রতিদিন বই খাতা ভিজে যায়। কখনো কাদায় পড়ে যায়, তখন খুব কষ্ট লাগে। আমরা কি এই কষ্ট নিয়েই বাঁচবো? আমাদের এলাকার উন্নয়ন কি কখনো হবে না- প্রশ্ন তার।
সোলায়মান, ইজ্জত আলী, আবুল হোসেনসহ একাধিক বয়স্করা বলেন, প্রতিবার নির্বাচনের সময় সবাই আসে রাস্তা পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে, ভোট নেন। নির্বাচিত হওয়ার পর আর কেউ ফিরে তাকায় না গ্রামটির দিকে।
বনমালীনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক বাসনা রানী মন্ডল বলেন, বর্ষাকালে রাস্তা-ঘাট এতটাই পিচ্ছিল আর কাদা হয় যে, শিশু শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সময় বইপুস্তক নষ্ট করে ফেলে। আমরা শিক্ষকদেরও বর্ষা মৌসমে চলাচল করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা প্রকৌশলী মোহা: রাকিব হোসেন জানান, আমি এই ষ্টেশনে নতুন, আমার জানা ছিল না। তারপরও আমাদের নিকট সে ভাবে কেউ কখনো প্রকল্প নিয়ে আসেনি, তাই রাস্তাটি মেরামত হয়নি। আমরা স্ব উদ্যোগে খোঁজ খবর নিয়ে রাস্তাটি মেরামতের চেষ্টা করবো বলেও তিনি জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
সারাদেশে বহমান প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টার আগামী ২ মে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ ২৯ এপ্রিল সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়ছেছে। শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে এক সপ্তাহ এবং ঈদ, রোজার দীর্ঘ ছুটি শেষে গতকাল প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। তবে এক দিন ক্লাসের পরই কয়েকটি জেলায় নতুন করে ছুটির ঘোষণা হয়। কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো চালু রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এখন আবার তা বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
চলারপথে রিপোর্ট :
গোপালগঞ্জে মোটর সাইকেল ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আকিজুল মুন্সী (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো দুইজন।
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের সদর উপজেলার মান্দারতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনিচুর রহমান জানান, আকিজুল মুন্সীসহ তিনজন গোপালগঞ্জ শেখ সাহেরা খাতুন মেডিকেল কলেজ এলাকা থেকে মোটরসাইকেল যোগে তাদের বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট যাচ্ছেলেন। এসময় লিংক রোড থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে উঠতে গেলে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে আকিজুল মুন্সী ঘটনাস্থলে নিহত ও দুইজন আহত হন।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। নিহতের মরদেহের ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আহত দুইজনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক।
চলারপথে রিপোর্ট :
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহগামী লোকাল ট্রেনের ধাক্কায় চল্লিশা এলাকায় হাবিবুর রহমান নামের ৮০ বছরের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে চল্লিশা স্টেশনের সন্নিকটে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। হাবিবুর রহমান সদর উপজেলার চল্লিশা লাইট গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে।
এ ব্যাপারে জি আর পি পুলিশের এস আই সুরঞ্জন তালুকদার জানান, খবর পেয়ে তারা গৌরিপুর স্টেশন থেকে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে দেখেন স্থানীয় চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে স্বজনরা লাশ নিয়ে গেছেন। তিনি চেয়ারম্যানকে খুঁজে বের করে কথা বলেছেন। রেলে কাটা পড়লে যথাযথ আইন অনুযায়ী লিখিত দিয়ে নিতে হয়। পরে সে অনুযায়ী লাশ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান।
ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম জানান, বৃদ্ধ মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। কানে কম শুনতেন। তার লাশ যাতে ময়নাতদন্ত না করে সেজন্য আবেদন দেয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চাঁদপুর নৌ পুলিশের অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা-মেঘনার অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরায় ১৯ জেলেকে আটক এবং ৭ লাখ ২০ হাজার ৩০০ মিটার কারেন্টজাল জব্দ করা হয়েছে।
জেলেদের মধ্যে ১৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় পৃথক মামলা এবং দুইজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। একই সময় নিয়ম লঙ্ঘন করে নদীতে বাল্কহেড চলাচল করায় ১৩টি বাল্কহেড জব্দ করে নৌ পুলিশ।
আজ ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান এসব তথ্য জানান।
আটককৃত জেলেরা হলো-পারভেজ (১৯), শাকিল গাজী (১৯), কালাম মিজি (২৭), মামুন ছৈয়াল (১৯), মো. মহসীন (৩০), মো. লায়াজ মিয়াজ (৫০), নবী হোসেন (৩৫), রিয়াজুল (৪২), সজিব (২৮), ছোটন মিয়া (২২), বিল্লাল মিয়া, (২২) আবু বক্কর (৩২), জিয়াউর রহমান (৩৫), কামরুজ্জামান (৩৯), আলী হোসেন (২৯), কুদ্দুস আলী (৩৫) ও মো. হারুন (৩৯)। এসব জেলেদের বাড়ী লক্ষ্মীপুর, ভোলা, কিশোরগঞ্জ ও চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
ওসি কামরুজ্জামান বলেন, সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নৌ-পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালিয়ে অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকা ধরা অবস্থায় তাদেরকে হাতে-নাতে আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। দুইজন জেলে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জব্দকৃত কারেন্টজাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় এবং জব্দকৃত ৫৫ কেজি জাটকা স্থানীয় গরীব ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
ওসি আরো বলেন, অভিযানের সময় চলাচলের জন্য সঠিক কাগজপত্র না থাকায় ১৩টি বালুবাহী বাল্কহেড জব্দ করা হয়। এর মধ্যে ১১টি সুকানির জিম্মায় প্রদান করা হয় এবং বাকি দুটি বাল্কহেড নৌ থানায় মামলার আলামত হিসেবে রাখা হয়েছে।