চলারপথে রিপোর্ট :
মাছ ধরতে গিয়ে বিষাক্ত সাপের কামড়ে হেলাল মিয়া (৩৫) নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছে। ২৪ জুন সোমবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর গ্রামে একটি বিলের জমিতে এ ঘটনা ঘটে।
আহত হেলাল লালপুর গ্রামের সাত্তার মিয়ার ছেলে। বর্তমানে সে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহতের স্বজনরা জানান, বিকেলে হেলাল মাছ ধরতে বাড়ির পাশে একটি বিলের জমিতে যায়। এ সময় একটি বিষাক্ত সাপ তার পা কামড়ে ধরে। পরে সে সাপটিকে ছাড়িয়ে বাড়িতে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর সে অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘরের লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আবিদ হাসান জানান, বিষাক্ত সাপে কাটা রোগীকে হাসাপাতালে আনার পর তার শরীরে এন্টিভেনম পুশ করা হয়। এতে তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে আসে। বর্তমানে সে শঙ্কামুক্ত।
চলারপথে রিপোর্ট :
গ্রাম্য দাঙ্গা রোধে আশুগঞ্জ ও নাসিরনগর উপজেলার ২৫টি গ্রামে অভিযান চালিয়ে প্রায় তিন হাজার দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৫ মে শুক্রবার থেকে আজ ৭ মে রবিবার সকাল পর্যন্ত চলা অভিযানে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তবে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
এদিকে, এখন থেকে কেউ দেশীয় অস্ত্র বানাতে গেলে তার নাম-ঠিকানা রেখে থানায় পাঠানোর জন্য কামারদের নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ। শনিবার কামারদের নিয়ে সভা করে এ নির্দেশনা দেয় নাসিরনগর থানা পুলিশ।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে নাসিরনগরে বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় কয়েক শ মানুষ আহত হন। এরমধ্যে একজন মারা গেছেন। গ্রাম্য এসব সংঘর্ষ এড়াতে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে নামে পুলিশ। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে কাতরা, সড়কি, রামদা, বল্লম, টেঁটা ও ফলা রয়েছে।
নাসিরনগর থানা পুলিশেরর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, অস্ত্র উদ্ধারের পর নতুন করে আর যেন কেউ অস্ত্র বানাতে না পারে সেজন্য কামারদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। কেউ যদি অস্ত্র বানাতে দোকানে যায়, তাহলে তার নাম-ঠিকানা থানায় পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান, সংঘর্ষ এড়াতে প্রতিটি উপজেলায় এ ধরনের অভিযান চালানো হবে। পাশাপাশি মাদক উদ্ধারেও জেলার সীমান্তবর্তী তিন উপজেলায় অভিযান চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জের বিভিন্ন ড্রায়ার মিলের কালো ধোঁয়া, ছাই ও রাইস ব্রানে (চালের উপরের স্বচ্চ পাতলা আবরণ) মারাত্মকভাবে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। অযোগ্য হয়ে পড়ছে ঘরবাড়িতে বসবাস, ব্যহত হচ্ছে মানুষের দৈনদিন চলাফেরা।
প্রতিনিয়ত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে জ্বর-সর্দি-কাশিসহ শ্বাসকষ্টসহ নানাবিধ চোখের রোগে। বার বার এসব বিষয়ে মিল মালিকদের অবগত করা হলেও কোনো তোয়াক্কা করছেন না তারা। পরিবেশ নষ্ট হলেও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র রয়েছে অধিকাংশ মিলের। এসব বিষয়ে বার বার অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না এলাকার সাধারণ লোকজন। তাই আশুগঞ্জের কয়েকটি এলাকা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, এভাবে প্রতিনিয়ত চলতে থাকলে পরিবেশের পাশাপাশি জনজীবন হুমকিতে পড়বে। চোখ হারাবে এই পথে চলাচলকারীরা। দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বার বার বলা হলেও কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছেন না মিল মালিকরা। তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন বলছেন এই বিষয়ে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে , ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, সিলেট ও হবিগঞ্জ জেলার হাওরাঞ্চলের উৎপাদিত ধান বেচাকেনা হয় আশুগঞ্জের মেঘনা নদীর তীরে বিওসি ঘাটে অবস্থিত ধানের হাটে। এই হাট থেকে ধান সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াজাত করে চাল রুপান্তর করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া গড়ে ওঠে অসংখ্য চাতালকল। এখানে উৎপাদিত চাল ঢাকা, চট্রগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন অন্তত লক্ষাধিক মণ চাল সরবরাহ করে থাকে। এতে এলাকার অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে থাকলেও গত ৪-৫ বছরে উপজেলা বেশ কয়েকটি এলাকায় গড়ে উঠেছে ৪৫টি ড্রায়ার মিল। এদের মধ্যে আশুগঞ্জের সোনারামপুর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠে খান অটো-১ ও ২, আওলাদ এগ্রোফুড, শাহজালাল অটো, একতা অটো, কামরুল অটো, উন্দা মিয়া অটো, আলমনগর এলাকায় মেসার্স হাইটেক এগ্রো ফুড ইন্ড্রাস্টিজ,ভাই ভাই অটো রাইস মিল, ফারহান অটো রাইস মিল, সরকার অটো রাইস মিলসহ অধিকাংশ ড্রায়ার মিল থেকেই কালো ধোঁয়া, ধুলা ও ছাইয়ে এলাকাবাসীর জীবন-যাপন অসম্ভব হয়ে পড়ছে। এলাকাবাসীর জন্য গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ড্রায়ার মিলগুলো। ঘরবাড়ির দরজা-জানালা বন্ধ রেখেও মুক্তি মিলছে না। ছাই ও কালো ধোঁয়ায় নষ্ট হচ্ছে ঘরবাড়ি। রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিন চোখে-মুখে পড়ছে এসব ছাই ধুলা। লোকজন বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে জ্বর-সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট ও এলার্জিজনিত নানা রোগে।
ডায়ারগুলিতে বর্জ্য শোধনাগার না থাকা, কম উচ্চতায় চিমনি ব্যবহার, চিমনিতে ধুলা নিরোধক নিরাপত্তা জাল ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার না করা, তুষের বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার এবং পরিবেশ সুরক্ষা আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় এমনটি হচ্ছে জানান তারা। ড্রায়ার মালিকদের বার বার মৌখিকভাবে এসব অভিযোগ জানালেও তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। প্রতিটি বাড়িঘরের ছাদ-চালা-উঠান ছাই আর ধুলার স্তূপ পড়ে গেছে। একটু দাঁড়ালে গায়ে উড়ে পড়ছে ছাই ও ধুলার কনা। রাস্তা দিয়ে চলাচল করাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে। চোখ খোলা রেখে চললেই চোখে পড়ছে রাইস ব্রান। যা খালি চোখে দেখা যায় না। কিন্তু চোখে পড়লেই বিপদ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার আলমনগর যাত্রাপুর মোড়ের একজন বাসিন্দা বলেন, ভাই ভাই অটো রাইস মিল, ফারহান অটো রাইস মিল ও সরকার অটো রাইস মিলের কারণে এখানে বসবাস করার কোনো পরিবেশ আর নাই। তাদের বললেও কোনো কাজ হয় না। পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তারা পরিবেশের ওপর এই অত্যাচার চালাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার আলমনগর এলাকায় আরো বেশ কয়েকটি ড্রায়ার মিল স্থাপনের কাজ চলমান। এর মধ্যে মেসার্স হাইটেক এগ্রো ফুড ইন্ড্রাস্টিজ এর চিমনি দিয়ে দেদারসে বের হচ্ছে কাল ধোঁয়া।
এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জানা যায়, এই প্রতিষ্ঠানের ৫ মালিকের মধ্যে একজন সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.শফিকুল ইসলাম। কথা হয় আরেকজন মালিক মো.আবু বকর সিদ্দিক এর সঙ্গে। তিনি বলেন, আমাদের সকল আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। মাঝে মাঝে কালো ধোঁয়া বের হলেও সেটা যেনো না বের হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আল মদিনা অটো রাইস মিলের ম্যানেজার বজলু মিয়া বলেন, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের কারণে আমাদের মিল থেকে কোনো ধুলা, কালো ধোঁয়া ও রাইসব্রান বের হয় না। আমাদের ময়লাগুলো নিজস্ব পুকুরেই যাচ্ছে। যার কারণে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নাই।
জেলা চালকল ও ড্রায়ার মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি জিয়াউল করিম খান সাজু বলেন, আমরা ধুলা ও ছাই প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিয়েছি। আধুনিক প্রযুক্তি ইতোমধ্যেই গ্রহণ করে অনেকগুলো ড্রায়ারে স্থাপন করা হয়েছে।
আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নূপুর সাহা বলেন, বিভিন্ন সময়ে চোখে রাইস ব্রান নিয়ে অনেকেই আমাদের কাছে আসে। তাদের আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থাকি। বিভিন্ন চোখের ড্রপ ব্যবহারের পরামর্শ দেই। তবে এই সমস্যা দীর্ঘদিন চলতে থাকলে এবং চোখে এই রাইসব্রান পড়তে থাকলে একসময়ে চোখ হারাতে হতে পারে। এছাড়াও ডায়রিয়া ও এলার্জিজনিত সমস্যা নিয়েও আমাদের এখানে লোকজন আসেন। এসবের মূল কারন হল ড্রায়ারের কাল ধোয়া ও রাইস ব্রান। দ্রুত এসব বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিমল চক্রবর্তী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় সচল ১৫৫টি মিলের বিপরীতে মাত্র ৮৫টি মিলের পরিবেশের ছাড়পত্র আছে। বাকিগুলোও নজরদারির মধ্যে আছে। রাইস ব্রানসহ ধোঁয়া ছাইয়ের বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে ড্রায়ার মিলগুলির বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন দপ্তরে এক লাখ গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১১ জানুয়ারি মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় স্থানীয় উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রধান অতিথি থেকে এক লাখ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।
এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সী, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজ, নারী ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা সারমিন।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, প্রধানমন্ত্রীর ২৫ দফা দিক-নির্দেশনা সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, রূপকল্প ৪১ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের লক্ষ্যে এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠান শেষে আশুগঞ্জ উপজেলার কলেজ, মাদ্রাসা ও উচ্চ বিদ্যালয়সহ ২৮টি প্রতিষ্ঠানে ৩০ হাজার এবং ৪৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৫ হাজার বিভিন্ন জাতের ওষুধি, ফলজ, বনজ ও ফুল গাছের চারা বিতরণ করা হয়। এছাড়া সব ইউনিয়ন পরিষদ, আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগী ও সব পর্যায়ের সরকারি দপ্তরগুলোতে বাকি ৪৫ হাজার চারা বিতরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে আজ ১১ অক্টোবর বুধবার আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ বিভিন্ন পার্টির ৬জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। প্রার্থীরা সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাচনে সহকারি রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় ও জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
মনোনয়নপত্র দাখিলকারীরা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত মোঃ শাহজাহান আলম, জাতীয় পার্টি মনোনীত মোঃ আবদুল হামিদ, জাকের পার্টি মনোনীত জহিরুল ইসলাম জুয়েল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি মনোনীত মোঃ রাজ্জাক হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ইব্রাহিম।
বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাচনে সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোঃ আবদুল হামিদ, দুপুর পৌনে ১টার দিকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ শাহজাহান আলম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, পরে পর্যায়ক্রমে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি মনোনীত মোঃ রাজ্জাক হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ইব্রাহিম।
অপরদিকে দুপুর সোয়া ১টার দিকে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জুয়েল।
মনোনয়রপত্র দাখিল শেষে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ শাহজাহান আলম বলেন, ১৯৭৩ সালের পর এই আসনে আওয়ামীলীগের কোন প্রার্থী বিজয়ী হতে পারেনি। নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে মনোনয়ন পেয়েছে মহাজোটের শরীকদল জাতীয় পার্টির প্রার্থী। উপ-নির্বাচনে দল আওয়ামীলীগের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ায় দলীয় নেতা-কর্মীরা খুশী। জনগনের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করে আসনটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিব ইনশাল্লাহ।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এই আসনের দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা বলেন, আমার অসমাপ্ত কাজগুলোসমাপ্ত করার জন্য উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। আমি জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদের অনুসারী হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। জাতীয় পার্টিতে দুই গ্রুপের মধ্যে ঝামেলা আছে। যার কারনে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। আশা করি নির্বাচনে জনগণের দোয়া এবং ভালোবাসা নিয়ে আমি বিজয়ী হবো।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, এক মাসের জন্য নির্বাচন হলেও এটি সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে বলে আমার বিশ্বাস। কেননা এর পরই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আশা করি নির্বাচন কমিশন এবং সরকার চাইবেনা নির্বাচনটি বিতর্কিত হোক। আশা করি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি বিজয়ী হবো।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার মোঃ শাহগীর আলম বলেন, উপ-নির্বাচনে ৬জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ি ১২ অক্টোবর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপীল ১৩ থেকে ১৭ অক্টোবর, আপীল নিষ্পত্তি ১৮ অক্টোবর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ ২০ অক্টোবর ও আগামী ৫ নভেম্বর ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।