অনলাইন ডেস্ক :
ইসরায়েল বর্বরতার সব জঘন্য রেকর্ড ভেঙেছে। প্রায় ৯ মাস ধরে অনবরত ফিলিস্তিনের গাজায় তারা বোমা ফেলছে। এরই মধ্যে নারী, শিশুসহ ৩৭ হাজার ৬০০ জনের বেশি বাসিন্দাকে হত্যা করেছে তারা। বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। ক্ষুধা-অনাহারে ধুঁকছে অধিকাংশ বসতি।
এবার নৃশংসতার আরেক অধ্যায় দেখিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। ফিলিস্তিনি এক নারীর ওপর লেলিয়ে দিয়েছে প্রশিক্ষিত কুকুর। এই হিংস্র জানোয়ারের হামলায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছেন ৬৬ বছর বয়সী ওই নারী। এমন একটি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিজ অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত হুসাম জুমলত। খবর আল-জাজিরার।
কুকুরের কামড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন গাজার উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়ার এই বাসিন্দা। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। সে সময় ইসরায়েলি সেনা সদস্যরা আসেন এবং তাঁর ওপর কুকুর লেলিয়ে দেন। এতে তাঁর শরীরের বিভিন্নস্থানে ক্ষত তৈরি হয়েছে। এতেই ক্ষান্ত থাকেনি সেনারা। তারাও হামলায় চালিয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ থেঁতলে দিয়েছে তারা।
এদিকে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ইসরায়েলের চাপিয়ে দেওয়া দুর্ভিক্ষে গাজায় আরও চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে।বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ডব্লিউএফপির প্রধান অর্থনীতিবিদ আরিফ হুসাইন বলেন, গাজার অধিবাসীদের রক্ষায় বিশ্বকে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে, যেখানে ২৩ লক্ষাধিক বাসিন্দা অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।
তিনি ২০১১ সালে সোমালিয়ার দুর্ভিক্ষের উদাহরণ টেনে বলেন, সে সময় দেশটিতে ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। যার অর্ধেকই মারা যায় দুর্ভিক্ষ ঘোষণার দেওয়ার আগেই। মঙ্গলবার হুসাইন সাংবাদিকদের বলেন, গাজায় যে শুধু খাবারের সংকট, তা নয়। এখানে পরিষ্কার পানি, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, স্বাস্থ্যসেবা এবং ওষুধেরও চরম সংকট রয়েছে।
তবে গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ এড়ানো গেছে। সেখানে বাইরে থেকে ত্রাণ সহায়তা ঢুকতে পারছে। এ ছাড়া বাণিজ্যিক সরবরাহও প্রবেশ করতে পারছে। অপরদিকে দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি সেনাদের হামলা অব্যাহত থাকায় সেখানে কোনো প্রকার সহায়তা বা ত্রাণ ঢুকতে পারছে না। এমনকি মিসর থেকে প্রবেশের প্রধান পথ রাফা ক্রসিংও বন্ধ আছে।
অনলাইন ডেস্ক :
টোকিও বিমানবন্দরের রানওয়েতে দুই প্লেনের সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর আগে বিমানবন্দরে অবতরণের সময় যাত্রীবাহী একটি প্লেনের সঙ্গে কোস্টগার্ডের প্লেনের সংঘর্ষ হয়। এরপরই যাত্রীবাহী প্লেনটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
তবে কোস্টগার্ডের প্লেনটিতে থাকা ছয় জনের মধ্যে ৫ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে জাপান এয়ারলাইনসের যাত্রীবাহী প্লেনটিতে আগুন লেগে গেলেও সবাইকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়।
এর আগে জাপানের সংবাদমাধ্যমগুলোতে জানানো হয়, টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরে কোস্টগার্ডের একটি প্লেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর যাত্রীবাহী প্লেনটিতে আগুন ধরে যায়।
প্লেনটির কর্তৃপক্ষ জানায়, আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই ক্রুসহ ৩৭৯ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
জাপান এয়ারলাইন্সের একজন মুখপাত্র বলেছেন, প্লেনটি হোক্কাইডোর শিন-চিটোসে বিমানবন্দর থেকে ছেড়েছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফের নতুন চেয়ারম্যান হলেন ব্যারিস্টার গহর আলী খান। এর আগে ইমরান খান তাকে দলের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেন। বেশ কয়েকটি মামলায় এই মুহূর্তে কারাগারে বন্দি রয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
পিটিআইয়ের প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়াজুল্লাহ নিয়াজি ফলাফল ঘোষণা করে বলেছেন, শনিবার অনুষ্ঠিত আন্তঃদলীয় নির্বাচনের পর ব্যারিস্টার গহর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
নিয়াজি বলেন, উমর আইয়ুব খান পিটিআই-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন এবং আলী আমিন গন্ডাপুর ও ড. ইয়াসমিন রশিদ যথাক্রমে খাইবার পাখতুনখোয়া ও পাঞ্জাবের প্রাদেশিক সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগে ৩০ নভেম্বর পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের আদেশে বলা হয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দলের নতুন চেয়ারম্যান নির্ধারণ করতে হবে। পিটিআই নেতা সিনেটর আলি জাফর জানিয়েছিলেন, দলের চেয়ারম্যান নির্বাচনে ইমরান খান অংশ নেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি তার আইনজীবী ব্যারিস্টার গহর আলী খানকে মনোনীত করেছেন।
পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী, তোশাখানা মামলা বা উপহার হিসেবে পাওয়া রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিক্রির মামলায় গ্রেফতার হওয়া ইমরান খান নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না বা দলীয় পদে থাকতে পারবেন না।
আইনজীবী শের আফজাল মারওয়াত বলেছিলেন, আদিয়ালা কারাগারে ইমরান খানের সঙ্গে তিনি দেখা করেছেন। সেখানে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তার মধ্যে দলের নেতৃত্বের বিষয়টিও ছিল।
পিটিআই নেতা সিনেটর আলি জাফর বলেছেন, চেয়ারম্যান হিসেবে না থাকলেও দলের প্রধান নেতা হিসেবেই থাকবেন ইমরান খান। অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান হিসেবে এমন একজনকে চাইছিলেন ইমরান খান, দলে যার স্থায়ী পদ নেই।
সূত্র: জিও নিউজ
অনলাইন ডেস্ক :
বিদেশি কূটনীতিকদের গাড়িবহরে হামলায় এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো তিনজন। কূটনীতিকদের কেউ হতাহত হননি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের নিরাপদে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে ডয়চে ভেলে।
এতে উল্লেখ করা হয়, ২২ সেপ্টেম্বর রোববার কূটনীতিকরা আফগানিস্তানের সীমনান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের একটি পর্যটন এলাকায় ভ্রমণ করছিলেন। সংশ্লিষ্ট এলাকাটিতে তালেবানদের একটি ঘাঁটি রয়েছে বলে জানা গেছে। ওই গাড়িবহরে ১২টি দেশের কূটনীতিক ও বিশিষ্টজনেরা ছিলেন। গাড়িবহরটি সোয়াত জেলার মালাম জাব্বায় পর্যটন স্পট এবং পাহাড়ি রাস্তা অতিক্রম করার সময় হামলার শিকার হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে এতে এক পুলিশ সদস্য নিহত হন এবং আরো তিনজন আহত হন। সোয়াত জেলার পুলিশ কর্মকর্তা জাহিদুল্লাহ খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কূটনীতিকদের গাড়িবহর পুলিশ প্রটোকলের মাঝে অবস্থান করছিল, তবে সামনে থাকা পুলিশ ভ্যানটিতে সরাসরি বোমা আঘাত হানে। এখনও পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একটি বড় দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
হামলায় হতাহতের বিষয়ে মুহাম্মদ আলি খান বলেন, নিহত পুলিশ কনস্টেবলের নাম বুরহান। অন্যদিকে আহতরা হলেন- পুলিশের উপপরিদর্শক সার জামিন, কনস্টেবল হাবিব গুল ও আমানুল্লাহ। ১২টি দেশের কূটনীতিকদের একটি কাফেলা ওই এলাকা পরিদর্শনে বেড়িয়েছিলেন। এই কাফেলায় ছিলেন, ইন্দোনেশিয়া, ইথিওপিয়া, পর্তুগাল, কাজাখস্তান, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, জিম্বাবুয়ে, রুয়ান্ডা, তুর্কমেনিস্তান, ভিয়েতনাম, ইরান, রাশিয়া এবং তাজিকিস্তানের কূটনীতিকরা। তারা সবাই নিরাপদে ইসলামাবাদে ফিরে আসেন। কূটনীতিকরা পর্যটন, হস্তশিল্প এবং রত্নশিল্পের প্রচারের জন্য স্থানীয় চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত একটি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সেখানে যাচ্ছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কাফেলাটিকে প্রটোকল দিয়ে নিয়ে যাওয়া স্কাউট পুলিশের গাড়িতে একটি আইইডি বোমা আঘাত হানে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি হামলার নিন্দা করেছেন এবং পুলিশ সদস্যদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
সোয়াত উপত্যকা দীর্ঘদিন ধরে ইসলামপন্থী উগ্র বিদ্রোহীদের কেন্দ্রস্থল। সরকারের সাথে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার পরে, ২০২২ সালের শেষের দিক থেকে সেখানে উগ্রপন্থীরা তাদের হামলা জোরালো করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, ২০২৩ সালে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী ঘটনায় প্রায় ৯৩০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নিরাপত্তা কর্মী। এছাড়া প্রায় ২,০০০ জন আহত হয়েছেন। ইসলামাবাদ-ভিত্তিক পাক ইনস্টিটিউট ফর পিস স্টাডিজের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, আগস্টে, উগ্রপন্থীদের টানা দুই দিনের হামলায় কমপক্ষে ৮৪ জন নিহত হয়েছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
লাল-সবুজের পতাকা হাতে বিশ্ব ভ্রমণ করেছেন নাজমুন নাহার। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি ১৬৭টি দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়েছেন। সর্বশেষ ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশ সেন্ট লুসিয়া ভ্রমণের মাধ্যমে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন নাজমুন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফিলিপ জোসেফ পিয়ের এক বিশেষ সাক্ষাতে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে ‘সুপার ব্রেভ গার্ল’ আখ্যা দেন।
ভ্রমণের নতুন রেকর্ড গড়ার পর নাজমুন নাহারকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেন্ট লুসিয়ার অন্যতম প্রধান পত্রিকা ‘দ্য ভয়েস’। খ্যাতনামা সাংবাদিক মার্বেলা অ্যান্থনির লেখায় তাঁর স্বপ্ন, সংগ্রাম ও বিশ্ব অভিযাত্রার কঠিন চ্যালেঞ্জের কথা উঠে এসেছে। নাজমুন নাহার দেশের সুনাম অক্ষুণ্ন রেখে এভাবেই গৌরবের সঙ্গে বাংলাদেশকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন বিশ্ববাসীর কাছে।
২০০০ সালে ভারতের ভূপালের পাঁচমারিতে ‘ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভেঞ্চার প্রোগ্রামে’ অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাঁর বিশ্ব ভ্রমণের সূচনা হয়। এর পর থেকে ছুটে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন দেশ। এই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ১ জুন ১০০তম দেশ ভ্রমণের মাইলফলক স্পর্শ করেন জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়ের সীমান্তের ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের ওপর। ১৫০তম দেশ ভ্রমণের মাইলফলক সৃষ্টি করেন আফ্রিকার দেশ সাওতমে অ্যান্ড প্রিন্সিপ। ২০২৩ সালের মে মাস থেকে তিনি এবার অভিযাত্রা শুরু করেছেন দক্ষিণ আমেরিকার দেশ সুরিনাম ও গায়ানা থেকে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, গ্রেনাডা, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইন, বার্বাডোস ও সেন্ট লুসিয়া পর্যন্ত।
২২ বছর ধরে এক দেশ থেকে আরেক দেশে বিভিন্ন জনপদের মাঝে বাংলাদেশের পতাকা তুলে ধরছেন নাজমুন নাহার। এ ছাড়া তিনি পরিবেশ রক্ষা ও বাল্যবিয়ে বন্ধের লক্ষ্যে বিশ্বজুড়ে মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করেন। নাজমুন বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের সময় শান্তি ও ঐক্যের বার্তা পৌঁছে দেন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিশু ও তরুণদের উৎসাহিত করেন।
বেশিরভাগ দেশ সড়ক পথে ভ্রমণ করেছেন নাজমুন। ২২ বছরের বিশ্ব অভিযাত্রার মাঝে তিনি বহু প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছেন। মৃত্যুমুখে পড়েছেন বহুবার। তবুও একের পর এক দেশ ভ্রমণ করছেন লাল-সবুজ পতাকা হাতে। শিরোনাম হয়েছেন বিশ্ব গণমাধ্যমে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, রাষ্ট্রপ্রধান, বিখ্যাত ব্যক্তিরা তাঁকে সংবর্ধনা দিয়েছেন।
বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর সদরে জন্ম নেওয়ায় নাজমুন নাহার সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটি থেকে এশিয়ান স্টাডিজ বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এ ছাড়া তিনি হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড এশিয়া বিষয়ে পড়াশোনা করেন দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে। নাজমুন নাহারের আশা, বাংলাদেশের পতাকা হাতে বিশ্বের সব দেশে যাবেন।
মেশিনে আটকা পড়ে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু
অনলাইন ডেস্ক :
মালয়েশিয়ার জালান কেমুনিংয়ে একটি কারখানায় কাজের সময় মেশিনে আটকে সুরুজ আলী (২১) নামে এক বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ৬ মে শনিবার সকাল ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দ্যা স্ট্রেইট টাইমস।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির সেলাঙ্গর ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্ট অপারেশন সেন্টারের প্রধান জুলফিকার জাফর।
তিনি বলেন, সকাল ৭টা ৬ মিনিটে আমাদের কাছে একটি দুর্ঘটনার খবর আসে। এরপরই ঘটনাস্থলে ১০ জন দমকলকর্মী এবং কর্মকর্তাদের একটি দল পাঠানো হয়।
প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিস জানায়, কাজের সময় ফাইবার টানানোর মেশিনে আটকে পড়েছিল ওই শ্রমিক। জখম গুরুতর হওয়ায় ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। নিহত বাংলাদেশিকে ওই মেশিন থেকে বের করতে প্রায় ১০ মিনিটের মতো সময় লাগে।
এক বিবৃতিতে দেশটির প্রশাসন জানিয়েছে, বাংলাদেশি ওই শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তার মৃত্যু নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি মেডিকেল টিম। পরবর্তীতে ওই ব্যক্তির দেহাবশেষ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।