অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি বড় বড় কথা বলে। তাদের আন্দোলন ভুয়া। বিএনপিতে এখন আতঙ্কের নাম তারেক রহমান। লন্ডনে বসে মেইড ইন লন্ডন কর্মসূচি দেয়। ফরমান আকারে নতুন নেতৃত্ব পাঠায়। লন্ডনে বসে নেতা বানায়, কর্মসূচি দেয়। এই মেইড ইন লন্ডন কর্মসূচি মানে কী? খেলা কিন্তু হবে, বিএনপিকে ছেড়ে দেওয়া হবে না।
আজ ২৯ জুন শনিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মধ্যরাতে টেমস নদীর পার থেকে ফরমান আসে। একজন গেল, আরেকজন এলো, মধ্যরাতের ফরমান। তারেক রহমানের এ ফরমানে ফখরুল ইসলাম, গয়েশ্বর বাবু কোথায় যান? কেউ জানে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ। ৭৫ বছর এই প্রতিষ্ঠানের বয়স। দীর্ঘ সংগ্রাম, আন্দোলন, ঝড়, অন্ধকার, স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে দীপ্ত পায়ে এগিয়ে যাওয়ার নাম আওয়ামী লীগ।
তিনি আরো বলেন, আমরা মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে জীবনের জয়গান গাই। আমরা ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে সৃষ্টির পতাকা উড়াই। আমাদের শিকড় বাংলাদেশের মাটির অনেক গভীরে। আমাদের জন্ম জনতার মাঝ থেকে। আমরা অস্ত্র উঁচিয়ে শেষ রাতে ক্ষমতা দখলকারী দল নই। জনগণের মাঝে জনগণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বলেছিলাম, বছরব্যাপী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করবো। গণমাধ্যমে খবর হয়, আমরা নাকি পাল্টাপাল্টি করছি। গতকাল আমরা সাইকেল র্যালি করেছি, বিএনপির কি কিছু ছিল? তাহলে কেন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এই অপবাদ দিচ্ছেন? আমরা সারাবছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করবো। আমাদের কেন্দ্র থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হবে। আগস্ট মাসের পরে জেলা পর্যায়ে সমাবেশ হবে। সে সমাবেশে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখবেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন— আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজি, মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
ডেস্ক রিপোর্ট :
বিশ্বব্যাংকের বোর্ড অব এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরসে বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক (২০২৩-২৭) আলোচনা করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের নতুন তিনটি প্রকল্পে ১.২৫ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন অনুমোদন করেছে।
আজ ২৮ এপ্রিল শুক্রবার নতুন ৩ প্রকল্পে এ অর্থায়ন অনুমোদন করা হয়।
সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-৪১ এ কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্কের (সিপিএফ) আওতাভুক্ত হবে। বিশ্বব্যাংকের এই অর্থ বাংলাদেশকে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সহায়তা করার পাশাপাশি উচ্চ এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হবে। এছাড়া, বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থানে সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়তা করবে। যা ফলে আর্থ-সামাজিক অন্তর্ভুক্তি এবং জলবায়ু ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে।
কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্কের (সিপিএফ) আওতায় আটটি উদ্দেশ্যেকে গুরুত্ব দিয়ে প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব করেছে। বিস্তৃতভাবে বেসরকারি খাতের উন্নয়নের জন্য ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করা; দীর্ঘমেয়াদী এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য আর্থিক মধ্যস্থতাকে শক্তিশালী করা; উন্নত সেবা প্রদানের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের উন্নত কার্যকারিতা; মানব পুঁজি উন্নয়ন পরিষেবার জন্য উন্নত গুণমান এবং ন্যায়সঙ্গত অ্যাক্সেস; নারী এবং দুর্বল গোষ্ঠীর জন্য উন্নত অর্থনৈতিক সুযোগ; অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধির জন্য স্থানিক এবং ডিজিটাল সংযোগ শক্তিশালী করা; জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা বিল্ডিং এবং স্থায়িত্বের জন্য ডেল্টা ব্যবস্থাপনার উন্নত কার্যকারিতা এবং সবুজায়ন বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারে উত্পাদনশীলতা বাড়ানো।
বাংলাদেশ ও ভুটানের বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, এই কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্কটি বিশ্বব্যাংক গ্রুপ এবং বাংলাদেশের মধ্যে পাঁচ দশকের শক্তিশালী অংশীদারিত্বের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশ আরো সমৃদ্ধ হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে, সেহেতু উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের চাহিদা পূরণের জন্য আরো শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান এবং নীতির প্রয়োজন হবে। এই সিপিএফ চাকরি প্রদানের জন্য সরকারের সংস্কার কর্মসূচিকে সমর্থন করবে এবং অন্তর্ভুক্তি ও স্থিতিস্থাপকতাকেও সমর্থন করবে।
সিপিএফ প্রস্তুত করার জন্য, বিশ্বব্যাংক গ্রুপ সরকার, বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, একাডেমিয়া, মিডিয়া এবং অন্যান্য উন্নয়ন অংশীদারদেরসহ মূল স্টেকহোল্ডার গ্রুপগুলোর সঙ্গে দেশব্যাপী এবং অনলাইন আলোচনা করেছে বলে জানান তিনি।
বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ‘মাল্টিল্যাটারাল ইনভেস্টমেন্ট গ্যারান্টি এজেন্সি’র (মিগা) ভাইস প্রেসিডেন্ট অব অপারেশনস জুনাইদ কামাল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের একটি উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য রয়েছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের মর্যাদা অর্জনের জন্য ব্যক্তিগত পুঁজি এবং বৈশ্বিক আর্থিক বাজারে অ্যাক্সেস ক্রমবর্ধমান প্রয়োজন হবে।
বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভুটানের আইএফসি কান্ট্রি ম্যানেজার জানান, বাংলাদেশ বিশ্বের অসামান্য উন্নয়ন প্রবৃদ্ধির গল্পগুলির মধ্যে একটি। আরো বহুমুখী এবং প্রতিযোগিতামূলক বেসরকারি খাতের উন্নয়নে উদ্বুদ্ধ করার জন্য অতিরিক্ত সংস্কার রপ্তানি বাড়াবে এবং মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। এছাড়া, এই অর্থ জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা এবং প্রশমিত করতে সাহায্য করার জন্য বিনিয়োগের অর্থায়ন ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব বহন করবে।
বিশ্বব্যাংক জানায়, পুষ্টি, উদ্যোক্তা এবং টেকসই কৃষি ও গ্রামীণ রূপান্তরের জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে পারবে বাংলাদেশ সরকার। সবুজ এবং জলবায়ু সহনশীল উন্নয়ন ক্রেডিট দেশটিকে সবুজায়ন এবং জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক উন্নয়নে উত্তরণে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হবে এবং ২৫০ মিলিয়ন ডলারের টেকসই মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ এবং রেসিলিয়েন্ট ট্রান্সফরমেশন প্রকল্প মাইক্রো-এন্টারপ্রাইজ সেক্টরকে আরো গতিশীল, কম-দূষণকারী, সম্পদ-দক্ষ, এবং জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক বৃদ্ধির খাতে রূপান্তরে ব্যয় করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপে অভিযান চালিয়ে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং একটি কাঠের নৌকা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ (বিজিবিএমএস) গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, রবিবার ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে,টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর অধীনস্থ শাহপরীরদ্বীপ বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৪ হতে আনুমানিক ৭০০ গজ দক্ষিণ দিকে জালিয়াপাড়া স্কুলের নিকটবর্তী এলাকা দিয়ে মাদকদ্রব্যের একটি চালান মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসতে পারে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ শাহপরীরদ্বীপ বিওপির একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল বর্ণিত স্থানে গমন করে কেওড়া বাগানের আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। কিছুক্ষণ পর বিজিবি টহলদল মায়ানমার থেকে দুইজন ব্যক্তিকে একটি কাঠের নৌকাযোগে সীমান্তের শূন্য লাইন অতিক্রম করে আনুমানিক ৩০০ মিটার উত্তর-পূর্ব দিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জালিয়াপাড়া স্কুলের নিকটবর্তী কেওড়া বাগানের দিকে আসতে দেখে। উক্ত সময় টহলদল উক্ত ব্যক্তিদের চ্যালেঞ্জ করলে নৌকায় আরোহিত চোরাকারবারীরা নাফ নদীতে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগসহ লাফ দেয়। বিজিবি টহলদলের সদস্য চোরাকারবারীদের পিছু ধাওয়া করলে চোরাকারবারীরা তাদের সাথে থাকা ব্যাগটি ফেলে ডুব সাঁতার দিয়ে শুন্য লাইন অতিক্রম করে মায়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে টহলদল চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া ব্যাগটি উদ্ধার করে ব্যাগের ভিতর থেকে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। এছাড়াও অবৈধ মাদকদ্রব্য বহনের দায়ে উক্ত কাঠের নৌকাটিও জব্দ করা হয়। তিনি আরো জানান, চোরাকারবারীদের সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উদ্ধারকৃত নৌকাটি টেকনাফ শুল্ক গুদামে জমা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা নগরীর তাপমাত্রা সহনশীল রাখতে আগামী দুই বছরে দুই লাখ গাছ লাগানোর ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এছাড়া কল্যাণপুরে জলাধারে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) বালু দিয়ে ভরাটের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
আজ ৩ মে বুধবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাকার তাপমাত্রা সহনশীল বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা অ্যাড্রিয়েন আর্শট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেজিলিয়েন্স সেন্টারের (আর্শট-রকফেলার) সঙ্গে ডিএনসিসি যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
যৌথ এই কার্যক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগও যুক্ত থাকবে। এ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মেয়র আতিকুল ইসলামের মেয়ে বুশরা আফরিনকে উত্তর সিটি করপোরেশনের ‘চিফ হিট অফিসার’ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, তাপপ্রবাহ একটি নীরব ঘাতক। এটি সবার ক্ষতি করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের এই বিরূপ প্রভাবে বেশি ক্ষতির মুখে আছে আমাদের নারী ও শিশুরা। এজন্য সবার একত্রে কাজ করতে হবে। আমরা প্রত্যেক কাউন্সিলরকে গাছগুলো দেব। কাউন্সিলররা এলাকার সব স্তরের মানুষকে নিয়ে কমিউনিটি গঠন করে গাছগুলো লাগাবে। সবাই গাছগুলো নিজেদের মনে করলে এটি বাস্তবায়ন সহজ হবে।
আধুনিক পদ্ধতিতে বীজ আলু উৎপাদনের এক প্রকল্পে গাবতলী এলাকায় কল্যাণপুর জলাধারের ৩৬ বিঘা জমি ভরাট করেছে বিএডিসি। গত ২৯ মার্চ সংস্থাটিকে এক চিঠিতে ডিএনসিসি বলেছে, কল্যাণপুর জলাধারসংলগ্ন বিএডিসির প্রায় ১১৭ একর জায়গা ড্যাপের নকশা অনুযায়ী জলাধারের আওতাভুক্ত। সেখানে ভারী স্থাপনা হলে জলাধারের উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে।
এ বিষয়ে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, কল্যাণপুরে জলাধারে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, আদাবরে সাড়ে সাত লাখ লোকের জন্য ইকো-পার্কের মেজরমেন্ট করছি। তখন সরকারি একটি সংস্থা বালু ভরে দিচ্ছে। এটা কীভাবে সম্ভব। এখানে আলু চাষের জন্য শীতকালে তো জায়গা আছেই। আট মাস পানি থাকবে এবং চারমাস বীজের চাষ করা যাবে।
তিনি বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। কোনো ধরনের জলাধার দখল করা যাবে না। জলাধার আইন আছে, কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠান যদি আইন না মানে তাহলে আমরা কই যাব। অবিলম্বে যে বালু দিয়ে তারা ভরাট করেছে সে বালু যেন তারা নিয়ে যায়। না হলে আমি অবশ্যই আইনের আশ্রয় নেব।
এছাড়া তিনি ছাদ কৃষিতে ১০ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ, বৃষ্টির পানি পুনর্ব্যবহার করে পরবর্তীসময়ে বাগানে ব্যবহার করতে ফুটপাতে ওয়াটার রিসার্জেবল স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনার কথা জানান।
সভায় সভাপ্রধান ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। এছাড়া ঢাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাকসুদ কামাল, ব্রিটিশ ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল, অ্যাড্রিয়েন আর্শট-রকফেলার ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্যাথি বাঘম্যান ম্যাকলিওড, অ্যাড্রিয়েন আর্শট-রকফেলার ফাউন্ডেশনের হিট অ্যান্ড সিটি ডিপ্লোমেসি বিভাগের প্রধান উপদেষ্টা মরিসিও রোডাস, শক্তি ফাউন্ডেশনের ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রোগ্রামের প্রধান সোহানি হক ইলিয়াস, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা ও নবনিযুক্ত চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন বক্তব্য দেন।
অনলাইন ডেস্ক :
র্যাব, পুলিশ ও আনসারের নতুন পোশাক নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ ২০ জানুয়ারি সোমবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে নতুন রঙের পোশাক নির্ধারণ করা হয়।
উপদেষ্টা বলেন, পোশাকের সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। আমরা বিজিবির জন্য একটি, পুলিশের জন্য একটি এবং আনসারের জন্য একটি পোশাক নির্ধারণ করেছি। তিনটি পোশাকই আজকে নির্ধারণ করেছি। পর্যায়ক্রমে বাহিনীগুলোর সদস্যদের নতুন পোশাক দেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
কেন পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো- এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, পোশাকের সাথে সাথে সবারই মন মানসিকতা সবকিছু পরিবর্তন হতে হবে। আপনারা (সাংবাদিক) একটা ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি জোর দেবেন সেটা হলো দুর্নীতি। দেশ থেকে যদি দুর্নীতি দূর করতে পারেন, তবে অনেক সমস্যারই সমাধান হয়ে যাবে।
পোশাক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বড় ধরনের অর্থের প্রয়োজন হবে না জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, পোশাক যখন দেওয়া হচ্ছে, এভাবে আস্তে আস্তে আমরা দিয়ে দেব। যেন বড় ধরনের সমস্যা না হয়।
বৈঠকে ১৮ ধরনের পোশাকের ট্রায়াল দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে পাঁচ রঙের পাঁচটি পোশাক নির্ধারণ করা হয়। পরে সেই পাঁচজনের মধ্য থেকে তিনটি পোশাক নির্বাচন করে কমিটি। পুলিশের পোশাকের রং আয়রন, র্যাবের পোশাকের রং গ্রিন অলিভ, আনসারের পোশাকের রং গোল্ডেন হোয়াইট বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
কারও স্বীকৃতির জন্য সরকার বসে নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, কারও রিকগনিশনের জন্য চাতক অপেক্ষায় বসে আছি, নির্বাচিত সরকার এমন দেউলিয়া অবস্থায় পড়েছে, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই।
আজ ২১ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপি হিংসায় জ্বলছে। কারণ তারা নির্বাচনে অংশ না নিলেও দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছে। বিএনপি এখন ঈর্ষাকাতর।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশপ্রেমিক সরকার হিসেবে আওয়ামী লীগ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আর আন্দোলনের নামে বিএনপি সহিংসতার আশ্রয় নিলে তার বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের দায়িত্ব পালন করবে এবং রাজনৈতিকভাবে আমরাও মোকাবিলা করবো।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির তথাকথিত আন্দোলনের রূপরেখা কেউ দেখেনি। তাদের আন্দোলনের বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তথাকথিত আন্দোলনের ডাক দিয়ে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন দেশ-বিদেশে হাসি-তামাশার পাত্রে পরিণত হয়েছে। তাদের কথিত আন্দোলন দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ধ্বংসের পাঁয়তারা বলে মনে করি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়ার অধিকার বিএনপির আছে। কিন্তু আন্দোলনের নামে যদি তারা ২৮ অক্টোবর এবং পরবর্তী সময় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করে, মানুষ পুড়িয়ে মারে, জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।