অনলাইন ডেস্ক :
অর্জুন কাপুরের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া নিয়ে এতদিন চুপই ছিলেন মালাইকা আরোরা। অবশেষে মুখ খুললেন তিনি। অর্জুন কাপুরের জন্মদিনে মালাইকার অনুপস্থিতি সেই খবরকে আরও পাকাপোক্ত করেছে। এদিকে মালাইকা একটি সাক্ষাতকারে প্রেমের সম্পর্ক আছে কি নেই- সেই বিষয়ে কিছু না বলে শুধুই বলেছেন যে, ‘প্রেমের ব্যাপারে আমি হাল ছাড়ি না। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাই।’
গত মাসে অর্জুন-মালাইকার বিচ্ছেদের খবর সামনে আসে। তবে ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছিল, বিচ্ছেদ হলেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তাদের মধ্যে। একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তারা। মঙ্গলবার মাঝরাতে ছিল অর্জুনের এলাহি জন্মদিনের পার্টি। কিন্তু দেখা যায়নি অর্জুনের প্রেমিকা মালাইকা অরোরাকে।
ইনস্টাগ্রামে একটি ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা শেয়ার করেছেন মালাইকা। যাতে লেখা রয়েছে, ‘আমার সেই মানুষদের পছন্দ করি যাদের আমি চোখ বন্ধ করে এবং পিছনের দিকে না তাকিয়েও বিশ্বাস করতে পারি।’ এরপরই গুঞ্জন আরও দৃঢ় হয়। তাহলে দুজনের মধ্যে তিক্ততা দানা বেঁধেছে! প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের পর থেকে প্রেমের কারণেই অধিক চর্চিত মালাইকা। নিজের থেকে ১২ বছরের ছোট অর্জুন কাপুরের সঙ্গে তার প্রেম।
বলিউডে যুগলদের সম্পর্ক ভাঙা-গড়ার খবর প্রায়ই শিরোনামে উঠে আসে। গত মে মাসে সেই তালিকায় সংযোজন হয় ‘পাওয়ার কাপল’ মালাইকা আরোরা ও অর্জুন কাপুর। এখনও পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় বা সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজেদের বিচ্ছেদ নিয়ে কোনও কথা বলেননি অর্জুন বা মালাইকা কেউই। সূত্র : জি নিউজ।
বিনোদন ডেস্ক :
আলিয়া ভাটের দাদু নরেন্দ্র নাথ রাজদান আর নেই। বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি।
অভিনেত্রী নিজেই বৃহস্পতিবার দাদুর মৃত্যুর খবর জানালেন। মৃত্যুর খবর অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার সময় দাদুর ৯২তম জন্মদিনের কয়েকটি মুহূর্ত ভাগ করে নেন। দাদুর মৃত্যুতে আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন বলিউড সেনসেশন।
দাদুকে নিয়ে আলিয়ার আবেগঘন পোস্ট—
আলিয়া লেখেন, ‘আমার দাদু, আমার হিরো। ৯৩ বছর বয়সেও গলফ খেলেছেন। কাজ করেছেন ৯৩ বছর পর্যন্ত। সেরা অমলেট বানাতেন। আমাকে সেরা গল্প শোনাতেন, ভায়ালিন বাজাতেন। নিজের পপৌত্রী (রাহা)-র সঙ্গে খেলা করতেন। ক্রিকেট ভালোবাসতেন, আঁকতে ভালোবাসতেন আর সর্বোপরি নিজের পরিবারকে ভালোবেসেছেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত…। জীবনকে ভালোবেসেছেন!
আমার হৃদয় বিষাদে ভরপুর, একই সঙ্গে আনন্দে…। কারণ আমার দাদু একটাই কাজ করেছেন, আমাদের আনন্দ জুগিয়েছেন। এর জন্য আমি কৃতজ্ঞ এবং আর্শীবাদ ধন্য যে ওঁনার ছত্রছায়ায় বড় হতে পেরেছি। আবার দেখা না হওয়া পর্যন্ত…’।
ভিডিওতে দেখা গেল, সপরিবারে জন্মদিনের কেক কাটছেন আলিয়ার দাদু। কেকের উপর লাগানো মোমবাতি হাতে করে নেভাতে সাহায্য করছেন রণবীর। এরপর তাঁর দাদুর বার্তা, ‘সব সময় হাসতে থাকো’।
আলিয়ার এই পোস্টে সহকর্মীদের সমবেদনা ভরা বার্তা- করণ জোহর লেখেন, তোমার জন্য একটা আলিঙ্গন পাঠালাম। মাসাবা গুপ্তা লেখেন, অনেক ভালোবাসা আলিয়া। অনুরাগীরা আলিয়ার দাদুর আত্মার শান্তি কামনা করেছেন।
আইফা-তে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত আলিয়ার: আইফা অ্যাওয়ার্ডের আসরে যোগ দিতে আবুধাবি যাওয়ার কথা ছিল আলিয়ার। সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার নিতে রওনাও দিয়েছিলেন। এয়ারপোর্টে পৌঁছে দাদুর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে শুনে হাসপাতালে ছোটেন। দুঃসময়ে পরিবারের পাশে থাকতে চেয়েছেন অভিনেত্রী। এর জন্য আয়োজকদের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে পুরস্কারের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আলিয়া।
বাবার সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসকে বছর কয়েক আগে সোনি রাজদান জানিয়েছিলেন, ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী রাম গোপালের ট্রুপের সঙ্গে সারা ইউরোপ ট্যুর করতেন তার বাবা নরেন্দ্র নাথ রাজদানে। ভায়োলিন বাজাতেন তিনি। তেমনই এক কনসার্টের ব্যাকস্টেজে সোনির মায়ের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তার, তারপর শুরু সেই প্রেম কাহিনি। নরেন্দ্র নাথ রাজদানের মৃত্যুতে শোকের ছায়া ভাট ও রাজদান পরিবারে।
চলারপথে ডেস্ক :
বিশ্বের বিভিন্ন মহাদেশের ক্লাব নিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজিত হলেও বেশিরভাগ সময়ই এর চ্যাম্পিয়ন হয় ইউরোপের দলগুলো। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। লাতিন আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন ফ্লুমিনেন্সকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপে খেলতে এসেই চ্যাম্পিয়ন ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি।
সৌদি আরবে শুক্রবার রাতে ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির লড়াইটা জমলো না একেবারেই। লাতিন আমেরিকার চ্যাম্পিয়নদের ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে পেপ গার্দিওলার দল। এর মধ্যে শুরু ও শেষের গোলটি করেছেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার হুলিয়ান আলভারেস। তৃতীয় গোলটি ফিল ফোডেন করলেও বাকি গোলটি ছিল আত্মঘাতী।
সিটির হয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ জেতার মাধ্যমে ইতিহাস গড়লেন গার্দিওলা। ফুটবল ইতিহাসের প্রথম কোচ হিসেবে তিনি ক্লাব বিশ্বকাপ জিতলেন চারবার। রিয়াল মাদ্রিদের ইতালিয়ান কোচ কার্লো আনচেলত্তি এই শিরোপা জিতেছেন তিনবার।
এই জয়ে সিটির হয়ে সম্ভাব্য সব শিরোপাও জিতলেন গার্দিওলা। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও প্রিমিয়ার লিগ ছাড়াও এফএ কাপের শিরোপা জেতে সিটি। এই মৌসুমে ক্লাব বিশ্বকাপ ছাড়াও জেতেন উয়েফা সুপার কাপ। অর্থাৎ, ২০২৩ সালে ৫টি শিরোপা জিতল সিটি।
ম্যানচেস্টার সিটি ইংল্যান্ডের চতুর্থ দল যারা ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল। এর আগে এই কীর্তি গড়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, চেলসি ও লিভারপুল।
অনলাইন ডেস্ক :
দক্ষিণ কোরিয়ায় বাঞ্জি জাম্পিং প্ল্যাটফরম থেকে পড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। দ্য ইনডিপেনডেন্টের মতে, ২৬ ফেব্রুয়ারি দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল।
মারা যাওয়া ওই নারীর নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে তাঁর বয়স ৬০-৬৯ বছরের মধ্যে।
তিনি প্ল্যাটফরম থেকে আট মিটার নিচে কংক্রিটের মেঝেতে পড়ে গিয়েছিলেন। সে সময় তিনি গেয়ংগি প্রদেশের স্টারফিল্ড আনসেং মলে অবস্থিত প্ল্যাটফরম থেকে বাঞ্জি জাম্প করার চেষ্টা করেছিলেন।
গেয়ংগি নামবু প্রদেশের পুলিশের ধারণা, ত্রুটিপূর্ণ ক্যারাবিনারের কারণে বাঞ্জি কর্ডটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। পুলিশ এখনো ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং শিগগিরই বিস্তারিত বেরিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হয়েছে কি না সেদিকে নজর দিচ্ছে বলেও জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।
দুর্ঘটনার সময় ওই নারী নিরাপত্তার সরঞ্জামে সজ্জিত ছিলেন। তবে একটি ক্যারাবিনার (একধরনের সুরক্ষা হুক) সুরক্ষিত ছিল না। তাঁকে অবিলম্বে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং চিকিৎসকরা তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনি বেঁচে ফেরেননি। পড়ে যাওয়ার এক ঘণ্টা পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল।
এদিকে গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু বাঞ্জি জাম্প প্ল্যাটফরমের একটি থেকে লাফ দিয়ে এক জাপানি পর্যটক মারা যান। অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই ওই পর্যটকের মৃত্যু হয়। ৫৬ বছর বয়সী ওই পর্যটক ম্যাকাও পৌরসভার ম্যাকাও টাওয়ারের ৭৬৪ ফুট উঁচু থেকে লাফ দেওয়ার পর তাঁর শ্বাসকষ্ট হয়েছিল।
এর আগে ২০১৯ সালে পোল্যান্ডে ৩৩০ ফুট উঁচু থেকে বাঞ্জি জাম্পের সময় এক ব্যক্তি মাটিতে পড়ে যান। ৩৯ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির মেরুদণ্ডে আঘাত লেগেছিল। সূত্র : এনডিটিভি
অনলাইন ডেস্ক :
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কিয়ারা আদবাণী হাসপাতালে ভর্তি। ৪ জানুয়ারি শনিবার সকালে হঠাৎ এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। এদিন দক্ষিণী তারকা রামচরণের সাথে মুম্বাইয়ের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল অভিনেত্রীর। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। তারপরেই খবর ছড়ায়, অসুস্থ হয়ে নাকি সকাল সকাল হাসপাতালে ছুটতে হয়েছে তাকে। তবে ঠিক কী কারণে হাসপাতালে যেতে হয়, সেই খবর প্রকাশ্যে আসেনি প্রথমে।
কিয়ারার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই চিন্তিত হয়ে পড়েন তার অনুরাগীরা। তিনি এখন কেমন আছেন, সেই বিষয়ে খোঁজ নেওয়া শুরু করেন শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
অবশেষে কিয়ারার সহযোগী দলের পক্ষ থেকে জানানো হল, হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি অভিনেত্রীকে। শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে তার। গত কয়েক দিন অনবরত কাজ করায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। যার ফলে চিকিৎসক তাকে আগামী কয়েক দিন বিশ্রামে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই কারণেই শনিবারের অনুষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত।
এ মাসেই মুক্তি পেতে চলেছে কিয়ারা ও রামচরণের ছবি ‘গেম চেঞ্জার’। সেই ছবির প্রচারেই একটি অনুষ্ঠানে শনিবার যোগ দেওয়ার কথা ছিল কিয়ারার। শঙ্কর পরিচালিত এই রাজনৈতিক ছবি নিয়ে বেশ কিছু দিনে ধরেই আগ্রহ তৈরি হয়েছিল দর্শকের মধ্যে। ছবিতে সামান্য পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছিল সেন্সর বোর্ড। কয়েকটি গানেও কাঁচি চালানোর নির্দেশ রয়েছে।
ছবিতে রামচরণকে এক আইপিএস আধিকারিকের চরিত্রে দেখা যাবে। তবে শোনা যাচ্ছে, বাবা ও ছেলের দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। কিয়ারাও এক পুলিশ আধিকারিকের চরিত্রে অভিনয় করছেন। রাজনৈতিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারা লড়বে।
ছবিতে রামচরণ ও কিয়ারা ছাড়াও অভিনয় করেছেন সমুথিরকনি, এসজে সূর্য, শ্রীকান্ত, প্রকাশ রাজ ও সুনীল। ১০ জানুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে এই ছবি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের তৃণমূল ফুটবলের অত্যন্ত পরিচিত এক নাম মোঃ শাহাদাত হোসেন। এক ফুটবল পাগল ও ফুটবল সংগঠক। দেশের ফুটবলের নানা ক্ষেত্রে রয়েছে তার সরব উপস্থিতি। বিশেষ করে মতিঝিল পাড়ায় বলতে গেলে তাকে এক নামে সবাই চেনে। এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়াও তিনি দেশের ফুটবল সমর্থকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন বাংলাদেশ ফুটবল সাপোর্টার্স ফোরাম এর প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক।
শাহাদাত জানান, ভালোবাসি ফুটবল, ভালোবাসি দেশকে ভালোবাসি নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে। তিনি আরো বলেন, এক সময় আমাদের জাতীয় পর্যায়ে ঢাকার বাইরের বেশ কয়েকটি ক্লাব অংশগ্রহন করেছে। সিলেটের বিয়ানীবাজার, কক্সবাজারের কক্সসিটি, নায়ারণগঞ্জের শুকতারা, চট্টগ্রামের আবাহনী-মোহামেডান ছাড়াও আরো বেশ কিছু ক্লাব জাতীয় পর্যায়ে খেলার কারনে উক্ত জেলা ও জেলার ফুটবলের সার্বিক পরিচিতি লাভ করেছিলো। এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে নিয়ে আমাদের আশাবাদ হলো এটির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও দেশের গন্ডি পেরিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নামকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চাই।
শাহাদাত বলেন, আমার বিশ্বাস ও আস্থা আছে যে, যদি আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোকজন এটাকে ভালোভাবে গ্রহন করে আপন করে নিতে পারে তাহলে একদিন এটিই হতে পারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পরিচিতির জন্য অন্যতম মুখপাত্র। আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রয়েছে। ফুটবলের এ প্রয়াসের মাধ্যমে আমার ইচ্ছা ও আকাংক্ষা এই যে এর মাধ্যমে আমি ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নামকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চাই যেমনি ভাবে আজকে রিয়াল-বার্সাকে সবাই এক নামেই চিনে।
২০১৭ সালে ঢাকা পাইওনিয়ার ফুটবল লিগে প্রথমবারের মতো এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশগ্রহণ করে। এরপর ২০১৯ সালের ওই আসরে অংশ নিয়ে দলটি তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। চলতি ঢাকা তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লিগে অংশ নিয়েছে এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এছাড়াও নারী ফুটবল লিগে এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ফুটবল দল ২০২১ সালে তৃতীয় এবং ২০২২ সালে দশম স্থান অর্জন করে।
শাহাদাত নিজের ক্লাবের অর্থনৈতিক দুরবস্থার কথা জানান, মূলত আমি এবং আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার হাতেগোনা কিছু ফুটবল পাগলদের নিয়ে কোনরকমে দলটি পরিচালনা করে আসছি। আমার নিজের জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নামে দলটি হলেও তেমন কোন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা পাচ্ছি না। গুটিকয়েক ব্যক্তি এবং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাত্র একজন ব্যক্তির বদ্যানতায় দলটি পরিচালনা করছি। শাহাদাত আরও বলেন, আমার একান্ত চাওয়া-দলটি বাংলাদেশের ফুটবলে প্রতিষ্ঠিত হোক। এ লক্ষ্যে চেষ্টা করে যাচ্ছি, এজন্যই সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। আমাদের দলটির বিষয়ে যদি দেশের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে সুন্দরভাবে তুলে ধরা যেত, তাহলে আশা করি অনেকেই এগিয়ে আসতো।
শাহাদাতের জন্ম ও বেড়ে উঠা দুটিই ঢাকাতে হওয়ায় এবং রাজনৈতিক কোন সম্পৃক্ততা না থাকায় দলটি পরিচালনা করতে হিমশিম খাচ্ছেন। আর্থিক সংকটে ভুগছে এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া। শাহাদাতের ভাষ্য একটি ক্লাব দল পরিচালনার জন্য যে ধরনের কাঠামো দরকার তা আমাদের ক্লাবের ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে। আর্থিক সীমাবদ্ধতাও একটি বড় বিষয়।
ক্লাবের ঘাটতির বিষয়টি আরেকটু খোলাসা করেন শাহাদাত, দল পরিচালনার ক্ষেত্রে সব সিদ্ধান্ত আমাকে একাই নিতে হচ্ছে। আমাদের কমিটির বেশকিছু সদস্য দেশের বাইরে অবস্থান করেন এবং জেলাভিত্তিক দল হওয়ায় অনেকেই জেলাতে বসবাস করেন। তাদেরকে আমরা ক্লাবের সাথে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছি মাত্র। আর বাকি যারা ঢাকায় রয়েছেন তাদের নিয়ে চেষ্টা করছি দলটি পরিচালনা করতে। হাতে গোনা কয়েকজন বাদে তেমন কেউই আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে না।
যদি বিত্তবান কোন ক্রীড়াপ্রেমী থাকেন, তাহলে এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জন্য আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন, এটাই শাহাদাতের প্রত্যাশা।