অনলাইন ডেস্ক :
ভারতে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী প্রধানের দায়িত্ব দুই বন্ধুর হাতে। তাঁরা হলেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী এবং অ্যাডমিরাল দিনেশ ত্রিপাঠি। এমন ঘটনা ভারতে এই প্রথম।
অ্যাডমিরাল ত্রিপাঠি গত ১ মে নৌবাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছেন। আর আগামীকাল (১ জুলাই) সোমবার লেফটেন্যান্ট জেনারেল দ্বিবেদী সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।
দুজন ১৯৭০–এর দশকের প্রথম দিকে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সৈনিক স্কুল রেওয়ায় লেখাপড়া করতেন। ওই স্কুলে তাঁরা পঞ্চম শ্রেণি থেকে এ-লেভেল পর্যন্ত একসঙ্গে লেখাপড়া করেছেন। তাঁদের দুজনের রোল নম্বরও কাছাকাছি ছিল। লেফটেন্যান্ট জেনারেল দ্বিবেদীর রোল নম্বর ছিল ৯৩১ এবং অ্যাডমিরাল দিনেশ ত্রিপাঠির রোল নম্বর ছিল ৯৩৮।
স্কুলের প্রথম দিকে তাঁদের দুজনের মধ্যে বেশ ভালো বন্ধুত্ব ছিল। স্কুলের পরেও দুই বন্ধু একে অন্যের খোঁজ নিতেন। যোগাযোগ রাখতেন। দুজনকেই চেনেন এমন একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, সামরিক বাহিনীতে শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব দুই বাহিনীর সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে বড় ভূমিকা রাখবে।
দুই বন্ধুর দুই বাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার সময়ও প্রায় কাছাকাছি। ব্যবধান মাত্র দুই মাসের।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল দ্বিবেদী দীর্ঘদিন ভারতের সেনাবাহিনীর নর্দান আর্মি কমান্ডার ছিলেন। এএনআই এর তথ্য মতে, লেফটেন্যান্ট জেনারেল দ্বিবেদী ১৯৮৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনাবাহিনীর জম্মু ও কাশ্মীর রাইফেলসে যোগ দেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশে থাকা ফরাসি নাগরিক এবং সে দেশের যেসব নাগরিক এ দেশে আসতে চান, তাদের সতর্ক করে দিয়েছে ঢাকার ফ্রান্স দূতাবাস। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে যাতে নতুন করে আর সহিংসতা না ছড়ায়, সে জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
আজ ২৮ জুলাই রবিবার ঢাকার ফ্রান্স দূতাবাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তায় বলেছে, ‘সবাইকে শান্ত, সংযমী থাকার আহ্বান জানাই। সেই সঙ্গে নতুন করে যাতে সংঘাত না ঘটে, এর জন্য সংলাপের আহ্বান জানাই।’
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘বাংলাদেশে ফ্রান্সের যেসব নাগরিক থাকেন, তাদের এবং যেসব নাগরিক বাংলাদেশ ভ্রমণে ইচ্ছুক, তাদের সতর্ক করা হচ্ছে।’
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে যে কয়েকটি পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়- তার মধ্যে সিংহভাগই বরফায়িত মাছ। তবে ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার থেকে আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত বন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানি বন্ধ থাকবে। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার আপত্তির কারণে সেখানকার ব্যবসায়ীরা মাছ আমদানি বন্ধ রাখবেন।আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৫০ থেকে ৬০ টন মাছ ভারতে রপ্তানি হয়। প্রতি কেজি মাছের রপ্তানি মূল্য আড়াই মার্কিন ডলার। প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ডলারের মাছ রপ্তানি হয়। তবে ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি আমদানিকৃত মাছের মান যাচাই করণে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং জনবল না থাকায় মাছ আমদানি বন্ধ রাখার জন্য বলেন সেখানকার ব্যবসায়ীদের। এর ফলে আজ থেকে এক মাস মাছ রপ্তানি বন্ধ থাকবে। এতে করে ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তেমনি সরকারও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে বঞ্চিত হবে। পাশাপাশি বন্দরের রপ্তানি বাণিজ্য আরও বেশি সংকুচিত হয়ে পড়বে।
আখাউড়া স্থলবন্দরেরর সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ আতিকুল ইসলাম জানান, চিঠির মাধ্যমে মাছ আমদানি বন্ধের বিষয়টি ভারত থেকে ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছে। তবে যেহেতু বন্দর কর্তৃপক্ষ মাছের ট্রাক থেকে মাশুল আদায় হয় বেশি, সেজন্য রপ্তানি বন্ধের ফলে বন্দরের আয়ে ভাটা পড়বে।
অনলাইন ডেস্ক :
বাসররাতে বর-কনের একসঙ্গে মৃত্যু হয়েছে। তাদের মৃত্যু নিয়ে রহস্য তৈরি হলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভারতের উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচ জেলায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রের বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, ৩০ মে প্রতাপ যাদবের (২২) সঙ্গে বিয়ে হয় পুষ্পার (২০)। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে নিজেদের ঘরে যান তারা। পরদিন সকালে তাদের লাশ উদ্ধার হয়।
তবে বন্ধ ঘরে বর-কনের মৃত্যুতে সন্দেহ প্রকাশ করেন আত্মীয়-স্বজনরা। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
পুলিশ সুপার প্রশান্ত বর্মা জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুয়ায়ী, হার্ট অ্যাটাকে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ও নতুন ট্রাম প্রশাসনের সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) চেয়ারম্যান ইলন মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডিকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। মাস্কের অভিযোগ, সংস্থাটি মার্কিন জনগণের করের টাকায় জৈব অস্ত্র গবেষণায় অর্থায়ন করেছে এবং বিভিন্ন প্রচারণার জন্য গণমাধ্যমে বিপুল অর্থ ব্যয় করেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) শেয়ার করা পৃথক তিনটি পোস্টে ইলন মাস্ক বলেন, আপনারা জানেন কি, ইউএসএআইডি আপনাদের করের টাকায় জৈব অস্ত্র গবেষণায় অর্থায়ন করেছে? এর মধ্যে কোভিড-১৯ এর মতো জীবাণুও অন্তর্ভুক্ত, যার কারণে কয়েক কোটি মানুষ মারা গেছেন। অপর এক পোস্টে অভিযোগ করেন, ইউএসএআইডি তাদের প্রচারণা পরিচালনার জন্য বিভিন্ন গণমাধ্যমকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়েছে। ইউএসএআইডির মরে যাওয়াই ভালো।
গোপন নথি নিয়ে বিতর্ক, কর্মকর্তাদের বরখাস্ত
ইউএসএআইডিকে ঘিরে বিতর্ক তখন আরো ঘনীভূত হয়, যখন সংস্থাটির দুই শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে ছুটিতে পাঠানো হয়। অভিযোগ রয়েছে, তাঁরা মাস্কের প্রতিনিধিদের গোপন নথি দেখাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
মার্কিন গণমাধ্যমের একাধিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিওজিই-এর কর্মীদের নিরাপত্তা অনুমোদন না থাকায় তাঁদের ইউএসএআইডির সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। তবে মাস্কের সমর্থকরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের নির্বাহী আদেশে গঠিত এই বিভাগটি সরকারি সংস্থার মতোই ক্ষমতাপ্রাপ্ত এবং তারা প্রবেশাধিকার পাওয়ার যোগ্য।
হোয়াইট হাউসের প্রতিক্রিয়া ও ওয়েবসাইট বন্ধ
এ ঘটনায় হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চিউং দাবি করেছেন, ডিওজিই-এর কর্মীরা সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করেননি এবং এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তবে, ইউএসএআইডির বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা বলছেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সরিয়ে দিয়ে সংস্থাটিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, গত শনিবার থেকে ইউএসএআইডির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এবং এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রবেশের চেষ্টা করেও ব্যবহারকারীরা ব্যর্থ হয়েছেন।
পররাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে ইউএসএআইডি?
মার্কিন সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন ইউএসএআইডিকে পররাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে আনতে চাচ্ছে। এর ফলে সংস্থাটির ৪২.৮ বিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক মানবিক সহায়তা কার্যক্রম আপাতত স্থগিত থাকতে পারে।
একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স আরো জানায়, ইউএসএআইডির সব সিলমোহরও কার্যালয় থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে, যা এর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইউএসএআইডি পররাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে চলে গেলে এটি আর স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না এবং মূলত মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির হাতিয়ারে পরিণত হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউএসএআইডি কর্মকর্তা বলেন, এর ফলে মার্কিন সরকার এমন এক অবস্থানে চলে যাবে, যেখানে মানবিক সহায়তা সংক্রান্ত কণ্ঠস্বর উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারণী আলোচনায় গুরুত্ব পাবে না।
নতুন মার্কিন কূটনৈতিক নীতির ইঙ্গিত
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, আগের প্রশাসনগুলো বৈশ্বিক ইস্যুকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে, যা চীনের অর্থনৈতিক বিকাশকে ত্বরান্বিত করেছে। আমরা এখন আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে মনোযোগী হব।
এদিকে, হোয়াইট হাউস এখন এমন আইনি উপায় খুঁজছে, যার মাধ্যমে ট্রাম্প নির্বাহী আদেশ জারি করে ইউএসএআইডির স্বাধীনতা বাতিল করতে পারেন। তবে প্রেসিডেন্ট কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কি না, এখনও তা স্পষ্ট নয়।
সংস্থাটির ভবিষ্যৎ কী?
ইউএসএআইডি অতীতে এমন দেশগুলোকেও সহায়তা করেছে যাদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, যেমন ইরান। কিন্তু নতুন এই পরিবর্তন সংস্থাটির কার্যক্রমে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: আল জাজিরা, এক্স, রয়টার্স, ওয়াল স্ট্রিট জর্নাল
অনলাইন ডেস্ক :
ইসরাইলি নাগরিকদের প্রবেশে আইন জারি করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পর্যটননির্ভর দেশ মালদ্বীপ। ফিলিস্তিনিদের প্রতি ‘দৃঢ় সংকল্পের’ অংশ হিসেবে এমন উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। আজ ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার মালদ্বীপের সংসদে আইনটি পাস হয়। এর প্রায় সঙ্গে সঙ্গে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু আইনটির অনুমোদন দেন। এটি অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রেসিডেন্টের দপ্তরের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে মোহাম্মদ মুইজ্জু বলেছেন, নতুন আইনটির অনুমোদন ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের অব্যাহত নৃশংসতা এবং গণহত্যার বিরুদ্ধে সরকারের দৃঢ় অবস্থানকে প্রতিফলিত করে। ফিলিস্তিনিদের লড়াইয়ের প্রতি মালদ্বীপ তার দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে।
ইসরাইলিদের মালদ্বীপে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে বলে গত বছরের জুনে জানিয়েছিলেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। ওই সময় ইসরাইলিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিতে করণীয় ঠিক করতে কমিটি ঠিক করা হয়।
সব প্রক্রিয়া শেষে আজ আইনটি আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির সংসদে তোলা হয়। সংসদে পাস হওয়ার পর কোনো বিলম্ব না করেই আইনটির অনুমোদন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু।
দখলদার ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত বছর ইসরাইলিদের মালদ্বীপ ভ্রমণে না যেতে পরামর্শ দিয়েছিলেন।