অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সার্টিফিকেট হস্তান্তর করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। গত ২৮ মে নাগাসাকির পিস পার্কে পিস মনুমেন্ট, ‘ওরে বিহঙ্গ মোর’ উদ্বোধন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী। এ উপলক্ষে নাগাসাকির মেয়র সুজুকি শিরো ‘সার্টিফিকেট অব এপ্রিসিয়েশন’ প্রদান করেন। আজ ১ জুলাই সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সভা শেষে ওই সার্টিফিকেটটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী।
চলারপথে ডেস্ক :
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা ভোট চোর, ভোট ডাকাত ছিল- তারাই এখন গণতন্ত্র চায়! ভোটের অধিকারের কথা বলে! যাদের জন্মই হয়েছে অবৈধভাবে, তাদের কাছ থেকে এসব কথা শুনতে হয়। এগুলো মাঠের কথা, মাঠেই থাকবে। আমরা জনতার সঙ্গে থাকব। জনতার পাশে থাকব। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করব। জনগণের জন্য কাজ করে যাব।
তিনি বলেন, জণগণের আস্থা বিশ্বাস অর্জন করে তাদের ভোটের মাধ্যমেই তো আমরা ক্ষমতায় এসেছি। মানুষের বিশ্বাস ও আস্থাটাই আমাদের একমাত্র শক্তি। আর কোনো শক্তি নাই। বাংলাদেশের জনগণই আওয়ামী লীগের একমাত্র বন্ধু- এটা মনে রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী হাসিনা তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ ১৭ মে বুধবার গণভবনে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়ে সেটাও কার্যকর করে যাচ্ছি। খুব স্বাভাবিকভাবেই এ অর্জনগুলো নৎসাত করতে, যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে- জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে তাদের একটা ষড়যন্ত্র চলতেই থাকবে। কিন্তু অনেস্টি (সততা) থাকলে এবং পারপাস (উদ্দেশ্য) যদি সততার সঙ্গে হয় তাহলে যেকোনো জায়গায় সাফল্য আনা যায়। এই কথাটাই সব সময় মনে রাখি। লক্ষ্য একটাই- দেশের মানুষের জীবনটা উন্নত করা, তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করে দেওয়া। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন- দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। সেই হাসি ফোটানোটাই আমার একমাত্র কর্তব্য এবং সেটাই করে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, আজকে যখন ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে ঘর দেই, ঘর পাওয়ার পরে তার মুখের হাসির চেয়ে বড় পাওয়া বা স্বার্থকতা আর কিছু নেই।
সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে সেটাই আমাদের প্রচেষ্টা। সেই সঙ্গে গণতন্ত্র, এটা নিয়ে অনেকেই কথা বলেন। বাংলাদেশে গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার কবে ছিল? পঁচাত্তর সালের পর থেকে জিয়াউর রহমান ভোট চুরি, ভোট কারচুপি, ভোট নিয়ে খেলা, মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা করেছে বরং আওয়ামী লীগেরই নানা পদক্ষেপের ফলে আজকে বিভিন্ন সংস্কার করে করে নির্বাচন পদ্ধতিটাকে গণমুখী করা, জনগণের ভোট সম্পর্কে তাদের সচেতন করা হয়েছে। ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’- স্লোগান দিয়ে মানুষকে ভোট সম্পর্কে সচেতন করা- এটা তো আওয়ামী লীগই করেছে, আর কেউ না। নির্বাচন কমিশন করার জন্য আইন করা হয়েছে, যেখানে ভুয়া ভোটার দিয়ে তালিকা হতো, সেখানে ছবিসহ ভোটার তালিকা হয়েছে, আইডি কার্ড- সবই তো আওয়ামী লীগেরই করে দেওয়া। সবই করে দিয়েছি আমরা। তারপরও যখন কেউ ভোট, গণতন্ত্র আর নির্বাচন নিয়ে আমাদের সবক দিতে আসে, সেখানে আর কিছু বলার নেই।
অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আহসান হাবিব খান জানিয়েছেন, সাংবাদিকদের ক্যামেরা ভাঙচুর করলেই ২ থেকে ৭ বছরের জেল হবে।
তিনি বলেন, নতুন আইন করা হয়েছে, সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেউ ভাঙচুর করলে দুই থেকে সাত বছরের জেল হবে। সাংবাদিকদের কার্যবান্ধব ও সহযোগী হিসেবে রাখতে সব সুযোগ রয়েছে। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করবেন। যখন ভোট গণনা হবে, সেটাও ভিডিও করতে পারবেন তারা। এর চেয়ে বেশি স্বচ্ছতা কী হতে পারে! সাংবাদিক হিসেবে আপনারা সঠিক জিনিসটা প্রকাশ করবেন। এতে নির্বাচন কর্মকর্তারা সচেতন ও সতর্ক হবেন।
আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা, গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আহসান হাবিব খান।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহতেশাম রেজার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আহসান হাবিব খান বলেন, অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। একজন ভোটার নির্বিঘ্নে-নির্ভয়ে বাড়ি থেকে ভোটকেন্দ্রে যাবে এবং ভোট প্রদান করবেন। সেই পরিবেশ সৃষ্টি করার দায়িত্ব আমাদের। যেখানে ঝামেলা আছে, সেগুলো সমাধান করা হবে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী কাজ করবে, টহল দেবে। আমরা আমাদের শ্রেষ্ঠটা দিয়ে চেষ্টা করছি, করবো। আমাদের সাফল্য অনিবার্য।
ইসি আহসান হাবিব খান আরও বলেন, সব প্রার্থীই আমাদের কাছে সমান। ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। কেউ ঝামেলা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অসদাচরণের জন্য প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে। নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অনিয়ম করলে ছাড় নয়। ভোটকেন্দ্রের বাইরে কেউ ঝামেলা করলে পুলিশ অ্যাকশন নেবে। বিশৃঙ্খলা করার সুযোগ নেই, সেই সুযোগ আমরা দেব না। কোথাও অনিয়ম হলে সেই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ হবে। তদন্ত সাপেক্ষে দায়িত্বরতদের সাসপেন্ড করা হবে, অ্যাকশন নেওয়া হবে। আমাদের কাছে কোনও ছাড় নেই। আমরা জিরো টলারেন্স মন্ত্রে বিশ্বাসী।
তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে মুঠোফোনে ও সরাসরি কথা হয়েছে। রাতের আঁধারে কেউ যদি হামলা-অগ্নিসংযোগ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) আইনের খসড়া তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, আইন করার জন্য আমাদের অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞানেরও প্রয়োজন। এ আইনের খসড়া করার জন্য আমরা আজকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে খসড়ায় কি কি থাকবে, সেটা নিয়ে আজকে আমরা আউটলাইনটা আলাপ করেছি। সেই আউটলাইন অনুযায়ী আমরা কাজ করবো।
আজ ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই যেভাবে পৃথিবী বদলে দিচ্ছে, সেটার ব্যাপারে একটা আইন যেরকম সারা পৃথিবীতে চিন্তা করা হচ্ছে বাংলাদেশেও চিন্তা করা উচিত। সেই চিন্তা করার জন্যই আমরা আজকে প্রাথমিকভাবে বসেছিলাম। আজকে আইনের একটা আউটলাইন আমরা করলাম। এ বিষয়টা এত ব্যাপক এক দিনের আলোচনায় শেষ হবে না। এ আইনের মধ্যে যে জিনিসগুলো থাকা উচিত, মনুষ্যত্বের দিক থেকে যে বিষয়গুলো রক্ষা করা উচিত- সেগুলোর বিষয়ে আলোচনা করেছি। সেই আলোচনা শুরু হলো এবং আলোচনা চলবে।
আউটলাইনে কি কি থাকছে- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে সেটা আমরা বলতে চাই না। কারণ এটাও পরিবর্তনশীল। বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করার জন্য এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য, অন্যান্য জায়গায় কি আইন হচ্ছে সেটা একটু পরীক্ষা করার জন্য এই সময়টুকু নিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি এই সময়ের মধ্যে আমরা এই আইনটা তৈরি করতে পারব।
এই আইনের ফলে কি হবে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, এটি আমাদের কাছেও জিজ্ঞাস্য। এর কারণ হচ্ছে আমরা কতটুকু নিয়ন্ত্রণ করবো। এই জিনিসটুকু আমি বলতে পারি- মানুষের অধিকার সংরক্ষণের জন্য, সর্বক্ষেত্রে সেটা সংরক্ষণের জন্য, মানুষের সুবিধার জন্য এআইকে যাতে ব্যবহার করা যায় সেই চেষ্টাই আমরা করব।
এরপর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি সিদ্ধান্ত আইনমন্ত্রী মহোদয় গ্রহণ করেছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি আমাকে নির্দেশনা দেন যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আমরা কি ভাবছি ও আইন প্রণয়নের ব্যাপারে আমরা কতটা প্রস্তুত। উনার নির্দেশনা পাওয়ার পর আমরা তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা করি এবং যারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট গভর্নেন্স, স্মার্ট অর্থনীতি করতে হলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে বাইপাস করে কিছু করতে পারবো না।
তিনি বলেন, এখন বড় একটা চ্যালেঞ্জ ও বড় একটা বিতর্ক হচ্ছে, আমরা কতটুকু উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবো কতটুকু অপপ্রয়োগে নিয়ন্ত্রণ করবো। এ বিষয় নিয়ে আজকে আমরা আইনমন্ত্রী মহোদয়ের কাছে এসেছিলাম। আইনমন্ত্রী মহোদয়ও বললেন একটা আউটলাইন আমরা দাঁড় করিয়েছি। আগামী দিনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পরিবর্তনটা কত দ্রুত হচ্ছে, এর ব্যবহারটা কতটুকু আমরা আমাদের অর্থনীতির সমৃদ্ধি আনার জন্য, কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য করতে পারি। বিদেশি বিনিয়োগ পাওয়ার জন্য রপ্তানি আয় বৃদ্ধির জন্য এটার কি কি ব্যবহার হতে পারে যেটা উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবে, উদ্যোক্তাদের নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে দেবে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, একই সঙ্গে বর্তমান বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যে ভয়ানক পরিণতি আশঙ্কা করা হচ্ছে যা বিভিন্ন গবেষক এবং উদ্ভাবক বলছেন, সেটাকে মাথায় রেখে আইনমন্ত্রী মহোদয় আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন। একদিকে উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করা এবং এটার যে অপপ্রয়োগ সেটার প্রতিরোধ করা। আমাদের জনগণ, জাতীয় নিরাপত্তা এবং বিশ্ব নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের কোনো অপপ্রয়োগ যাতে না হয় সেটাকে মাথায় রেখেই আমরা আইনটা প্রণয়ন করব। সেটার জন্য আমরা একটা সময় চেয়েছি। আইনমন্ত্রী আমাদেরকে যথেষ্ট সময় দিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন দেখেছি, পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিকিউটিভ অর্ডার দেখেছি, দক্ষিণ কোরিয়াসহ যেসব দেশ গত ২০১৭ সাল থেকে বিভিন্ন পলিসি, গাইডলাইন, আইন করেছে সেগুলো স্টাডি করছি। পাশাপাশি বাংলাদেশের মেধাবী ছেলে-মেয়ে যারা পড়াশোনা করেছে এবং জানে বোঝে তাদের মতামত নিয়ে এবং স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করে মন্ত্রীর কাছে আবার আসবো।
অনলাইন ডেস্ক :
মন্ত্রিসভার নতুন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা শপথ নিলেন। আজ ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন প্রথমে ২৫ জন মন্ত্রী ও পরে ১১ জন প্রতিমন্ত্রীকে পাঠ করান শপথবাক্য।
সাংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের ২ ধারা অনুযায়ী মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা এ শপথ নেন।
প্রথমে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পরে গোপনীয়তার শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো শপথ নিলেন। এর মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠিত হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে।
শপথ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। অনুষ্ঠানে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ বিশিষ্টজনরা উপস্থিত আছেন।
এর আগে গতকাল বুধবার (১০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের তালিকা প্রকাশ করেন। এখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নিয়োগ পাওয়া মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীসহ শপথ নেওয়া ৩৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভাই দেশের নতুন সরকার। নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেওয়ার পর আগের মন্ত্রিসভা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে গেছে।
এর আগে ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। বিএনপিবিহীন এ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পায় আওয়ামী লীগ। ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনের ফলাফল পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ২২২টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল–জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে জয় পেয়েছে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে শপথ নিয়েছেন নতুন নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। শপথ শেষে অনুষ্ঠিত সংসদীয় দলের সভায় শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা নির্বাচিত করা হয়। বুধবার সন্ধ্যার পর বঙ্গভবনে যান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের সিদ্ধান্ত দেন। একই সঙ্গে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনে সম্মতি দেন রাষ্ট্রপতি।
মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মন্ত্রিসভার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক (গাজীপুর-১), সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের (নোয়াখালী-৫), শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন (নরসিংদী-৪), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান (ঢাকা-১২), সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় দীপু মনি (চাঁদপুর-৩), স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম (কুমিল্লা-৯), আইনমন্ত্রী আনিসুল হক (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ (চট্টগ্রাম-৭), খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার (নওগাঁ-১), জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন (মেহেরপুর-১), ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ফরিদুল হক খান (জামালপুর-২), শিক্ষা মন্ত্রণালয় মহিবুল হাসান চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৯) এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান (টেকনোক্র্যাট) নতুন মন্ত্রিসভার মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় মুহাম্মদ ফারুক খান (গোপালগঞ্জ-১), অর্থ মন্ত্রণালয় আবুল হাসান মাহমুদ আলী (দিনাজপুর-৪), কৃষি মন্ত্রণালয় মো. আব্দুস শহীদ (মৌলভীবাজার-৪), গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩), বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় মো. আব্দুর রহমান (ফরিদপুর-১), ভূমি মন্ত্রণালয় নারায়ণ চন্দ্র (খুলনা-৫), পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় আব্দুস সালাম (ময়মনসিংহ-৯), রেলপথ মন্ত্রণালয় মো. জিল্লুল হাকিম (রাজবাড়ী-২), পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯), বস্ত্র ও পাঠ মন্ত্রণালয় জাহাঙ্গীর কবির নানক (ঢাকা-১৩) ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নাজমুল হাসান (কিশোরগঞ্জ-৬)। টেকনোক্র্যাট কোটায় নতুন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় স্থপতি ইয়াফেস ওসমান (টেকনোক্র্যাট), স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ডা. সামন্ত লাল সেন (টেকনোক্র্যাট)।
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন যারা ১. নসরুল হামিদ- বিদ্যুৎ বিভাগ
২. জুনাইদ আহমেদ পলক- ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়
৩. খালিদ মাহমুদ চৌধুরী- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়
৪. জাহিদ ফারুক- পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়
৫. সিমিন হোসেন (রিমি)- মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়
৬. মোহাম্মদ আলী আরাফাত- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়
৭. মো. মহিববুর রহমান- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়
৮. কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়
৯. রুমানা আলী- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
১০. শফিকুর রহমান চৌধুরী- পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়
১১. আহসানুল ইসলাম (টিটু)- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার ও বিক্রির দায়ে তিন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ৭ নভেম্বর বৃহষ্পতিবার দুপুরে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. গোলাম সারওয়ার।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, বৃহষ্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌর শহরের পুরাতন বাজারে অভিযান চালানো হয়। এসময় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পলিথিন বিক্রি ও ব্যবহার করায় তিন ব্যবসায়ীকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ওই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১২০ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. গোলাম সারওয়ার বলেন, এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।