অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সার্টিফিকেট হস্তান্তর করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। গত ২৮ মে নাগাসাকির পিস পার্কে পিস মনুমেন্ট, ‘ওরে বিহঙ্গ মোর’ উদ্বোধন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী। এ উপলক্ষে নাগাসাকির মেয়র সুজুকি শিরো ‘সার্টিফিকেট অব এপ্রিসিয়েশন’ প্রদান করেন। আজ ১ জুলাই সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সভা শেষে ওই সার্টিফিকেটটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী।
চলারপথে ডেস্ক :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবসে (১৭ মার্চ) সরকারি-বেসরকারি অফিস ও ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতির পিতার জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে আগামী ১৭ মার্চ শুক্রবার সারাদেশে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বেই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার অব. এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, কার্গো টার্মিনাল নির্মাণের জন্য আশুগঞ্জ নৌবন্দরকে হাব হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। আগে এটি পরিপূর্ণ বন্দর ছিল না। টার্মিনালটি নির্মিত হলে নৌপথে বাণিজ্যের আরো প্রসার ঘটবে। এখানে সাইলোসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রকল্প ও প্রতিষ্ঠান আছে। এটি বাংলাদেশের একটি হাব। আজ ১১ নভেম্বর সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ নৌবন্দরে কার্গো টার্মিনালের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
বিগ্রেডিয়ার অব. এম শাখাওয়াত হোসেন আরো বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নৌবন্দরে নতুন কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ করছে বিআইডব্লিউটিএ। নতুন এই টার্মিনালে ৩টি জেটি ও স্টোরেজ সেডসহ বিভিন্ন অবকাঠামো রয়েছে। আগামী বছর প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, অনেকদিন থেকেই আশুগঞ্জে কার্গো টার্মিনাল করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা হচ্ছিল। আরেকটি বিষয় হলো বিশ্বব্যাংক যখন অর্থায়ন করে, তখন তারা না দেখে করে না। তারা যদি মনে করে এটা লাভজনক, তখনই তারা অর্থায়ন করে।
আশুগঞ্জ নৌবন্দরে কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ শেষ হলে বন্দরের সক্ষমতা আরো বাড়বে বলে প্রত্যাশা করেন নৌ উপদেষ্টা।
এ সময় উপদেষ্টার সাথে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ মোস্তফা, আশুগঞ্জ কার্গো টার্মিনাল প্রকল্পের পরিচালক আইয়ূব আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোঃ জাবেদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
অপ্রয়োজনীয় আমদানি নিরুৎসাহিত এবং প্রবাসী আয় উৎসাহিত করার মত বেশ কিছু পদক্ষেপ সরকার এরই মধ্যে নিয়েছে বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে আগামীতে রিজার্ভে স্বস্তি ফিরে আসার সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আজ ২১ জুন বুধবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রী। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার ছিল বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতির চাপ এবং কোভিড পরবর্তীকালীন চাহিদা বৃদ্ধিজনিত কারণে ২০২১-২২ অর্থ বছরে আমদানি বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের বাণিজ্য ভারসাম্যের ওপর কিছুটা চাপ তৈরি হয়েছে। এ চাপ মোকাবিলা করতে গিয়ে পরবর্তীতে তা কমতে শুরু করে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান ধরে রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যবহার শুরু করলে রিজার্ভের পরিমাণ কমে যাওয়ার হার আরও বৃদ্ধি পায়।’
সর্বশেষ গত ৩১ মে তারিখের হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ হয়েছে ২৯ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যার সাহায্যে চার মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য যথেষ্ট।’
সরকারি দলের সংসদ সদস্য নুর উদ্দীন চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যোগাযোগ খাতের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে যে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে, তা এখন সর্বমহলে স্বীকৃত ও প্রশংসিত।’
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে যোগাযোগ খাতে বিভিন্ন প্রকল্প ও আগামী দিনের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সেতু বিভাগের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েছে। এর মধ্যে আছে— প্রায় ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ; ঢাকা শহরে ২৫৮ কিলোমিটার সাবওয়ে নির্মাণ, ঢাকা শহরে ৮৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা ইনার এলিভেটেড সার্কুলার রোড নির্মাণ, ঢাকা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভুলতা-আড়াইহাজার-বাঞ্ছারামপুর-নবীনগর সড়কে মেঘনা নদীর উপর প্রায় ২.২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ; বরিশাল-ভোলা সড়কে তেঁতুলিয়া ও কালাবদর নদীর উপর ১০.৪৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ; বরিশাল জেলায় রহমতপুর-বাবুগঞ্জ-মুলাদি হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ সড়কে আড়িয়াল খাঁ নদীর উপর ১.৫৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলার বাকেরগঞ্জ-বাউফল সড়কে কারখানা নদীর উপর ১.৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ; শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কে মেঘনা নদীর উপর ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু/টানেল নির্মাণ; পটুয়াখালী জেলায় লেবুখালী-দুমকী-বগা-দশমিনা-গলাচিপা-আমড়াগাছি সড়কে গলাচিপা নদীর উপর ১.৫৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ; পটুয়াখালী জেলায় পটুয়াখালী-আমতলী-বরগুনা সড়কে পায়রা নদীর উপর ২.৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ; বরগুনা জেলার বরগুনা-পাথরঘাটা সড়কে বিষখালী নদীর উপর ২.৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ; মতলব উত্তর-গজারিয়া সড়কে মেঘনা নদীর উপর ১.৮৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ এবং গজারিয়া-মুন্সিগঞ্জ সড়কে মেঘনা নদীর উপর ২.৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘পতিত জমি চাষাবাদের উদ্যোগ গ্রহণ করার ফলে এরই মধ্যে প্রায় ৫৫ হাজার হেক্টর পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় এসেছে।’
কৃষি খাতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে ধান, ভুট্টা, আলু, সবজি ও ফলসহ অন্যান্য ফসলের উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলদেশ বিশ্বে চাল উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে উন্নীত হয়েছে। এছাড়া ২২টি কৃষি পণ্য উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে রয়েছে। করোনার অভিঘাত মোকাবিলায় দেশের কৃষিখাত অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। বর্তমান সংকট মোকাবিলায় কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সরকার সচেষ্ট রয়েছে।’
অবশেষে দেশে ফিরেছেন মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। আজ ২ অক্টোবর বুধবার বিকেলে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্ধরে পৌছেন তিনি। এ বিষয়ে বুধবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেছেন মিজানুর রহমান আজহারী। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, সালামাতে প্রিয় মাতৃভূমিতে এসে পৌঁছালাম। পরম করুণাময় এই প্রত্যাবর্তনকে বরকতময় করুন। দুআর নিবেদন।’
আলাদা পোষ্টে মিজানুর রহমান আজহারীর মামা মোশারফ হোসেন বিমানবন্দরে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছার ছবি পোস্ট করেন। তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের প্রিয় রাহবার এখন প্রিয় মাতৃভুমি বাংলাদেশে’।
এর আগে গত ৬ জুলাই ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, অনেকে আমাকে মেসেজ করে ও ব্যক্তিগতভাবে ফোন করে জানতে চেয়েছেন আমি কবে দেশে ফিরবো। আমি তাদের বলতে চাই, আমি দ্রুতই দেশে ফিরবো। আপনাদের সঙ্গে দেখা করার অপেক্ষায় রয়েছি আমি নিজেও। শিগগির সাম্য, মানবিকতার মুক্ত-স্বাধীন, বাংলাদেশে আমি আপনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাই।
দীর্ঘ ওই ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, তাজা রক্তের মাধ্যমে যারা আন্দোলনকে সফল করেছেন সেই শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি ও রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং এখনো কষ্ট করে যাচ্ছেন তাদের শুভেচ্ছা জানাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার চৈতন্য দেব মহাপ্রভুর মন্দিরের বার্ষিক কীর্তনে সংঘবদ্ধভাবে চুরি করতে এসে পুলিশের হাতে ধরা খেয়েছেন আন্তঃজেলা চোরচক্রের ২৭ জন সদস্য।
আজ ৩ এপ্রিল সোমবার দুপুরে গোলাপগঞ্জ থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত দায়িত্বে গোলাপগঞ্জ সার্কেল) আশরাফুজ্জামান পিপিএম। আটককৃতদের মধ্যে ২৪ জন নারী ও তিনজন পুরুষ সদস্য রয়েছেন।
তারা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরের ধরমন্ডল গ্রামের জাহাঙ্গীর মিয়ার স্ত্রী নারজিন বেগম (৩০), শাহজাহান মিয়ার স্ত্রী নাজমা বেগম (৩২), শিপন মিয়ার স্ত্রী রিমা আক্তার (২৮), নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী মহিমা আক্তার (৩৫),আব্দুল্লাহ স্ত্রী পপি বেগম (৩০), রনি মিয়ার স্ত্রী আয়েশা বেগম (৩৫), জাহাঙ্গীর মিয়ার স্ত্রী সুমি বেগম (৩০),মতিন মিয়ার স্ত্রী বিলকিস বেগম (২৮,) হৃদয় মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (২২), আজিজ উদ্দিনের স্ত্রী শাহিদা বেগম (২৮) আলফাজ মিয়ার স্ত্রী লুৎফা বেগম (২৫), সুবারক মিয়ার স্ত্রী নাজমা বেগম (৩০), শামীম মিয়ার স্ত্রী রোকসানা বেগম (২৫), কুফাদ মিয়ার স্ত্রী সালমা বেগম (৩৫), আব্দুল ছত্তারের স্ত্রী তাছলিমা বেগম (৩৫), জাকারিয়া হোসেনের স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩০), শাহিন মিয়ার স্ত্রী লাভলী আক্তার (৩৫), শামসুদ্দিনের স্ত্রী আছমা বেগম (৩৮), বাছির মিয়ার স্ত্রী পারভিন বেগম (৩০), আলমগীর মিয়ার স্ত্রী তাছলিমা আক্তার (৩৫), জলিল মিয়ার স্ত্রী অনুফা আক্তার (৩০), তাহের মিয়া স্ত্রী আমেনা বেগম (৩০), মোবারক মিয়ার স্ত্রী ফুলচান বিবি(২৮), তোফাজ্জেল মিয়ার স্ত্রী আছমা বেগম (২৫)।
বাকি তিনজন হলে, হবিগঞ্জের মাধবপুরের বাঘশুরা গ্রামের ইজাজ আলীর ছেলে সুহেল মিয়া, একই থানার ফতেপুর গ্রামের মো.শামীম মিয়ার ছেলে শাহিন আলম (২০) ও সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের ছত্তিশ গ্রামের সামছু মিয়ার ছেলে ছাইদুল ইসলাম।
এসময় তাদের কাছ থেকে নয়টি সোনার চেইন, এক জোড়া হাতের বালা, ৪ জোড়া চুড়ি, ১৪ জোড়া কানের দুল, আটটি রূপাসদৃশ্য চেইন, আটটি রূপাসদৃশ্য নুপুর, ছয়টি শাঁখা, সাতটি মোবাইল ফোন এবং পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আশরাফুজ্জামান পিপিএম জানান, চৈতন্য দেব মহাপ্রভুর মন্দিরের বার্ষিক কীর্তনে আগত পূণ্যার্থীদের বিভিন্ন জিনিস খোয়া যাওয়ার খবরে কঠোর গোয়েন্দা নজরদারিতে একে একে ২৭ জন চোরকে ধরতে সক্ষম হয় পুলিশ। প্রাথমিকভাবে চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে জানিয়েছে তারা সংঘবদ্ধভাবে চুরি করে এবং সকলেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানাধীন ধরমণ্ডল গ্রামের বাসিন্দা। মূলত চুরির উদ্দেশে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তারা দল বেধে অংশ নেয়। এর ধারাবাহিকতায় দুটি গাড়ি যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সিলেটে আসে তারা।
সোমবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা পুলিশের সহকারী মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা ওসি শ্যামল বণিক।