ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকা আরজু মিয়া (৩০) নামে এক মাদক মামলার আসামি পালিয়ে গেছে।
গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার ধরখার ফাঁড়ি পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর মো. মোবারক হোসেন আরজু মিয়াকে ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক করে আখাউড়া থানায় হস্তান্তর করেন। দুপুরে সে থানা থেকে পালিয়ে যায়। পলাতক আরজু মিয়া জেলার কসবা উপজেলার বিনাউটি গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র। মঙ্গলবার বেলা ২টা পর্যন্ত আরজু মিয়াকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তাকে আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
জানতে চাইলে আখাউড়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আসামি আরজু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একটি কক্ষে রাখা হয়েছিল। সে ওই কক্ষের জানালার গ্রীল ভেঙে পালিয়ে গেছে। তাকে আটকের অভিযান অব্যাহত আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় অত্যাধুনিক দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদের উদ্বোধন হয়েছে। গত ১৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আখাউড়া উপজেলা মডেল মসজিদসহ সারা দেশে ৫০টি মসজিদের উদ্বোধন করেন।
তিন তলা ভীত বিশিষ্ট এ মসজিদটিতে প্রায় ১০০০ হাজার মুসল্লী নামাজ আদায় করতে পারবে। নামাজ ছাড়াও থাকছে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা। আখাউড়া-আগরতলা সড়কের উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের পূর্বে পাশে সড়কের দিক মুখ করে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে।
তবে উদ্বোধন হলেও ইমাম-মুয়াজ্জিন নিয়োগ চূড়ান্ত না হওয়ায় এবং কিছু কাজ বাকী থাকায় নামাজসহ অন্যান্য কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রমজানের ঈদের পরে নামাজসহ অন্যান্য কার্যক্রম শুরু হবে।
জানা যায়, মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় দৃষ্টিনন্দন ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে সরকার। ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগ বাস্তবায়িত করেছে সরকারের গণপূর্ত অধিদপ্তর। নির্মিত অত্যাধুনিক এই মডেল মসজিদে একসঙ্গে প্রায় ১০০০ মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা।
নারীদের আলাদা ওজু ও নামাজ পড়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। নারী ও পুরুষের নামাজ আদায় ছাড়াও থাকছে ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, লাইব্রেরি, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, হেফজখানা, শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম, নারী ও হজ যাত্রীদের নিবন্ধন, প্রশিক্ষণ প্রভৃতি।
এরই ধারাবাহিকতায় ১২ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে আখাউড়া উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। উপজেলা পরিষদ ভবনের সামান্য পূর্বে আখাউড়া-আগরতলা সড়কের দক্ষিণ পাশে আধুনিক নির্মাণশৈলী ও নান্দনিক ডিজাইনে তিনতলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোস্তাফা কামাল এন্ড মেসার্স নির্মাণ বিল্ডার্স আধুনিক এই মসজিদটি নির্মাণ করছে। ২০১৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি মসজিদের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত তথ্যে জানা যায়, তিন তলা ভবনের নীচ তলা ১০ হাজার ৬০০ বর্গফুট, ২য় তলা ১০ হাজার ৬৭০ বর্গফুট এবং ৩য় তলা ৭ হাজার ৪১৫ বর্গফুট আয়তন রয়েছে। এছাড়া ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসহ কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা এবং গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা রাখা হয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সাদা রংয়ের তিন তলা ভবনটি নির্মাণ শৈলীর গুণে খুবই সুন্দর লাগছে। ভেতরে আলোকসজ্জাসহ কাঠের নকশার ডিজাইন খুবই আকর্ষণীয়। শ্রমিকরা সাইড ওয়ালের পাইলিংয়ের কাজে ব্যস্ত। মিনারের শেষ মুহুর্তের রংয়ের ফিনিংসের কাজ চলছে।
জানতে চাইলে নির্মাণ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আমজাদ হোসেন দুলাল বলেন, মূল ভবনের কাজ প্রায় শেষ। রংয়ের ফিনিংসের কাজ চলছে। একটি সাইড ওয়াল এবং কালভার্ট নির্মাণ কাজ বাকী আছে। তবে কর্তৃপক্ষ চাইলে যে কোন সময় মূল ভবন বুঝিয়ে দিতে পারব।
আখাউড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সুপার ভাইজার আব্দুল মতিন মোল্লা বলেন, মডেল মসজিদের জন্য ইমাম, মোয়াজ্জিন এবং খাদেম নিয়োগ পক্রিয়াধীন আছে। আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদনপত্র যাচাই বাছাই চলছে। রোজার ঈদের পরে লিখিত এবং ভাইবা পরীক্ষার পর নিয়োগ দেওয়া হবে। তারপরই নামাজ আদায় শুরু হবে। ইমামের জন্য যোগ্যতা কামেল বা দাউরা হাদিস পাস এবং বয়স্ক অনুর্ধ ৪৫ বছর বলে তিনি জানান।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা বলেন, সরকার প্রতিটি জেলা এবং উপজেলায় একটি করে দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তারই ধারাবাহিকতায় আখাউড়া মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ প্রায় ৯৫ ভাগ শেষ হয়েছে। সামান্য কাজ বাকী আছে। আশা করছি রমজানের ঈদের পরপরই মসজিদে নামাজ আদায় শুরু করতে পারব।
চলারপথে রিপোর্ট :
সড়ক দুর্ঘটনায় সহকর্মীর মৃত্যুর পর কান্নায় বুক ভাসিয়েছিলেন। কুলখানিসহ আনুষঙ্গিক কাজে লাখ লাখ টাকা খরচের কথা বলেছিলেন। এবার সেই সহকর্মীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাহবুদ্দিন বেগ শাপলুর বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে নিহত রিফাতের মা পারুল আক্তার আখাউড়া পৌরসভার মেয়র বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তানজিল শাহ তচ্ছন, মো. ফয়সাল ও মো. আরিফ নামে আরও তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে ওই অভিযোগে কী পরিমাণ টাকা ‘আত্মসাৎ’ করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত লেখা হয়নি।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আখাউড়া পৌর এলাকার রাধানগরের মো. শাহ আলমের ছেলে রিফাত পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। টিঅ্যান্ডটি এলাকায় একটি জায়গা ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে মধ্যস্থতা হয় যে, লভ্যাংশের টাকা তারা সমবণ্টন করে নেবেন। কিন্তু রিফাতের মৃত্যুর পর তার টাকা না বুঝিয়ে দিয়ে টালবাহানা করা হয়। ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইব্রাহিম মিয়া সুজন এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলে তার মাধ্যমেও টাকার কথা অস্বীকার করে অভিযুক্তরা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টিঅ্যান্ডটি এলাকার একটি জায়গা বিক্রি হলে রিফাতসহ অন্যরা সমবণ্টন পাবে বলে নিজেদের মধ্যে চুক্তি হয়। এরই মধ্যে রিফাত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চিনাইরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যায়। রিফাত মারা যাওয়ার পর তার কুলখানিতে অনেক টাকা খরচ করা হয়েছে বলে প্রচার করতে থাকে ছাত্রলীগ নেতা শাপলুসহ অন্যান্যরা। এরই মধ্যে শাপলু ওই টাকা খরচের দোহাই দিয়ে চাকরির বদলির তদবির করে লাখ লাখ টাকা কামিয়ে নেয়। এসব কারণে রিফাতের কুলখানিতে টাকা খরচের বিষয়টি সামনে চলে আসে।
রিফাতের পরিবারের একাধিক সদস্য জানায়, তার একেবারে ঘনিষ্টরা নিজেরা কুলখানিতে খরচ করে। কিন্তু জায়গা বিক্রির লভ্যাংশের টাকা পরিবারের কারো কাছে দেওয়া হয়নি। এমনটি কাউন্সিলরের মাধ্যমে টাকা চাওয়া হলে তারা অস্বীকার করে। এখন পর্যন্ত তারা রিফাতের পাওনার আনুমানিক সাত-আট লাখ টাকার মধ্যে এক টাকাও দেয়নি।
এ বিষয়ে জানতে শাহবুদ্দিন বেগ শাপলুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কাউন্সিলর ইব্রাহিম মিয়া সুজন জানান, পার্টনার হিসেবে রিফাত টাকা পাওনা আছে। অনেক চেষ্টা করেও এ টাকা আদায় করা যাচ্ছে না। একজন প্রয়াত সহকর্মীর টাকা নিয়ে তারা এমন কেন করল সেটা বুঝতে পারছি না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বিশ্ব ডায়াবেটিক দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আখাউড়া ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে আজ ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে পৌরশহরের কলেজ পাড়া থেকে র্যালিটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমিতির কার্যালয়ে ফিরে যায়।
এর আগে আগে আখাউড়া ডায়াবেটিস সমিতির সভাপতি সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. আকছির এম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম ভুঁইয়া, আখাউড়া ডায়াবেটিস সমিতির সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আবু জামাল ভুঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল পারভেজ, শওকত চৌধুরী ও আকছির এম চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিরিন আক্তার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আমাদের এবারের স্লোগান হলো ‘ইনসুলিন আমাদের অধিকার, বিনা মূল্যে ইনসুলিন চাই। সাশ্রয়ী মুল্যে ঔষধ চাই। শতকরা ৬৫ জন লোক ডায়াবেটিকে আক্রান্ত। তারা নিজেরাও জানে না তারা ডায়াবেটিকে আক্রান্ত। খাওয়া-দাওয়া, প্রেসার, টেনশন থেকে ডায়াবেটিক হয়। ডায়াবেটিক যাতে না হয় সেজন্য সবাইকে সচেতন থাকার আহবান জানান।
ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অ্যাড. আকছির এম চৌধুরী বলেন, একবার যার ডায়াবেটিক হয়, সারা জীবন তাকে তা বয়ে বেড়াতে হয়। ডায়াবেটিক আক্রান্ত হলেও সচেতনতা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চললে কোন ক্ষতি করতে পারে না। আমাদের প্রথম লক্ষ্য ডায়াবেটিক প্রতিরোধ করা। দুই বছর আগে আখাউড়ায় ডায়াবেটিক সমিতি গঠন করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘সমবায়ে গড়ব দেশ-বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’ এ প্রতিপাদ্যে আখাউড়ায় ৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলা সমবায় অফিস ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আজ ২ নভেম্বর শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতীয় পতাকা ও সমবায় পতাকা উত্তোলন করা হয়। উপজেলা সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা দুবরাজ রবিদাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভিন রুহি, বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা সহকারী (ভূমি) মোঃ সজিব মিয়া। অনুষ্ঠানে সমবায়ী সংগঠনের সদস্য, ছাত্র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, সমবায় সমিতি গঠনের মাধ্যমে একতাবদ্ধ হয়ে কার্যক্রম করলে আমরা স্বাবলম্বী হতে পারবো। আমরা চাই উপজেলার সকলসমিতিগুলো কার্যকর তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করুন। এই কারণে আমাদের এর স্লোগান সমবায়ে গড়ব দেশ-বৈষম্যহীন বাংলাদেশ।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আখাউড়া প্রেসক্লাবের সহ -সভাপতি কাজী হান্নান খাদেম, টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জালাল হোসেন মামুন, সমবায়ী মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, গোলাম মোস্তফা, মোঃ বিল্লাল হোসেন, ছাত্র প্রতিনিধি মোঃ রাকিব প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারি পরিদর্শক বিশ্বজিৎ সাহা।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে খাতা-কলম বিতরণ করেছেন বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতিনিধিরা। আজ ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার এসব শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়। দুইটি বিদ্যালয়ের মোট ১০০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে এসব খাতা কলম দেওয়া হয়। বিডি অ্যানিমেল হেলথ নামের একটি প্রতিষ্ঠান ও প্রবাসী ইনামুল হক এ কাজে সহায়তা করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। পরে রহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খাতা-কলম দেওয়া হয়।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম, আখাউড়া পৌরসভার কাউন্সিলর শিপন হায়দার, উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির আহবায়ক দীপক কুমার ঘোষ, যায়যায়দিনের সাংবাদিক কাজী হান্নান খাদেম, নয়াদিগন্তের মো. নুরুন্নবী ভূঁইয়া, আনন্দ বাজারের কাজী মফিকুল ইসলাম, খবরের কাগজের জুটন বনিক, সাবেক ছাত্রনেতা মো. মনির হোসেন, প্রবাসী মো. আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবু এই আয়োজনের সমন্বয় করেন।
এ সময় জানানো হয়, বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগটি অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারী অতিথি ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এ কাজের প্রশংসা করে বলেন, বন্যার সময় শিক্ষার্থীদের বই খাতা পানিতে নষ্ট হয়েছে। কিন্তু এ ধরনের ক্ষতির কথা কারোর মাথায় ছিল না। বসুন্ধরা শুভসংঘের এই ধরনের চিন্তাটা খুবই সৃজনশীল। এতে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উপকার হলো। আব্দুল্লাহপুর বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. শাহীন ও সুলতানা তাহমিনা এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন। প্রশংসা করেছেন রহিমপুরের প্রধান শিক্ষক জাহানারা বেগম। বন্যার্ত শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করায় তারা বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।