ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকা আরজু মিয়া (৩০) নামে এক মাদক মামলার আসামি পালিয়ে গেছে।
গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার ধরখার ফাঁড়ি পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর মো. মোবারক হোসেন আরজু মিয়াকে ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক করে আখাউড়া থানায় হস্তান্তর করেন। দুপুরে সে থানা থেকে পালিয়ে যায়। পলাতক আরজু মিয়া জেলার কসবা উপজেলার বিনাউটি গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র। মঙ্গলবার বেলা ২টা পর্যন্ত আরজু মিয়াকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তাকে আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
জানতে চাইলে আখাউড়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আসামি আরজু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একটি কক্ষে রাখা হয়েছিল। সে ওই কক্ষের জানালার গ্রীল ভেঙে পালিয়ে গেছে। তাকে আটকের অভিযান অব্যাহত আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপুজা আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে। চলবে টানা ৫ দিন। এরপরেই রয়েছে লক্ষ্মীপুজা। দুর্গাপুজা ও লক্ষ্মীপুজা উপলক্ষে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৭ দিন বন্ধ থাকবে আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম। তবে এসময় যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানী-রপ্তানিকারক এসোসিয়েশন ও সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশেন এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন। ১৬ অক্টোবর সোমবার বিজ্ঞপ্তিতে দু’টি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে শফিকুল ইসলাম ও ফোরকান আহমেদ খলিফা স্বাক্ষর করেছেন। বিষয়টি সকল সিএন্ডএফ এজেন্ট, আমদানী-রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক-কর্মচারীদের অবগতির জন্য জানানো হয়।
সূত্রে জানা গেছে, দূর্গাপুজা উপলক্ষে আগামী ২১ অক্টোবর শনিবার থেকে ২৪ অক্টোবার মঙ্গলবার পর্যন্ত এবং লক্ষ্মী পুজা উপলক্ষে ২৭ অক্টোবর শুক্রবার ও ২৮ অক্টোবর শনিবার পর্যন্ত সকল প্রকার আমদানী রপ্তানী কার্যক্রম আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বন্ধ থাকবে।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে আমদানী-রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, দুর্গাপুজা উপলক্ষে ২১-২৪ অক্টোবর এবং লক্ষ্মীপুজা উপলক্ষে শুক্রবার ও শনিবার আমদানী রপ্তানী বন্ধ থাকবে। মাঝখানে আমদানী-রপ্তানী বন্ধ থাকবে। মাঝখানে বুধবার ও বৃস্পতিবার আমদানী রপ্তানী বন্ধ থাকবে। রবিবার থেকে যথারীতি আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম শুরু হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সামাজিক বন্ধনকে সুসংহত রাখার লক্ষ্যে সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আজ ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসন। সমাবেশে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনের কর্মকর্তা, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা, ইমাম-পুরোহিত সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার কয়েক’ শ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমার সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌরভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ জামশেদ শাহ, উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জালাল উদ্দিন, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ. মতিন, মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম চৌধুরী, ধরখার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাফিকুল ইসলাম, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি চন্দন কুমার ঘোষ, উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক দীপক ঘোষ, সদস্য সচিব সাংবাদিক বিশ্বজিত পাল বাবু, মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ মাহমুদী, মাওলানা কাজী মাইনুদ্দিন, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
৪ বছর আগে আখাউড়ায় ছাত্র অধিকার পরিষদের শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে হামলার অভিযোগে আখাউড়া থানায় মামলা হয়েছে। আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে শনিবার সন্ধ্যায় আখাউড়া থানায় মামলা করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের মেড্ডা এলাকার বাসিন্দা তিনি। এ ঘটনায় রাতেই এজহারারভূক্ত আসামী জালাল সরকারকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার মনিয়ন্দ গ্রামের বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগের সমর্থক।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল হাসিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাদী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর ছাত্র অধিকার পরিষদ জেলা শাখার নেতাকর্মীরা আখাউড়ায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করার সময় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা করে মারধর করে কম্বল ছিনিয়ে নেয়। হামলাকারীরা আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় ওই সময় মামলা করা সম্ভব হয়নি। মামলার বাদী তৎকালীন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, শনিবার মামলা করেছি। আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল হাসিম বলেন, মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলসহ ২৫ জনকে আসামি করেছে। অজ্ঞাত নামা ৬০-৭০ জনের নাম রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
এসএসসি পরীক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলায় অকৃতকার্য হয়েছে ৪৩৩ জন পরীক্ষার্থী। গত ১২ মে রবিবার সারাদেশের ন্যায় আখাউড়ায় এসএসসি সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীর বেশির ভাগই ইংরেজি ও গণিতে ফেল করেছে। এছাড়া অন্যান্য বিষয়েও কেউ কেউ ফেল করেছে। কয়েজন শিক্ষকের সাথে কথা বলে এবং কিছু ফলাফল পর্যালোচনা করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
ফেল করার কারণ হিসেবে পাওয়া গেছে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখা। কোভিড- ছাত্রছাত্রীদের অমনোযোগিতা, নিয়মিত ক্লাশ না করা, অভিভাবকের সচেতনতার অভাবসহ আরো কিছু অজুহাত দিচ্ছেন শিক্ষকরা। অভিভাবকদের দাবি, শিক্ষকরা আন্তরিকভাবে পাঠদান করে না। ইংরেজি ও গণিতে মান সম্মত শিক্ষকের অভাব। প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষকের স্বল্পতা। যোগ্য ম্যানেজিং কমিটির অভাবসহ রয়েছে আরো কিছু সমস্যা।
আখাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১ হাজার ৬২৮ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১ হাজার ১৯৫ জন। শতকরা পাশের হার ৭৩.৪০।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি রয়েছে। হাওড়া বাঁধ ভেঙে নতুন করে আরো কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষি জমি ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। সকাল থেকেই আখাউড়া-আগরতলা সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি উঠছে। স্থলবন্দর এলাকায় পানি উঠায় ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, আজ ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান। এ সময় দুর্গতদের মাঝে শুকনো খাবার চিড়া, গুড়, ওরস্যালাইন বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী, পুলিশ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়ে চলে দিনভর চলে। রাতে কিছু সময় বৃষ্টি বন্ধ থাকে। শেষ রাত থেকে আবারো শুরু হয় বৃষ্টি। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে আসা পাহাড়ি ঢল, বৃষ্টির পানি ও হাওড়া বাঁধ ভেঙে সীমান্তবর্তী উপজেলার দক্ষিণ, মোগড়া ও মনিয়ন্দ ইউনিয়নের বাউতলা, বীরচন্দ্রপুর, কালিকাপুর, বঙ্গেরচর, উমেদপুর, সেনারবাদি, সাহেবনগর, কুসুমবাড়ি, টানোয়াপাড়া সহ অন্তত ৩৫টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে যায়।
গাজীরবাজার এলাকায় অস্থায়ী সেতু ভেঙে স্থলবন্দরগামী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা কৃষি অফিসার তানিয়া তাবাসসুম বলেন, সাড়ে ১৬শ হেক্টর কৃষি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এরমধ্যে রুপা আপন ১৬০০ হেক্টর।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহী বলেন, উপজেলার ৩৫টি গ্রাম পানিবন্দি রয়েছে। পানিবন্দি মানুষকে আশ্রয়ের জন্য কয়েকটি প্রাইমারি ও হাই স্কুল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত সেতু মেরামতের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগকে খবর দেওয়া হয়েছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল আলম জানান, হাওড়া নদী ও জাজীর খালসহ বিভিন্নস্থানে পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে। তা অতিক্রম করলে আরো নতুন করে এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা পানির কারণে আখাউড়া উপজেলার ১টি পৌরসভাসহ ৫টি ইউনিয়ন এবং কসবা উপজেলার ১টি ইউনিয়ন বন্যা দেখা দিয়েছে। দুই উপজেলায় প্রায় ১২শ পরিবার আক্রান্ত হয়েছে। ১৫ মেট্রিক টন চাল ও ৫ লাখ টাকা বরাদ্ধ করেছি। এরইমধ্যে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা দুর্গতদের পাশে রয়েছি।