চলারপথে রিপোর্ট :
মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল ছয় মাসের শিশু নুসরাত জাহান তিথি। পাশের খাটে ঘুমিয়ে ছিল বাবা। গভীর রাত, দরজা-জানালা বন্ধ। এরমধ্যে বিছানায় নেই শিশু তিথি। বাবা-মায়ের দাবি, জিন-ভূত এ কাণ্ড ঘটিয়েছে। শিশুকে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে থানায় সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেন মা স্বপ্না বেগম।
জানা গেছে, গত ৩০ জুন রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বরিশল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এরপর ১ জুলাই রাতে বাড়ির পাশের খাল থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়না তদন্তের জন্য তার লাশ আজ ২ জুলাই মঙ্গলবার জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন রাতে মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল তিথি। পাশের খাটে শুয়ে ছিল তার বাবা। তিথি রাতে কান্নাকাটি শুরু করলে বিরক্ত হয় তার মা স্বপ্না বেগম। এক পর্যায়ে স্বপ্না বেগম তিথির মুখে কাপড় চেপে মেরে ফেলে। এরপর তিথির বাবাকে ডেকে তার লাশ ফেলে দিতে বলে। স্ত্রীর কথা মতো লাশ খালে ফেলে দিয়ে এসে ঘুমিয়ে পড়ে জিল্লুর রহমান। সকালে উঠে জিল্লুর রহমান ও স্বপ্না দম্পতি সন্তান নিখোঁজ হওয়ার কথা বলতে থাকে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে মা-বাবার মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই। তারা এসে সন্তান নিখোঁজের কথা বলে থানায় জিডি করে। এ দম্পত্তির দুই ছেলে প্রবাসে থাকে। ১০ বছরের তাদেরকে আরেকটি মেয়ে রয়েছে।’
১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য তাদেরকে মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয় বলে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু নাট্যমের ৩৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৭ নভেম্বর রবিবার বিকেল ৩টায় গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুলে এ আয়োজন কর হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা। সাংবাদিক শাদাত হোসেন এর পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু, আবৃত্তিকার সোহেল আহাদ, ফাহিম মোন্তাসির, চিত্রশিল্পী দিপ্ত মোদক, সাংবাদিক শফিকুল আলম প্রমুখ। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুল ও রানার্সআপ হয়েছেন নিয়াজ মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় বিতর্ক ক্লাব।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় দেড়শ সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মাঝে ঈদসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৬ এপ্রিল শনিবার বেলা ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘সহায়’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে এসব ঈদসামগ্রী বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদদূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাদা ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন।
সহায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. জুয়েল রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সভাপতি মো. আশরাফ উদ্দিন ইমন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, করোনা মহামারিকালে অসহায় মানুষদের সাহায্যের উদ্দেশ্যে একদল তরুণ সহায় সংগঠন গড়ে তুলেছিল। সংগঠনে জড়িতরা নিজেরা চাঁদা দিয়ে সাধ্যমতো অসহায়দের পাশে দাঁড়ায়। এছাড়া প্রতিবছর ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে ঈদসামগ্রী বিতরণ করে থাকে। এই তরুণদের দেখে বিত্তবানদের অনুপ্রাণিত হয়ে অসহায়দের সাহায্যে এগিয়ে আসা উচিত।
পরে আলোচনা শেষে দেড়শ অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মাঝে ঈদসামগ্রী তুলে দেন অতিথিরা। ঈদ সামগ্রীর মধ্যে ছিল সিদ্ধ চাল, পোলাও চাল, ডাল, তেল, চিনি, পেঁয়াজ, আলু, সেমাই ও কনডেন্সড মিল্ক।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও তার সহধর্মীনি মাউশির সাবেক মহাপরিচালক ও ইউনির্ভাসিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রেজারার প্রফেসর ফাহিমা খাতুনসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৩৫০ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ১০০/১২০ জনকে আসামি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ২০২১ সালের ২৭ মার্চ বিকেল ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের নন্দনপুর বাজারের সামনে সংঘর্ষের সময় বাদল মিয়া (২৬) নামক এক যুবক হত্যার ঘটনায় তার পিতা জাবির হোসেন বাদী হয়ে ২৮ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যায় এই মামলাটি দায়ের করেন মৃত বাদল মিয়া সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার বজেন্দ্রগঞ্জ (লৌলারচর, চর হবিবপুর) গ্রামের জাবির মিয়ার ছেলে।
জাবির মিয়া তার পরিবার নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর বাজারের পাশে ভাড়াটিয়া বাড়িতে বসবাস করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মামলার উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও নবীনগর পৌর সভার সাবেক মেয়র শিব শংকর দাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন ও মুজিবুর রহমান বাবুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ মহসিন, জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সুজন দত্ত, জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মফিজুর রহমান বাবুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জহিরুল ইসলাম জহির, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ভিপি জায়েদুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহমুদুর রহমান জগলু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক হালিম শাহ লিল মিয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক এম. সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, ওলামা সমন্বয় পরিষদের জেলা সভাপতি ক্বারী আনিছ, জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সহ-সভাপতি কাজী জাহাঙ্গীর, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মৃধা, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফয়জুন নাহার টুনি, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মোঃ বাবুল আক্তার ও সনি আক্তার সূচী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি জালাল হোসেন খোকা, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা আলা মুনিল হক আলামিন, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান লেনিন ও রিদোয়ান আনসারী রিমো, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজম, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন রানা, জেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন খন্দকার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান রনিসহ এজহারনামীয় ৩৫০জন। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১০০/১২০ লোককে আসামী করা হয়।
মামলার বাদী জাবির মিয়া এজাহারে অভিযোগ করে বলেন, ২০২১ সালের ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনকে কেন্দ্র করে আন্দোলন কর্মসূচির সময় জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২৭ মার্চ বিকেল ৩ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের নন্দনপুর বাজারের সামনে সংঘর্ষের সময় বাদল মিয়ার উপর গুলি ককটেল নিক্ষেপ করে। তাদের ছোরা গুলি বাদেেল বুকে লাগে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিসৎক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই সময় হাসপাতাল থেকে কোন স্লিপ দেয়া হয়নি ও ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার লাশ দাফন করা হয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোজাফ্ফর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুর থেকে আব্দুর রহমান (১০) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে দমকল বাহিনী।
আজ ৫ আগস্ট শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা শহরের পশ্চিম মেড্ডা নোয়া পাড়া এলাকার একটি পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আব্দুর রহমান ওই এলাকার ফারুক মিয়ার ছেলে ও নূরিয়া তাহফিযুল কোরআন মাদ্রাসার ছাত্র।
স্থানীয়রা জানান, সকালে আব্দুর রহমান মাদ্রাসার পাশের পুকুরে গোসল করতে যায়। এরপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুকুরে তার দেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে দমকল বাহিনী তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যায়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. সোলায়মান মিয়া বলেন, শিশুটি অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরীক্ষা করে দেখা যায় হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।