অনলাইন ডেস্ক :
উরুগুয়ের কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে স্বাগতিকরা। কানসাস সিটিতে আজ ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে ১-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শেষ আটে উঠেছে ১৫ বারের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে।
উরুগুয়ে জিতেছে ডিফেন্ডার মাতিয়াস অলিভিয়েরার ৬৬ মিনিটে করা একমাত্র গোলে। আগেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করলেও কোচ মার্সেলো বিয়েলসা সবাইকে চমকে প্রথম একাদশই নামান।
ম্যাচের ১৩ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত যুক্তরাষ্ট্র। এন্থনি রবিনসনের হেড রুখে দেন উরুগুয়ের গোলকিপার সার্জিও রখেত।
আগের দুই ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার নিশ্চিত করলেও এই ম্যাচে অনেকেই ধারণা করেছিল দ্বিতীয় সারির দল নামাবে উরুগুয়ে। কিন্তু সবাইকে চমকে প্রথম একাদশই নামান বিয়েলসা।
৬৬ মিনিটেই কাঙ্ক্ষিত গোল পায় উরুগুয়ে। ডি বক্সের বাইরে ফ্রি-কিক থেকে বাড়ানো বলে রোনাল্ড আরাউজোর হেড ম্যাট টার্নার রুখে দিলেও রিবাউন্ডে গোল করেন ম্যাথিয়াস অলিভিয়েরা। গোলটি নিয়ে অবশ্য বিতর্ক আছে। টিভি রিপ্লেতে মনে হয়েছে অফসাইড পজিশনে ছিলেন অলিভিয়েরা।
তবে ভিএআর ভেবেছে অন্যরকম। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রকে কখনোই মনে হয় এই ম্যাচটি জিততে পারে।
শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয়ে টানা তিন জয় নিয়েই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টারে উঠলো উরুগুয়ে। অন্যদিকে মাত্র ১ জয় নিয়েই কোপা থেকে বিদায় নিল যুক্তরাষ্ট্র। কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ে খেলবে ‘ডি’ গ্রুপের রানার্সআপ দলের বিপক্ষে।
অন্যদিকে পানামার প্রতিপক্ষ হবে ‘ডি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে জড়ো হয়েছেন মৎস্য শিকারিরা। শেরপুর মীর শাহাবুদ্দীন (রঃ) দারুল উলূম ইসলামিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার মাজার শরীফ সংলগ্ন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী পুকুরে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে। তাঁদের কারও হাতে বড়শি, আবার কারও হাতে মাছের খাবার। কেউ কেউ আবার মোড়া ও মাছ রাখার জাল নিয়ে এসেছেন।
৬ জুলাই শনিবার সকাল ছয়টা থেকে ঐতিহ্যবাহী পুকুরের চার পাড়ে মাছ ধরার প্রতিযোগিতায় মেতে ও উঠেন মৎস্যশিকারিরা। সন্ধ্যা ৬’টা পর্যন্ত টানা ১২ ঘণ্টা চলে মাছ শিকার। এই মাছ ধরার প্রতিযোগিতা বড়শিতে ধরা পড়ে রুই, কাতল, ব্রিগেড, মৃগেল, শোল, বড় তেলাপিয়সহ দেশি বিভিন্ন প্রজাতির কার্প জাতীয় মাছ রয়েছে। পুকুরে মাছ ধরা প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে যেন এক মিলনমেলা হয়। ৬হাজার ৩শত টাকার টিকেট মূল্যে ১৬জন মৎস্য শিকারিএতে অংশ নেন। প্রত্যেকেই তিনটি বড়শি দিয়ে মাছ ধরার এই প্রতিযোগিতায় জড়োহন। শৌখিন মৎস্য শিকারি শাহেদ মিয়া বলেন ছোটবেলা থেকেই বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে খুব মজা লাগে। মাছ ধরা আমার পেশ নয়, এটি শুধু শখ। বড়শিতে মাছ ধরা পড়লে খুব আনন্দ লাগে এজন্যই এই ঐতিহ্যেবাহী পুকুরে মাছ ধরতে এসেছি।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে কমিটির আহবায়ক আরমান হোসেন, মনির খান (মনা) মোতোর্জা কমল জানান, আমরা নিজস্ব অর্থয়েনে প্রতি বছর ন্যায় এবারও এ মাছ ধরার প্রতিযোগিতা আয়োজন করছি, আগামীতে ও তা চলবে। এছাড়া দর্শনাথীদের মধ্যে ভালো লাগার একটি দৃশ্য ফুটিয়ে তুলতে আমরা মাছ ধরা প্রতিযোগিতা আয়োজন করি।
অনলাইন ডেস্ক :
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে অর্ধযুগ আগে একটি ম্যাচ খেলে ৩-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। আজ ১ ডিসেম্বর শুক্রবার ঘরের মাঠে একই ব্যবধানে জিতে সেই হারের প্রতিশোধ নিয়েছেন সাবিনারা।
তহুরা খাতুনের জোড়া আর আফিদা খন্দকারের গোলে ১৪ মাস পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ জিতলো বাংলাদেশ। ২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডুতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পর আর কোনো ম্যাচ জেতেনি সাবিনারা। এ বছর ষষ্ঠ ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেলো লাল-সবুজ জার্সিধারী মেয়েরা।
একটা ভয় ছিল সিঙ্গাপুরকে নিয়ে। র্যাংকিংয়ে এগিয়ে। তারপরও আগের একমাত্র সাক্ষাতে ৩-০ গোলে হার। অর্ধযুগ পর ঘরের মাঠে সেই সিঙ্গাপুরকে পেয়ে সাবিনারা আত্মবিশ্বাসী হলেও জিতবেই এমন কথা জোর দিয়ে বলতে পারছিলেন না।
কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে দেখা গেলো র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে কর্তৃত্ব বাংলাদেশেরই। শুরু থেকে আক্রমণাত্মক খেলে বাংলাদেশ লিড নিয়ে নেয় সিঙ্গাপুরের মেয়েরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই। আফিদা ও তহুরার গোলে বাংলাদেশ বিরতিতে যায় ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে।
দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। বাম দিক থেকে সাবিনা শট কর্নার করে বল দিয়েছিলেন মারিয়াকে। মারিয়া আবার বলটি সাবিনাকে ঠেলে দিয়ে গোলমুখে ক্রস নেন অধিনায়ক। ডিফেন্ডার আফিদা খাতুনের হেড ক্রসবারের নিচের দিকে লেগে গোললাইন অতিক্রম করলে লিড নেয় বাংলাদেশ।
ব্যবধান দ্বিগুণ করতে বেশি সময় নেয়নি সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা। ১৬ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে মারিয়া মান্ডা দুইজনকে কাটিয়ে বল নিয়ে ঢুকে ডিফেন্সচেরা পাস দেন তহুরা খাতুনকে। তহুরা গোল করে লিড বাড়িয়ে নেন স্বাগতিক মেয়েরা।
ব্যবধান ৩-০ হতে পারতো ২৫ মিনিটে। বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ে শট নিয়েছিলেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। বল ক্রসবার উঁচিয়ে চলে যায় বাইরে।
৬০ মিনিটে তহুরা খাতুন নিজের জাত নিয়েছিলেন দারুণ এক গোল করে। নিজেদের রক্ষণভাগ থেকে লম্বা শট নিয়েছিলেন মাসুরা পারভীন। বক্সের ভেতরে উড়ে আসা সেই বল ধরে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে প্লেসিংয়ে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন তহুরা।
৭৭ মিনিটে মারিয়া মান্ডা বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন সাবিনার কাছ থেকে। মারিয়া প্রথম পোস্টে বল মেরে সুযোগ নষ্ট করেন। বল চলে যায় গোলরক্ষকের হাতে।
রুপনা চাকমা, শিউলি আজিম, শামসুন্নাহার, আফিদা খন্দকার, মাসুরা পারভীন, মনিকা চাকমা (স্বপ্না রানী) , সানজিদা আক্তার (শামসুন্নাহার জুনিয়র) , মারিয়া মান্ডা, রিতু পর্না চাাকমা (শাহেদা আক্তার রিপা) তহুরা খাতুন (সুমাইয়া) ও সাবিনা খাতুন (আকলিমা।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দু’পক্ষের মারামারির দুই মাস পর আহত হারুন মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হারুন মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়। গত অক্টোবর মাসে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর ভাবে আহত হয়েছিলেন হারুন মিয়া। হারুন মিয়ার মৃত্যুর পর উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হারুন মিয়া উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামে মৃত কিতাব আলীর ছেলে। হাসপাতাল ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত লক্ষীমুড়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হারুন মিয়ার পরিবার ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে করিম মিয়ার পরিবারের জমিতে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে করিম মিয়ার পক্ষের লোকেরা হারুন মিয়াসহ তার পরিবারের ৪-৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। তারপর বিজয়নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর করিম মিয়ার লোকজন হারুন মিয়াকে হত্যা করার হুমকি দেন? পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান দু’পক্ষের লোকদেরকে ডেকে তা আপস করার চেষ্টা করেন। পরে হারুন মিয়া তার ছেলে-ভাতিজাকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে শেখ হাসিনা সড়কের উত্তর পাশে করিম মিয়ার লোকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করেন। তাতে হারুন মিয়ার একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে যায়। পরে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হারুন মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে এক মাস হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। পরবর্তীতে বাড়িতে তার চিকিৎসা চলে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায়- এই হামলার ইন্দনদাতা পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়া।
নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়ার উপর হামলা হয়েছে। আমার চাচার হত্যা সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানায়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সহজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
আজ ৩ মে শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৮ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ দল।
১২৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৫ রান তুলতেই লিটনের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৩ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফিরেন টাইগার ওপেনার লিটন কুমার দাস। এরপর ধীর গতির ব্যাট করেন নাজমুল শান্ত। আউট হওয়ার আগে তিনি ২৪ বলে ২১ রান করেন। এরপর তানজিদ তামিম ও তাওহীদ হৃদয় ঝড়ো ব্যাটিং করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। অভিষিক্ত তানজিদ তামিম ৪৭ বলে ৬৭ রান করেন ও তাওহীদ হৃদয় ১৮ বলে করেন ৩৩ রান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। মাহেদী নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই সরাসরি বোল্ড করে ফেরান জিম্বাবুয়ের ওপেনার ক্রেইগ আরভিনকে (০)। এরপর শরিফুল ইসলাম এক ওভারে তিন বাউন্ডারি সহ হজম করেন ১৩ রান। কিন্তু তাসকিন আহমেদ এসে রানের চাকায় লাগাম টানেন। যার ফল তুলে নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। প্রথমবার বল হাতে নিয়ে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন সাইফউদ্দিন।
ওভারের শেষ বলে তিনি জিম্বাবুয়ের অভিষিক্ত ব্যাটার জয়লর্ড গাম্বিকে (১৪) বিদায় করেন। উইকেট পতনের মিছিল এরপর চলতেই থাকে। ষষ্ঠ ওভারে ফের বল হাতে নেন মাহেদী। এবার প্রথম বলেই রান আউটের শিকার হন একপ্রান্ত আগলে রাখা ব্রায়ান বেনেট (১৬)।
পরের বলে এসেই ডাক মারেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। মাহেদীর লেন্থ বলে প্যাডেল সুইপ খেলতে গিয়ে ফার্স্ট স্লিপে থাকা লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন রাজা। ১ উইকেটে ৩৬ রান করা জিম্বাবুয়ে আর কোনো রান যোগ করার আগেই হারায় আরও ৩ উইকেট।
এখানেই শেষ নয়। তাসকিন পরের ওভারে তুলে নেন জোড়া উইকেট। ওভারের প্রথম দুই বলেই তিনি বিদায় করেন শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লকে। দু’জনেই বিদায় নিয়েছেন রানের খাতা খোলার আগেই। এরপর অষ্টম ওভারে লুক জঙওয়ে (২) বিদায় নেন সাইফউদ্দিনের বলে।
৪১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে সঙ্গে নিয়ে ক্লিভে মাদানদে ইনিংস গড়ার দায়িত্ব নেন। শুরুতে তারা ধীরস্থিরভাবেই খেলছিলেন। কিন্তু শেষদিকে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন তারা।
শরিফুলের করা ১৭তম ওভারে ১১ ও রিশাদ হোসেনের করা পরের ওভারে ১৬ রান নেন মাসাকাদজা ও মাদানদে। এরপর ১৮তম ওভারের প্রথম বলে তাসকিনকেও ছক্কা হাঁকান মাসাকাদজা। এক বল পরই অবশ্য তার সঙ্গী মাদানদেকে বোল্ড করেন তাসকিন।
তার ইয়র্কার মাদানদের দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে স্টাম্পে আঘাত করে। অষ্টম উইকেটে জিম্বাবুয়ের রেকর্ড ৬৫ বলে ৭৫ রানের জুটি ভেঙে যায় এতে। ৬ চারে ৩৯ বলে ৪৩ রান করে আউট হন মাদানদে। তার বিদায়ের পর জিম্বাবুয়ের রান হয়নি খুব একটা। শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৩৪ রান করেন মাসাকাদজা।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তাসকিন। সমান ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট পান সাইফউদ্দিনও।
জিম্বাবুয়ের ছোট লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না। ব্যাট হাতে অনেকদিন ধরেই অধারাবাহিক ওপেনার লিটন দাস শুরুটা করেন বাজেভাবে। ব্লেসিং মুজারাবানির করা দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই বোল্ড তিনি। গুড লেংথে ফেলা বলটি লিটনের ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গলে স্টাম্প ভেঙে দেয়। এতে ৩ বলে মাত্র ১ রানেই থামল সর্বশেষ ১৯ ইনিংস আগে ফিফটির দেখা পাওয়া লিটন। যা বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের জন্যও বড় চিন্তার কারণ!
শান্ত ভালো খেলতে থাকলেও কাটা পড়েছেন দলের ৫৭ রানের মাথায়। ২৪ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তবে তানজিদকে থামানোই যাচ্ছিল না। দারুণ ছন্দে থাকা এই ওপেনার দৃষ্টিনন্দন সব শটে হাঁকাচ্ছিলেন একের পর এক বাউন্ডারি। দুর্দান্ত দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে অভিষেকেই হাঁকিয়েছেন ফিফটি।
চারে নেমে দারুণ কিছু শট খেলেছেন তাওহিদ হৃদয়ও। শেষ দিকে তানজিদ-হৃদয়ের ব্যাটে চড়েই এগিয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস। দুজনে মিলে হতে দেননি কোনো বিপদ। হেসেখেলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ২৮ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় পায় টাইগাররা। তানজিদ অপরাজিত ছিলেন ৪৭ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলে। অন্যদিকে হৃদয় ১৮ বলে ৩৩ রান করে শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন। দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তানজিদ-হৃদয়। জিম্বাবুয়ের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন লুক জঙ্গুয়ে এবং ব্লেসিং মুজারাবানি।
অনলাইন ডেস্ক :
সাত পাকে বাঁধা পড়তে যাচ্ছেন ভারতীয় অভিনেত্রী দর্শনা বণিক। যিনি শাকিব খানের বিপরীতে ‘অন্তরাত্মা’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
সিনেমাটি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
গেল বছরের শুরুর দিকে টলিউডে জোর গুঞ্জন চাউর হয় সহশিল্পী সৌরভ দাসের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন দর্শনা। তবে টলিপাড়ায় এসব কথা রটলেও সৌরভ আর দর্শনা সেসময় বলেছিলেন, উই আর জাস্ট ফ্রেন্ডস!
অবশেষে সব জল্পনার ইতি টেনে এবার সৌরভ-দর্শনার প্রেমের গুঞ্জন বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর সাতপাকে বাঁধা পড়বেন এই জুটি। কলকাতার একটি বিলাসবহুল হোটেলে বসবে তাদের বিয়ের আসর।
জানা যায়, বন্ধুত্ব থেকে তাদের প্রেমের শুরু। ‘অল্প হলেও সত্যি’সহ একাধিক সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছেন সৌরভ-দর্শনা। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব। পরে সময়ের সঙ্গে তা গাঢ় হয়। প্রায় দুই বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন তারা। কাজ করতে গিয়ে চেনা জানা হলেও কাজের বাহিরেও একটা সময় তারা অবাধ দেখা যেত। তবে সম্পর্ক নিয়ে বরাবরই এড়িয়ে গিয়েছেন তারা।
দুই পরিবারের উপস্থিতিতে সৌরভ-দর্শনার বিয়ে হচ্ছে। সমস্ত নিয়ম মেনেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে। পুরো ঘটনায় ভীষণ উচ্ছ্বসিত নায়িকা। এরই মধ্যে বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র অতিথিদের কাছে পাঠানো শুরু করেছেন বলেও জানা গেছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যার লগ্নে দর্শনা সৌরভের চার হাত এক হবে বলেই খবর।
দর্শনা এই মুহূর্তে ব্যস্ত শুভ্রজিৎ মিত্রর ‘দেবী চৌধুরানী’ সিনেমার কাজ নিয়ে। ইতোমধ্যেই হাজির হয়েছে তার চরিত্রের লুক। বর্তমানে ঢালিউড, টলিউড, তেলেগু ও হিন্দি মিলিয়ে একগুচ্ছ কাজ দর্শনার হাতে।