চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া থানা পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামি আরজু মিয়া (৩০) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ৩ জুলাই বুধবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বিনাউটি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এর আগে সোমবার দুপুরে থানা থেকে পালিয়ে সে।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, আসামি আরজু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একটি কক্ষে রাখা হয়েছিল। সে ওই কক্ষের জানালার গ্রীল ভেঙে পালিয়ে যায়।
জানা যায়, ধরখার ফাঁড়ি পুলিশের সাব ইনস্পেক্টর মো. মোবারক হোসেন আরজু মিয়াকে ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক করে আখাউড়া থানায় হস্তান্তর করেন। আরজু মিয়া জেলার কসবা উপজেলার বিনাউটি গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র।
চলারপথে ডেস্ক :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন উপজেলায় চাষ পদ্ধতি সহজলভ্য হওয়া কৃষকরা দিন দিন ঝুঁকছেন ভুট্টার চাষের দিকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় যা চোখে পড়ার মত। অনুকূল আবহাওয়া ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় ভুট্টার বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা স্থানীয়রা কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ করা হয়। যা গত বছরের চেয়ে ৫ হেক্টর বেশি। তবে ভুট্টা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষকদের সার, বীজসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
কৃষক সামছু মিয়া বলেন, কত কয়েকবছর যাবৎত ধরে ভুট্টা চাষ করছেন। এ মৌসুমে তিনি বাড়ি সংলগ্ন ৪ বিঘা জমি ভুট্টা আবাদ করেন। এ চাষ করতে বিনামূল্যে বীজ ও সারসহ অন্যান্য সব উপকরণ পেয়েছেন। ভুট্টা আবাদ করতে প্রতি বিঘায় পানি, জমি প্রস্তুত, লাগানোসহ তার ৮/১০ হাজার টাকা তার খরচ হয়। প্রতিটি জমিতেই এখন ফুল এসেছে। কয়েকদিনের মধ্যেই মোটা হয়ে যাবে। বর্তমানে জমিতে যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে কোনো দুর্যোগ না হলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে।
আরেক কৃষক ফরিদ মিয়া বলেন, বোরো ধানের চেয়ে ভুট্টায় লাভ বেশি। তাই তিনি ভুট্টা চাষ করছেন। ভুট্টার কোনো কিছুই ফেলে দেওয়া হয় না। এর পাতা গরুকে খাওয়ানো হয়, তাছাড়া ডাটা ও মোচা লাকড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
উপজেলা কৃষি অফিস বলেন, সব ধরনের ফসল উৎপাদনে আমরা কৃষকদের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করছি। যাতে করে কৃষকরা সহজভাবে কৃষি উপকরণ পেয়ে ফলন বৃদ্ধি করতে পারে। বিশেষ করে ভুট্টা চাষ করতে আগ্রহী কৃষকদের মাঝে উন্নত মানের ভুট্টার বীজ ও সার বিনামূল্যে দেওয়া হয়। বীজ, সার ও তেলের জন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। তারা মনে করে, বিদেশে তাদের কিছু মুরুব্বির কাছে কান্নাকাটি করলে ক্ষমতায় আসতে পারবে।
আজ ৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের নবনির্মিত বনগজ সেতু উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের কাজই হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ যাতে কষ্টে থাকে সে ব্যবস্থা করা। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন বয়কটের নামে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। নিরীহ মানুষকে বাসে পুড়িয়ে মেরেছে। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় তারা মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। মানিলন্ডারিং করে টাকা বিদেশে নিয়ে গেছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েও ষড়যন্ত্র হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনেও বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করেছিল। মানুষের কাছে তারা ভোটের জন্য আসে না।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতারা হত্যা করে রাজনীতি করতেন। বাংলাদেশের মানুষ তাদের চিনে ফেলেছে, তারা আর সেই খেলা খেলতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষ ৭ জানুয়ারি ভোট দিয়ে তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করেছে। এই জনপ্রতিনিধিরাই বাংলাদেশের মানুষের সেবা করবে।
আখাউড়া উপজেলার বড়বাজার-ধরখার সড়কের বনগজ এলাকায় নবনির্মিত একটি সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োচিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন ধরখার ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শানু মিয়া।
ইউপি চেয়ারম্যান সাফিকুল ইসলাম সাফিকের সঞ্চালনায় জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভুঁইয়া, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান নাজিম, উপজেলা পরিষদের বাইস চেয়ারম্যান মো. মুরাদ হোসেন ভুঁইয়া প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পরিদর্শন করেছেন পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার (স্থল ও নৌ বন্দর) মোঃ আশিকুল হক ভূঁইয়া। গতকাল বুধবার বিকালে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পরিদর্শনে আসেন তিনি। এ সময় বন্ধ থাকা ইমিগ্রেশন নির্মানাধীন ভবনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো গুলো ঘুরে দেখেন ।
পরে ইমিগ্রেশন ভবনের নির্মান কাজ বন্ধ থাকা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জাবাবে পুলিশ সুপার বলেন, আমরা আশা করছি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে অতি দ্রুত নতুন ইমিগ্রেশন ভবনের অসমাপ্ত কাজ শুরু হবে। বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দু পাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সীমান্তের ১৫০ গজের ভিতরে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের উন্নয়ন কাজ করতে কোন বাধা নেই তাতে দু -দেশ একমত পোষন করেছে।
এসময় তিনি আরো বলেন, আশা করছি এই ভবনটি সম্পূর্ণ হলে যাত্রীদের যে দুর্ভোগ সেইটি আর থাকবে না। এক ভাবনের ভিতরে সব সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। তখন আমাদের লোকবল ও বৃদ্ধি পাবে সেই সাথে আগমনী ও বহির্গমন ডেস্ক এর সংখ্যা ও বাড়বে । যাত্রী সেবার মান আরো উন্নত হবে।
পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পুলিশের ইন্টেলিজেন্স অফিসার (ডিআইও) মোহাম্মদ শাহেদ উদ্দিন, আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ স্বপন চন্দ্র দাস, এএসআই দেওয়ান মোর্শেদুল হক।
চলারপথে রিপোর্ট :
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বহুতল ভবন থেকে পড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ার যুবক আনোয়ার হোসেন নিহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টার দিকে আমিরাতের অমল কুইন এলাকায় বহুতল ভবন থেকে ছিটকে পড়ে প্রাণ হারান আনোয়ার। এ সময় ছালাম মিয়া নামে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার অপর এক বাংলাদেশী শ্রমিকও নিহত হয়।
নিহত আনোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ গ্রামের মরহুম আপাসি মিয়ার ছেলে। তার মৃত্যুর খবরে শোকের মাতম চলছে নিহতের বাড়িতে। স্বজনদের দাবি সরকারি ব্যবস্থাপনায় যেন প্রিয়জনের লাশ দেশের মাটিতে ফিরিয়ে আনা হয়।
নিহতের পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী জানায়, পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার জন্য ২০০৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাড়ি জমিয়েছিলেন মোঃ আনোয়ার হোসেন পিছন মিয়া। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের অমল কুইন এলাকার একটি প্লাস্টিক কারখানায় কর্মরত ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টার দিকে সেখানকার একটি বহুতল ভবন থেকে ছিটকে পড়ে আনোয়ার মারা যান।
এদিকে দুর্ঘটনার আনোয়ারের মৃত্যুর খবর গ্রামের বাড়িতে পৌছলে শুরু হয় শোকের মাতম। নিহতের মায়ের গগন বিদারি কান্নায় ভারি হয়ে উঠে এলাকার পরিবেশ।
নিহতের মা জাহানারা বেগম বলেন, জীবনের বড় একটা অংশ বিদেশে কাটিয়েছে আমার বাজান। একেবারে দেশে ফিরে আসার পরিকল্পনা ছিল তার। তবে আর জীবিত আসবে না সে। এই বলে হাউমাও করে কেঁদে উঠেন জাহানারা বেগম।
নিহতের স্ত্রী লাকি আক্তার জানান, স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে যেন মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে। দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি অনেকটাই অসহায় পড়েছেন। তিনি তার স্বামীর মরদেহ সরকারি ব্যবস্থাপনায় দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দরে চারদিন আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। আগামী ১৬ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত ব্যবসায়িক ছুটি ঘোষণা করায় এ সময় আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক মো. সফিকুল ইসলাম বুধবার সকালে জানান, ১৬ জুন রবিবার থেকে ১৯ জুন বুধবার নাগাদ বন্দরে ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
বিষয়টি দু’দেশের ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের ইতোমধ্যে অবহিত করা হয়েছে।