চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া থানা পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামি আরজু মিয়া (৩০) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ৩ জুলাই বুধবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বিনাউটি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এর আগে সোমবার দুপুরে থানা থেকে পালিয়ে সে।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, আসামি আরজু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একটি কক্ষে রাখা হয়েছিল। সে ওই কক্ষের জানালার গ্রীল ভেঙে পালিয়ে যায়।
জানা যায়, ধরখার ফাঁড়ি পুলিশের সাব ইনস্পেক্টর মো. মোবারক হোসেন আরজু মিয়াকে ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক করে আখাউড়া থানায় হস্তান্তর করেন। আরজু মিয়া জেলার কসবা উপজেলার বিনাউটি গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই ছাইদুর রহমান (স্বপন) এবং আখাউড়া উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন। আজ ২১ মে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কসবা ও আখাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
কসবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ছাইদুর রহমান স্বপন (কাপ-পিরিচ প্রতীক) ৮৬ হাজার ৬৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন ( আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৫৯ ভোট।
বিজয়ী চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান স্বপন (কাপ-পিরিচ প্রতীক) আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলার কুটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতেই তিনি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন (আনারস প্রতীক) আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব। তিনি কসবা উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক।
অপরদিকে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোঃ মনির হোসেন (ঘোড়া প্রতীক) ২৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি, উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান (আনারস প্রতীক) মোঃ মুরাদ হোসেন ভ‚ইয়া পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৬৩ ভোট।
বিজয়ী চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন (ঘোড়া প্রতীক) আখাউড়া উপজেলা উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক ও মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের সাবেক চেয়ারম্যান। অপরদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব মোঃ মুরাদ হোসেন ভূইয়া (আনারস প্রতীক) উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান।
ভোট গননা শেষে জেলা পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ও ডাকাতি মামলায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ৯ নভেম্বর শনিবার দুপুরে গ্রেফতাকৃতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ৩ জন ও ডাকাতি মামলায় একজনসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের কুড়িপাইকা গ্রামের মৃত আবুল ফয়েজ মিয়ার ছেলে হামিদুল ইসলাম প্রকাশ ফোরকান, একই গ্রামের মৃত নূরুল ইসলাম ভূঁইয়ার ছেলে এরশাদুল ইসলাম ভূঁইয়া, ধরখার ইউনিয়নের ঘোলখার এলাকার বাবুল ভূঁইয়া ছেলে মো. তামিম ভূঁইয়া ও ছতুরা শরীফ এলাকার মৃত ইসমাইল খন্দকারের ছেলে শাহাব উদ্দিন খন্দকার।
আখাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ আবুল হাসিম জানান, গ্রেফতারকৃতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
ভারত থেকে ৯৫৮ টন রডের প্রথম চালান আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ত্রিপুরায় নেওয়া হয়েছে। আজ ২৩ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে আখাউড়া স্থলবন্দর থেকে বাংলাদেশি ট্রাকে করে রডগুলো আগরতলা স্থলবন্দর থেকে খালাস করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, টাটা স্টিলের ৯৫৮ টন রড এমভি বোলকার নামের একটি জাহাজে গত ৭ জানুয়ারি কলকাতার হলদিয়া বন্দর থেকে লোড করা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় জাহাজটি আশুগঞ্জ বন্দরে এসে নোঙর করে। পরে আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে সড়কপথে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের আগরতলায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এগুলোর সিঅ্যান্ডএফের দায়িত্বে আছে আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল।
আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী আক্তার হোসেন জানান, আশুগঞ্জ নৌবন্দরে জাহাজ থেকে ট্রাকযোগে আখাউড়া স্থলবন্দরে আনা হয়। কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সোমবার দুপুর থেকে রডগুলো ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা বন্দরে খালাস করা হয়।
তিনি বলেন, ত্রিপুরার আগরতলার মেসার্স এসএম করপোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য রডগুলো নেওয়া হচ্ছে।
আখাউড়া বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) আতিকুল ইসলাম জানান, ইন্দো-বাংলা প্রোটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেডের আওতায় এ পণ্য পরিবহন করা হচ্ছে। বন্দরে রক্ষণাবেক্ষণ বন্দর মাশুলবাবদ ৩০৫ টাকা ২২ পয়সা ট্রাকপ্রতি পাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতের মুম্বাইয়ে এক হিন্দু পুরোহিত ও বিজিপি নেতা কর্তৃক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে আখাউড়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরশহরের সড়ক বাজার মুক্তমঞ্চে হেফাজতে ইসলামের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী, সমর্থক ও সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ তৌহিদী জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- হযরত মাওলানা আসাদ আল হাবিব, মাওলানা আসাদুজ্জামান, আলহাজ মুসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া, মাওলানা আব্দুল বাছির আল মাহদী, মাওলানা হাবিবুল্লাহ বাহার, মাওলানা মুফতি সুহাইল আহমদ ধরমন্ডলী, মাওলানা অলিউল্লাহ, মাওলানা ফখরুদ্দিন আহমেদ, আলহাজ বিল্লাল হোসেন, মাওলানা জিয়াউর রহমান, মুফতি ইব্রাহিম বিন আব্দুল মান্নান, মাওলানা জাকির আহমেদ, মাওলানা মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ভারতে মহানবীকে নিয়ে কটূক্তিকারীদের ফাঁসি চাই। আমাদের নবীকে অপমান আমরা কিছুতেই মেনে নেব না। অতি দ্রুত কটূক্তিকারীদের গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানাই। আজ আমরা প্রতিবাদ করছি, কাল দেশের প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান কটূক্তির প্রতিবাদ করবে। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
শিক্ষার্থীদেরকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরশহরের নাসরিন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন জুতা প্রদান, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের স্কুল ড্রেসের ব্যবস্থা, বিদায়ী শিক্ষার্থীদেরকে কাপড় উপহার এবং এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-ফাইভ প্রাপ্তদেরকে নগদ অর্থ পুরস্কার। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ৩ এপ্রিল বুধবার সকালে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী এবং স্কাউট ও প্যারেড দলের সদস্যসহ ২৬৬ জনকে নতুন জুতা (সাদা কেডস্) দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে এসব জুতা ক্রয় করে দেওয়া হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে জুতা তুলে দেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বনিক, সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, শিক্ষক সৈয়দ মোজাম্মেল, রানা ভ্ইূয়া, সাফিয়া খাতুন, দীপা বনিক, লিজা আক্তারসহ অন্যান্য শিক্ষকগণ। নতুন জুতা পেয়ে শিক্ষার্থীরা আনন্দ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।
বিতরণ অনুষ্ঠানে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, অনেক শিক্ষার্থীর অভিভাবক গরীব হয়। এজন্য তাদের সন্তানকে অর্থাভাবে যথা সময়ে নতুন জুতা কিনে দিতে পারে না। সেজন্য বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে যে সকল শিক্ষার্থী নতুন ভর্তি হবে তাদের দায়িত্ব বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিবে। আমরা প্রথমে জুতা দিয়ে শুরু করেছি। শুধু তাই নয় যারা অর্থের অভাবে স্কুল ড্রেস বানাতে পারবে না। এসব শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষক বরাবরে আবেদন করলে স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুল ড্রেসের ব্যবস্থা করবে।
এছাড়া এ স্কুলের এসএসসি বিদায়ী শিক্ষার্থীদেরকে কাপড় উপহার দেওয়া হবে। এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-ফাইভ প্রাপ্তদেরকে নগদ অর্থ পুরস্কার দেওয়া হবে।