অনলাইন ডেস্ক :
তুরস্ক আবারও ইতিহাস সৃষ্টি করলো । এবারের ইউরোর শেষ আটে স্থান করে নিয়েছে তারা। এবারের ইউরোর ম্যাচ গুলোতে খালাপ খেললেও পরের দিকে বেশ ভালো করে তারা।
গতকাল রাতে রোমাঞ্চকর এক ম্যাচে অস্ট্রিয়াকে হারিয়ে ইউরোর শেষ আটে স্থান করে নিয়েছে তুরস্ক। মঙ্গলবার রাতে তারা ২-১ গোলে জিতে গেছে। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে তথাকথিত বড় দলের তুলনায় অনেক বেশি আক্রমণ প্রতি-আক্রমণ হয় অস্ট্রিয়া বনাম তুরস্ক ম্যাচ।
খেলা শুরুর ৫৭ সেকেন্ডে এগিয়ে যায় তুরস্ক। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ায় তারা। দু’টি গোলই করেন দলের ডিফেন্ডার মেরি ডেমিরাল। তবে লড়াই ছাড়েনি অস্ট্রিয়া। এক গোল শোধ করে তারা। কিন্তু দ্বিতীয় গোল আর করতে পারেনি অস্ট্রিয়া। তুরস্কের মরিয়া ডিফেন্স গোলের মুখ খুলতে দেয়নি। ৯০ মিনিটের টান টান খেলা শেষে হার মানে অস্ট্রিয়া। আট নম্বর তথা শেষ দল হিসেবে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় তুরস্ক। শেষ আটে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে খেলবে তারা।
খেলা শুরুর ৫৭ সেকেন্ডের মাথায় অস্ট্রিয়াকে ধাক্কা দেয় তুরস্ক। নিরীহ কর্নার বার করতে গিয়ে গোলমাল করে ফেলেন অস্ট্রিয়ার ডিফেন্ডারেরা। বাউমগার্টনার ও পশের ভুল বোঝাবুঝির ফায়দা তোলে তুরস্ক। গোলরক্ষক পেন্টজ কোনো রকমে বল বের করলেও ফিরতি বলে গোল করে তুরস্ককে এগিয়ে দেন মেরি ডেমিরাল। ইউরোর ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম গোল করলেন তিনি।
পরের মিনিটেই সমতা ফেরানোর সুযোগ পায় অস্ট্রিয়া। বাউমগার্টনার পায়ে বল লাগাতে পারেননি। পোস্টের পাস দিয়ে বল বেরিয়ে যায়। খাতায়-কলমে খুব বড় দল না হলেও দুই দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছিল। অস্ট্রিয়া থ্রু বলের উপর বেশি নির্ভর করছিল। তুরস্কের আক্রমণ হচ্ছিল প্রান্ত ধরে।
দু’দলই বেশ কয়েকবার বিপক্ষ বক্সে ঢুকে পড়লেও গোল করতে পারেনি। তবে প্রথমার্ধ জুড়ে ওপেন ফুটবল হয়েছে। দু’দলই গোল করার চেষ্টা করেছে। প্রথমার্ধের একেবারে শেষে একটি ভাল সুযোগ পান সাবিৎজার। গোল করতে পারেননি তিনি। ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় তুরস্ক।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কয়েকটি পরিবর্তন করেন অস্ট্রিয়ার কোচ। ফলে খেলার ধরন বদলে যায় তাদের। থ্রু বলের বদলে প্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠতে শুরু করে অস্ট্রিয়া। ৫১ মিনিটে সমতা ফেরানোর সহজ সুযোগ পান আরনাউটোভিচ। গোলরক্ষককে একা পেয়েও তার গায়ে মারেন তিনি। পরের মিনিটেই লাইমার একক দক্ষতায় বক্সে ঢোকেন। তার বাঁ পায়ের শট পোস্টের পাস দিয়ে বেরিয়ে যায়। পরের মিনিট আবার সুযোগ নষ্ট অস্ট্রিয়ার। এবার বক্সে ঢুকে শট মারেন পশ। কিন্তু ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বল বেরিয়ে যায়। একের পর এক আক্রমণে পুরোপুরি চাপে পড়ে যায় তুরস্কের রক্ষণ।
এত সুযোগ পেয়েও গোলের মুখ খুলতে পারেনি অস্ট্রিয়া। তার খেসারত দিতে হয় তাদের। ধাক্কা সামলে ১০ মিনিট পর থেকে খেলায় ফিরতে শুরু করে তুরস্ক। ৫৯ মিনিটের মাথায় কর্নার পায় তারা। সেই কর্নার থেকে হেডে আবার গোল করেন ডেমিরাল। দুই ডিফেন্ডারের মাঝখান থেকে লাফিয়ে গোল করেন তিনি। সেট পিস কাজে লাগালে চাপের মাঝেও কিভাবে খেলায় ফেরা যায় তা দেখাল তুরস্ক।
দু’গোলে পিছিয়ে পড়ায় পুরোপুরি ওপেন ফুটবল খেলতে শুরু করে অস্ট্রিয়া। হতাশ হয়নি তারা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে যে ফুটবল খেলছিল সেটাই খেলতে থাকে। আক্রমণাত্মক ফুটবল কাজে দেয়। ৬৬ মিনিটের মাথায় এক গোল শোধ করেন মাইকেল গ্রেগরিচ। কর্নার থেকে সতীর্থের করা হেড কাজে লাগিয়ে গোল করেন তিনি। দু’মিনিট পরে আবার বক্সে অরক্ষিত জায়গা থেকে হেড করেন গ্রেগরিচ। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বল সরাসরি গোলরক্ষকের কাছে যায়।
গোল করে ইংল্যান্ডের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখা বেলিংহ্যামকে বাঁচাতে আসরে নামতে হলো পুলিশকে দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় পুরো খেলা তুরস্কের বক্সের বাইরে হয়। তুরস্কের সবাই রক্ষণে নেমে যায়। ফলে অস্ট্রিয়ার পায়েই বলের সিংহভাগ দখল ছিল। দুই প্রান্ত ধরে বার বার আক্রমণের চেষ্টা করছিলেন সাবিৎজারেরা। কিন্তু তুরস্কের মরিয়া রক্ষণ গোলের মুখ খুলতে দিচ্ছিল না। বক্সের বাইরে পায়ের জঙ্গলের মাঝখান থেকে গোল করতে পারছিল না অস্ট্রিয়া।
যত সময় গড়াচ্ছিল, তত ছটফট করছিলেন অস্ট্রিয়ার ফুটবলারেরা। সবই করছিলেন, কিন্তু গোলটাই খালি করতে পারছিলেন না তারা। খেলার শেষ মিনিটে বাউমগার্টনারের হেড কোনো রকমে বাঁচান গুনক। নইলে খেলা গড়াত অতিরিক্ত সময়ে। শেষ পর্যন্ত ১-২ গোলে হেরে বিদায় নিতে হো অস্ট্রিয়াকে। ইউরোর শেষ আটে জায়গা করে নেয় তুরস্ক।
অনলাইন ডেস্ক :
অনূর্ধ্ব-১৯ দলে বহুবার ২২ গজে একসঙ্গে দৌড়েছেন তাওহীদ হৃদয় ও শামীম পাটোয়ারি। দেশকে ম্যাচ জিতিয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন করেছেন। এবার জাতীয় দলের হয়ে দলকে ম্যাচ জেতানোর দায়িত্ব সামলালেন তারা।
আফগানিস্তানকে নাগালের মধ্যে আটকেও রেখেও দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। তরুণ হৃদয় ও শামীম ব্যাট হাতে দৃঢ়তা দেখিয়েছেন। চাপ থেকে কামব্যাক দেখান তারা। জয়ের প্রান্তে গিয়ে হারায় তিন উইকেট। শেষ পর্যন্ত ২ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ।
আজ ১৪ জুলাই শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচের টি-২০ সিরিজের প্রথমটিতে টস জিতে আফগানদের ব্যাটিংয়ে পাঠান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ফ্রেশ উইকেটে নতুন বলে সুবিধাও তুলে নেন। তৃতীয় ওভারে প্রথম সাফল্যের পর অষ্টম ওভারে আফগানদের ৫২ রানে ৪ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ।
ওই চাপ সামাল দেন অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবী। তিনি ৪০ বলে হার না মানা ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন। চারটি চার ও একটি ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে। তার সঙ্গে জুটি দেন নাজিবুল্লাহ জাদরান ও আজমতুল্লাহ ওমরজাই। নাজিব খেলেন ২৩ রানের ইনিংস। পেসার ওমরজাই ১৮ বলে চারটি ছক্কার শটে ৩৩ রান করেন। আফগানিস্তান ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তোলে।
জবাব দিতে নেমে চাপে পড়ে বাংলাদেশ দলও। ৩৯ রানে তৃতীয় ও ৬৪ রানে হারায় চতুর্থ উইকেট। এরপর হৃদয় ও শামীম দুর্দান্ত জুটি গড়েন। তারা ৭৩ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের প্রান্তে নিয়ে আসেন।
দলের রান ১৩৭ হলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন বাঁ-হাতি ব্যাটার শামীম পাটোয়ারি। তিনি ২৫ বলে তিনটি চারের শটে ৩৩ রান করেন। হৃদয় ৩২ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৪৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ছয় রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। দলের রান ১৫৩ হতে একে একে ফিরে যান মেহেদি মিরাজ (৮), তাসকিন আহমেদ (০) ও নাসুম আহমেদ। এক বল থাকতে চার মেরে জেতান শরিফুল ইসলাম।
নাসিরনগর প্রতিনিধি :
নাসিনরনগরে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করেছেন শেখ জহির উদ্দিন তুন্নান। তিনি পেশায় প্রকৌশলী ও নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদের ছেলে। বিয়ের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে তুন্নান হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করেছেন।
কনে লিগার সুলতানা লিসা ও একজন প্রকৌশলী। তিনি নাসিরনগর উপজেলা সদরের সাবেক স্বাস্থ্য পরিদর্শক হাবিবুর রহমানের মেয়ে।
আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে বর তুন্নান কয়েকজন বরযাত্রী নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি নাছিরপুর থেকে হেলিকপ্টার চড়ে নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অবতরন করেন। সেখান থেকে ঘোড়ার গাড়িতে করে কনের গ্রামে পৌছান।
বিয়ের পর বিকেলে তুন্নান নববধূকে নিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে করে আশুতোষ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে যান। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে নাসিরনগর প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের মাঠে অবতরণ করেন। এদিকে হেলিকপ্টারে বিয়ে হওয়া নব দম্পতিকে দেখতে ভিড় করে শত শত উৎসুক জনতা। উপচেপড়া মানুষের ভীড় সামলাতে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে প্রকৌশলী শেখ জহির উদ্দিন তুন্নান জানান, বিয়ের দিনটাকে স্মরণীয় করে রাখতেই হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করেছি।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টির নিশ্চিত করেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অভিনেত্রী আঁচল তিওয়ারি। বিহারের কাইমুরে এক মর্মান্তিক গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার অনুষ্ঠান করতে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় এই ভোজপুরি অভিনেত্রীর। একই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন গায়ক ছোটু পাণ্ডেও। জানা গেছে, দুর্ঘটনায় ভোজপুরি চলচ্চিত্রের চার উঠতি তারকাসহ ৯ জন নিহত হয়েছেন।
জনপ্রিয় সিরিজ ‘পঞ্চায়েত’-এর দ্বিতীয় সিজনে দেখা গেছে আঁচলকে। এ ছাড়া ভোজপুরি চলচ্চিত্রের অনেক জনপ্রিয় মুখ তিনি। অভিনয় করেছেন হিন্দি চলচ্চিত্রেও।
ভয়াবহ এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মোহনিয়া থানা এলাকার দেবকালী গ্রামের কাছে জিটি রোডে। পুলিশ জানিয়েছে, বিহারের কাইমুর জেলায় একটি এসইউভি এবং মোটরবাইকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ভোজপুরি অভিনেত্রী আঁচল তিওয়ারি, সংগীতশিল্পী ছোটু পাণ্ডেসহ আটজন প্রাণ হারিয়েছেন। সিমরান শ্রীবাস্তব নামে এক ভোজপুরি অভিনেত্রীও দুর্ঘটনায় নিহত হন।
মোহনিয়ার ডিএসপি দিলীপ কুমার জানিয়েছেন, সোমবার মৃতদের শনাক্ত করা হয়েছে।
যার মধ্যে রয়েছে ভোজপুরি শিল্পী বিমলেশ পাণ্ডে ওরফে ছোটু পাণ্ডে। অন্য নিহতদের মধ্যে ছিলেন আঁচল তিওয়ারি, সিমরন শ্রীবাস্তব, প্রকাশ রাম, দধিবল সিং, অনু পাণ্ডে, শশী পাণ্ডে, সত্য প্রকাশ মিশ্র এবং বাগিশ পাণ্ডে। এদের মধ্যে বক্সারের বাসিন্দা ভোজপুরি গায়ক ছোটু পাণ্ডে, তার ভাগ্নে অনু পাণ্ডে, গীতিকার সত্য প্রকাশ মিশ্র বৈরাগী, বারানসির বাসিন্দা অভিনেত্রী সিমরন শ্রীবাস্তব এবং আঁচল তিওয়ারি ভোজপুরি ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মুখ।
ঘটনাস্থলের প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, দুই নারীসহ আটজনকে বহনকারী একটি গাড়ি প্রথমে মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিতেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর এসইউভি এবং বাইক উভয়ই অন্য লেনে চলে যায়, যেখানে একটি দ্রুতগামী ট্রাক তাদের সঙ্গে এসে ধাক্কা লাগে।
ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলের চালকসহ নয়জন নিহত হন। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ট্রাকচালক।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। এক্স অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘কাইমুর জেলার মোহানিয়া থানা এলাকায় এনএইচ২-এ দেবকালীর কাছে একটি ভয়ংকর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে মর্মাহত। নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা। আহতদের যথাযথ চিকিৎসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’
ডেস্ক রিপোর্ট :
বাঁহাতি পেসার মারুফ মৃধার তোপে দুইশ’র নিচে থামতে হলো ভারতকে। জবাবে ৩৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ল বাংলাদেশ। শঙ্কা উড়িয়ে এরপর দলকে টানলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান আরিফুল ইসলাম। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান আহরার আমিন। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল টাইগার যুবারা।
দুবাইতে আজ ১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে লো স্কোরিং ম্যাচে ভারতকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪২.২ ওভারে মাত্র ১৮৮ রানে অলআউট হয় ভারতীয়রা। লক্ষ্য তাড়ায় ৪৩ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে ১৮৯ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালের টিকিট পেয়েছে তারা। এর আগে ২০১৯ সালের প্রতিযোগিতায় ভারতের কাছে হেরেই রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশ।
অথচ যুব এশিয়া কাপের গত ৯ আসরে আটবারের চ্যাম্পিয়ন ছিল ভারত। এর মধ্যে কেবল ২০১৭ সালে ফাইনালে উঠতে পারেনি তারা। ওইবার গ্রুপ পর্বে বিদায় নিয়েছিল দলটি। আর দশম আসরে এসে আরেকবার ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হলো তারা। তাদের নবম শিরোপার স্বপ্ন ভেঙে দিল বাংলাদেশের যুবারা।
একই সময়ে শুরু হওয়া আসরের প্রথম সেমিতে চমক দেখিয়ে জিতে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে জায়গা করে নিয়েছে আয়োজক সংযুক্ত আরব আমিরাত। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে তারা পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছে ১১ রানে। আমিরাতের করা ১৯৩ রানের জবাবে শক্ত অবস্থান থেকে পথ হারিয়ে পাকিস্তানিরা থামে ১৮২ রানে। আগামী রোববার ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও আমিরাত।
প্রতিপক্ষের ইনিংসের প্রথম তিনটি উইকেটই যায় মারুফের ঝুলিতে। শেষদিকে বল হাতে ফিরে আরও একবার উচ্ছ্বাস করেন তিনি। সব মিলিয়ে ৪ উইকেট নিতে ১০ ওভারে তিনি দেন ৪১ রান। চারে নামা আরিফুল অল্পের জন্য সেঞ্চুরিবঞ্চিত হন। ৯০ বলের আক্রমণাত্মক ইনিংসে তিনি করেন ৯৪ রান। তার ব্যাট থেকে ৯ চারের সঙ্গে আসে ৪ ছক্কা। ব্যাটিংয়ের শুরুতে ভারত কেঁপে ওঠে মারুফের তীব্র আঘাতে। ডানহাতি পেসার রোহানাত দৌলা বর্ষণ উইকেট শিকারে যুক্ত হলে মহাবিপর্যয়ে পড়ে তারা। এরপর মুশির খান ও মুরুগান অভিষেকের ফিফটিতে তিন অঙ্কের নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা এড়ায় দলটি।
তবে শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যটা নাগালের মধ্যেই রাখে বাংলাদেশ। বর্ষণ ৭ ওভারে ৩৯ রানের বিনিময়ে পান ২ উইকেট। অফ স্পিনার শেখ পারভেজ জীবন ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আঁটসাঁট বোলিং উপহার দেন। ৮.৪ ওভারে ২৯ রানে তার শিকার নিচের সারির ২ উইকেট। মাঝে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু পাইয়ে দেন অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। মুশির ও অভিষেকের ৮৪ রানের জুটি ভাঙেন বাঁহাতি বোলিং অলরাউন্ডার। বাকিটি রানআউট। প্রথম ওভারেই উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খায় আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। টাইগার পেসারদের তোপ সামলানোর কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছিল না তারা। একের পর এক ব্যাটার সাজঘরে ফেরায় ১৬তম ওভারে দলীয় ৬১ রানে পতন হয় তাদের ষষ্ঠ উইকেটের।
সপ্তম উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন মুশির ও অভিষেক। তাদের ব্যাটে দুইশর কাছাকাছি পর্যন্ত যেতে পারে ভারত। ছয়ে নামা মুশির ৩ চারে ৬১ বলে করেন ৫০ রান। আটে নামা অভিষেকের ব্যাট থেকে ৬ চার ও ২ ছয়ে আসে ৭৪ বলে ৬২ রান। ভারতের ইনিংসের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান আসে অতিরিক্ত খাত থেকে। বাই, লেগ বাই ও ওয়াইড মিলিয়ে ২০ রান পায় তারা। এছাড়া, দুই অঙ্কে যেতে পারেন দলটির আর মাত্র তিন খেলোয়াড়।
অনলাইন ডেস্ক :
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ৫ রানে জয় পেল বাংলাদেশ। টানটান উত্তেজনাকর ম্যাচে সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহামের দায়িত্বশীল বোলিংয়ে ১৪৩ রান করেও জয় পেল বাংলাদেশ।
এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। হোয়াইটওয়াশের পথে জিম্বাবুয়ে।
আজ ১০ মে শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হের আগে ব্যাট করে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০১ রান করা বাংলাদেশ, এরপর মাত্র ৪২ রানে ১০ উইকেট হারিয়ে ১৯.৫ ওভারে অলআউট হয়। ক্রিকেট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। অথচ এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেদের ঘরের মাঠেই নাস্তানাবুদ অবস্থা টাইগারদের।
শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ টি-িটোয়েন্টিতে টস জিতে স্বাগতিকদের প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় জিম্বাবুয়ে।
আগে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। তারা ১১.২ ওভারে ১০১ রানের উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ।
১১.১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১০১ রান। খেলার যখন এমন অবস্থা তখন ধারণা করা হয়েছিল স্কোর হয়তো ২০০ ছাড়িয়ে যাবে।
কিন্ত এরপর চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে মাত্র ৪২ রানে ১০ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে অলআউট হয় টাইগাররা।
ইনিংসের শুরুতে তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটিং দেখে যারা মুগ্ধ হয়েছিলেন তাদের হতাশ করেছেন সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, বর্তমান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, তারকা ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয়রা।
দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের আগে ৩৭ বলে ৭টি চার আর এক ছক্কায় ৫২ রান করে ফেরেন তানজিদ। ইনজুরি থেকে ফিরে ৩৪ বলে তিন চার আর দুই ছক্কায় ৪১ রান করে ফেরেন সৌম্য সরকার।
এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেন তাওহিদ হৃদয় (১২), সাকিব আল হাসান (১০), অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (২), জাকির আলি অনিক (৬), তাসকিন আহমেদ (০), রিশাদ হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমানরা।
আজ তানজিদ হাসান তামিম ক্যারিয়ারের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় ফিফটি হাঁকান। সিরিজের প্রথম ম্যাচে অভিষেকে ৪৭ বলে ৮টি চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে অপরাজিত ৬৭ রান করেন। টি-টোয়েন্টিতে সেটাই তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
এরপর দুই ম্যাচে ১৮ ও ২১ রানে আউট হন। আজ চতুর্থ ম্যাচে ৩৭ বলে ৫২ রান করে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম।
প্রথম তিন ম্যাচ জয়ে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। শেষ দুই ম্যাচে জিতে আগামী মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফুরফুরে মেজাজে থাকতে চায় টাইগাররা।
১২০ বলে ১৪৪ রানের মাঝারি স্কোর তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়। শূন্য রানেই ওপেনার ব্রান ব্যানেটকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। ৩.৫ ওভারে দলীয় ২৮ রানে জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় উইকেট শিকার করেন তাসকিন।
এরপর দলীয় ৩২ ও ৫৭ রানে জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান ও রিশাদ হোসেন। ৫৭ রানে ৪ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেছেন রায়ান বুল। তাকে সঙ্গ দেন জোনাথন ক্যাম্পবেল। এই জুটিতে তারা ৩০ বলে ৩৫ রান করেন। তাদের ব্যাটেই জয় দেখেছিল জিম্বাবুয়ে।
১৫তম ওভারে ব্যাক টু ব্যাক ২ উইকেট তুলে নিয়ে দলে স্বস্তি ফেরান কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে সাকিব মার্ক চ্যাপম্যানের উইকেট তুলে নিলে চাপে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে।
জয়ের জন্য ১৮ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ২৭ রান। তানজিদ হাসান সাকিব ১৮তম ওভারে খরচ করেন মাত্র ৬ রান। এরপর ১২ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ২১ রান। মোস্তাফিজ ১৯তম ওভারে মাত্র ৭ রানে এক উইকেট শিকার করেন।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২ উইকেট আর জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল আর দ্বিতীয় বলে ডট দেন সাকিব। তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকান ব্লেসিং মুজারাবানি।
জয়ের জন্য শেষ ৩ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ৭ রান। চতুর্থ বলে সাকিব ওয়াইড দিলে স্ট্যাম্পিং হন মুজারাবানি। পঞ্চম বলে রিচার্ড নাগরাভাকে বোল্ড করেন সাকিব। তখন জয়ের উল্লাসে মাতে বাংলাদেশ।