চলারপথে রিপোর্ট :
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ীর আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ১ শ ৭৯ জন কৃষক-কৃষাণীর মাঝে কৃষি উপকরন বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে কসবা উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে এসব কৃষি উপকরন বিতরন করা হয়। প্রতি কৃষক কৃষাণীকে ২টি করে আম, লেবু, পেপের চারা, ৪৫ কেজি জৈব সার ও নেট, ঝাঝরি ও বীজ সংরক্ষন পাত্রসহ তিন মৌসুমের জন্য ৮ প্রকার শাক-সবজির বীজ প্রদান করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তারের সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষি কর্মকতা হাজেরা বেগমের সঞ্চালনায় কৃষি উপকরন বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান স্বপন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা রুহুল আমিন সরকার, কসবা প্রেসক্লাব সহ- সভাপতি নেপাল চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের স্বপন প্রমুখ। এসময় কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তাগন ও আশ্রয়ন প্রকল্পসহ উপজেলার উপকারভোগী কৃষক-কৃষাণীসহ গন্যমান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপজেলা চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান মানিক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষনা এক ইঞ্চি জায়গাও যেন খালি না থাকে সেই ঘোষনা বাস্তবায়ন উপলক্ষে উপজেলার কৃষক-কৃষাণীদের মাঝে আজকের এই কৃষি উপকরন বিতরণ। আপনার সকলেই নিজ বাড়ির আঙিনায় চারাগুলো রোপন করবেন এবং তার উপকার ভোগ করবেন।
সভাপতির বক্তৃতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার বলেন, পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি নির্দেশনা রয়েছে। কারো বসতবাড়িতে যেনো এক ইঞ্চি জায়গাও যেনো খালি না থাকে তারই অংশ হিসেবে পুষ্টিবাগান উপকরন দেয়া হচ্ছে। সকলের নিকট অনুরোধ থাকবে কৃষি উপকরণের যথাযথ কাজে লাগাবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে ঐকান্তিক প্রচেষ্টা দেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পুর্ণ করার যে লক্ষ্য আপনারা যদি আজকের এই উপকরণগুলো সঠিকভাবে কাজে লাগান তাহলে ২০৪১ সালে যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে তা সফল হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলাধীন ‘‘সেনাবাদী শহিদ মুক্তিযোদ্ধা সমাধি এবং গণকবর’’ এলাকা পরিদর্শনকালে জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহ বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের তীর্থভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দীর্ঘ নয়মাসের মুক্তিযুদ্ধে বিজয়নগর, আখাউড়া ও কসবা উপজেলার বিস্তৃর্ন সীমান্ত অঞ্চল সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের ভয়াবহ যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে। এসব যুদ্ধে বিপুল সংখ্যক মুক্তিযুদ্ধা হতাহত হয়েছেন। অনেক স্থানে গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে লোকজনকে ধরে নিয়ে বধ্যভূমিতে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকশিত করার লক্ষে, এসব যুদ্ধক্ষেত্র, শহীদ সমাধি, গণকবর ও বধ্যভূমি সংরক্ষণ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠকদের স্মৃতি ফলক নির্মাণের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাপরিষদ চলতি অর্থবছর থেকে এসব বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
তিনি গতকাল (বুধবার) আখাউড়া স্থলবন্দর সংলগ্ন ভারতীয় সীমান্তবর্তী সেনাবাদী শহীদ সমাধি ও গণকবর পরিদর্শন করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় তাঁর সাথে জেলাপরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দরা জানান, মুক্তিযুদ্ধের নয়মাসে বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত প্রায় দুইশত শহীদ মুক্তিযোদ্ধাকে এখানে কবরস্থ করা হয়েছে, তাছাড়া এই এলাকায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী গণহত্যায় নিহত শহীদেরকেও এখানে দাফন করা হয়েছে। ভারতীয় সীমান্ত এলাকার শূন্য রেখায় গণকবরটি অবস্থিত হওয়ায়, ভারত সরকারের সম্মতির অভাবে অদ্যবধি এখানে স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হয়নি।
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান এবিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও সম্মতি গ্রহণ করে চলতি অর্থবছরেই জেলাপরিষদ থেকে ‘‘সেনাবাদী শহীদ সমাধি ও গণকবর’’ সংরক্ষণে প্রকল্প বাস্তবায়নে তিনি প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ঘরে ঢুকে এক কিশোরীকে ছুরি মেরে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে তার মা, বোন, ভাইসহ চারজন আহত হয়েছেন। আজ ১০ জানুয়ারি বুধবার ভোরে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হোসনেয়ারা আক্তার (১৪) ওই গ্রামের নাছির মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় শ্যামবাড়ি ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। আহতরা হলেন হোসনেয়ারার মা নাদিরা বেগম, ছোট বোন ফাহিমা আক্তার (১২), ছোট ভাই নাজমুল ইসলাম (৯) ও নাহিদুল ইসলাম (৭)। তাঁরা কসবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
নাদিরা বেগম বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার রাতে ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। আজ বুধবার ভোরে ফজরের নামাজের আগে তিন-চারজন দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে, আরো কয়েকজন বাইরে ছিল। তারা হোসনেয়ারাকে ছুরিকাঘাত করতে থাকে। তাকে রক্ষা করতে গেলে আমাকেও ছুরিকাঘাত করে। আমার হাত কেটে যায়। আমার একটি মেয়ে ও ছোট দুই ছেলেকেও তারা মারধর করেছে।’
নাদিরা বেগম অভিযোগ করেন, গ্রামে দলাদলি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন এই খুনের সঙ্গে জড়িত।
পরে সেখান থেকে উদ্ধার করে হোসনেয়ারাকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক মো. ইকরামউল্লাহ বলেন, হোসনেয়ারা নামের ওই কিশোরীকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছে। তার মাথায় কয়েকটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নিয়ে গেছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, ছুরিকাঘাতে হোসনেয়ারা আক্তার নামের এক ছাত্রীকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়েছে। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, নিমবাড়ি গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ওই গ্রামে আগেও দুটি খুন হয়েছিল। হোসনেয়ারাকে রাতের আঁধারে কে খুন করেছে কিংবা আগের বিরোধের জন্য খুন হয়েছে কি না-জেলা পুলিশসহ একাধিক বাহিনী তদন্ত করছে। এ ব্যাপারে বেলা দুইটা পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় ওভারটেক প্রতিযোগীতা করতে গিয়ে একটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে চালকসহ ১৩জন ইটভাটা শ্রমিক আহত হয়েছেন।
আজ ৩ এপ্রিল সোমবার দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের খাড়েরা নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
পুলিশ ও আহতরা জানান, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার চয়নিকা ব্রিক ফিল্ডের ৩০ জন শ্রমিক দুটি পিকআপে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের মাধবপুরে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন।
পথিমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা এলাকায় একটি পিকআপ অপর পিকআপটিকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ সময় গাড়িতে থাকা চালকসহ ১৩ শ্রমিক আহত হয়।
এ ব্যাপারে খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত পিকআপ পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় ফসলি জমির মাটি কাটার অপরাধে দুই ব্যক্তিকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১৯ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের আলমপুর ও রাজনগর এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ গোলাম সরওয়ার। ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের আলমপুর ও রাজনগর এলাকায় ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে করা হচ্ছে। খবর পেয়ে দুুপুরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তৌহিদ আলম (৩৪) ও রিশাদ আলম চৌধুরী (২১)কে আটক করেন। এ সময় ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন এর অধীনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। আদালত তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড প্রদান করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম সরওয়ার বলেন, ফসলি জমি সংরক্ষণ ও পরিবেশ রক্ষার জন্য প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কোনো ভাবেই জমির উর্বর মাটি কাটার অনুমতি দেওয়া হবেনা। ফসলি জমির মাটি কাটায় ফলে জমির উর্বরতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এতে জমির মালিক ও কৃষকেরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ট্রাক চাপায় হরদম আলী (৯০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। আজ ৩০ আগস্ট বুধবার দুপুর সোয়া ১টায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কসবা উপজেলার তিনলাখপীর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত হরদম আলী কসবা উপজেলার বিনাউটি গ্রামের মৃত সাহেব আলীর ছেলে। পুলিশ ট্রাক চালক চন্দন সরকারকে আটক করে ।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, দুপুরে রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুতগামী একটি ট্রাক তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ট্রাক চালককে আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।