চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের উপ-রাষ্ট্রদূত থাইজ উইডস্ট্রা বলেছেন, গুজবরোধে সাইবার আইন কাজে লাগাতে বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ও অপতথ্য প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি লক্ষ্যে আজ ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (সাকমিড) আয়োজিত বৈঠকে নেদারল্যান্ডের উপ-রাষ্ট্রদূত থাইজ উইডস্ট্রা আরো বলেন, বাংলাদেশ ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাথে এ বিষয়ে আমাদের আলোচনা হচ্ছে। তিনি গুজব ও অপতথ্য প্রতিরোধে আমাদের তরুন প্রজন্মকে কাজে লাগানোর আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, গুজবের শহর এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এখানে বিশেষ করে ফেসবুকের মাধ্যমে গুজব বেশি ছড়ায়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধির তাগিদ দেওয়া হয় ওই সভায়। সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের মোট ৫৪ জন এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (সাকমিড) এর ডেপুটি ডাইরেক্টর সৈয়দ কামরুল হাসান, সিনিয়র পলিসি এ্যাডভাইজার নামিয়া আক্তার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক আদনান ফাহাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর অমৃত লাল সাহা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা পরিষদ সদস্য রুমানুল ফেরদৌসি, নারীনেত্রী ফারহানা মিলি, এনজিও নেতা এস.এম শাহীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান। সাকমিড সূত্র জানায়, ভুল ও অপতথ্য রোধে এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এরই আওতায় গত বছরের অক্টোবর থেকে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাজ করছে সাকমিড। আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ প্রকল্পের কাজ চলমান থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিক্ষোভে হত্যা ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
২০ আগস্ট মঙ্গলবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফেন ডুজারিক। এ সময় তিনি ইউনূস সরকারের কাছে জাতিসংঘের প্রত্যাশার কথাও জানিয়েছেন।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘দেখামাত্র গুলি’ করার নির্দেশে হতাহত হয়েছে উল্লেখ করে প্রেস ব্রিফিংয়ে তার কাছে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ৮১৯ জন মানুষকে হত্যা ও ২৫ হাজার মানুষের আহত হওয়ার জন্য যারা দায়ী, জাতিসংঘ মহাসচিব কি তাদের বিচার করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ডুজারিক বলেন, হ্যাঁ।
এই প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরুর করার আগে তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতিসংঘের মহাসচিবের আন্তোনিও গুতেরেসের দেওয়া একটি চিঠির বিষয়ে কথা বলেন।
আন্তোনিও গুতেরেসকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, চিঠিতে মহাসচিব বাংলাদেশে শান্তি ফেরানো এবং সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
মহাসচিব বলেছেন, জাতিসংঘ প্রত্যাশা করে যে ড. ইউনূসের সরকার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পন্থা গ্রহণ করবে। সেখানে তরুণদের পাশাপাশি নারী, সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণও বিবেচনা করা হবে।
এই মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশের সব নাগরিক, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ভরসা করছেন মহাসচিব।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথের নির্দেশনা অনুযায়ী, বর্তমান সিডিপ্যাপ সেবাগ্রহীতারা আগামী ১ এপ্রিলের মধ্যে তাদের কেস পিপিএলে স্থানান্তর করতে পারবেন। যারা একবারেই নতুন, তারা ১ মার্চ থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ থেকে বারবার বর্তমান সেবাগ্রহীতাদের নিবন্ধন পিপিএলের সঙ্গে করার জন্য বলা হয়েছে। যারা এই স্থানান্তর করবেন না, তারা পরবর্তী সময়ে কী ধরনের সমস্যায় পড়বেন, তা এখনো স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে না। তবে এই মুহূর্ত পর্যন্ত এটাই নিয়ম, সিডিপ্যাপের সেবাগ্রহীতারা তাদের একই রকম সেবা ও সুযোগ ধরে রাখতে চাইলে তাদেরকে পিপিএলের অধীনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এখন পর্যন্ত অন্য কোনো বিকল্প নেই। ডেডলাইন ১ এপ্রিল ধরেই কাজ চলছে। তবে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ১২ হাজার সিডিপ্যাপ সেবাগ্রহীতা রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন। এই রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহজ। সেবাদাতা ও সেবাগ্রহীতাকে পিপিএলের সঙ্গে যাওয়ার জন্য কিছু নথিপত্রে সাইন করতে হবে। এখন যারা রেজিস্ট্রেশন করছেন, তাদের সেবা প্রদানের বিষয়টি ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
জানা গেছে, বাংলাদেশি কমিউনিটির পক্ষ থেকে যারা হোম কেয়ার সেবা দিচ্ছেন, তাদের বেশির ভাগই সেবাগ্রহীতাদের পরামর্শ দিচ্ছেন এখনই পিপিএলে স্থানান্তর না করতে। তারা অপেক্ষা করার জন্য বলছেন। সে হিসেবে অনেক সেবাগ্রহীতাই সিদ্ধান্ত নিতে অপেক্ষা করছেন। যেসব সেবাগ্রহীতা সিডিপ্যাপের মাধ্যমে সেবা পাচ্ছেন, তাদের পরিবার-পরিজনের মাধ্যমে সেবা নিচ্ছেন, তারা চাইছেন পিপিএল হোক বা এখন তিনি যেভাবে সেবা পাচ্ছেন ও তার সেবাদাতা যে সুবিধা পাচ্ছেন, সে ধরনের সেবা ও সুবিধা বহাল রাখতে। বাংলাদেশি মালিকানাধীন হোম কেয়ার এজেন্সিগুলোর বেশির ভাগই বলছে, ২৮ মার্চ থেকে ১ এপ্রিলের মধ্যে স্থানান্তর করলেই হবে। একটি সূত্র জানায়, বাংলাদেশি মালিকানাধীন হোম কেয়ার এজেন্সিগুলো তাদের রোগীদের নিয়েই পিপিএলের অধীনে যাবে। সে ক্ষেত্রে একেকটি এজেন্সি তাদের মতো করে পিপিএলের সঙ্গে সমঝোতা করবে।
২৫ জানুয়ারি নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ থেকে নতুন একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে। সেখানে পিপিএলের অধীনে সেবাগ্রহীতাদের কেস স্থান্তান্তর করার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ থেকে নিউইয়র্কার্স স্টেটওয়াইড সিডিপ্যাপের ট্রান্সজিন প্রোগ্রেসের বিষয়ে বলা হয়েছে, নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ মেডিকেড কনজিউমার নির্দেশিত ব্যক্তিগত সহায়তা প্রোগ্রামকে (সিডিপিএপি) একক আর্থিক মধ্যস্থতাকারীতে (এফআই) স্থানান্তরিত করছে। নতুন এফআই হলো পাবলিক পার্টনারশিপ এলএলসি (পিপিএল)। কেস স্থানান্তরের বিষয়ে বলছে, পিপিএলে রূপান্তর শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এবং সব গ্রাহককে অবশ্যই এপ্রিলের মধ্যে স্থানান্তর করতে হবে। নিবন্ধনকরণ বিষয়ে বলছে, নতুন গ্রাহক এবং ব্যক্তিগত সহকারীরা ১ মার্চ থেকে পিপিএলের সঙ্গে নিবন্ধন করতে পারেন। ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষার বিষয়ে বলা হচ্ছে, স্বাস্থ্য অধিদফতর জোর দেয়, সমস্ত ব্যক্তিগত ডেটা স্থানান্তর প্রক্রিয়াজুড়ে সুরক্ষিত থাকবে। তদারকির বিষয়ে বলছে, একক স্টেটব্যাপী এফআই কাঠামো প্রোগ্রামটির তদারকি উন্নত করবে, জালিয়াতি হ্রাস করবে এবং আইনগুলোর সঙ্গে সম্মতি উন্নত করবে। রূপান্তর সুবিধার বিষয়ে বলছে, একক এফআই কাঠামো প্রোগ্রামে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিয়ে আসবে। আর একক এফআই কাঠামো আরও ভালো প্রতিবেদন এবং আইনগুলোর সঙ্গে সম্মতি সক্ষম করবে।
নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ আপডেটস নিউইয়র্কারদের স্টেটব্যাপী সিডিপ্যাপ ট্রানজিশন প্রগ্রেসে দেখা যাচ্ছে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ১২ হাজারেরও বেশি গ্রাহক হয়েছেন, যারা নিবন্ধনকরণ প্রক্রিয়া শুরু করেছেন বা শেষ করেছেন। নিবন্ধনকরণ উল্লেখযোগ্যভাবে ত্বরান্বিত হতে থাকবে। ১ এপ্রিল লক্ষ্যপূরণের জন্য নিউইয়র্ক ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ বিষয়গুলো মনিটরিং করবে।
স্টেট স্বাস্থ্য কমিশনার ডা. জেমস ম্যাকডোনাল্ড বলেছেন, এই রূপান্তরটি পরিকল্পনা অনুসারে এগিয়ে চলছে এবং আমরা ১ এপ্রিল সময়সীমা পূরণের জন্য ট্র্যাকে রয়েছি। পাবলিক পার্টনারশিপস এলএলসির সঙ্গে আমাদের অংশীদারির মাধ্যমে ১১টি ইন্ডিপেডেন্ট লিভিং সেন্টারসহ ৩০টিরও বেশি ফ্যাসিলেটর রয়েছে। আমরা নিউইয়র্কারদের জন্য আরও শক্তিশালী, আরও টেকসই ভোক্তা নির্দেশিত ব্যক্তিগত সহায়তা কর্মসূচি সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। যারা তাদের প্রয়োজনীয় যত্ন নেওয়ার যোগ্য, তারা যত্ন নেওয়ার উপযুক্ত সেবা পাবেন তাদের বাড়িতে।
নিবন্ধন করার জন্য ফোন করা যাবে ১-৮৩৩-২৪৭-৫৩৪৬ বা টিটিওয়াই : ১-৮৩৩-২০৪-৯০৪২-এ। পিপিএলের সমর্থন কেন্দ্রকে কল করতে হবে এবং পিপিএলের সদস্য প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে সহায়তা করবেন। কেউ চাইলে পিপিএলএফআরএসটি.কম/সিডিপ্যাপ-তে পিপিএলের ওয়েবসাইটে গিয়ে পিপিএল@হোম অ্যাক্সেস করা যাবে। পিপিএল বা আইএলসিএসসহ অন্য কোনো অনুমোদিত সিডিপ্যাপ সুবিধার্থীর সঙ্গে কাজ করতে পারবেন, যারা প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে গাইড করতে পারে। অনুমোদিত সিডিপ্যাপ সুবিধার্থীদের একটি তালিকা রয়েছে সিডিপিএপি ফ্যাসিলেটর পিপিএল ফার্স্ট, সেখানে যে যার পছন্দ সেসব এফআইকে বেছে নিতে পারেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, মামলাজট একটি পুরাতন ব্যাধি। মামলাজট কমাতে গেলে বিচারকের সংখ্যা বাড়াানোর পাশাপাশি বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতিকে জনপ্রিয় করতে হবে।
আজ ১ মার্চ শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত প্রাঙ্গনে আগত বিচার প্রার্থীদের জন্য নব-নির্মিত বিশ্রামাগার “ন্যায়কুঞ্জ” উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
এ সময় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আরো বলেন, মামলা জট এটা নতুন কিছু নয়, এটা একটি পুরাতন ব্যাধি। মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। সেজন্য মামলা জট বাড়ছে। মানুষ লেখাপড়া যত শিখছে এতে মনে হয় মানুষ এক ধরনের অস্থির প্রবণ হয়ে উঠছে। এ ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করে বুঝাতে হবে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, শুধু মামলা-মোকদ্দমা করেই সমস্যা সমাধান হয় না। বিকল্প ব্যবস্থা আছে। আগে গ্রামের সালিশ ছিল। আইন করে “বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি” পদ্ধতির মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেটাকে যদি জনপ্রিয় করা যায় তাহলে মামলা জট কিছুটা কমবে। তিনি বলেন, যে পরিমাণ বিচারক সারা বাংলাদেশে থাকা দরকার সেই পরিমাণ বিচারক নেই। আমাদের দেশে ৯০ থেকে ৯৫ হাজার মানুষের জন্য একজন বিচারক। তা আবার সহকারী জজ থেকে প্রধান বিচারপতি পর্যন্ত। এত কম বিচারক দিয়ে মামলা জট কমানো সম্ভব নয়। সেজন্য আমরা প্রতিবছর জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে একশত বিচারক নিয়োগ করতে পারি। এই সংখ্যাটা বাডাতে হবে। লজিস্টিক সাপোর্টসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের বিচারকরা কোর্টে অলস সময় কাটান না। তারা কাজ করে যাচ্ছেন। তারপরও মামলার শেষ হচ্ছে না। মামলা আরো বাড়ছে। তিনি বললেন এক বছর যদি থাকে মামলা ৫০০, পরের বছর দেখা যায় মামলা সংখ্যা ৫৫০ হয়ে যায় ।
তিনি বলেন, মানুষ বাড়ছে। জমি জমার দাম বাড়ছে। খামোখা মামলা হয়। অনেক মামলা এমনিতেই হয়। আমরা যে বিষয়টি পারিবারিকভাবে বা সামাজিকভাবে সমাধান করতে পারি সেটা না করে আমরা আদালতে চলে যাই। সেজন্য মামলা বাড়ছে । বিচার প্রার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে। আশা করি এর একটা সমাধান হবে। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, আমি এবং আমরা সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে সরকারকে বলবো এ ব্যাপারে যেন আরও নজর দেন। বিচারক সংখ্যা যেন বাড়াানো যায় সে চেষ্টা যেন তারা করেন।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার, নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১এর বিচারক মোঃ ফারুক, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, গণপূর্ত বিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী সাকিউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন, জেলা জজকোর্টের জিপি অ্যাডভোকেট ওয়াছেক আলী, পিপি অ্যডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, বিভিন্ন পর্যায়ের বিচারক সহ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধনের পর প্রধান বিচারপতি সিজিএম কনফারেন্স রুমে বিচারকদের সাথে মতবিনিময় করেন। বিকেলে তিনি আখাউড়া উপজেলার ধলেশ্বর গ্রামে রাবেয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মাওঃ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে মাওঃ ইউসুফ বিন ইয়াকুবের পরিচালনায় মজলিশপুর ইউনিয়নের উলামা মাশায়েখদের এক আলোচনা সভা ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখের মাওঃ হারুন আল হাবীব, মুফতী আব্দুল হান্নান কাসেমী, মাওঃ আমিনুল ইসলাম, মাওঃ আল আমিন মামুন, মাওঃ মুশাহিদুল ইসলাম, মাওঃ উসমান গণি, মাওঃ হাবিবুর রহমান, মাওঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, হাফেজ মাওঃ ইসহাক, মাওঃ জাকির হোসাইন, মাওঃ দেলুয়ার, মাওঃ মুফতী বিল্লাল, মাওঃ সাইফুল ইসলাম মঞ্জু, মাওঃ এমদাদ, হাফেজ শফিক, হাফেজ আনোয়ার, মাওঃ নাসির, মাওঃ মুক্তার, মাওঃ ফয়সাল আহমেদ সুলতান, মাওঃ ইলিয়াস, মাওঃ শামিম, মাওঃ হাফিজ, মাওঃ মাহমুদ, প্রমুুখ।
আলোচনা সভায় সকলের পরামর্শ ক্রমে মুফতি আব্দুল হান্নান কাসেমী কে সভাপতি মাওঃ আল আমিন মামুন কে সাধারণ সম্পাদক মাওঃ ইউসুফ বিন ইয়াকুব কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৫১ সদস্য ইত্তেহাদুল উলামা ত্বলাবা ঐক্য পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়েছে।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি