অনলাইন ডেস্ক :
তরুণদের কাছে দলের বার্তা তথা দলীয় ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পৌঁছে দিতে এবার টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি।
৩ জুলাই বুধবার রাত ১২টার দিকে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির টিকটক অ্যাকাউন্টে ফলো দিয়ে সাথে থাকুন’।
বিএনপির এই টিকটক অ্যাকাউন্টটি দলের তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তর পরিচালনা করবে।
দলটির তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের ক্রু স্টাফ মাহফুজ কবির মুক্তা বলেন, ‘টিকটকের প্রধান ভিউয়ার হচ্ছে দেশের টিএনজাররা। তাদের কাছে বিএনপির বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য এ অ্যাকাউন্টটা করা হয়েছে।’
শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে বেশ কিছুদিন ধরেই দলের নানা কর্মকাণ্ডের ভিডিও পোস্ট দেওয়া হচ্ছে। ৩ জুলাই বুধবার রাতে বিএনপির পক্ষ থেকে দলের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিএনপির ‘bnpbd.org’ নামে একটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে। এছাড়া দেশবাসী এবং বিদেশে অবস্থানরত নেতাকর্মীদের কাছে দলীয় ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকেও ব্যবহার করছে দলটি। এর অংশ হিসেবে ফেসবুকে ভেরিফাইড পেজ রয়েছে বিএনপির। এর বাইরে ইউটিউবে চ্যানেল, টুইটার অ্যাকাউন্ট, ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল, গুগল প্লাস চ্যানেল এবং টেলিগ্রামে ভেরিফাইড চ্যানেল আছে দলটির।
এর আগে গত বছরের ২ জুন টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী নির্বাচন বর্জন করলে বিএনপি গুরুত্বহীন দলে রূপান্তরিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ ৯ এপ্রিল রবিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (টিসিএ) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা চাই আগামী নির্বাচনে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক। দেশের গণতন্ত্র সংহত হোক।
আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক যে, দেশে যখন জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে, তখন তারা সংসদে নেই। আসলে তারা পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসি বা সংসদীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। সে কারণে তারা সংসদে থাকলেও কিছুদিন আগে পদত্যাগ করেছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি ভেবেছিল তারা সংসদ থেকে পদত্যাগ করলে সরকারের মধ্যে ঝাঁকুনি লাগবে, সরকার কাঁপবে, পড়ে যাবে। কিন্তু সরকারের কিছুই হয়নি, একটু কাতুকুতু লেগেছে, এর বেশি কিছু না।
তথ্যমন্ত্রী এসময় ক্যামেরা সাংবাদিকসহ সব সাংবাদিকের কাজকে রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক কাজের মধ্যদিয়ে দেশ এগিয়ে যাবে।
টিসিএ সভাপতি শেখ মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক জীবনের সঞ্চালনায় সভায় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কাদের খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, এশিয়ান টিভির চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
স্টাফ রিপোর্টার:
বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিভিন্ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগের যেসব নেতাকর্মী দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন, তাদের ক্ষমা করে দিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলটি। মূলত আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতেই এ পদক্ষেপ নিয়েছে দলের হাইকমান্ড। শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবনে দলের জাতীয় কমিটির বৈঠকে শতাধিক বিদ্রোহী নেতাকর্মীকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কয়েক জন জেষ্ঠ্য আওয়ামী লীগ নেতা। তারা আরও জানিয়েছেন, অন্যান্য বিদ্রোহীরা যদি দলের সভাপতির বরারব কৃতকর্মের কথা স্বীকার করে আবেদন করেন, সেক্ষেত্রে তারাও ক্ষমা পেতে পারেন বলেও জানিয়েছেন নেতারা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের পার্টিতে যারা শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ড করেছেৃ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অনেকে বিদ্রোহ করেছে, আমাদের পার্টির শৃঙ্খলার বিচ্যুতি ঘটিয়েছে। অনেকেই দলের মধ্যে কোলহল সৃষ্টির জন্য দায়ী। এসব ব্যাপারে শতাধিক আবেদন জাতীয় কমিটির কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে।’
‘জাতীয় কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে যারা আবেদন করেছিল তাদেরকে আমাদের সভাপতি বঙ্গবন্ধুর কন্যা ক্ষমা করে দিয়েছেন। অন্য যারা আছে তারা যদি পার্টির জেনারেল সেক্রেটারির মাধ্যমে সভাপতির কাছে আবেদন করে, তাহলে জাতীয় কমিটি আমাদের সভাপতিকে এই ক্ষমতা দিয়েছে যে, তিনি (শেখ হাসিনা) আবেদন গ্রহণ করতে পারবেন, ক্ষমা করে দিতে পারবেন। এটা জাতীয় কমিটি তার উপর দায়িত্ব অর্পণ করেছে,’ বলেছেন ওবায়দুল কাদের।
গঠনতন্ত্র সূত্রে গেছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যে কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদ কর্তৃক গৃহীত শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আপিল বিবেচনা ও চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে ক্ষমতা দেওয়া আছে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটিকে। সেই কমিটির বৈঠকে বিভিন্ন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া বিদ্রোহীদের ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত আসে।
যারা বিগত সময়ে দলের সভাপতির বরাবর আবেদন করে ছিলেন তাদেরকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার জাতীয় কমিটির বৈঠকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম সভানেত্রীকে উদ্দেশে বলেন, ‘আপা অনেকে তো এটা জানে না। যারা আবেদন করেনি, তাদের কী হবে?’
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেহেতু ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, সবার জন্যই এই সুযোগ থাকবে। যারা আবেদন করেনি, তারা আবেদন করতে পারবে। আবেদন করলে তাদেরও ক্ষমা করা হবে।’
জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, জেলা পরিষদ নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নির্বাচন করেছেন। দলীয় প্রার্থী থাকার পর নিজ দলের নেতারা স্বতন্ত্র কিংবা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় অনেক জায়গায় বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে নৌকার প্রার্থী পরাজিত হয়।
এ নিয়ে দলের তৃণমূলে বেশ বিশৃঙ্খলা চলছিল। দলের সাংগঠনিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের তৎপরতা ব্যাপকভাবে বাড়ছে এবং ইউপি নির্বাচনে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে।
তবে স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া যেসব নেতাকর্মীদের ক্ষমা করা হচ্ছে, তাদের কাছ থেকে দলের হাইকমান্ড এই প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিয়েছে যে- ভবিষ্যতে আর কখনও তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপিকে শেষ বার্তা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাই নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। আজ ১৮ অক্টোবর বুধবার বিকেলে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বার্তা দিয়েছেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে। আমি জিজ্ঞেস করি, কার কাছে ক্ষমতা দেবে? আপনার দণ্ডিত খুনি যুবরাজের কাছে? আমি আপনাকে শেষ বার্তা দিয়ে দিয়ে গেলাম, আগামী নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন শেখ হাসিনা। আরো বার্তা দিচ্ছি, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন শেখ হাসিনা।’
‘খেলা হবে’ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকার আজিমপুর কবরস্থানে শুয়ে আছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম উৎসাহিত। কেন উৎসাহিত? আমি বলি, পশ্চিমারা নাকি উৎসাহ দিচ্ছে!’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘মির্জা সাহেব, পশ্চিমারা নিজেদের ঘর সামলাতে সামলাতেই ব্যস্ত। আপনাদের সামলাবে কখন?’
মন্ত্রী বলেন, ‘খেলা হবে। এই খেলায় জিততে হবে। তারা নাকি রাস্তায় নামবে। দাঁড়াতেই দেব না।’
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি ২৮ অক্টোবরকে সরকারের পতন যাত্রা ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আসলে ২৮ তারিখ বিএনপির পতন যাত্রা শুরু হবে। আর ২৮ তারিখ কিংবা কয়েক দিন পর তাদের ঘোষণা করতে হবে, আগামী নির্বাচনের পর তারা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবেন।
এই ঘোষণা বিএনপিকে করতে হবে।
আজ ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) সদস্যদের সন্তানদের মেধাবৃত্তি ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিএসইসি।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৮ অক্টোবর বুধবার ঢাকা শহরে দুটি বড় সমাবেশ হয়েছে। দুটি সমাবেশের মধ্যে দূরত্ব ছিল মাত্র দুই কিলোমিটার। দুই কিলোমিটারের মধ্যে দুটি বড় সমাবেশ হয়েছে এবং ঢাকা শহরে কোনো গণ্ডগোল হয়নি। রাজনীতির চর্চা এমনই হওয়া উচিত। কিন্তু নয়াপল্টনের সামনে যে সমাবেশ হলো, সেখানে মির্জা ফখরুল সাহেব বললেন, ২৮ তারিখ তারা সমাবেশ করবেন। সরকারের পতনের যাত্রা তখন থেকে শুরু হবে। এখন মানুষ হাস্যরস করে বলে, এটা এবারের ২৮ তারিখ নাকি আগামী বছরের ২৮ তারিখ, নাকি তার পরের বছরের ২৮ তারিখ।
আজকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আগামী ২৮ অক্টোবরের আগেই সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি কিছু দিন আগে বলেছিল, অক্টোবর মাসে হচ্ছে ফাইনাল খেলা। আমরা আশা করেছিলাম, অক্টোবর মাসের শুরু থেকে তারা ফাইনাল খেলার দিন-তারিখ ঘোষণা করবেন। তারপর বললেন, পূজার পরে। এখন দেখলাম সেটি ২৮ অক্টোবর নিয়ে গেছে। খুব সহসা ২৮ অক্টোবর তারা নির্বাচনের পরে আন্দোলনের ঘোষণা দেবেন। আগামী নির্বাচনের পরে বিএনপি আবার একটি আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা ২৮ তারিখ দেবে বলে মানুষ ধারণা করছে। আমরা প্রায় ১৫ বছর ধরে এই আন্দোলনের হুমকির মধ্যে আছি। বাস্তবতা হচ্ছে, বিএনপির কর্মীরা ছাড়া জনগণের সেখানে কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের হাসপাতালে চালানো হামলায় কয়েকশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শত শত শিশু মারা গেছে। তাদের কবর দেওয়ার জন্য জায়গাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। সব দেশ প্রতিবাদ জানিয়েছে। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও সেই হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে। ফ্রান্স থেকে শুরু করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এটার প্রতিবাদ জানিয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বুধবার প্রতিবাদ জানিয়েছেন, এর আগেও জানিয়েছেন। আমি সরকারের তথ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রথম থেকে এই হত্যাযজ্ঞ ও যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বুধবার বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সবাই এর প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কিন্তু বিএনপি একটি কথা এই প্রসঙ্গে বলেনি। তারা শুধু বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য, তারেক জিয়ার শাস্তি নিয়ে ব্যস্ত। আজকে যে পুরো পৃথিবী এর বিরুদ্ধে কথা বলছে সেই বিষয় তাদের কানে পৌঁছায় না। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক, আশ্চার্যজনক এবং প্রতিবাদ না জানিয়ে বিএনপি কার্যত এই বর্বরতার পক্ষ অবলম্বন করেছে। শিশু হত্যার পক্ষ অবলম্বন করেছে।
ফিলিস্তিনি ইস্যুতে নিশ্চুপ থাকছে বিএনপি, তাহলে বিএনপি কী ইহুদি ও ইসরায়েলের পক্ষ অবলম্বন করছে প্রশ্ন ছুড়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির সঙ্গে জামায়াতও এই বিষয়ে নিশ্চুপ। স্লোগান দেয় আল্লাহর আইন চাই এবং সৎলোকের শাসন চাই। আজকে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতও নিশ্চুপ। অর্থাৎ এরা ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষের কোমল হৃদয়ে আঘাত হানে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। এরা হচ্ছে ধর্ম ব্যবসায়ী। আজকে তাদের নীরবতা ইহুদি ও ইসরায়েলকে সমর্থন করার সামিল।
তিনি আরও বলেন, আমরা কেউ রাজনীতির বাইরে নই। কেউ রাজনীতি না করলেও রাজনীতির একটি প্রভাব প্রত্যেকের জীবনে রয়েছে। সেজন্য আমি মনে করি, আমাদের শিশুদের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের কর্ণধারদের সঠিকভাবে বেড়ে উঠার জন্য সুস্থ রাজনীতি দরকার। অসুস্থ রাজনীতি সমাজকেও অসুস্থ করে দেয়। সাংঘর্ষিক রাজনীতি এবং সবকিছুতে না বলার রাজনীতির যে সংস্কৃতি আমরা চালু করেছি, এটি রাজনীতিকে অসুস্থ করে দিচ্ছে। সেটি আমাদের সমাজের ওপর প্রভাব ফেলছে। আজকে যারা নতুন প্রজন্ম, ভবিষ্যতে দেশ চালাবে, তাদের ওপর প্রভাব ফেলছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনীতিতে মেধাবীরা আসছে না। রাজনীতি থেকে মেধাবীরা দূরে সরে যাচ্ছে। কিন্তু রাজনীতির মঞ্চ তো সেজন্য খালি থাকছে না। মেধাবীরা রাজনীতিতে না আসায়, মেধাহীনরা রাজনীতির মঞ্চ দখল করছে। মেধাহীনরা সংসদেও যাচ্ছে, দেশও পরিচালনা করছে। সেজন্য মেধাবীদের রাজনীতিতে আসা প্রয়োজন। মেধাবীরা যদি রাজনীতিতে না আসে, তাহলে মেধাহীনরা রাজনীতিতে জায়গা করে নেয়। যারা সুযোগ সন্ধানী তারা রাজনীতিতে জায়গা করে নেয়।
তিনি বলেন, রাজনীতি যে একটা ব্রত, দেশসেবা, সমাজসেবা, দেশ পরিবর্তন, সমাজ পরিবর্তন, সমাজ উন্নয়ন, রাষ্ট্রের উন্নয়নের। রাজনীতি কোনো পেশা নয়, বরং একটি ব্রত। সেটি অনেক রাজনীতিবিদরা জানেন না বা মনে করেন না। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছে। এই কল্যাণ ট্রাস্ট এখন সাংবাদিকদের একটি ভরসার স্থলে হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগে দুস্থ কিংবা অসচ্ছল সাংবাদিকদের এই কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সহায়তা করা হতো কিংবা কারো মৃত্যু হলে তার পরিবারকে সহায়তা করা হতো। আমরা ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যদের এককালীন বৃত্তি দেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়ে গেছে এবং বিধিমালাও চূড়ান্ত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বৃত্তি পাওয়া শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা আজকে পুরস্কৃত হয়েছো, তোমাদের জীবনকে সংগ্রাম হিসেবে নিতে হবে। জীবন সংগ্রামে তোমরা অন্যদের পথ প্রদর্শক হবে এবং তোমরা নিজেরা স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাবে, তোমাদের হাত ধরে দেশও স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাবে।
ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি মামুন ফরাজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হৃদয়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রমুখ।