চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য ও বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম রেজা হাবিবকে চোখের জলে শেষ বিদায় জানানো হয়েছে। এর আগে তাঁর নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৫ জুলাই শুক্রবার বাদ জুমা শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে এ জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাযার পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম রেজা হাবিবের মরদেহ দলীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়।
এর আগে মাননীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রয়াত সেলিম রেজা হাবিবের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
প্রয়াত এই নেতার জানাযায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, হাজী হেলাল উদ্দিন, কামরুজ্জামান আনসারী, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ মহসিন, তানজিন আহমেদ, আইন সম্পাদক অ্যাড. মফিজুর রহমান বাবুল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা কাজী আবুল কালাম, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাড. শাহানুর ইসলাম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল খালেক বাবুল, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক স্বপন রায়, সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম, অ্যাড. লোকমান হোসেন, হাসান সারোয়ার, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল আউয়াল, জামাল খান। এছাড়া নামাজে জানাযায় জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন উপস্থিত ছিলেন।
জানাযা শেষে তাকে এলাকার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আফরিন ফাতেমা জুঁইকে (ফুটবল প্রতীক) কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রীর একটি ভিডিও স্থিরচিত্র ব্যবহার করে জুঁই আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জুঁইকে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
আগামীকাল ৩০ মে দুপুর ১২টার মধ্যে প্রার্থীকে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশে বলা হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, আপনি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। আপনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও এবং স্থিরচিত্র ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন, যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ৮ (৫) এর পরিপন্থী। যার সুনির্দিষ্ট তথ্যচিত্র প্রমাণাদি রয়েছে।
এমতাবস্থায়, আপনার বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ৩২ অনুযায়ী কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না ও বিধি ৩৩ অনুযায়ী কেন প্রার্থীতা বাতিলের সুপারিশ করা হবে না, তা আগামী ৩০ মে বুধবার দুপুর ১২ ঘটিকার মধ্যে নিম্ন স্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হলো।
এ ব্যাপারে নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘণ করে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অভিযোগে সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আফরিন ফাতেমা জুঁইকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচনী আচরণ বিধি অনুযায়ী প্রচার-প্রচারণায় প্রধানমন্ত্রীর ছবি অথবা ভিডিও চিত্র ব্যবহার করা যাবে না।
স্টাফ রিপোর্টার:
১১ ডিসেম্বর আশুগঞ্জ মুক্ত দিবস। নানা আয়োজন ও আননন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পালিত হল দিবসটি। এই উপলক্ষে গতকাল রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের উদ্যোগে উপজেলার গোলচত্বরে সম্মুখ সমরের ¯ভৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সম্মুখ সমর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোলচত্ত্বরসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে সম্মুখ সমরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সম্মুখ সমরে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলের প্রশাসক অরবিন্দ বিশ্বাসের সভাপতিত্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা শারমিন, বাংলাদেশ আইনসমিতির সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান আনসারি, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ রহমান, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাসিম, বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ জসিম উদ্দিন আহমেদ, হেবজুল বারী, মোজাম্মেল হক গোলাপসহ বিশেষ ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এদিনেই পাক হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে আশুগঞ্জকে শত্রুমুক্ত করে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু জামালের দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্তপূর্বক বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২০ অক্টোবর রোববার বেলা ১১টায় বিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে এ মানববন্ধন করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এসময় তারা বলে, আনন্দময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কথা বলে টাকা নিতেন। আমরা সেই টাকা ফেরত ও প্রধান শিক্ষক আবু জামালের পদত্যাগ চাই। মানববন্ধনে আনন্দময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান তিশা, অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুসাত আক্তার, সামিয়া আক্তার, আফরিন জাহান নাদিয়া, ইফাত জাহান লাবনী, সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিতু মনিসহ বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সদ্য অনুষ্ঠিত সুপ্রীম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন বাতিলের দাবিতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ১৯ মার্চ রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত প্রাঙনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট এম.এ. মান্নানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম রুমার পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আইনজীবী ফোরামের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম সারওয়ার খোকন, জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মোস্তাক আহাম্মদ ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান চৌধুরী কানন প্রমুখ ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে এমন কোন জায়গা নেই যেখানে ভোট চুরি হয় নাই। বাকি ছিল সুপ্রীম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন। সুপ্রীম কোর্টের ৫০ বছরের ইতিহাসে যা হয়নি এবার তা হয়েছে । বক্তারা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে পুণরায় নির্বাচন দাবি করেন।
চলারপথে ডেস্ক :
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) এমপি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার মেগা প্রজেক্টে ঋণ দিয়ে এখন বেকায়দায় পড়েছে। সরকারের সিন্দুকে এখন ডলার সংকট। ডলার নিয়ে আইএমএফ ও সরকারের তথ্যের মিল নেই। দেশের অর্থনীতি ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়েছে। পরিস্থিতি ক্রমেই শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের মতো হতে যাচ্ছে। তাই সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুন টাকা ছাপাচ্ছে।’
আজ ১১ মার্চ শনিবার বিকেলে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির (এরশাদ) দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের সমালোচনা করে জিএম কাদের বলেন, ‘১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করা হয়েছিল। এর অন্যতম লক্ষ্য ছিল বৈষম্য দূর করা। আওয়ামী লীগসহ অন্য কয়েকটি দল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলে। মুখে মুখে কেউ কেউ গণতন্ত্রের মানস কন্যা, মানসপুত্র বললেও পৃথিবীর কোনো দেশে এখন আর বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের দেশ বলে না।’
তিনি বলেন, ‘এখন সত্য কথাও বলতে পারি না। দেশদ্রোহী মামলা হবে, ফাঁসিতে ঝুলাবে। মানুষ এখন দরিদ্র থেকে আরও দরিদ্র হচ্ছে। সরকারের মদদে কেউ কেউ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার করছে। দেশকে দেউলিয়া করে ফেলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। আজকের মূল্য কাল, তাও ঠিক থাকে না। আমরা দাবি তুলেছিলাম দরিদ্র মানুষকে রেশন কার্ড দিতে। কিন্তু সরকার তা করেনি।’
ডলারের প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, ‘ডলারের দাম বাড়ছে, টাকার দাম কমে যাচ্ছে। তাই জিনিসপত্রের দামও বাড়ছে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি এখন অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে যাচ্ছে। এখানে সব সরকারি প্রতিষ্ঠান, প্রশাসন, দলীয়করণ করা হয়েছে। বিচার বিভাগ, দুদক, মানবাধিকার কমিশন সব সরকারের নিয়ন্ত্রণে।’
আগামী নিবাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা জাতীয় পার্টি থেকে নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সরকারকে একটি ফর্মুলা দেব, কিন্তু তা হয়তো তারা (সরকার) গ্রহণ করবে না, কারণ সরকার এখন গায়ের জোরে দেশ চালাচ্ছে।’
দলের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কমিটির আহ্বায়ক এয়ার আহমেদ সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এস.এম ফয়সল চিশতী, অ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া। আরও বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ওবায়দুল কবির মোহন, হুমায়ুন কবির মুন্সী, আলমগীর কবির মজুমদার, অধ্যাপক ড. গোলাম মোস্তফা, আবুল কাশেম, জাপা নেতা নাজমুল হক সেলিম, জোসনা বেগম, সোহেল রানা, জোনাকী মুন্সী, জসিম উদ্দিন মাস্টার, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। পরে এয়ার আহমেদ সেলিমকে সভাপতি, হুমাযূন কবির মুন্সী সিনিয়র সহসভাপতি ও ওবায়দুল কবির মোহনকে সাধারণ সম্পাদক করে দলের দক্ষিণ জেলার আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।