অনলাইন ডেস্ক :
আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে প্রথম একটা আইন বিশ্ববিদ্যালয় হবে। যেটার নাম হবে বাংলাদেশ আইন বিশ্ববিদ্যালয়। সেই বিশ্ববিদ্যালয়টি করা হবে মাদারীপুরের শিবচরে।
আজ ৬ জুলাই শনিবার শিবচরে বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের জায়গা পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। আইনমন্ত্রী বলেন, শিবচরে একটি ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ চলমান। শিবচরে বিচার বিভাগ থেকে দুটি প্রতিষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একটি ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি, অপরটি আইন বিশ্ববিদ্যালয়।
জানা গেছে, শনিবার সকাল থেকে জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরীকে নিয়ে শিবচর উপজেলার কুতুবপুর, পৌরসভার চরশামাইল ও ঠেঙ্গামারা মৌজায় আইন বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের জন্য জায়গা পরিদর্শন করেন আইনমন্ত্রী। পরে দুপুরে মন্ত্রী শিবচর উপজেলা পরিষদ চত্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এ সময় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন-১) বিকাশ কুমার সাহা, মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মারুফুর রশিদ খান, জেলা জজ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) তারেক মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়া, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ নীরবসহ জেলায় কর্মরত বিচার বিভাগের কর্মকর্তারাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদকে বদলি করা হয়েছে।
তাকে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, অতিরিক্ত কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামানকে গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আজ ৩১ জুলাই বুধবার ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এছাড়া অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিনকে ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস বিভাগ থেকে বদলি করে লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান প্রকিউরমেন্ট বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঘুস দিয়ে মসজিদের অনুমোদন নিলে সেখানে নামাজ পড়া নাজায়েজ হবে বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী।
আজ ৩০ জানুয়ারি মঙ্গলবার সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রাজউকে মসজিদের নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে ঘুস চাওয়ার অভিযোগের জবাবে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, রাজউকে ঘুস দিয়ে যে মসজিদের অনুমোদন নিতে হয়েছে, সেখানে নামাজ পড়া নাজায়েজ হবে।
সেই মসজিদ ভেঙে ফেলা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দুর্নীতি রোধ ও সরকারি ভবন নির্মাণে অপচয় কমানোর চেষ্টা করা হবে জানিয়ে র আ ম উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী বলেন, বালিশকাণ্ডের মতো ঘটনা যেন আর না ঘটে। এ জন্য দুর্নীতির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতিগ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, কিছু দিন দেখেন কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যেসব প্রকল্প বা প্রতিষ্ঠান নিয়ে অভিযোগ আছে তা খতিয়ে দেখা হবে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব ও গৃহায়ণের চেয়ারম্যান প্লট নিয়েছেন- এমন অভিযোগের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যদি আইনের বাইরে কিছু করা হয়, এ ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মানহীন ও অপ্রয়োজনীয় ভবন নির্মাণ করা হবে না বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
সাম্প্রতিক সহিংসতায় আহতদের দেখতে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি আহতদের শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
আজ ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় আহতদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন সরকারপ্রধান।
আঘাতের তীব্রতা দেখে এবং হামলার নৃশংসতার কথা শুনে শেখ হাসিনা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। অশ্রু সংবরণ করতে পারেননি তিনি। পরিদর্শনকালে আহতদের চিকিৎসায় নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. শফিকুর রহমান।
গত কয়েকদিনে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থোপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন-নিটর (পঙ্গু হাসপাতাল), ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল, রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে চিকিৎসাধীন আহতদের খোঁজখবর নেন এবং সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন তিনি।
এছাড়া সাম্প্রতিক সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর ১০ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশন, বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন, সেতু ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন, এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজা পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৭ জুন শনিবার পবিত্র ঈদুল আযহা। বাঙালি সমাজে কোরবানির ঈদ নামেও পরিচিত মুসলমানদের এই অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। যুগ যুগ ধরে এই ঈদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর করে আসছে।
ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করবেন সামর্থ্যবান মুসলমানরা। ঈদুল আযহার সাথে পবিত্র হজের সম্পর্ক রয়েছে। গতকাল শুক্রবার মক্কার অদূরে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলিম সম্প্রদায় হজ পালন করবে। স্থানীয় হিজরি মাস গণনা অনুযায়ী ৬ জুন শুক্রবার সৌদি আরবে ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে। সকালে মুজদালিফা থেকে ফিরে হাজীরা মিনায় অবস্থান করে পশু কোরবানিসহ হজের অন্য কার্যাদি সম্পাদন করবেন।
ঈদুল আযহা হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও তার পুত্র হজরত ইসমাইলের (আ.) সঙ্গে সম্পর্কিত। হজরত ইব্রাহিম (আ.) স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে পুত্র ইসমাইলকে আল্লাহর উদ্দেশে কোরবানি করতে গিয়েছিলেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে এই আদেশ ছিল হজরত ইব্রাহিমের জন্য পরীক্ষা। তিনি পুত্রকে আল্লাহর নির্দেশে জবাই করার সব প্রস্তুতি নিয়ে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ইসলামে বর্ণিত আছে, নিজের চোখ বেঁধে পুত্র ইসমাইলকে ভেবে যখন জবেহ সম্পন্ন করেন তখন চোখ খুলে দেখেন ইসমাইলের পরিবর্তে পশু কোরবানি হয়েছে, যা এসেছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে।
সেই ঐতিহাসিক ঘটনার স্মৃতি ধারণ করেই হজরত ইব্রাহিমের (আ.) সুন্নত হিসেবে পশু জবাইয়ের মধ্য দিয়ে কোরবানির বিধান এসেছে ইসলামী শরিয়তে। সেই মোতাবেক প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য পশু কোরবানি করা ওয়াজিব।
ইসলামে কোরবানি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। পবিত্র কোরআনে সুরা কাউসারে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে, ‘অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি করুন।’ রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ঈদুল আযহার দিন কোরবানির চেয়ে আর কোনো কাজ আল্লাহর কাছে অধিক পছন্দনীয় নয়।’ গরু, মহিষ, উট, ভেড়া, ছাগল, দুম্বাসহ যে কোনো হালাল পশু দিয়ে কোরবানি দেয়া যায়।
শনিবার সকালে মুসল্লিরা নিকটস্থ ঈদগাহ বা মসজিদে ঈদুল আযহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করবেন। খতিব নামাজের খুতবায় তুলে ধরবেন কোরবানির তাৎপর্য। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ধনি-গরিব নির্বিশেষে সবাই একত্রে নামাজ আদায় ও শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
ডেস্ক রিপোর্ট :
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে বিএনপি সঠিক বলে মনে করে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ ১১ মে রোববার এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আনন্দিত যে, বিলম্বে হলেও গতরাতে (শনিবার) অন্তরর্বর্তীকালীন সরকার ফ্যাসিবাদী সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দ্রুত করার এবং বিচারকার্য নির্বিঘ্ন করার স্বার্থে ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ ও তার সঙ্গে যুক্ত সকল সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রাসঙ্গিক আইন সংশোধন করে বিচারিক প্রক্রিয়ায় গুম, খুন, নিপীড়ন ও জনগণের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন অপশাসন চালনাকারী, ফ্যাসিবাদী দলের বিচার করার সিদ্ধান্তকে আমরা সঠিক বলে মনে করি। তবে আমাদের দাবি মেনে আগেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে চাপের মুখে ব্যবস্থা নেয়ার মত বিব্রতকর ও অনভিপ্রেত অবস্থায় সরকারকে পড়তে হতো না। ভবিষ্যৎ কার্যক্রম পরিচালনায় অন্তর্র্বতীকালীন সরকার বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে মনে রাখবেন বলে আমরা আশা করি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১০ ফেব্রুয়ারি আমরা প্রধান উপদেষ্টা সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তার হাতে দেওয়া পত্রে ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসাবে বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসার’ দাবি জানিয়েছিলাম। ১৬ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সর্বশেষ সাক্ষাৎকালেও তার হাতে দেওয়া পত্রে আমরা ‘পতিত ফ্যাসীবাদী দল ও সেই দলীয় সরকারের সঙ্গে যারাই যুক্ত ছিল তাদের বিচার দ্রুত করে দেশের রাজনীতির ময়দানকে জঞ্জালমুক্ত করার’ দাবি জানিয়েছি।
এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আলোচনায় আমরা স্পষ্ট করে বলেছিলাম যে, আইনি প্রক্রিয়াতেই ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব ও উচিত। বিভিন্ন সভা, সমাবেশে ও আলোচনায় আমরা আমাদের এসব দাবি বার বার উত্থাপন করেছি। উল্লেখযোগ্য যে, আমরা প্রশাসনিক আদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে বলেই বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের আগ মুহূর্তে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছিলো বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ভোটাধিকার বঞ্চিত জনগণ তাদের ভোটাধিকার তথা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই ফ্যাসিবাদের পতনের জন্য গুম, খুন, জেল, জুলুম সহ্য করেও অব্যাহত লড়াই করেছে। তাদের সেই দাবি এখনও অর্জিত হয়নি। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিও ক্রমাগত উপেক্ষিত হওয়ায় জনমনে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে সে ব্যাপারে সচেতন হওয়ার জন্য আমরা অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।