অনলাইন ডেস্ক :
সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম আমরা দিয়েছি, এটা সকলের জন্য। এটা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল, ২০০৮ এর নির্বাচনী ইশতেহারে। যেটা আমরা করতে পেরেছি।’
আজ ৭ জুলাই রবিবার যুব মহিলা লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গণভবনে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু সরকারি চাকরিজীবী তারাই পেনশন পায় আর বাকিরা বঞ্চিত থাকে। কাজেই কেউ যাতে বঞ্চিত না থাকে সেজন্য এই পেনশন স্কিমে বিভিন্ন স্তর দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি, আমাদের যুব মহিলা লীগের প্রত্যেকেই এই সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যুক্ত হতে পারো। যুক্ত হতে পারো নিজেদের একটা ভবিষ্যতের জন্য।’
তিনি বলেন, ‘যখন মানুষের বয়স হয়ে যাবে বা তারা কর্মক্ষম থাকবে না এর মাধ্যমে তাদের জীবন-জীবকা নির্বাহের জন্য একটি নিশ্চিত অর্থ প্রাপ্তির সুযোগ রয়েছে। এটা কিন্তু আজীবন পাবে। আমি মনে করি যারা আমাদের রাজনীতির সাথে যুক্ত তাদের এ ধরনের পেনশন স্কিমে ঢোকা দরকার।’
আর যারা একেবারে প্রান্তিক বা নিম্ন আয়ের মানুষ রয়েছে তাদের জন্য এতে বিশেষ প্রণোদণা দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এর আগে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান। অনুষ্ঠানে যুব মহিলা লীগের ওয়েবসাইটও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০০২ সালের ৬ জুলাই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের এক ঝাঁক সাবেক নেত্রীকে নিয়ে যুব মহিলা লীগ গঠন করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিচ্ছি। এতো দিন খুব ভালোভাবেই চলেছে, বাকি যে সময়টা আছে সেটাও সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারবেন বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
আজ ১১ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে রমনা কালী মন্দিরে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে এসে এ নিশ্চয়তা জানান তিনি।
এ সময় তার সাথে ছিলেন বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান ও নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে সেনাপ্রধান বলেন, ‘শতাব্দীর পর শতাব্দী আমরা বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান একসঙ্গে বসবাস করে আসছি। এটা আমাদের ঐতিহ্য। একজনের প্রতি অন্যজনের যে সহমর্মিতা, এটা অতীতে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।
তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা উৎসবমুখর সুন্দর পরিবেশে পূজা উদযাপন করতে পারছেন, তা দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। শুধু ঢাকাতেই না, ঢাকার বাইরে সব জায়গায় আমাদের লোকজন মোতায়েন আছে।’
অনলাইন ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র চিঠির জবাব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আজ ১৭ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের মার্কিন দূতাবাসে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে চিঠির জবাব নিয়ে যান দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত।
এ বিষয়ে এ আরাফাত বলেন, ডোনাল্ড লু’র চিঠির জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পক্ষে আমি মার্কিন দূতাবাসের আ্যকটিং ডেপুটি চিফ অব মিশন মি. আর্টুরো হাইন্সের কাছে একটি চিঠি হস্তান্তর করেছি।
চিঠিতে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমি আপনার (ডোনাল্ড লু), রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতি ১২ নভেম্বরের চিঠির জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত করতে আন্তর্জাতিক বন্ধুদের সাহায্য ও সহযোগিতার প্রশংসা করছি।
দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে আমি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমাদের দলের অঙ্গীকার আবারও তুলে ধরতে চাই। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকারকে একটি পবিত্র অধিকার বলে মনে করে। সেই অধিকার রক্ষায় আওয়ামী লীগের নিরলস সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের দীর্ঘ-বর্ণাঢ্য ইতিহাস রয়েছে।
চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন কমিশনকে সত্যিকার অর্থে সংবিধান স্বীকৃত স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের দূরদর্শী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাঠামোগত, আর্থিক ও আইনি উদ্যোগ নিয়েছেন। সেগুলোর মধ্যে মধ্যে ছবিযুক্ত ভোটার আইডি কার্ড, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য আইন প্রণয়ন উল্লেখযোগ্য।
এরই মধ্যে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ নভেম্বর।
আওয়ামী লীগ কয়েক মাস ধরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিঃশর্ত সংলাপের জন্য দরজা খোলা রেখেছিল। বিএনপি এই জাতীয় সংলাপের পূর্বশর্ত হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগের উপর অনড় থাকায় সংলাপে বসা সম্ভব হয়নি।
তাতে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে বিএনপি-জামায়াতসহ তাদের মিত্ররা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে অবরোধ করছে। এই ধরনের কর্মসূচিতে তারা অগ্নিসংযোগের মতো অপরাধ করছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১৫৪টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে অবরোধ সমর্থকরা।
চলমান অবরোধ ও এ ধরনের কর্মসূচির প্রধান দাবির মধ্যেও বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যদি আওয়ামী লীগ বসতে পারে, তবুও কোনো অর্থবহ সংলাপ হবে না। আগামী সপ্তাহে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের নির্বাচনী কাজ চূড়ান্ত করতে সমস্ত সময় ব্যয় করতে হবে।
৩০০টি আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তথ্য পর্যালোচনা ও প্রার্থীতা চূড়ান্ত করা, ইশতেহার তৈরি করা, প্রচারণার কৌশল চূড়ান্ত করা ও প্রচারণার কাজ রয়েছে। যদি সংলাপের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টিও হয়, বর্তমান বাস্তবতায় একটি অর্থপূর্ণ সংলাপের জন্য যথেষ্ট সময় হাতে নেই।
চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগ সব আন্তর্জাতিক বন্ধুদের সঙ্গে অংশীদারত্বকে গুরুত্ব দেয়। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ আশা করে, আন্তর্জাতিক মহল বাংলাদেশের জনগণের সামনে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন উপস্থাপনের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সংলাপের প্রস্তাব দিয়ে আওয়ামী লীগকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ডোনাল্ড লুর দেওয়া চিঠি ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস গত ১৫ নভেম্বর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কাছে হস্তান্তর করেন।
এছাড়া সংলাপের আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকেও চিঠি দিয়েছে। এরই মধ্যে বিএনপি সেই চিঠির জবাব দিয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
যত বেশি জ্বালানি ব্যবহার হয় পরিবেশের ওপর তার বিরূপ প্রভাব পড়ে। আবার ডলার সংকটের কারণে জ্বালানি আমদানিতে সংকট রয়েছে। এ রকম অবস্থায় একের বেশি গাড়ি নিরুৎসাহিত করতে আগামী ২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পরিবেশ সারচার্জ আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। একের অধিক প্রতিটি গাড়িতে সিসি অনুযায়ী ২৫ হাজার টাকা থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা বাড়তি কর দিতে হতে পারে ।
আজ ১ মে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রস্তাবিত বাজেট পেশ শুরু করেন। প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, একের বেশি ১৫শ সিসি পর্যন্ত প্রতিটি গাড়ির জন্য দিতে হবে ২৫ হাজার টাকা। ১৫শ সিসির বেশি থেকে ২ হাজার সিসি পর্যন্ত ৫০ হাজার, আড়াই হাজার সিসি পর্যন্ত ৭৫ হাজার, তিন হাজার সিসি পর্যন্ত দেড় লাখ, ৩৫০০ সিসি পর্যন্ত ২ লাখ এবং সাড়ে তিন হাজার সিসির বেশি হলে সাড়ে তিন লাখ টাকা কর দিতে হবে। সূত্র : বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় এক প্রকৌশলী নিহত হয়েছে। আজ ২০ আগস্ট রবিবার দুপুরে উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কংকন কুমার বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহত প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম জুয়েল (৩৫) তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে। তিনি একটি কারখানায় ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্বজনরা জানায়, সে অফিস থেকে দুপুরে বাসায় ফিরার পথে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পল্লী বিদ্যুৎ মোড় এলাকায় পৌছালে ঢাকাগামী একটি বাস তাকে চাপা দিলে মহাসড়কে ছিটকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেল চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
ওসি জানান, খবর পেয়ে ঘাতক বাসটিকে জব্দ করা হলেও তার চালক পালিয়ে গেছে। নিহতের স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, ‘এ ভূখন্ড চারবার স্বাধীন হয়েছে। বৈষম্য দূর করার জন্য আবার স্বাধীন হয়েছে। এখন যদি এনজিও, নাস্তিকদেরকে প্রতিষ্ঠা করতে চান তাহলে ইসলামকে রক্ষা করতে সংগ্রাম চলবে।
আজ ২২ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মুক্তমঞ্চে ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা মানুষকে মানুষ মনে করতেন না। তাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শতশত মানুষ খুন করেছে ও সহস্রাধিক মানুষকে আহত ও পঙ্গু এবং অন্ধ করেছে। আমরা এসব জুলুম-অত্যাচারের পুঙ্খানুরূপে সর্বোচ্চ বিচার চাই। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ও এই দলের নেতা-কর্মীরা গত ১৬ বছরে সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়ম, লুটপাট, খুন, গুম ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। আয়নাঘর ও ডিবি অফিসগুলোকে পাশবিক ও মানসিক নির্যাতনের কেন্দ্রে পরিণত করেছে। বাকস্বাধীনতা হরণ করেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে দায়সারা ভূমিকা পালন করেছে। আমরা এসকল অন্যায়ের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। শায়খে চরমোনাই বলেন, সকল দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার পূর্বক অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। তিনি বলেন, এদেশের ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগের পতন ঘটিয়েছে। নতুন করে যারা তাদের অপকর্মের স্থান দখল করে নিচ্ছে তাদের বিষয়ে সোচ্চার থাকতে হবে।
তিনি ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী সমাজ ভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ভবিষ্যত নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহবান জানান।
ইসলামী আন্দোলন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, ‘ভোটের পার্সেন্টিজে আসনের হিসেব করতে হবে। যে দল যত পার্সেন্ট ভোট পাবে সে সংখ্যানুপাতে প্রতিনিধিত্ব করবে।’
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম আরো বলেন, ‘শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কারের জন্য কমিটি করা হচ্ছে। কিন্তু এখানে আলেম সমাজের প্রতিনিধি নাই। এখানে বৈষম্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমন বৈষম্যের জন্য তো দেশ আবার স্বাধীন হয়নি।
বিগত সরকারের সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, ‘মেগা প্রজেক্টে মেগা মেগা চুরি হয়েছে। এখন একটা শিশু মাথাপিছু দেড় লাখ টাকা ঋণ নিয়ে জন্ম নিচ্ছে। আমরা এখন দেখছি ব্যক্তি পরিবর্তন হয়েছে, তবে নীতি বদলায়নি।
এমন বাংলাদেশ আমরা চাই না। আমরা চাই গরীবের বন্ধু সরকার। খুন, ধর্ষণ, জুলুম আমরা চাই না। আমরা চাই নির্বিঘ্নে মেয়েরা হেঁটে যাবে। ইসলামী নীতি অনুসরণ করলে ১০ বছরে একজন গরীবও থাকবে না এদেশে।
গণসমাবেশে কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এতে বক্তব্য রাখেন। গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে দুপুরের আগে থেকেই নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হতে থাকেন। সন্ধ্যায় গণসমাবেশ শেষ হয়।