কোটা একটা বার্নিং ইস্যু: আইনমন্ত্রী

জাতীয়, 8 July 2024, 465 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
সরকারি চাকরির সকল গ্রেড থেকে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থী। আজ ৮ জুলাই সোমবার বিকেল থেকে রাজধানীর শাহবাগ, গুলিস্তান, ফার্মগেটসহ গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে অবরোধ কর্মসূচি পালন করে তারা। এতে রাজধানীজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

banner

এমতাবস্থায় সোমবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ পাঁচজন মন্ত্রী রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।

বাকিরা হলেন- আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মাদ আরাফাত ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার চাপা। ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর সবাই চলে গেলেও এ নিয়ে গণমাধ্যমে কোনো কথা বলেননি কোনো মন্ত্রী। পরে বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ পাঁচজন মন্ত্রী বসেছিলাম।

কোটাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিশ্চয় আলাপ হয়েছে। কোটা একটা বার্নিং ইস্যু। পার্টির সেক্রেটারি ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে বলেছেন। আমার বক্তব্যে হচ্ছে, ‘আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি, হাইকোর্টে এই মামলার শুনানির সময় তখন কিন্তু কোটার বিপক্ষে যারা তাদের কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

তারা আদালতে তাদের বক্তব্যে তুলে ধরেননি। এখন মামলাটা আপিল বিভাগে গেছে, আমার বিশ্বাস আপিল বিভাগে তারা একজন আইনজীবী রেখে তাদের বক্তব্যে যদি উপস্থাপন করেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আপিল বিভাগ একটা ন্যায্য রায় দেবেন।’তিনি আরো বলেন, ‘আমার মনে হয়, যারা এই আন্দোলন করছেন এটা কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়, বিষয়টা আদালতের। অবরোধ করে বক্তব্য দিয়ে বা চিৎকার করে কোনো লাভ নেই। বক্তব্য দিতে হবে আদালতে গিয়ে। আমার মনে হয়, আদালতে যদি এটা উপস্থাপন করা হয়, তাহলে নিশ্চয়ই একটা যৌক্তিক রায় পাবেন। সবশেষে আবারও বলবো তাদের বক্তব্য আদালতে উপস্থাপন করুক।’

Leave a Reply

ইটালি প্রবাসী দিদারের মা আনোয়ারা বেগমের…

শফিকুল ইসলাম বাদল : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর Read more

কসবায় মায়ের অভিযোগে ছেলের কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকাসক্ত ছেলের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে Read more
ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : পুকুরের পানিতে ডুবে ইসরাত জাহান নোভা (৯) Read more

ইরান কখনও আপোস করবে না: আয়াতুল্লাহ…

অনলাইন ডেস্ক : জায়নবাদীদের সাথে ইরান কখনও আপোস করবে না Read more
ফাইল ছবি

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পাঁচ দিনের…

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর শাহবাগ ও পল্টন মডেল থানার পৃথক Read more
ফাইল ছবি

প্রতারণা করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে…

অনলাইন ডেস্ক : জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবার এবং আহতদের কল্যাণ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক…

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর Read more

কারাগারে হাজতির মৃত্যু

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে জুনায়েদ মিয়া (৩২) নামে Read more

আখাউড়ায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

চলারপথে রিপোর্ট : কৃষকদের সেচ দক্ষতা বাড়াতে পানি ব্যবহারকারী গ্রুপের Read more

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের ১১তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য: রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের Read more

স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে…

অনলাইন ডেস্ক : স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে অনশন Read more

ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানালো ২১…

অনলাইন ডেস্ক : ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে মিশরসহ ২১টি Read more

অবৈধ কয়লা তৈরির কারখানা গুড়িয়ে দিল প্রশাসন

জাতীয়, 14 January 2024, 735 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
গোবিন্দগঞ্জে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির চারটি কারখানা গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন।

banner

আজ ১৪ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিট্রেট এস এম আব্দুল্লাহ্-বিন-শফিক এই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।

অভিযানে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের গোপালপুর ছয়ঘড়িয়া, জীবনপুরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কাঠ পুড়িয়ে চারটি কয়লা তৈরির কারখানা গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিট্রেট এস এম আব্দুল্লাহ্-বিন শফিক বলেন, এর আগেও অভিযানে জরিমানা করা হলেও মানছেন না অসাধু কয়লার ব্যবসায়ীরা, তাই এবার গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এরপর এই অবৈধ কয়লার কারখানাগুলো আবার চালু করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে গোপালগঞ্জ সফর করলেন প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, রাজনীতি, 8 December 2023, 1096 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে গোপালগঞ্জ জেলায় দুই দিনের ব্যক্তিগত সফর করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

banner

আজ ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি মেনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা‌ আজ সকালে সরকারি প্রোটোকল না‌ নিয়ে পতাকাবিহীন ব্যক্তিগত গাড়িতে টুঙ্গিপাড়া থেকে কোটালিপাড়া যান। বঙ্গবন্ধুকন্যা গতকাল ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জও এসেছেন সরকারি প্রোটোকল ছাড়া।’

ব্যক্তিগত সফরে গত ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে সড়কপথে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আসেন প্রধানমন্ত্রী।

টুঙ্গিপাড়া ও কোটালিপাড়ায় ব্যক্তিগত সফর শেষে শুক্রবার বিকেলে সড়কপথে ঢাকায় ফেরেন তিনি।

সফরকালে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

তিনি এ দুদিন টুঙ্গিপাড়ার বাড়িতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট নিহত স্বজনদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ফাতিহা পাঠ ও দোয়া করেন। মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

পুকুরে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু

জাতীয়, 18 September 2023, 897 Views,
ফাইল ছবি

চলারপথে রিপোর্ট :
কুতুবদিয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে আব্দুল মোকাররম (৭), জান্নাতুল বকেয়া (৪) এবং তাবাসসুম (১৫মাস) নামের তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

banner

আজ ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের বাইগ্যার পাড়া আবছারের ছেলে আব্দুল মোকাররম (৭) এবং বিকেল ৩টার দিকে দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের জুলেকা বিবি পাড়ার মো. ইকবালের মেয়ে জান্নাতু বকেয়া (৪) ও সন্ধ্যা ৬টায় বড়ঘোপ ইউনিয়নের আজম কলোনীর ছোটনের মেয়ে তাবাসসুম (১৫মাস) মৃত্যুবরণ করে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, আব্দুল মোকাররম ও জান্নাতুল বকেয়া পৃথক পৃথক স্থানে বাড়ির লোকজনের অগোচরে বাড়ির সামনে পুকুরে পানিতে ডুবে যায়। পরে, স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।

আজ পবিত্র মিলাদুন্নবী (সা.)

জাতীয়, 16 September 2024, 401 Views,
ফাইল ছবি

চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১২ রবিউল আউয়াল। পবিত্র মিলাদুন্নবী (সা.)। বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও মৃত্যুর পুণ্যময় দিন। সারা বিশ্বে মুসলমান সম্প্রদায় বিশেষ গুরুত্ব ও মর্যাদার সঙ্গে দিনটি পালন করে থাকেন। বাংলাদেশেও দিনটি সরকারিভাবে পালিত হয়। এছাড়া পত্রিকায় ক্রোড়পত্র এবং টেলিভিশন-রেডিওতে নানা অনুষ্ঠান প্রচারিত হবে।

banner

৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব মুহাম্মদ (সা.) মা আমেনার কোলে জন্ম নেন। ৩৭ বছর বয়সে তিনি হেরা গুহায় অবস্থান করে ধ্যানমগ্ন হতে শুরু করেন। ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে ৪০ বছর বয়সে মহানবী (সা.) নবুয়ত লাভ করেন। প্রথম তিন বছর তিনি ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্তজনদের কাছে ইসলাম প্রচার করেন। ৬১৪ খ্রিষ্টাব্দে নবুয়তের চতুর্থ বছরে তিনি প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচার শুরু করেন। বিশ্ববাসীর উদ্দেশে ঘোষণা করেন শান্তি, সাম্য, ঐক্য ও কল্যাণের বহুমুখী কর্মসূচি। জাহেলিয়াত বা অন্ধকার যুগে অজ্ঞতা, মূর্খতা, কুসংস্কার ও পাপাচারে নিমজ্জিত ছিল জাজিরাতুল আরব বা আরব উপদ্বীপ। এ সময় জ্ঞানের প্রদীপ শিখায় বিশ্বমানবতাকে আলোকোজ্জ্বল করে তুলেন মানবতার মহান বন্ধু মুহাম্মদ (সা.)। ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন এবং সেখানে একটি আদর্শ সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন। সব ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্য নিশ্চিত করে একটি সনদ স্বাক্ষর করেন, যা মদিনা সনদ নামে পরিচিত। ২৩ বছর ইসলামের দাওয়াত দিয়ে ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়ালেই ৬৩ বছর বয়সে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। ব্যক্তিজীবনে, সমাজ ও রাষ্ট্রে একমাত্র তাঁর অনুকরণ-অনুসরণই দিতে পারে মুক্তির দিশা। পবিত্র কুরআনে সুস্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর রাসুলের মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শ।’ (সুরা: আহজাব, আয়াত : ২১)। তিনি মানবজাতির সর্বোচ্চ পূর্ণতায় অধিষ্ঠিত একমাত্র ব্যক্তি। ‘(হে রাসুল!) নিশ্চয় আপনি মহান চরিত্রের অধিকারী।’ (সুরা: কলম, আয়াত : ৪)। তাই আজকের এ অস্থির ও অশান্ত পৃথিবীতে শান্তি, মুক্তি ও কল্যাণ পেতে আমাদের উচিত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রাসুল (সা.)-এর শিক্ষা ও আদর্শের পরিপূর্ণ অনুসরণ ও বাস্তবায়ন। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এদিনে নফল রোজা রাখেন। বেশি বেশি দরুদ পাঠ, কুরআন শরিফ তিলাওয়াত, দান-খয়রাতসহ নফল ইবাদতের মধ্য দিয়ে দিনটি অতিবাহিত করেন। পবিত্র মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষ্যে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধনিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নত খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণা বিএনপি নেতাদের হিপোক্রেসি : গণপূর্তমন্ত্রী

জাতীয়, 31 March 2024, 644 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণা বিএনপি নেতাদের হিপোক্রেসি বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

banner

আজ ৩১ মার্চ রবিবার রাজধানীর পূর্ত ভবনে গণপূর্ত অধিদপ্তরের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ‘ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বিএনপির একজন নেতা গায়ের চাদর খুলে ফেলেছেন, কিন্তু উনি ভারতীয় কিসমিস, জিরা, এলাচ, দারুচিনি, পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্য ঠিকই ব্যবহার করছেন এবং করবেন। তাহলে জনসমক্ষে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণা হিপোক্রেসি ছাড়া আর কি হতে পারে।’

মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক একটি বিশেষ বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান কখনো সম্মুখ সমরে যাননি, তিনি মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনায়ও বিশ্বাস করতেন না। শোষণহীন, বৈষম্যহীন, ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যে প্রত্যয় নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল জিয়াউর রহমান তার কোনোটিতেই বিশ্বাস স্থাপন করেননি। তিনি তার মন্ত্রিসভায় এমন লোকদের স্থান দিয়েছিলেন যারা ভারতে গিয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য, যারা জাতিসংঘে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওকালতি করতে গিয়েছিলেন এমন লোকদেরকে।’

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান এবং হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ দুজনেই স্বৈরশাসক ছিলেন।

অনেকেই জিয়াউর রহমান ও এরশাদকে এক পাল্লায় মাপতে চান না। এটা একটা ভ্রান্ত ধারণা। জিয়াউর রহমান জীবনে একটা ভালো কাজও করেননি। অনেকে বলে থাকেন জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক।

কিন্তু এটাও সঠিক না। জিয়াউর রহমান নিছক একজন স্বৈরশাসক ছিলেন। পক্ষান্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায?িক চেতনায় বিশ্বাস করতেন বলে একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন।’

স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে যে বিতর্কের অবতারণা অনেকে করতে চান তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ বলেন, ‘১৯৭০ সালের নির্বাচনে নির্ধারিত হয়েছে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার অধিকার কার। বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীনতার ঘোষক এ নিয়ে বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই।’

বর্তমান বাজার ব্যবস্থা এবং দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, যাদের মধ্যে দেশপ্রেম নেই, যারা একাত্তরের শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করতে চায়, এমনকি সম্ভ্রমহারা মা-বোনদের নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করে, তারাই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে অধিক মুনাফা অর্জন করে এবং সে মুনাফার টাকা খরচ করে আবার হজ করতেও যায়। মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে অসৎ উপায়ে অর্জিত অর্থে কোন ধর্মীয় কাজই সিদ্ধ হবে না।’

হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। হিন্দু ধর্মেও রয়েছে যে, স্বর্গের দেবীর চেয়েও দেশ মহিমামণ্ডিত।’ তাই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষের কল্যাণে সঠিকভাবে নিজের কাজ করার জন্য সবার উদ্দেশ্যে তিনি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক, শিক্ষাবিদ ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসির মামুন। গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আক্তারের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ নবীরুল ইসলাম ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মনজুরুর রহমান। অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।