চলারপথে রিপোর্ট :
কোটা সংস্কার ও কর্মসংস্থানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি করেছে শিক্ষার্থীরা।
আজ ১০ জুলাই বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের কলেজ গেইট, কালিবাড়ি মোড়, টি.এ রোডসহ প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান কর্মসূচি করে।
এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারি ফাহিম মুনতাসির, সানিউর রহমান, আইরিন মৃধা, প্রহর আচার্য্য, সুস্মিতা দাসসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এতে বক্তারা বলেন, তাদের এই আন্দোলন সরকার বার রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয়। বরং মেধাবীদের যোগ্য স্থানে ঠাঁই দিতেই তারা আন্দোলনের মাঠে নেমেছেন।
তারা বলেন, কোটা ব্যবস্থার কারণে মেধাবীরা বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি বৈষম্যের শিকার। এতে করে দেশে মেধার সংকট দেখা দিবে। তাই মেধাবীদের মূল্যায়ন করতে দেশ ও জনগনের স্বার্থে কোটা সংস্কার করে ৫% নিয়ে আসা এবং কর্মসংস্থানের দাবি জানান। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে তারা আন্দোলনের মাঠে থাকার কথা জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
সারা দেশের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত ৫৩ জন আক্রান্ত ব্যক্তি জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখনও কারো মৃত্যু হয়নি।
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের স্বজন ও সাধারণ মানুষের অভিযোগ, পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো মশক নিধনের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ না ছেটানোর কারণে বিভিন্ন বর্জ্য, নালা ও ড্রেনে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব বাড়ছে। এর ফলে জেলায় অনেক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. একরাম উল্লাহ্ বলেন, জেলায় এখন পর্যন্ত ১৪০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৭ জন সুস্থ হয়েছে এবং ৭৩ জন রোগী জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বেশি। এছাড়া আক্রান্ত রোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মো. তুলিপ হোসাইন (২৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-বিজয়নগর সড়কের শিমরাইলকান্দি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম মো. তুলিপ হোসাইন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের জাজিয়ারা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। জেলা শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকায় তিনি বসবাস করতেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কে তুলিপ বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন। আড্ডার ফাঁকে তুলিপ বন্ধু জহিরের মোটর সাইকেল চালানোর জন্য নেয়। এ সময় সিমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কের ২য় ব্রিজ কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায়। পরে জহিরসহ স্থানীয়রা তুলিপকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটিতে জেলা বিএনপির সম্মেলন করতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে একাংশের নেতাকর্মীরা। ত্যাগী ও নির্যাতিত এবং বিএনপির মূল ধারার নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে সম্মেলন করতে দেয়া হবে না। ২৬ জানুয়ারি রোববার রাতে সম্মেলনের প্রতিবাদে আয়োজিত মশাল মিছিল থেকে এ হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। মশাল মিছিলটি শহরের শিমরাইলকান্দি এলাকা থেকে বের হয়ে কালিবাড়ি মোড়, টিএরোড, কোর্ট রোড, কুমারশীল মোড়সহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে লোকনাথ টেংকের পাড় মাঠ প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এবিএম মমিনুল হক, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ আলী আজম, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সাবেক কোষাধক্ষ্য জসীম উদ্দিন রিপন, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, বিএনপি নেতা মোঃ নিয়ামুল হক, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি রাশেদ কবির আকন্দ প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছরের আন্দেলন সংগ্রামে যারা কারা নির্যাতিত হয়ে পরিবার পরিজন হারিয়েছে, শত ত্যাগ তিতিক্ষা শিকার করেছে তাদের বাদ দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি প্রহসনের সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। মূলত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বিএনপির লেবাসধারী কবির আহমেদ ভূইয়ার কুট কৌশলে একটি মহল এ সম্মেলনের আয়োজন করতে চাচ্ছে। বক্তারা বলেন, বিএনপির মূলধারাকে পাশ কাটিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটিতে সম্মেলন করতে দেয়া হবে না। সম্মেলন স্থগিত না করা পর্যন্ত তাদের এই আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে সম্মেলন প্রতিহত করতে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।
মশাল মিছিলে জেলা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা ছাড়াও জেলা যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদলসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর ও ১৮ জানুয়ারি জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একপক্ষ সম্মেলন সকলের প্রস্তুতি নিলেও অপর পক্ষের বিরোধিতার জন্য দুটি তারিখই পরিবর্তন করে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
আজ ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হেলেনা পারভীনের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জয়নাল আবেদিন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মেহেদী হাসান, জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন, জেলা হোটেল রেস্তুরা মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক ফকরুল আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ ফারহান ইসলাম।
এ সময় বক্তারা পবিত্র রমজান মাসসহ সবসময়ই স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশনার জন্য জেলার হোটেল রেস্তোরাঁর মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
কর্মশালায় ১২৫ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
দুলাল মিয়া :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে জুনায়েদ মিয়া (৩২) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৭ জুন মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে অসুস্থ অবস্থায় জুনায়েদ মিয়াকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার পরমানন্দপুর গ্রামের হেকমত আলীর ছেলে। জুনায়েদ মিয়া মাদকদ্রব্য সেবনের অভ্যাসে আক্রান্ত ছিলেন বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানায়।
জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. ওবায়দুর রহমান জানান, হাজতি জুনায়েদ মিয়াকে মাদক মামলায় গত ৪ জুন আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়। সম্প্রতি জেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়েন। তাকে দ্রুত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কারাগারের জেলার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন। সকালে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে জরুরিভিত্তিতে হাসপাতালে পাঠানো হয়। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।