অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিককে দেশটির নগরমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। টানা চতুর্থবারের মতো লেবার দলীয় এমপি হিসেবে নির্বাচিত টিউলিপকে ৯ জুলাই মঙ্গলবার মন্ত্রী নিয়োগের তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নগরমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের আর্থিক পরিষেবা খাত তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করবেন। গত ৪ জুলাই ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছে লেবার পার্টি। দেশটির ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টিকে বিপুল ব্যবধানে হারিয়ে বামপন্থি লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আসেন।
দেশটির রাজধানী লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড-কিলবার্ন আসনে লেবার পার্টির প্রার্থী হয়েছিলেন টিউলিপ। নির্বাচনী ফলাফলে দেখা যায়, নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী ডন উইলিয়ামসের চেয়ে ৮ হাজার ৪৬২ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তিনি।
২০১৫ সালে প্রথম হ্যাম্পস্টেড-কিলবার্ন আসনের প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হন টিউলিপ। সেবারই প্রথম হাউস অব কমন্সে তার প্রবেশ ঘটে। তারপর ২০১৭ এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনেও এই আসন থেকে জয় পান তিনি। ওই বছর যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১ হাজার রাজনীতিবিদের তালিকায় তার নামও উঠেছিল।
২০২১ সাল থেকে লন্ডনের সিটি অব ফাইন্যান্সিয়াল ডিস্ট্রিক্টের ‘দ্য সিটি’ নামে পরিচিত আর্থিক পরিষেবা শিল্পের নীতি তৈরিতে লেবার পার্টির নেওয়া পদক্ষেপের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন ৪১ বছর বয়সী সিদ্দিক। তবে তাকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয় ব্রিটেনের লেবার দলীয় সরকার।
এর আগে, লন্ডনের ফাইন্যান্সিয়াল সিটির ছায়া মন্ত্রী হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক। ২০১৬ সালে লেবার পার্টির শ্যাডো মিনিস্টার ফর আর্লি ইয়ার্স এডুকেশন নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। সেই সময় শিশু কল্যাণ ও প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে কাজ করেন টিউলিপ।
এছাড়াও লেবার পার্টির সাবেক প্রধান জেরেমি করবিন নেতত্বাধীন প্রথম ছায়া মন্ত্রিসভার সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও ক্রীড়াবিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল ডাগারের ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে কাজ করেছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। রিজেন্ট পার্কের কাউন্সিলর এবং ক্যামডেন কাউন্সিলের কালচার অ্যান্ড কমিউনিটির সদস্যও ছিলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপের শৈশব কেটেছে বাংলাদেশ, ভারত ও সিঙ্গাপুরে। ১৫ বছর বয়স থেকে তিনি লন্ডনের হ্যামস্টেড ও কিলবার্নে বসবাস করছেন তিনি। লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে তিনি পলিটিকস, পলিসি ও গভর্নমেন্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির সদস্য হওয়া টিউলিপ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গ্রেটার লন্ডন অথরিটি ও সেভ দ্য চিলড্রেনের সঙ্গেও কাজ করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে স্বামী ক্রিস পার্সির সঙ্গে টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনে বসবাস করেন। তাদের সংসারে এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। টিউলিপ সিদ্দিকের মেয়ে আজালিয়া জয় পার্সি ও ছেলে রাফায়েল মুজিব সেন্ট জন পার্সি।
উল্লেখ্য, ব্রিটেনের এবারের নির্বাচনে লেবার পার্টির অপর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী রুপা হকও ইলিং সেন্ট্রাল-অ্যাকটন আসনে টানা তৃতীয়বারের মতো জয় পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেমস উইন্ডসরকে ৮ হাজার ৩৪৫ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন তিনি। তার মোট ভোটের সংখ্যা ২২ হাজার ৩৪০ বা শতকরা হিসেবে ৪৬ দশমিক ৮ শতাংশ।
রুপা হক ইলিং সেন্ট্রাল-অ্যাকটন আসনে প্রথম জয় পেয়েছিলেন ২০১৫ সালে। তারপর ২০১৯ সালেও বিজয়ী হয়েছিলেন তিনি।
স্টাফ রিপোর্টার:
দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৬ কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৮ জন। রোববার (১১ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৪৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২১ হাজার ৭৮১ জন। তাদেরকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ৫৬ হাজার ৪৯২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৬৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮৪৮ জন। এ সময়ে টিকার বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ পেয়েছেন ছয় কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন।
২০২১ সালের ১ নভেম্বর ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৯ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২৪২ শিক্ষার্থী। দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন ৬৮৯ শিক্ষার্থী। তবে এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়নি।
এদিকে, এখন পর্যন্ত ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০টি। এছাড়া দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১০ লাখ ৩৩ হাজার ৪২১ শিশুকে। অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত ভাসমান জনগোষ্ঠীর ৫ লাখ ৭৭ হাজার ১৮০ জনকে জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৭০ জন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় মো.মনির হোসেন ভুইয়া (৩৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল রবিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টার দিকে দ্রুতগামী একটি গাড়ির চাপায় তিনি নিহত হন।
নিহত মনির হোসেন ভুইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবার বিনাউটি ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ গ্রামের ইমাম হোসেন ভুইয়ার ছেলে। মনিরের মৃত্যুতে পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
নিহত মনির হোসেনের বড় ভাই নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, জীবিকার তাগিদে প্রায় দশ বছর আগে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে পাড়ি দেন মনির হোসেন। কয়েক বছর ধরে রিয়াদ শহরের বলদিয়া কোম্পানিতে পরিছন্নকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। রবিবার স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে (বাংলাদেশ সময় বিকেলে ) রাস্তার পাশে পরিছন্নতার কাজ করছিলেন মনির। এ সময় পেছন দিক থেকে ছুটে আসা দ্রুতগামী একটি গাড়ি তাকে চাপা দেয়। গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় তার ভাই মনির হোসেন ভুইয়া। মনিরের মৃত্যুর খবর তার সাথে থাকা অপর এক বাংলাদেশি সহকর্মী দেশের বাড়িতে এবং একই শহরে অন্য এলাকায় কর্মরত তার অপর দুই ভাই শরিফুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম ভুূঁয়াকে জানান। তার দুই ভাই লাশটি সেখানকার হাসপাতাল মর্গে রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া আরো জানান, দেশের বাড়িতে মা-বাবা, ভাই-বোনসহ মনিরের স্ত্রী ও মনিরা আক্তার নামে ছয় বছর বয়সী একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
নিহত মনির হোসেনের পরিবার তার মরদেহ সরকারিভাবে দ্রুত দেশের আনার ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতে মেলা দেখতে গিয়ে আটকে পড়া ১০ জনসহ ১৩ বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত চেকপোস্ট দিয়ে আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে তারা দেশে ফিরেছেন।
ভারতের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের মাধ্যমে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
দেশে ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন-চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার কদলপুর গ্রমের দুলাল নাথের ছেলে রুবেল কুমার নাথ, উত্তর গুজরা গ্রামের মিলন বিশ্বাসের ছেলে রাজিব বিশ্বাস, সুলতানপুর গ্রামের মিলন দের ছেলে শঙ্কর দে, একই গ্রামের বিষু দাসের ছেলে জয় দাস, কাজল দাসের ছেলে সঞ্জয় দাস, অনিল দাসের ছেলে উল্লাস দাস, সুকুমার চৌধুরী দাসের ছেলে দীপক দাস গুপ্তা, মন্টু রাম ঘোষের ছেলে রুমন ঘোষ, যোগেস ঘোষের ছেলে রুবেল ঘোষ, রনধীর দাসের ছেলে প্রান্ত দাস, একই জেলার হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম দেওয়ান নগরের মো. হোসেনের মেয়ে নাহিদা শেখ এবং তার দুই শিশু সন্তান ফয়েজ ইসলাম শেখ ও ফাইজা শেখ।
শূন্যরেখায় দেশে ফেরত আসা দীপক দাস গুপ্তা বলেন, আমরা ১০ জন খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে মেলায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। মেলা থেকে আগরতলার একটি মন্দির দেখে ফেরার পথে আমাদের বহনকারী ভারতীয় গাড়িটির চালক আমাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যের পরিবর্তে স্থানীয় একটি থানায় নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ আমাদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত আমাদের অনুপ্রবেশের দায়ে এক মাস করে সাজা দেন। কারাভোগ শেষে আমরা একটি সেইফ হোমে ছিলাম। সেখান থেকে চার মাস পর বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে আমরা আজ দেশে ফিরলাম।
ফিরে আসা নাহিদা শেখ বলেন, আমি, আমার স্বামী ও এক সন্তানসহ গত তিন বছর আগে স্বামীর চিকিৎসার জন্য অবৈধ পথে ভারতের মুম্বাই শহরে গিয়েছিলাম। চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পথে ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়ে এক বছর কারাভোগ করি। এরপর একটি হোমে ছিলাম। তখন আমার আরেকটি সন্তানের জন্ম হয়। গত ছয় মাস আগে ওখানে আমার স্বামীর মৃত্যু হলে সেখানেই দাফন করা হয়। দীর্ঘ তিন বছর পর আমি আমার দুই সন্তান নিয়ে দেশে ফিরেছি।
আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের কর্মকর্তা ওমর শরীফ বলেন, ১৩ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছি। তাদের মধ্যে এক নারী ও দুটি শিশু ছাড়া বাকি ১০ জন এসেছিলেন মেলা দেখতে। তারা দেশে ফেরার পথে ভারতীয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হয়ে আদালতের মাধ্যমে সাজাভোগ করেন। বিষয়টি জানতে পেরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। পরে কাগজপত্র যাচাই-বাচাই শেষে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হলো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রাহাতুল ইসলাম, বিএসএফের ১২০ মোম্পানি কমান্ডার বিবেক ধীমান, আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ইনচার্জ মো. খাইরুল আলম, ৬০ বিজিবির আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার শাহ আলমসহ অনেকে।
অনলাইন ডেস্ক :
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফেডারেল আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ৫৭ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। শীঘ্রই তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হবে।
আজ ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ কথা জানান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ জন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি আদালত। তাদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং বাকি একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কলম্বিয়ায় ৯ সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় আজ ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। ২৯ এপ্রিল সোমবার দেশটির উত্তরাঞ্চলে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি রাশিয়ার তৈরি এমআই-১৭ মডেলের।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
কলম্বিয়ার সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সামরিক হেলিকপ্টারটি অভিযানের জন্য সান্তা রোসা দেল সুর এলাকায় সৈন্যদের নিয়ে যাচ্ছিল। এলাকাটিতে সম্প্রতি ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি গেরিলা গ্রুপ এবং গালফ ক্ল্যান নামে পরিচিত মাদক পাচারকারী গ্রুপের মধ্যে লড়াই চলছিল।’
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম এক্সে বলেছেন, গালফ ক্ল্যান গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য সেনাদের নিয়ে যাওয়ার সময় হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে।
মূলত, এই অঞ্চলেই বৃহত্তম কোকেন কার্টেলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে দেশটির সামরিক বাহিনী। কলম্বিয়ায় গালফ ক্ল্যান গোষ্ঠীটির চার হাজার সশস্ত্র যোদ্ধা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো বা দেশটির সামরিক বাহিনীর কেউই রাশিয়ার তৈরি এই হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ সম্পর্কে কিছু বলেননি। সূত্র : এবিসি নিউজ