চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে দেড় মণ গাঁজাসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।
গতকাল ১০ জুলাই বুধবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার পাইকপাড়া হাটখোলা গ্রাম থেকে গাঁজাসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মো. ইউসুফ আলী (৬০) জেলার বিজয়নগর উপজেলার পাইকপাড়া (পশ্চিমপাড়া হাটখোলা) গ্রামের মুসকত আলীর ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার পাইকপাড়া (পশ্চিমপাড়া হাটখোলা) গ্রামের ইউসুফ আলীর বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার বসতঘর তল্লাশি করে দেড় মণ (৬০ কেজি) গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, অভিযানের সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে নূর ইসলাম ও লোকমান খাঁ নামে দুই মাদক কারবারি পালিয়ে যায়। তাদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৭২ কেজি গাঁজাসহ একাধিক মাদক মামলার ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ এর নেতৃত্বে এস আই মোঃ শরিফুল ইসলাম, এস আই জুয়েল রানা, এএসআই আব্দুলাহ আল মামুন, আমির, সেলিম, রুহুল আমীন সঙ্গীয় ফোর্সসহ ভোর ৪ ঘটিকার সময় উপজেলার সিংগারবিল ইউনিয়নের কাশিনগর আসামী সজল মিয়ার বাড়ীর দক্ষিণ পাশে সেলিম মিয়ার পশ্চিম ভিটির বসত ঘর হতে ৭২ কেজি গাঁজাসহ মাদক সম্রাট ১৩ মাদক মামলার আসামি সজল মিয়াসহ মাদক পাচারের লেবার, লাইনম্যান, ক্রেতা বিক্রেতাসহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
আসামীরা হলো বিজয়নগর উপজেলার কাশিনগর গ্রামের মন মিয়ার ছেলে সজল মিয়া (৩০), মজনু মিয়ার ছেলে ফটিক মিয়া (৩০), আব্দুর রহমানের ছেলে সেলিম মিয়া (৩৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নয়নপুর গ্রামের আমির হোসেন এর ছেলে মোঃ হাসান মিয়া (৪২), একই উপজেলার উলচাপাড়া গ্রামের মোঃ মনু মিয়ার ছেলে আহাদ মিয়া (৩০), এবং কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার ভৈরবপুর গ্রামের হিরা মিয়ার ছেলে মাসুম মিয়া (৪৫) কে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এই মাদক চালানের নেতৃত্বদানকারী সজল মিয়ার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে মাদকের ১৩ টি মামলাসহ গ্রেফতারকৃত সকল আসামীর বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ জানান, পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশনায় মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমি সঙ্গীয় ফোর্সসহ গতকাল ভোর রাতে উপজেলার কাশিনগর গ্রামের এক লেবু বাগানের ভিতর থেকে ৭২ কেজি গাঁজাসহ একটি মাদকচক্রের ৬ জনকে একত্রে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত সবাই একাধিক মাদক মামলার আসামি। তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিখোঁজের ৩ দিন পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যানপ্রার্থী প্রীতি খন্দকার হালিমাকে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৮ মে নির্বাচনি প্রচারণার সময় এলাকা থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
আজ ৩০ মে বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার হওয়ার পর প্রীতি খন্দকার বলেন, ‘আগামী ৫ জুন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনে আমি নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে (পদ্মফুল প্রতীক) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। সার্ভারে ত্রুটির কারণে আমার মনোনয়নপত্র জমা দিতে সমস্যা হওয়ায় পরবর্তীতে হাইকোর্ট থেকে প্রার্থীতা ফিরে পাই।’ কীভাবে নিখোঁজ হলেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘২৮ মে দুপুরে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নে দুই জন সহযোগী নিয়ে নির্বাচনি প্রচারণায় যাই। হরষপুরের খেয়াঘাট ও ঋষি পাড়ায় ঢুকে প্রচারণার সময় আমার সঙ্গে থাকা দু’জন নারী বাইরে এবং আমি ভেতরে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। এ সময় অন্য দু’জন বোরকা পরা নারী এসে বলেন, ‘সামনে একটি মাদ্রাসা আছে, সেখানে অনেক ভোটার আছে’। এই কথা বলে আমাকে একটি পান খেতে দেয়। পানটি মুখে নিতেই আমার মাথা ঘুরতে শুরু করে। তখন তারা একটি কালো মাইক্রো বাসে করে আমাকে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জের দেওয়ানবাগের একটি হাইওয়ে সড়কে আমাকে ফেলে যায়।’’
‘এতো সকালে ফাঁকা সড়কে কাউকেই খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তখন সড়ক দিয়ে অনেকক্ষণ হেঁটে আসার পরে একটি অটো রিকশা দেখতে পেয়ে আশপাশে কোনও থানায় নিয়ে যেতে বলি। পরে, কাঁচপুর হাইওয়ে থানায় আসার পর একজন পুলিশের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে আমার স্বামীকে ফোন দিই। পুলিশের সহায়তায় বিজয়নগর থানা পুলিশ ও আমার স্বামী এসে আমাকে উদ্ধার করেন।’
এই ভাইস চেয়ারম্যানপ্রার্থী অভিযোগ করেন, তার কাছে থাকা একটি মোবাইল, সঙ্গে থাকা টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার- সব নিয়ে গেছেন ওই দুই নারী।
প্রার্থীর স্বামী মাসুদ খন্দকার বলেন, ‘সকালে আমার স্ত্রী আমাকে কল দিয়েছে। পরে থানা থেকেও আমাকে জানিয়েছে। থানা থেকে আমি কাঁচপুরে এসেছি স্ত্রীকে নিয়ে যেতে। স্ত্রী জানিয়েছে, নির্বাচন যেন না করে এজন্য তাকে তুলে নিয়ে গেছে। এখন সে অসুস্থ বেশি কথা বলতে পারছে না। পরে বিস্তারিত জানা যাবে।’
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘ওই নারী প্রার্থী সকালে থানায় এসে আশ্রয় চেয়েছেন। পরে বিজয়নগর থানায় যোগাযোগ করে তাকে পাঠানো হয়েছে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে ২০১৪ সালে শশুর হত্যা মামলার প্রধান আসামী দীর্ঘ ৮ বছর পরে বিজয়নগর থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের জসিম উদ্দিন এর স্ত্রী মোছাঃ শিপু বেগম (৪৫)। তাঁকে আজ ১ জুন বৃহস্পতিবার ভোর সকালে তার বাবার বাড়ি উপজেলার খাদুরাইল গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত দায়রা জজ এর প্রথম আদালতে শশুর হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং দায়রা ১৩০/১৫। উক্ত মামলার ২০/১১/২০১৯ তারিখে আদালতে মোছাঃ শিপু বেগম এর যাবত জীবন সাজার রায় ঘোষণা করা হয়।
পারিবারিক কলহের জেরে পাইকপাড়া গ্রামের মোঃ জসিম উদ্দিন এর পিতা ও যাবত জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোছাঃ শিপু বেগম এর শশুর কাঁছা মালাকে গত ২৫/৯/২০১৪ সালে শ্বাসরুদ্ধ করে শশুরকে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা হলে সে গোপনে বিদেশে চলে যায়। দীর্ঘ ৮ বছর বিদেশে কাটিয়ে গোপনে গত সপ্তাহে দেশে আসলে বিজয়নগর থানা পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেন।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পলাতক আসামী প্রবাস থেকে দেশে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিলে বিজয়নগর থানার একটি চৌকস ঠিম তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বর্তমান আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার গত ১৫ বছরে রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ ও মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাই আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কায় যত বেশি ভোট দেবেন ততই আপনাদের লাভ হবে বলে জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে ও বিএনপি-জামায়তের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সমালোচনা নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহবান জানান।
বুধন্তী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. এফতেহারুল ইসলাম শামীম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইজাজুল ইসলাম রাকিবের যৌথ সঞ্চালনায় কর্মিসভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বুধন্তী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী সায়িদুল ইসলাম।
বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিতু মিয়ার সভাপতিত্বে কর্মিসভায় উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষক লীগের অর্থ সম্পাদক নাজির মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাবেক ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মো. হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সহ-সভাপতি হাজী মো. হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কাজী হারিছুল ইসলাম ও মিজানুল ইসলাম, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর মৃধাসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
সৌদি আরবে ৪৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় ১১৭ দেশের ১৬৬ জন হাফেজ এর সাথে প্রতিযোগিতা করে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী বাংলাদেশের বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের প্রতিযোগী হাফেজ মোঃ ফয়সাল আহমেদকে গণসংবর্ধনা দিয়েছে বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদ।
১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের প্রাঙ্গণে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজয়নগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান খাঁন শাওন।
ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউল হক বকুলের সভাপতিত্বে ও ইছাপুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ ইসহাক সরকার এর সঞ্চালনায় প্রধান আকর্ষণ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংবর্ধিত হাফেজ ফয়সাল আহমেদ এর শিক্ষক শায়েখ নেছার আহমেদ আন আনছারী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ বাবুল আক্তার, বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ, বিজয়নগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল এর সাবেক কমান্ডার মোঃ দবির আহমেদ ভূমিকা, বিজয়নগর উপজেলা প্রেসক্লাব এর সভাপতি এস এম কামরুল হাসান শান্ত, ইছাপুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল আমিনসহ বিজয়নগর উপজেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও হাফেজ ফয়সাল আহমেদ এর স্বজনরা উপস্থিত ছিল।
উল্লেখ্য, গত ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় অনুষ্ঠিত ‘৪৩তম বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় ১১৭টি দেশের ১৬৬ জন হাফেজের মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন বাংলাদেশের হাফেজ ফয়সাল আহমেদ।