চলারপথে রিপোর্ট :
কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশবিরোধী বক্তব্যের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগ।
আজ ১৫ জুলাই সোমবার বিকেলে জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন শোভনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর থেকে মিছিল বের করে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাব চত্বরে সমাবেশ করে।
জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন, উপপ্রচার সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরিন ফাতেমা, জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি শহীদুল আলম জীবন, রাশেদুল ইসলাম, নাসিম সরকার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিকাইল হোসেন হিমেল, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন আফ্রিদী, নাহিদ হক নাজমুল, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সামী আহমেদ নাবিল।
এসময় জেলা, সদর উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবৈধভাবে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার দায়ে চারজনকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
আজ ২৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের মৈন্দ গ্রামে অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করেন।
মৈন্দ গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে এলেম ভূইয়া, একই এলাকার আবদুল হাসিবের ছেলে আবদুল আওয়াল, আকরাম আলীর ছেলে সফিকুল ইসলাম ও ঢাকার সাভারের কাটঘরা গ্রামের রফিকুল সরকারের ছেলে আসিফকে এই জরিমানা করা হয়।
জানা গেছে, সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খননযন্ত্রের মাধ্যমে ফসলি জমি থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন করছে কয়েকটি প্রভাবশালী চক্র। এসব বালু ও মাটি পাইপ ও ট্রাক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে পুকুরও ও জলাশয় ভরাট করা হয়।
গোপন সংবাদে জানতে পেরে মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন মৈন্দ গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে চারজনকে আটক করে চার জনকে ৫০ হাজার টাকা করে ২ লাখ টাকা জরিমানা ও ভেকু মেশিন জব্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন বলেন, মৈন্দ গ্রামের কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার সময় চার জনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী চারজনকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়া আনুমানিক ১০ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা শিশুটি অবশেষে মারা গেছে।
আজ ২২ জুলাই শনিবার বেলা ১১টার দিকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। শিশুটি দুইদিন জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অচেতন অবস্থায় ছিলো।
আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিজয়নগর উপজেলার মেরাশানি রেলওয়ে স্টেশনে অতিক্রমকালে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যায় ১০ বছর বয়সী ছেলে শিশুটি। স্থানীয়রা শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে গ্রাম্য চিকিৎসক ও পরে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুরে শিশুটি মারা গেছে।
তিনি আরো বলেন, শিশুটির নাম-পরিচয় সনাক্ত করার চেষ্টা করছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাতিঘর নামক একটি সংগঠনের কাছে তার লাশ দাফনের জন্য হস্তান্তর করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ৭নং তালশহর পূর্ব ইউনিয়ন ডিজিটাল সেবা সেন্টার (ইউডিসি)-এর অপারেটর মোজাম্মেল হক বদরুলকে অপসারণের দাবিতে আজ ২৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উদ্যোক্তা মোজাম্মেল হক বদরুল ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের সব ধরনের কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাইমন আহমেদ, শরীফ, জিয়াউল, জুনায়েদ, বাবু, সাব্বির, ফারুক, ওমর, জুবায়ের, মোবাশ্বের, মো: শফিকুল ইসলাম, তানভীর, বাইজিদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম ও মৃত্যুসনদের জন্য অতিরিক্ত ফি আদায়, একই ব্যক্তির নামে একাধিকবার ভুল জন্ম ও মৃত্যুসনদ প্রদান, সনদ সংশোধনের নামে একাধিকবার অর্থ আদায়, ইউনিয়ন পরিষদে আসা সেবাপ্রত্যাশীদের সাথে খারাপ আচরণ করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ। ৭ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে বলেন, অনতিবিলম্বে মোজাম্মেল হক বদরুলকে অপসারণ করা না হলে কঠোর কর্মসূচি নেয়া হবে।
ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের এক ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন দেখিয়ে এক ব্যক্তি বলেন, জন্ম নিবন্ধনে বাবার নাম- খলিলুর রহমান, মায়ের নাম- আমেনা খাতুন কিন্তু জন্ম নিবন্ধনে ইংরেজি অংশে বাবার নাম আসে-AMENA এবং মায়ের নাম-KHALIL লিপিবদ্ধ হয়। এক বছর যাবৎ জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য ঘুরেও এ কোন সুরাহা করতে পারেনি। সরকারি বিভিন্ন কাজ করতে পারেনি।
আরেক জন অভিযোগ করে বলেন, ২০১৫ সালে তার ছেলেন নাম ভুল আসে পরে এটি ২০১৭ সালে সংশোধন করা হয় পরবর্তীতে কিভাবে সার্ভার থেকে অটোমেটিক নাম পরিবর্তন হয়ে যায় যা বোধগম্য নয়।
মানববন্ধনে আসা একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, উদ্যোক্তা মোজাম্মেল ইচ্ছা করেই এই কর্মকান্ড করে থাকে কারণ সংশোধন করতে গেলে অনলাইন করতে হয় তখন তাকে অনলাইনের টাকা দিতে হয়। আবার সরকারি ফি তাও দিতে হয়। পরে এর বাইরেও অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়।
মানববন্ধন শেষে ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম এর কাছে তাদের দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় চেয়ারম্যান তাদেরকে ৭ দিনের সময় প্রদান করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বলেন, উদ্যোক্তা মোজাম্মেল এর জন্য তাঁর নাকি বদনাম হয় কারণ সে রাতেও নাকি অফিস করে। রাতে কিসের জন্য অফিস করতে হয়। এছাড়া অফিসও ঠিকভাবে করে না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রি শিল্প রক্ষা অ্যাসোসিয়েশন জেলা কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে ১ জানুয়ারি থেকে আগামী এক মাস প্রান্তিক খামারিরা পল্ট্রি খামারিতে বাচ্চা তুলবেন না বলে জানান।
আজ ১৮ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রি শিল্প রক্ষা অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোঃ মফিজুল ইসলাম মল্লিক। বিশিষ্ট খামারি মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক মুখ্য আঞ্চলিক কার্যালয়ের মুখ্য আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ইউছুফ খান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রি শিল্প রক্ষা অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ শাহিনুর ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জুবেদা ইয়াসমিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী শরিফ উদ্দিন।
বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রি শিল্প রক্ষা অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোঃ ফারুক মিয়া ও শরিফ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মোঃ আলমগীর হোসেন, আব্দুল করিম, মহিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, হাবিবুল্লাহ শহনাজ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে তারা খামারে খাদ্য ও বাচ্চা উঠাবে না। তারা একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। পাশাপাশি খামারিদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
প্রধান অতিথি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক মুখ্য আঞ্চলিক কার্যালয়ের মুখ্য আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ইউছুফ খান বলেন, প্রান্তিক সকল খামারিদের ব্যাংকখাতে সরকার সকল সুবিধা দেয়। কৃষি ব্যাংক সবচেয়ে কম সুদে ঋন দেয় উল্লেখ করে তিনি সকল খামারিদের ক্ষুদ্রঋন নিয়ে প্রান্তিক খামারি চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।
প্রধান আলোচক বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রি শিল্প রক্ষা অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোঃ মফিজুল ইসলাম মল্লিক বলেন, আমি প্রান্তিক খামারিদের নিয়ে কথা বলায় আমাকে অনেক অত্যাচার করেছে আওয়ামী সরকার। কারন তাদের সিন্ডিকেট নিয়ে আমি কথা বলায় আমাকে আয়নাঘরে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল কিন্তু সরকার পতন হওয়ায় আমি বেঁচে গেছি। আমি খামারিদের জন্য সারাদেশে ঘুরে ঘুরে প্রান্তিক খামারিদের রক্ষায় কমিটি করছি কারন কমিটি হলে তাদের অধিকার আদায়ে সহজ হয়। আমি প্রান্তিক খামারিদের নিয়ে জন্য কাজ করার জন্য সিন্ডিকেটের লোকজন অনেকবার মেরে ফেলতে চেয়েছে। আগামী পহেলা জানুয়ারি থেকে ১মাস কেউ যেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্ট্রি বাচ্চা না তুলেন সেই অনুরোধ করেন। কর্পোরেট কম্পানির সিন্ডিকেট ভাঙতে হলে প্রান্তিক খামারিরা এক হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়ে পল্ট্রির খামারে সকল মূল্যে কমানোর দাবীতে এই আন্দোলন বলে তিনি জানান। সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রান্তিক খামারিরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনকে বিদায়ী সংবর্ধনা দিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব। গত শনিবার বিকেলে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজনের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি নিয়াজ মোঃ খান বিটুর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ আরজু ও খ.আ.ম রশিদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম. কাউসার এমরান, সাংবাদিক আবদুন নূর, আল-আমিন শাহীন, পীযূষ কান্তি আচার্য, ইব্রাহিম খান সাদাত, সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, শিহাব উদ্দিন বিপু প্রমুখ।
সভায় বক্তারা তাঁর কর্মকালীন সময়ের প্রশংসা করেন এবং তার কর্ম জীবনের সাফল্য কামনা করেন।
সংবর্ধনার জবাবে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমার কর্মকালীন সময়ে সর্বদা সাংবাদিকদের সহযোগীতা পেয়েছি। পরে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়। পুলিশ সুপার ও প্রেসক্লাবকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করেন।